• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভে পুলিশের বর্বরতা
গাজাযুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান ছাত্র বিক্ষোভ দমনে পুলিশের বর্বরতা চলেছে। চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে উচ্ছেদের জন্য আলটিমেটাম দিয়ে শত শত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শক্তি প্রয়োগ করে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের (ইউসিএলএ) অবরোধ উচ্ছেদ করেছে। রাবার বুলেট ও ফ্ল্যাশব্যাং ব্যবহার করে বুধবার পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়েছে। এ সময় ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে পিঠমোড়া করে বেঁধে নিয়ে গেছে পুলিশ।  বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে নানা সময় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ বাধা না দিলেও এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম অসহিষ্ণুতা দেখাচ্ছে।   পুলিশ এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছিল। এরপর কয়েক ঘণ্টার অচলাবস্থা শেষে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তাঁবুতে প্রবেশ করে। সহিংস ইসরায়েলপন্থি উগ্র জনতার তাদের ক্যাম্পে আক্রমণ করার ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পরে এ ঘটনা ঘটল। এর আগে মঙ্গলবার রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউইয়র্কের সিটি কলেজের প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ওপর উগ্র ইসরায়েলপন্থিরা আক্রমণ করে।  বুধবারের পুলিশের অভিযানের পর প্রায় সব বিক্ষোভকারীকে ইউসিএলএ ক্যাম্প থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় কিছু বিক্ষোভকারীকে ভয়ার্ত দেখালেও অন্যরা যতদিন সম্ভব অবস্থান বজায় রাখার জন্য সত্যিই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন বলে আলজাজিরা জানায়। অনেক বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘শেম অন ইউ’ বলে চিৎকার করছিলেন। বার্তা সংস্থা এপি জানায়, পুলিশ গত ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফিলিস্তিন সমর্থক ১৬০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদের অধিকার আছে। তবে ক্যাম্পাসে অবশ্যই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কাতার ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক হাসান বারারি যুক্তরাষ্ট্রে বহু বছর শিক্ষকতা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রমবর্ধমান মৌখিক আক্রমণ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন না। তারা তাদের উদ্দেশ্য সফল না করা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।  বুধবার উত্তর ও মধ্য গাজাজুড়ে সমাবেশ করে মার্কিন কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। দেইর আল-বালাহতে আল আকসা শহীদ হাসপাতালের সামনে ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীরা সমাবেশে গণহত্যা বন্ধে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার বহন করেন। এ সময় ডা. সাদ আবু শারবান সিএনএনকে বলেন, অন্যান্য দেশের প্রতিবাদকারীরা বিশ্বকে দেখাচ্ছেন গাজা উপত্যকায় এখন কী ঘটছে।’
০৩ মে ২০২৪, ১১:১১

