• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে তৃণমূলে, গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলে যদি কোনো সাংবাদিক বা কোনো প্রতিবেদক স্থানীয় বা তথাকথিত প্রভাবশালী দ্বারা যদি কোনো ধরণের সমস্যায় পড়েন, সেক্ষেত্রে সরকার সেই সাংবাদিকদের বা প্রতিবেদকদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন, সহযোগিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এর কারণ জাতীয়ভাবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।  তিনি বলেন, পরিবেশকে বিপর্যয়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে কম দায়ী কিন্তু বড় শিকার। যে কারণে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর যেকোনো প্লাটফর্মে আমরা এ বিষয়ে উচ্চকন্ঠ থাকি এবং এখানে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করি সরকার, সুশীল সমাজ,গণমাধ্যম সবাইকে নিয়ে।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখে ফেলেন এবং সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক বা প্রতিবেদককে বিপদে পড়তে হয়, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে এ বিষয়টি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। কারণ, সরকার মনে করে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে যারা স্থানীয় পর্যায়ে বিচ্যুতি-ব্যত্যয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তারা সরকারকে সহযোগিতা করছেন, দেশ ও জনগণকে সহযোগিতা করছেন।  তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশকে মাথায় রেখে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। আমরা যেমন পরিবেশের সুরক্ষা করতে চাই, তেমনি পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষা করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন চালিয়ে রাখতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনেকে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করে থাকে। পরিবেশকে অনেক ক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উন্নয়ন-অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা হয়, সেটা পেশাদার সাংবাদিকতা বলা যায় না।  তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সততা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করবেন তাদের জন্য বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা থাকা দরকার। সাংবাদিকতার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দিয়ে এ ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সত্যিকার অর্থে যারা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরণের আরও কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বাধীনতা তৈরির জন্য যে ধরনের পলিসি নেওয়া দরকার সেটা নিয়েও সরকার কাজ করছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর করা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফ-এর  সূচক প্রকাশ ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের মেথডোলজির মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। আরএসএফ বিভিন্ন দেশে স্কোরিং করার ক্ষেত্রে যাদের মতামত নিচ্ছে, তাতে কিছু মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটছে। সেটা কোনভাবেই গোটা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশের প্রতিফলন হচ্ছে না। এটা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। তবে একইসাথে এ ধরণের প্রতিবেদনে কোন সত্য বা আমাদের দুর্বলতা থাকলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এর সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভায় 'জলবায়ু রাজনীতি: সাংবাদিকদের ভূমিকা' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী। এর আগে, সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত অপর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের অবস্থান মূলত পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে। শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমধ্যমের সুরক্ষা এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, এমনি তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্তৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অপসংবাদিকতাও আমরা দেখি যেকোন বিষয়কে কেন্দ্র করে। এটি কিন্তু শুধু আমি বলছি না আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তারা স্বাধীনতা যতো চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যতো তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। সরকার মনে করে গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা সরকারের বন্ধু। তারা সরকারকে সহযোগিতা করেন।  সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি ও সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, দৈনিক দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুন।
০৪ মে ২০২৪, ১৮:৩০

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতের মতো বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম। তিনি বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের  অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১০

পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন দরকার : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার। রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মূল ধারার গণমাধ্যমে অপতথ্যের বিস্তার কিভাবে মোকাবিলা করা হয় সেটা নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা হয়েছে। ফ্রান্সে বেশ কিছু আইন আছে, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ বিষয়গুলো দেখভাল করে। রাষ্ট্রদূত এমনও বলেছেন যে, কোন ব্যক্তি যদি ফ্রান্সের মধ্যে ফ্রান্সের সরকারের বিপক্ষে কোন অপতথ্য প্রচার করে এবং সে ক্ষেত্রে তার পেছনে যদি কোন বিদেশি শক্তিও থাকে তাদেরকে রীতিমতো জেরা করার জন্য নিয়ে আসা হয়। এখানে তারা কোন ছাড় দেয় না। তাদের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অপতথ্য খুঁজে বের করে সরকারের কাছে পেশ করে। তিনি বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রেগুলেশন যেমন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করতে পারে, আবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্য নিয়ম-নীতি দরকার। আমিও এ বিষয়ে একমত। পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন ও নিয়ম-নীতি দরকার। আইনের প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেটি হচ্ছে বিষয়। কিন্তু নিয়ম-নীতির বাইরে পৃথিবীর কোন দেশ নেই। সব দেশে আইন আছে। অপতথ্যের ব্যাপারে কারও কোন ছাড় নেই।   প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইউরোপ বা পাশ্চাত্যের দেশগুলো বা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ কিভাবে এই অপতথ্যকে মোকাবিলা করে সে অভিজ্ঞতা জানা ও বোঝা এবং আমাদের এখানে কাজে লাগানোর বিষয়গুলো নিয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপ হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সরকারের প্রতি এবং মানুষের প্রতি ফ্রান্সের আস্থা আছে এবং তারা গভীরভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সাথে কাজ করতে চায় বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। অপতথ্য মোকাবিলার ক্ষেত্রে ফ্রান্স বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে। ফ্রান্সের সরকারি ভর্তুকিতে চলা টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের সাথে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপ হয়েছে বলে এ সময় জানান প্রতিমন্ত্রী। ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সাম্প্রতিক ধর্মঘট ডাকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী কোয়াবের সদস্যদের এ ধরনের ধর্মঘট ডাকা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কোয়াব নেতৃবৃন্দের সাথে বসেছি, কথা বলেছি। তারা তাদের সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে। তখন আমি তাদের একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলেছি, আইনের বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করতে পারবেনা। ওটিটি প্লাটফর্ম সবগুলো চ্যানেলকে প্যাকেজ করে যা করছে এটা বেআইনি। এগুলো দেখার জন্য আমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে কোয়াব, অ্যাটকো, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন এবং ডিটিএস থেকে দুজন করে প্রতিনিধি পাঠাতে চিঠি দেওয়া হয়েছে । তাদের নিয়ে কোলাবরেশন সেল তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিয়ে সভা করা হবে। সেখান থেকে সবগুলো সমস্যা সমাধানের পথে আমরা এগুবো।  মন্ত্রণালয় এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। সেজন্য মাঝপথে এসে এ ধরনের ধর্মঘটে যাওয়া ঠিক হবে না। আইনের মধ্যে থেকে সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুরের নকলা উপজেলার একজন সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। একটি হচ্ছে তথ্য চাওয়ার অপরাধে তাকে সাজা প্রদান করা হয়েছে, অপরটি হচ্ছে অসদাচরণের দায়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। দুটি তথ্য পরস্পর বিরোধী। কোনটি সত্য সেটি এখনো নিশ্চিত হতে পারছি না। আমি চাই এটার একটা তদন্ত হোক এবং তদন্ত করে সত্যটা বের হোক। সে উদ্যোগ ইতোমধ্যে তথ্য কমিশন নিয়েছে। আমি প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে কথা বলেছি। তারা বিস্তারিত তদন্ত করবে এবং তদন্তের পরে যেটা সঠিক সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আইনের প্রয়োগ মানেই ক্ষমতার অপব্যবহার এটা আমি মনে করি না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহারের সুযোগও থাকে। দুটোই আছে। কাজেই পুরো বিষয়টি না জেনে কোন উপসংহারে যাওয়া ঠিক হবে না। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই বিষয়টি আমি পর্যবেক্ষণ করছি, তদন্ত সাপেক্ষে যেন সঠিক তথ্য বের হয়। বাংলাদেশের সাংবাদিক,শিল্পী বা সাহিত্যিক যেই হোক কেউ যেন কোন কারণে ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে ভিকটিম না হয়, এটা আমরা নিশ্চিত করব।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৯

‘অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে’
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনলাইনে কতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যেগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। সেগুলোকে শৃঙ্খলায় আনার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। যেসব অনলাইন পোর্টাল পেশাদার, রেজিস্টার্ড (নিবন্ধিত) এবং আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে। যাতে করে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহি এবং শৃঙ্খলা থাকে। যেটা সাংবাদিকরাও চান। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যেমন বলেন, গোটা বাংলাদেশে গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা নিয়ে আসা দরকার, সাংবাদিকদের ন্যূনতম একটি যোগ্যতা থাকা দরকার, গণমাধ্যমকর্মী আইন শিগগিরই করে ফেলা দরকার। জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকেও একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। সাংবাদিকসহ সবার দাবি যেহেতু একই রকম আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করব। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব নিয়ে জেলা প্রশাসকরাসহ আমরা সবাই চিন্তার মধ্যে আছি। গুজব প্রতিরোধ নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কিছু আলাপ হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়ানো হয় তা প্রতিরোধ করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একা পারবে না। এ জন্য আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:২৭

