• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আম্পায়ার জেসিকে নিয়ে যা বললেন পাপন  
ডিপিএলে নারী আম্পায়ারের অধীনে ম্যাচ খেলতে চায় না প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এমন খবরে উত্তপ্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গন। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে কিছুই জানে না বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।  রোববার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আম্পায়ার্স কমিটির সঙ্গে কথা হলো, এ ব্যাপারে তারা তো আমাকে কিছুই জানায়নি। আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নাই, তাই এ ধরনের কোনো কিছুই আমি জানি না। এদিকে শুরুতে পুরো ব্যাপারটি নিয়েই ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। দাবি করা হয়েছিল, কেবল নারী বলেই আম্পায়ার জেসিকে দেখেই ম্যাচে নামতে চাননি তামিম-মুশফিকরা। কিন্তু পরে জানা যায়, নারী আম্পায়ার নয় বরং ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করেই মূলত আপত্তি জানিয়েছিল তারা।   ম্যাচটিতে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন এ আই এম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি। মনিরুজ্জামান আগে থেকেই লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ম্যাচ পরিচালনা করলেও, জেসিসহ দুজন নারী আম্পায়ার এবার প্রথম এমন দায়িত্ব পেয়েছেন। অবশ্য জেসির আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তবুও তাকে নিয়ে সংশয়ের বেড়াজালে আটকে ছিল দুই ক্লাবই।    মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, আমরা আসলে আপত্তি তুলিনি। আমরা এমনিতে বলাবলি করছিলাম যে ম্যাচের মেরিট অনুযায়ী তো এত বড় ম্যাচে জেসি আম্পায়ার হতে পারে না। আমরা বলছিলাম এত বড় ম্যাচে আরও ভালো আম্পায়ার দরকার ছিল।  তিনি বলেন, আমরা অফিসিয়ালি অভিযোগ করিনি, অফিসিয়ালি অভিযোগ করব কেন। আমরা ওরকমভাবে রিপোর্ট করিনি। আমাদের ধারণা ছিল তিনি নতুন আম্পায়ার, লিস্ট-এ ক্রিকেটে এ বছরই প্রথম খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। তাই অভিজ্ঞতা কম। আমরা সাধারণত এসব ম্যাচে সিনিয়র আম্পায়ার চাই। অন্যদিকে প্রাইম ব্যাংক ম্যানেজার শিকদার আবুল হাশেম কঙ্কন বলেন, মহিলা আম্পায়ার দেবে এটা তো জানি না আমরা। বাংলাদেশে মহিলা আম্পায়ারের অভিজ্ঞতা কেমন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপত্তি করি না। যেহেতু এটা বড় ম্যাচ, এখানে নিয়মিত যারা করে তাদের আশা করছিলাম।  ‘মহিলা আম্পায়ার দেখেন যেটা এলবিডব্লিউ সেটা দেয় নাই, যেটা হয় নাই সেটা দিছে। আমরা ম্যাচ শুরুর আগেও কিছু বলিনি। এমনিতে নিজেরা আলাপ করেছি। সিসিডিএমের কাউকে বলিনি। নিজেরাই আলাপ করেছি। সেটা তার অনভিজ্ঞতার জন্যই।’
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫

নারী আম্পায়ার ঘিরে বিতর্ক : কে এই সাথিরা জেসি
বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজ যোগ্যতায় অনেকটাই এগিয়ে দেশের নারীরা। নানান অগ্রযাত্রার মধ্যেও নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনাও আলোচিত। তবে একরাশ প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। তেমনই একজন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। দেশের ক্রিকেটের যারা টুকটাক খোঁজখবর রাখেন তাদের কাছে পরিচিত এক নাম জেসি। দেশের নারী ক্রিকেটের প্রথম দিকের সদস্য ছিলেন তিনি, লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের অধিনায়কত্বও করেছেন। এরপর ক্রিকেট কোচিং ক্যারিয়ারকে পাশে রেখে আম্পায়ারিংয়ে নেমে পড়েন তিনি। যেখানে ইতিহাস তৈরি করেছেন সাবেক এই নারী ক্রিকেটার। আম্পায়ারিংয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সবশেষ আইসিসির আম্পায়ারিং প্যানেলে যুক্ত হয়ে দেশের ক্রিকেটের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই অনেক ডানপিটে স্বভাবের ছিলেন জেসি। সারাদিন শুধু ক্রিকেট খেলতেন। যে কারণে তার বাবা-মা অনেক বকাবকি করতো। তবে দিনশেষে তার পরিবার সবকিছুতেই সাপোর্ট করতো। লালমনিরহাটে প্রাথমিক পাঠ চুকিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান জেসি। এরপর এআইইউবি থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। ২০০১ সালে বিকেএসপিতে ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখান ক্রিকেট না থাকায় তাকে টেনিস কিংবা শুর্টিংয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিকেএসপিতে নারী ক্রিকেটারদের জন্য কোচিং ব্যবস্থা চালু হলে শুক্র-শনিবার করে সেখানে যেতেন তিনি। সেখানে প্র্যাকটিসও করতেন।  ২০০৭ সালে দেশে মেয়েদের ক্রিকেট চালু হওয়ার সংবাদে ঢাকায় পাড়ি জমান। এরপর ক্রমেই ন্যাশনাল টিমে জায়গা করে নেন জেসি। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংচুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের মহিলা ক্রিকেটে চীনকে হারিয়ে ঐতিহাসিক রৌপ্য পদক লাভ করে বাংলাদেশ। ওই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অন্যতম একজন খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বরে আয়ারল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অফব্রেক এই বোলারের ওডিআই অভিষেক হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ ওভারের ফরম্যাটে আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয়। তবে দেশের জার্সিতে তিন ম্যাচের বেশি ২২ গজ মাতানো হয়নি জেসির। ওই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতি টানেন তিনি। এরপর নাম লেখান আম্পায়ারিংয়ে। তবে জেসি যখনই দেশের সম্পদ হয়ে উঠছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের নারী ক্রিকেটের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পথে, ঠিক তখনই তাকে ঘিরে বিতর্কে দেশের ক্রিকেট।  প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যকার ম্যাচেই তাকে ঘিরে আপত্তি। যদিও জেসির দাবি, ডিপিএল অভিষেকে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি।   ঘটনার পরপর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেসি জানিয়েছেন, দলের ক্রিকেটার, বিশেষ করে মুশফিক, রিয়াদদের কাছ থেকে বেশ ভালো সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। এর মধ্যে সাতটি ম্যাচে আম্পায়ার এবং একটিতে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিতর্ককে পাশে রেখেই ডিপিএলে অভিষেক হয়েছে তার। এর আগে, ১৬ এপ্রিল মোহামেডান ও শাইনপুকুরের ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এদিকে চলতি বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ গড়াবে। সেখানেই আম্পায়ারিংয়ের স্বপ্ন বুনেছেন জেসি। তার ভাষ্য, ‘হ্যাঁ অবশ্যই। ওইটাই (বিশ্বকাপ) এখন লক্ষ্য।’
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২

নারী আম্পায়ার ঘিরে বিতর্ক : যা বলছে ক্লাবগুলো
সাথিরা জাকির জেসি, যারা দেশের ক্রিকেটের টুকটাক খোঁজ-খবর রাখেন তাদের কাছে পরিচিত এক নাম। দেশের নারী ক্রিকেটের প্রথম দিকের সদস্য, করেছেন অধিনায়কত্ব।  এরপর ক্রিকেট কোচিং ক্যারিয়ারকে পাশে রেখে নেমে পরলেন আম্পায়ারিংয়ে। যেখানে ইতিহাস তৈরি করেছেন সাবেক এই নারী ক্রিকেটার। আম্পায়ারিংয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। সবশেষ আইসিসির আম্পায়ারিং প্যানেলে যুক্ত হয়ে দেশের ক্রিকেটের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন তিনি। যে জেসি দেশের সম্পদ হয়ে উঠছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের নারী ক্রিকেটের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পথে, তাকে ঘিরে বিতর্কে দেশের ক্রিকেট। প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যকার ম্যাচে তাকে নিয়ে দুইদলের আপত্তি তোলার খবরে সারাদেশ যখন তোলপাড়, তখন আসল ঘটনার খোঁজে সবাই।  