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ: কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালাচ্ছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হ্যামিলটন হল নামের ওই ভবনে তারা প্রবেশ করছে। সেখানে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে, কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযানের বিষয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘দখল, ভাঙচুর ও অবরুদ্ধ করার পর আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না’। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন বিক্ষোভ হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং ‘জোর করে ভবন দখল করা শান্তিপূর্ণ ব্যাপার না- এটা ভুল’। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স টেলিভিশনকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে দিনটিকে কলম্বিয়ার জন্য দুঃখের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নিউ ইয়র্ক শহরের ডেমোক্র্যাট দলীয় কংগ্রেসম্যান জামাল বাউম্যান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছেন। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে তিনি ক্ষুব্ধ। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এর আগে কলাম্বিয়ার শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অনেকে কমলা ও হলুদ রংয়ের ভেস্ট পরে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাঁবু খাটিয়ে ওই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছিল। ওই তাঁবু সরানোর জন্য সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কয়েক ডজন শিক্ষার্থী ওই স্থানে সমাবেশ করে। কলাম্বিয়ার স্টুডেন্ট রেডিও স্টেশনের খবর অনুযায়ী আটক শিক্ষার্থীদের নেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসের কাছেই নিউইয়র্ক পুলিশের বাস রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টিভি চ্যানেলগুলোতে যেসব ছবি দেখানো হচ্ছে তাতে কলম্বিয়া লেখা টি শার্ট পরিহিত অনেককে একই ধরনের বাসে ওঠাতে দেখা যাচ্ছে। তবে কত শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। একজন পুলিশ কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন তারা রাতের এ অভিযানে শুধু ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেড (যা জোরে শব্দ তৈরি করে আলোর ঝলকানি তৈরি করে) ব্যবহার করেছে এবং কোনো টিয়ারশেল ব্যবহার করেনি। একদিকে গ্রেপ্তার চলছে অন্যদিকে বাইরে চরম বিশৃঙ্খলার তথ্য দিয়েছেন বিবিসির নমিয়া ইকবাল। তিনি পুলিশের অনেকগুলো বাস ‘সম্ভবত বিক্ষোভকারীদের’ নিয়ে চলে যেতে দেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির পার্টনার সিবিএস নিউজ বলেছে পঞ্চাশ জনের মতো আটক করা হয়েছে। তবে হাত বাঁধা অবস্থায় আটক শিক্ষার্থীরা যখন যাচ্ছিল তখন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক স্লোগান দিয়েছে। মিজ ইকবালকে একজন বলেছেন এই গ্রেপ্তার শহরের জন্য লজ্জার। গত ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ যুদ্ধে হোয়াইট হাউসের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিরুদ্ধে এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে শুরু করে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর তা ক্রমশ বিস্তৃত হতে থাকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, ষাটের দশকের শেষের দিকে ভিয়েতনামে আমেরিকার আগ্রাসনবিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের পর সম্ভবত সবচেয়ে বড় ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে এবার।
০১ মে ২০২৪, ১২:৫৫

ইরানে ফের হামলা হলে ইসরায়েল বলে কিছু থাকবে না : রাইসি
ইরানের ওপর ফের কোনো হামলা হলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি ইরানের ওপর হামলা চালালে ইসরায়েলের পরিণতি ভয়াবহ হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় দিনে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন। রাইসি বলেন, যদি ইসরায়েল আবারও ইরানে হামলা করে তাহলে ইসরায়েল আর থাকবে না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।  সিএনএন প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে ইরানি প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, যদি ইসরায়েল আবার ভুল করে এবং পবিত্র ইরানের সার্বভৌমতাকে লঙ্ঘন করে তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। এদিকে ইরানের বিশাল হামলার পাল্টা জবাব দিতে ইরানের ইস্ফাহানে ছোট হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তবে উত্তেজনা থামিয়ে দিতে বিষয়টি চেপে যায় ইরান। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েলও। সিএসএন প্রতিবেদনে আরও জানায়, ইরানে আরও বড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে পারে ভয় থেকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় তেহরান।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৬

এক পরিবারের ১৩ শিশুর প্রাণ কেড়ে নিলো ইসরায়েল
দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়ে এক পরিবারের ১৩ শিশুসহ ১৫ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গাজা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়। ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ অঞ্চলে পরপর দুবার বিমান হামলা চালায়। এতে এক পরিবারের ১৩ জন শিশুসহ দুইজন নারী নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৪

ছয় শিশুসহ আরও ৯ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল
দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে ছয় শিশুসহ অন্তত ৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাফাহ শহরের পশ্চিম তেল সুলতান পাড়ার একটি আবাসিক ভবনে এ হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। খবর এপি হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালতে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৩