‘জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮ নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে’
চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ তথ্য জানান। তবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রশ্নের উত্তর দেন। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তুরস্ক সফর শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরবেন তিনি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী জানান, সারাদেশের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তথ্য অধিদপ্তর নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করে থাকে। তথ্য অধিদপ্তর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে।  তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরও অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের আছে। এ ছাড়া দেশের অনিবন্ধিত কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

‘সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই’
সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশ সফররত জার্মানীর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক রিচার্ড বাইল, মাইকেল স্ট্যাং, সুসান ক্রুটজম্যান, আলজোসা হার্টম্যান, জুলিয়া থেরাস হেল্ড, নাটালি মেরোথ, বেঞ্জামিন বার্ন্ড থমাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রিপোর্টার্স উইদাইট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রকাশিত ২০২৩ সালের প্রতিবেদন ও র‌্যাংকিং এর জবাব প্রদান সংক্রান্ত জার্মান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমি আরএসএফ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত  প্রতিবেদন ও র‌্যাংকিং এর ব্যাপারে সমালোচনা নয় বরং প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেছি। কারণ ২০২৪ সালেও এটি তাদের ওয়েবসাইটে আছে। আরএসএফ এর প্রতিবেদনে অনেক ভুল তথ্য আছে এবং এর বিপরীতে প্রকৃত সত্য আমি তথ্য-প্রমাণসহ গণমাধ্যমে তুলে ধরেছি এবং এ সংক্রান্ত একটা চিঠি আরএসএফ-কে পাঠিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য আরএসএফ এর কাছে সত্য তুলে ধরা এবং আমাদের নিয়ে করা র‌্যাংকিং পুনর্মূল্যায়ন করা। এ সময় তিনি আরও বলেন, মাঝে মাছে কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খারাপ উদ্দেশ্যে সরকারের কাজের সমালোচনা করে। বর্তমান সরকার গঠনমূলক সমালোচনা স্বাগত জানায়। আমরা শুধু অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধ করতে চাই। গণমাধ্যম সঠিক তথ্য-প্রমাণসহ সরকারের সমালোচনা করলে সেটি সরকারকে সহযোগিতা করে। কিন্ত ভুল তথ্য দিয়ে কোনকিছুর সমালোচনা করলে সেটা কাউকে সহযোগিতা করে না। সাক্ষাৎকার প্রদানকালে তিনি আরও যোগ করেন, ডিজিটাল দুনিয়া থেকে জনগণকে নিরাপদ রাখার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। এর অপব্যবহার নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় সরকার এটি পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সৌন্দর্য। তাঁর সরকার সবসময় চাহিদার নিরিখে সবকিছুর সমন্বয় করে, পরিবর্তন করে।    বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক প্রশ্বের জবাবে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ ডেল্টাকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক ফোরামে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরে আসছে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহযোগিতা ও বাস্তবসম্মত সমাধানে আসা প্রয়োজন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, রোহাঙ্গিদের প্রতি বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য বড় ধরণের চাপের কারণ। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে সম্মানজনকভাবে ফিরে যাক। গোটা বিশ্বের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে দায়িত্ব রয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে উন্নত রাষ্ট্রসমূহের ভূমিকা নেয়া উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ বিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখা। তাছাড়া যেসব দেশের সামর্থ্য আছে তারা নিজ নিজ দেশে নিয়ে গিয়ে রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনযাপনে সহযোগিতা দিতে পারে।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণ করতে চায় সরকার
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সাথে সরকার একমত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।  বৃহস্পতিবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সাথে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে। তিনি এ সময় আরও জানান, সকল পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। সাংবাদিকরাই বলছেন সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কেন বলছেন, কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। তিনি যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়। সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোন আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোন আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালা আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৫

