• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ হাইটেক পার্কে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডে সরকারি সফর দুই দেশে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগ সূচনা করেছে। এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে। থাইল্যান্ডকে অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে এই খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এ জন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নকল্পে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করি। এ সময় আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, ডিজিটালাইজড এবং জলবায়ু সহনশীল দেশে রূপান্তর এবং বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করি। তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি। শেখ হাসিনা বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’- এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
১৯ ঘণ্টা আগে

যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ড সফরে যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড সফরে সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরে এবং ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য আমি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফর করি। কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ আমার সফরসঙ্গী ছিলেন। ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে পৌঁছালে বিমানবন্দরে আমাকে লালগালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও গানস্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, গত ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল ব্যাংককে ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের জন্য সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দেশে ব্যস্ত থাকায় আমি তাতে অংশ নিতে পারিনি। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমার পূর্বধারণকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ এপ্রিল সকালে ইউএন-এসক্যাপের একটি অধিবেশনে আমি এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করি। আমি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন মডেল এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করার বিষয়ে আমাদের আগ্রহ ব্যক্ত করি। একইদিনে, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএন-এসক্যাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়ান আলিসজাহবানা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলাপকালে আমি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করি। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’- এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।   শেখ হাসিনা বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে সফরটি সফল ও  ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
২২ ঘণ্টা আগে

দেশের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে বুনিয়াদ, সেটি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, সেটার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। একটা দেশ তার সংজ্ঞা তৈরি করে, সে কী রকম দেশ হবে। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এ স্বাধীন দেশে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ নির্যাতিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে, সেই সংজ্ঞার ওপর আমাদের অটল থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র, দেশ সবার আগে। রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব। তবে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে গেছেন। রাষ্ট্রের মালিক পক্ষ অর্থাৎ জনগণের সেবক হয়ে গেছেন। সে চিন্তা ধারা নিয়ে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মো. মজিবুর রহমান ও তন্ময় দাস, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন, পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। 
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০২

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তা তৈরির আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান। আর এজন্য গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এ আহ্বান জানান মন্ত্রী। ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, গড় আয়ু এবং উচ্চতা বেড়েছে। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, খাদ্য উৎপাদনকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্ভিসের ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার জানিয়ে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে এসময় তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের আশ্বস্ত করেন। নিরাপদ প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে এরপর মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হলে কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়। এদিকে অধিকতর গুণগত উৎপাদনের প্রতি ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি, হাইব্রিড জাত নির্বাচন এবং সংরক্ষণ, আধুনিক জলবায়ু কৌশলের আবির্ভাব এবং গ্রিন-হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার পরিবর্তিত চাহিদা, জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি মোকাবিলা এবং প্রাণিসম্পদ চাষাবাদের জন্য নির্ধারিত জমির পরিমাণ কমে যাওয়াকে প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। মন্ত্রী বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ভেটেরিনারিয়ানদের নিবিড় পরিশ্রমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মিত হবে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে তৃনমূল থেকে দেশকে গড়ে তুলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা তিনি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের স্বীকৃতি দেবেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০১

নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটারদের আস্থা রাখার আহ্বান ইসি রাশেদার
নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে লালমনিরহাটের বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোটারদের উদ্দেশে আমরা বলবো, আমাদের প্রতি আপনারা আস্থা রাখুন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখুন। কারণ একটা গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা জোরদার হওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে প্রার্থীদেরও যেমন আচরণবিধি মেনে চলতে হবে তেমনি ভোটের মাঠে যারা থাকবে সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। যে গুণাবলী থাকলে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করছি। পাশাপাশি যদি কেউ এসবের ব্যত্যয় ঘটান তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, সংসদ সদস্যরা যদি নির্বাচনি প্রচারণা কিংবা অন্য কোনোভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেন, প্রমাণ সাপেক্ষে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এর আগে রাশেদা সুলতানা প্রথমে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের সঙ্গে এবং পরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর, অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।   
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৮

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ব্যাংককের স্থানীয় একটি হোটেলে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ আহবান জানান। বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব  মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল হাই, বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ। সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি আগের দিন দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করতে লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার গুরুত্বের উপর জোর দেন।  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।  বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট ২০২৪ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধার আশ্বাস দেন। বিশিষ্ট থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন। বিডা প্রতিনিধি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রণোদনার ওপর আলোকপাত করেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৪

বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির আহ্বান জানালেন চীনের কালচারাল কাউন্সিলর 
বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওফেং।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ চীনা ভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।  চাইনিজ ক্যালিগ্রাফ সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হয়েছে জাতিসংঘের চীনা ভাষা দিবস। বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট।    এসময় কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওফেং বলেন, আজকের এই আয়োজনে চীনের ক্যালিগ্রাফি, গান, পেইন্টিং,কবিতা নিয়ে কথা বলতে এখানে সবাই একত্রিত হয়েছে। চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির নান্দনিকতা তুলে ধরতে আমরা কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে চীনা ভাষা শিখতে আহ্বান জানাই। পাশাপাশি এ দেশের তরুণ গবেষকদের চীনে আসার আমন্ত্রণ জানাই, যাতে করে দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে দূত হিসেবে তারা কাজ করতে পারে।  অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সায়েদুর রহমান জানান, ভাষাগত সীমানা অতিক্রম করে ২০১০সালে জাতিসংঘের পাবলিক ইনফরমেশন বিভাগ প্রথম এই দিবসটি উদযাপন করে, যার লক্ষ্য হল বহুভাষিকতা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বিনিময় বাড়ানো।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের পরিচালক  ইয়াং হুই বলেন, আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা যা আজ অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের জাতির মধ্যে বন্ধুত্ব অব্যাহত থাকুক’।  অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিউটের চীনা ভাষা শিক্ষক এবং শান্ত-মরিয়াম-হোংহে কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের চীনা ভাষার শিক্ষক মাশার্ল আর্ট শৈলী পরিবেশন করেন।   এছাড়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের শিক্ষক দ্যা গেইম অফ হ্যাপি চাইনিজ শিরোনামে চীনা ভাষার ক্লাস নেন। পাশাপাশি আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ও কনফুসিয়াস ইন্সটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৫

নারীর পথচলায় নানা বাধা প্রতিরোধের আহ্বান সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমরা বাঙালি, এটা আমাদের মীমাংসিত বিষয়। তবে কেন আমাদের টিপ নিয়ে, আমাদের পোশাক নিয়ে আপত্তি তোলা হবে। কর্মজীবী নারীদের পথচলায় নানাভাবে বাঁধা তৈরির বিষয়টি উল্লেখ করে নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য এই প্রবণতা ও মানসিকতাকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান তিনি। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি। দীপু মনি বলেন, নিজের অধিকার আদায়ের জন্যই এই প্রতিরোধ জরুরি। কারণ আজকে আপনার টিপ আর শাড়ির প্রতি আঘাত আসছে, কালকে আপনাকে ঘরবন্দী করে দেবে, পড়াশোনা বন্ধ করে দেবে। আপনার দক্ষতা ও কাজের স্পৃহা সব বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার শ্বাস নেওয়াও বন্ধ করে দেবে এরা। কাজেই এ ধরনের মনোভাবকে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, পিতৃতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামোকে চ্যালেঞ্জ করতে চাওয়ায় অতীতে ‘খনা’কেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তার জিভ কেটে নেওয়া হয়েছিল। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা অতীত থেকেই চলে আসছে। নারীদের পথচলা আগে থেকেই কঠিন। মন্ত্রী বলেন, প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী বিবি খাদিজা একজন নারী। ইসলামের জন্য প্রথম যিনি প্রাণ দিয়েছিলেন, তিনিও একজন নারী। ইসলামে নারীরা ব্যবসা করেছেন, যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু ১৪০০ বছর পরে এসে, ধর্মের ভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ধর্মের মূল নীতি এটা হতে পারে না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ও হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচোজ পিগনানি, হেলভেটাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বেন ব্লুমেনথাল প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি নিগার সুলতানা কেয়া।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৮

ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় আগ্রহী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি যেন সব জায়গায় খেলাধুলার চর্চা হয়। দেশীয় খেলাগুলোকেও সমান সুযোগ দিতে হবে। এর মাধ্যমেই ছেলেমেয়েদের মেধা আরও বিকশিত হবে। এছাড়া ফুটবল-ক্রিকেটর পাশাপাশি দেশীয় খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই ক্ষমতায় এসেছি খেলাধুলায় ছেলেমেয়েদের আরও উৎসাহিত করছি। খেলাধুলা শৃঙ্খলা, শরীরচর্চা, দেশপ্রেম শেখায়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও বিদেশে দেশের হয়ে গৌরব বয়ে আনছে। আমার পরিবার খেলাধুলার প্রতি সবসময়ই অনুরাগী। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি তারা যেন অনুশীলন করতে পারি সেজন্য জায়গা ও একাডেমি তৈরি করছি। শিক্ষা-দীক্ষা-খেলাধুলা সব দিক থেকেই বিশ্বে কাছে মাথা উঁচু করে চলতে হবে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৩

আওয়ার ওশান সম্মেলন / দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে আয়োজিত 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে' পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল বৈঠকে দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রের উপকূলে বসবাসকারী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।  স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) এথেন্সে 'আওয়ার ওশান কনফারেন্সে'র নবম আসরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে আলোচনায় এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় ড. হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা এবং সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।  বিবিএনজে চুক্তি অনুমোদন এবং মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারের জন্য তহবিল বরাদ্দের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  বাস্তুতন্ত্রের সার্বিক উন্নয়ন এবং গ্রিন শিপিং (যা তুলনামূলক পরিবেশের ক্ষতি কম করে) ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন দেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।  এই প্যানেল আলোচনায়, গ্রীস, কোস্টারিকা, কেপ ভার্দে, সাও টোমে এবং প্রিন্সেপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও বক্তব্য দেন ।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়