তবে বিসিবির পক্ষ থেকে ঘটনা একেবারে অস্বীকার করা না হলেও ঘটনার যাদের নামে সরগরম ক্রিকেটপাড়া সে দুই দল থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি এখনও আসেনি। জেসির বিষয়ে দল দুটির কেউই বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও জানায়নি। ওইদিন ডিপিএলে জেসি তার অভিষেকে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। অপরদিকে ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে মোহামেডানের ক্রিকেট সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু জানিয়েছিলেন, তারা আপত্তি তোলেননি, তবে এমন বড় ম্যাচে আরও অভিজ্ঞ আম্পায়ার প্রত্যাশা করেছিলেন বলে বক্তব্য তাদের।     ঘটনার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান আরটিভির কাছে পরিষ্কার করেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দলটির ম্যানেজার জানিয়েছেন, জেসিকে নিয়ে তারা কোনো আপত্তি তোলেনি। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ম্যানেজার শিকদার কঙ্কন জানান, নারী আম্পায়ার নিয়ে আমরা কোনো ধরনের প্রশ্ন করিনি। এটা আমাদের আসলে কোনো প্ল্যান ছিল না; আমরা বলিনি।  আম্পায়ার নতুন আসবে, করবে। ভুল করতেই পারে। আম্পায়ার রিপোর্টেও আমরা কিছুই বলিনি। ভুলভ্রান্তিভাবে এই নিউজটা প্রচার করা হয়েছে। বাংলাদেশে ঘরোয়া লিগের ম্যাচ পরিচালনা করা কঠিন এক কাজ। আম্পায়ারদের উপর আস্থার অভাবের এই বাস্তবতা বেশ পুরনো। বর্তমান সময়ে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকত কিংবা আন্তর্জাতিক আম্পায়ার মুকুলের মতো অভিজ্ঞদেরকেও শুরুর দিকে পড়তে হয়েছে একটি বিড়ম্বনায়। ক্লাবগুলো সবসময়ই এই রকম হাইভোল্টেজ ম্যাচে ঘরোয়া লিগে ম্যাচ চালানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আম্পায়ার চায়।  শিকদার কঙ্কন যোগ করেন, বড় ম্যাচগুলোতে আমরা নরমালি তো চাইবো; বেস্ট আম্পায়ার যারা, তারাই করুক। আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ করিনি। আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা থাকায় জেসির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার পরপর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, দলের ক্রিকেটার, বিশেষ করে মুশফিক, রিয়াদদের কাছ থেকে বেশ ভালো সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪

ভারত সিরিজ থেকে বাদ পড়লেন আম্পায়ার তানভীর
গত বছর মিরপুরে বাংলাদেশ-ভারতের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন মাঠের দায়িত্বরত আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিতকে লেগ বিফোরের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর অবতারণা হয় সেই দৃষ্টিকটু ঘটনার। আউট ঘোষণার প্রতিবাদের ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করেন হারমানপ্রিত। পরে তানভীর আহমেদের সঙ্গে বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ী হয়। সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়। বাংলাদেশি ক্রিকেটার ও আম্পায়ারকে ব্যাঙ্গ করার অপরাধে হারমানপ্রিতকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধও করা হয়। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকা সফরে আসছে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। তাই এই সিরিজে বিতর্ক এড়াতে আম্পায়ার প্যানেল থেকে তানভীর আহমেদকে বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ বিষয়ে ক্রিকবাজকে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, যদি তাকে ভারতের নারী দলের বিরুদ্ধে আসন্ন হোম সিরিজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাকে লক্ষ্য করতে পারেন।  ‘তাকে লক্ষ্য করে যেকোনো ধরনের তর্কবিতর্কে জড়াতে পারেন। আমরা এটি চাই না। ফলস্বরূপ বাংলাদেশ ও ভারতীয় নারী দলের মধ্যকার সিরিজে তাকে (তানভীর) আমরা অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ আগামী ২৮ এপ্রিল প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। এবারের সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাকি ম্যাচগুলো হবে ৩০ এপ্রিল এবং ২, ৬, ৯ মে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

আইসিসির আম্পায়ার প্যানেলে চার বাংলাদেশি নারী 