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনছে ইসরায়েল
গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরই মধ্যে নতুন করে ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে মার্কিন মদদপুষ্ট রাষ্ট্রটি। সব মিলিয়ে এই মূহুর্তে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে; সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা অঞ্চলটিতে। সবশেষ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতেও ইরানের ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।  এরই মধ্যে সংঘাতময় মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে দিতে ইসরালের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের আরেকটি স্বাক্ষর রাখলো বাইডেন প্রশাসন। জাতিসংঘ ও শান্তিকামী বিশ্বের সব আহ্বানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরায়েলের কাছে আরও ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ভারী সমরাস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন আরেকটি অস্ত্র চুক্তি করার কথা বিবেচনা করছে। এই চুক্তির আওতায় অস্ত্র সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক যান ও ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মর্টারের গোলা পাবে ইসরায়েল।  ইতোমধ্যে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে এসব সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য একটি প্রস্তাব কংগ্রেসনাল কমিটির সামনে এনেছে। এর আগে ইসরায়েলকে সহায়তায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আরেকটি প্রস্তাব আনা হয় ওই কমিটির সামনে। এদিকে সিএনএনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব তোলে পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদেশ আলজেরিয়া। কিন্তু ভেটো ক্ষমতার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটি নস্যাৎ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।  যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের আরেকটি প্রতিবেদন অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। অঞ্চলটির বিষফোঁড়া হয়ে ওঠা দখলদার রাষ্ট্রটি তার মোট অস্ত্র সহায়তার ৬৮ শতাংশই পায় তাদের মার্কিন মিত্রের কাছ থেকে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে শুধু অস্ত্রই নয়, আর্থিক ও নৈতিক সব ধরনের সমর্থনই তারা মূলত পেয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকেই।  ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে এরপরের স্থানটিই জার্মানির। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি চর্চার জন্য ইসরায়েলের মোট চাহিদার আনুমানিক ৩০ শতাংশ অস্ত্রই সরবরাহ করা হয় জার্মানির পক্ষ থেকে। বাদবাকি মাত্র দুই শতাংশ অস্ত্র তারা পায় ব্রিটেন, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং অবশ্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তার দেশ অস্ত্র সরবরাহ করেনি ইসরায়েলকে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮

কেন ইরানের ইস্পাহানকেই টার্গেট করল ইসরায়েল 
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ ইস্পাহানে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোররাতে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা মার্কিন মদদপুষ্ট দেশটি।  ইস্পাহান শহরের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে কয়েকটি সন্দেহজনক বস্তু লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের পর শহরের পূর্ব দিকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন সেনা কর্মকর্তা। তবে, ইরানের ভেতর ঢুকে অনুপ্রেবশকারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি দেশটির সেনাবাহিনীর। মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ইসরায়েল থেকেই নিক্ষেপ করা হয়েছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র।   এদিকে ইরানে হামলার ক্ষেত্রে দেশটির রাজধানী বাদ দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ইস্পাহানকেই কেন বেছে নিলো ইসরায়েল, সে বিষয়ে জানতে একজন পারমাণবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।  হামিশ ডে ব্রেটন গর্ডন নামে যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক বাহিনীর সাবেক ওই কমান্ডার বিবিসিকে বলেছেন, ইস্পাহানকে টার্গেট করা খুবই উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়। ইরানের এই শহর ঘিরে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তার একটি লক্ষ্য করেই ভোররাতে হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। গর্ডন বিবিসিকে বলেন, ইরান যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, সেই পারমাণবিক স্থাপনার আশপাশে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে মূলত ইরানে হামলা করার সক্ষমতার বিষয়ে জানান দিতে চেয়েছে ইসরায়েল। ইরানের নিক্ষেপ করা তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সবকটিই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু ইসরায়েলের ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের সবকটি সফলভাবে আঘাত হেনেছে ইসরায়েলে। ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক এ কমান্ডারের মতে, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ইসরায়েল। সে কারণেই ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিদের মতো গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে ছায়াযুদ্ধ চালাতে বেশি আগ্রহী।  ইরানের পক্ষ থেকে হামলার এ ঘটনাকে ছোট হিসেবে দেখানোর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইরানের পুরোনো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র ভেদ করে ফেলেছে, এটা তেহরান স্বীকার করতে চাইছে না।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫

ইরানে বিস্ফোরণ: মার্কিন গণমাধ্যম বলছে ইসরায়েল হামলা করেছে
ইরানের ইসফাহান প্রদেশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা শুক্রবার জানিয়েছে৷ এদিকে কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে৷ ইরানের কয়েকটি শহরের আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা৷ সিরিয়ায় ইরানের কনসুলার ভবনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইরান৷ এর জবাবে ইরানে হামলা করার হুমকি দিয়ে আসছিল ইসরায়েল৷ এদিকে, ইরানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শিগগিরই প্রতিশোধ নেওয়ার ইরানের কোনো পরিকল্পনা নেই৷ পেন্টাগন ও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করতে চায়নি৷ বিস্ফোরণের কারণে কী ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব এখনও স্পষ্ট নয়৷ এদিকে, ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থাকে ওয়াকিবহাল সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো ও দাবি করা হলেও ইরানের ইসফাহান বা অন্য কোনো অংশে বিদেশ থেকে হামলার খবর পাওয়া যায়নি৷ ইরানের তিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ছোট ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে, যেগুলো সম্ভবত ইরানের ভেতর থেকে ওড়ানো হয়েছে৷ এছাড়া ইরানের আকাশসীমায় অপরিচিত কোনো বিমানের খোঁজও রাডারে ধরা পড়েনি বলে জানান তারা৷ ইসলামি বিপ্লবী গার্ড পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ফারস জানিয়েছে, ইসফাহান বিমানবন্দর ও শেকারি আর্মি এয়ারবেসের কাছে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে৷ এদিকে, ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান বলেছেন, বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে সফলভাবে ভূপতিত করা হয়েছে৷ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, মিসাইল হামলার কোনো খবর নেই৷ ইসফাহানের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিয়াভাশ মিহানদুশত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, আকাশে টার্গেট লক্ষ্য করে ডিফেন্স সিস্টেমের ছোঁড়া গুলির শব্দ মানুষ শুনেছে৷ সমতলে কোনো বিস্ফোরণ হয়নি৷ ইসফাহানের পরমাণু অবকাঠামোতে কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা আইএইএ৷ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে ওয়াশিংটনকে আগাম জানানো হয়েছিল৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি অনুমোদন করেনি এবং এটি কার্যকরে কোনো ভূমিকাও রাখেনি বলে জানান ঐ কর্মকর্তারা৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না৷ ইটালির কাপ্রিতে জি-সেভেনের বৈঠকে উপস্থিত আছেন তিনি৷ ব্লিংকেন বলেন, তার দেশসহ জি-সেভেন উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও জানিয়েছেন, উত্তেজনা কমাতে তারা বন্ধু ও মিত্র দেশের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করবে৷ এদিকে, উত্তেজনা কমাতে সব পক্ষকে সংযম অনুশীলনের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসি শুক্রবার এক জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রশংসা করেন৷ তবে ইসফাহানে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তার উল্লেখ করেননি৷
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
ইরানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা চালানো হয়।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর আগে, গত শনিবার ইরান ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এর কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছিল ইসরায়েল প্রশাসন। আর এরই মধ্যে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল। এ ঘটনায় অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। তবে সেই আহ্বান কর্ণপাত না করেই ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েলি বাহিনী। যদিও এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের ইসফাহান শহরের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এই শহরে ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্র রয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসির খবরে বলা হয়, মধ্য ইরানের ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আর দক্ষিণ সিরিয়ার আস-সুওয়াদা এলাকা এবং ইরাকের বাগদাদ ও বাবিল এলাকায় শুক্রবার সকালে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।  সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের আকাশসীমায় বেশ কয়েকটি ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল।  এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। 
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০

ইরান এতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে কল্পনাও করেনি ইসরায়েল
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। তবে, প্রতিশোধ নিতে ইরানে যে এত শক্তি প্রয়োগ করবে তা কল্পনাও করেনি তেল আবিব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাব ইরান এভাবে দেবে তা ভাবতেই পারেনি ইসরায়েল। তেল আবিব প্রথমে মনে করেছে, ইরান হয়তো প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১০টি সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। এরপর তারা ভেবেছিল ইরান থেকে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। কিন্তু তেহরান যে কয়েকশ ড্রোন এবং একশরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে এটি তারা কল্পনাও করেনি। এদিকে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে, হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলে ইরানের হামলার ইস্যু নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তেল আবিবকে পাল্টা হামলা না চালাতে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। যদিও প্রতিশোধ নিতে বায়না ধরে আছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেন, ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে। তবে কিভাবে জবাব দেওয়া হয়ে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। অন্যদিকে, ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন বাঘেরি বলেছেন, অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে বড় পরিসরে হামলা চালানো হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়