‘ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে’
ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনে শিগগিরই নির্দেশিকা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিবেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচার, ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনা হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই ক্যাবল সেবা ডিজিটাইজেশনের জন্য গাইডলাইন তৈরি করা হবে। পাশাপাশি ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচারে যেখানে আইনের লঙ্ঘন ও ব্যত্যয় আছে সেটা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।  তিনি বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচারে সম্পৃক্ত প্রত্যেক অংশীজন ডিজিটাইজেশনের পক্ষে। এক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তাই দ্রুততার সঙ্গে কাজটি করতে সরকার চেষ্টা করবে। ডিজিটাইজেশন হলে সরকার আরও বেশি রাজস্ব পাবে, অনেক বেশি স্বচ্ছতা আসবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ প্রযুক্তির যেকোন অগ্রসরতাকে সরকার স্বাগত জানায়। কিন্তু যেখানে আইন ভঙ্গ হবে, নিয়ম-নীতি ভঙ্গ হবে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। প্রযুক্তির অগ্রসরতার সঙ্গে এক ধরনের ঝুঁকিও তৈরি হয়, সে জায়গাগুলোও দ্রুততার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তিকে স্বাগত জানাতে হবে। প্রযুক্তি যে পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে সেটা মেনে নেওয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে। প্রযুক্তি গ্রহণের ইতিবাচক মানসিকতা থাকাটাও জরুরি।  তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রচলিত আইনের কোনো ব্যত্যয় হোক এটা আমরা হতে দিতে পারি না। আইন এবং জাতীয় নিরাপত্তা সরকারের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও যোগাযোগের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। সভায় ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ আলী চঞ্চল, সদস্য নিজাম উদ্দীন মাসুদ, রশিদ মালিক, ফরিদ উদ্দীন এবং হাবীব আলী উপস্থিত ছিলেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৩

গুজব রটনাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি আরাফাতের
সরকারের গুজব রটনাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতা-বিচ্যুতি নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা করা যাবে, তবে অপতথ্য বা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। তবে তিনি চান, সমালোচনা যেনো ব্যর্থতা-বিচ্যুতি নিয়ে হয়। কোনো অপপ্রচার, অপতথ্য বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ যেন দেশের বিরুদ্ধে কাজ করতে না পারে, সেটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অর্ধসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে দেশ, পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়।  এরপর গণমাধ্যমগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব গণমাধ্যম পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে, তারা টিকবে। যাদের পেশাদারিত্ব নেই, তারা টিকবে না। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের অনুমোদন লাগে। বিশ্বের অনেক দেশেই কোনো অনুমোদন লাগেনা। সেটাও ভাবতে হবে। আরাফাত আরও বলেন, সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি এগিয়েছে, সেটা মেনে নিতে হবে। ছাপা পত্রিকা অনলাইনে এসেছে, সেখানে টকশো করছে। আবার টিভি চ্যানেলগুলোও অনলাইনে নিউজ করছে। এই সবকিছুই মেনে নিতে হবে। তবে তা নিয়মের মধ্যে থেকে করতে হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

টিআইবির রিপোর্ট অসত্য-মানহীন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত রিপোর্ট অসত্য ও মানহীন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, তাদের রিপোর্ট তৈরিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখা হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংসদ নির্বাচন নিয়ে যারা এই গবেষণা করেছেন, তাদের গবেষণার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আন্তর্জাতিক জার্নালে তাদের কোনো গবেষণা নেই। টিআইবির গবেষণা বৈজ্ঞানিক মিসকন্ডাক্টকে (অসদাচরণ) ছাড়িয়ে গেছে। তারা অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি, দেশের সুশীল সমাজ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণের মাধ্যমে গবেষণা করে তার ফলাফল জনগণের সামনে তুলে ধরবে।  তিনি বলেন, টিআইবি যেটা করেছে, সেটা কোনো গবেষণা না, এটা তাদের মতামত। তারা মানুষের মতামতকে তথ্য হিসেবে দেখিয়েছে। ৪২ হাজার কেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০টি কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে পুরো নির্বাচন ঘিরে তৈরি রিপোর্ট কখনো সঠিক হতে পারে না। মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হলে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা অনিয়ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। টিআইবির রিপোর্টে অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বরং মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। প্রতিবেদনে সংস্থাটি দাবি করে, নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৪১টি আসনেই প্রকৃত অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়