• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
ভারতের রাজস্থানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক নির্বাচনী বক্তৃতায় তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। মোদির বিচার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিকের চিঠি জমা পড়েছে। চিঠিগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা বলছে, নির্বাচনী জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও। সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা? ‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রুপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।  তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার  মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৪

নেতৃত্ব পরিবর্তনে ইসিতে চিঠি দিয়ে সাড়া পেল না রওশনপন্থীরা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে রওশন এরশাদপন্থীরা। তবে এতে সাড়া দেয়নি ইসি। শনিবার (৯ মার্চ) ইসির উপসচিব মো. মাহবুবুল আলম শাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না-হওয়ায় রওশনপন্থীদের আবেদন ইসিতে নামঞ্জুর হয়েছে। এর আগে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পরিবর্তনে গত ৪ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দেয় রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ। চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসায় দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জরুরি বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সভায় সবার দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতাবলে রওশন এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন এবং কাজী মামুনুর রশীদকে অন্তর্বর্তী (পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত) মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল করেন রওশন এরশাদপন্থীরা। কাউন্সিলে রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলে আগামী তিন বছরের জন্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ। সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচিত। এ ছাড়া পাঁচজন কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- শাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাদ এরশাদ, গোলাম সারওয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায়। সুনীল শুভ রায় জাতীয় পার্টির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতা রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হন রওশনপন্থীরা। অন্যদিকে, ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুরে মনোনয়ন না দেওয়ায় রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। এর জেরে নতুন করে জাপায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এখন শেষে পর্যন্ত দলটি দুই ভাগ হয়ে গেল।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২২:০৭

প্রকাশ্যে ভোটদান / ইসিতে ক্ষমা চাইলেন ধর্মমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ আসনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। ব্যাখ্যা শেষে ধর্মমন্ত্রী বলেছেন, আমার বিশ্বাস গুরুতর কোনো অপরাধ ছিল না, তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। ধর্মমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার সংবিধান রেখেছে, আইন রেখেছে। আর আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। অতএব বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন আমাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছে। আমি উপস্থিত হয়েছি, আমার কথা বলেছি। আমার বিশ্বাস গুরুতর কোনো অপরাধ যদিও বা না থাকে তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। বিষয়টি নিয়ে ইসি কিছু বলেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন বলেছে বিষয়টি দেখবে। আপনার কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক বলেন, না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না। গত ১১ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে জামালপুর-২ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে প্রকাশ্য ভোট দেওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশ্যে ভোটপ্রদান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনী অপরাধ উল্লেখ করে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই মর্মে ফরিদুল হক খানকে তলব করে নির্বাচন কমিশন ইসি।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৭

বিএনপিকে অভিযুক্ত করে ইসিতে আ.লীগ
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গেছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। শনিবার (৬ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল ইসিতে যায়। দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এ খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যারা ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসতে চান তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্যই বিএনপি অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে। তাদের (বিএনপি) এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে আমারা ইসিতে এসেছিলাম। ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন, দলের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, উপ-দপ্তর সায়েম খান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারওয়ার। বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না। কারণ, ভোটাধিকার একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। দেশবাসীকে বলব সব ষড়যন্ত্র-ভয় উপেক্ষা করে আগামীকাল গণতন্ত্রের উৎসব অংশ নিন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করবে সেখানে সাধারণ জনগণ ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়