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তার আগেই আইসিসি থেকে সুখবর পেলেন বাংলাদেশর চার আম্পায়ার। অনেক পর্যালোচনার পর বাংলাদেশের পাঁচজনকে আম্পায়ারকে প্যানেলে যুক্ত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা (আইসিসি)।  শুক্রবার (২২ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগের প্রধান ইফতেখার আহমেদ। আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন চার আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি, ডলি রানি, চম্পা চাকমা ও রোকেয়া সুলতানা। এ ছাড়াও আইসিসি ম্যাচ রেফারিদের আন্তর্জাতিক প্যানেলে জায়গা পেয়েছেন সুপ্রিয়া রাণী দাস। দেশের ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের জন্য এটিকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগের প্রধান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এত দ্রুত এমন একটা স্বীকৃতি অনেক বড় অর্জন। তারা আরও আগে থেকেই শুরু করেছে। তবে আমরা ২০২২ সালের মার্চে প্রথম তাদের দায়িত্ব দেওয়া শুরু করেছিলাম। আরেকটি মার্চেই তারা আইসিসি প্যানেলে। অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার তিনি বলেন, দেশের নারী আম্পায়ারিংয়ের জন্যও এটি অনুপ্রেরণার বিষয়। তারা এখন এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবে। বাংলাদেশের মেয়েরাও যে আম্পায়ারিং করছে, এই কয়েকজনের মাধ্যমে সেটি এখন বিশ্বেও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। এখন অন্যরাও এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার সাহস করতে পারবে। ঘরের মাঠে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা আইসিসি প্যানেলে ঢোকায় এখন বিশ্বকাপের দ্বারটা উন্মুক্ত হয়ে গেল। হয়তো এখনই তারা মূল আম্পায়ার হিসেবে সুযোগ পাবে না। তবে টিভি আম্পায়ার বা রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে বাংলাদেশের কাউকে দেখা যেতেও পারে।  এমন খুশি সংবাদের পর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জেসি লিখেছেন, খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি যে, অবশেষে আমি আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলের অংশ হয়েছি। আমি কতটা খুশি এবং ভাগ্যবান সেই অনুভূতি প্রকাশের ভাষা জানা নেই। পরের ধাপের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। এর আগে ২০২২ সালের মার্চে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ে সুযোগ করে দেওয়া হয় সাথিরা, ডলি, সুপ্রিয়াদের। দুই বছরের ব্যবধানে আইসিসি প্যানেলে জায়গা করে নিলেন তারা। অন্যদিকে পুরুষ ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন বাংলাদেশের চার জন- শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ, মাসুদুর রহমান, গাজী সোহেল ও তানভির আহমেদ। এছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি হিসেবে আছেন আখতার আহমেদ ও নিয়ামুর রশিদ। আম্পায়ারদের মধ্যে শরফুদৌল্লা গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে মূল আম্পায়ার হিসেবে মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট ম্যাচও পরিচালনা করেছেন তিনি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৬

বিশ্বকাপে সুযোগ পেলেন বাংলাদেশের দুই আম্পায়ার
আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। ২৫ দিনব্যাপী যুব এই বিশ্বকাপের পর্দা নামবে ১১ ফেব্রুয়ারি। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে আগেই জায়গা নিশ্চিত করেছে টাইগার যুবারা।  এবার আরও সুসংবাদ টাইগার শিবিরে। এই আসরে বাংলাদেশের দুজন আম্পায়ারও থাকছেন। যুব এই মহাযজ্ঞের উদ্দেশ্যে আগামী ৭ জানুয়ারি রাতেই দেশ ছাড়বেন মাসুদুর রহমান মুকুল ও গাজী সোহেল। এদিকে যুব এই বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মুকুল। তার (মুকুল) ভাষ্য, আমরা দুজনই খুব রোমাঞ্চিত। এখানে আমাদের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে উন্নতিই শুধু না বাংলাদেশের সম্মানও জড়িত। এটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। যুব বিশ্বকাপ আমাদের জন্য নতুন না। আমরা জানি যে আম্পারিংয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে হয়, তাহলে এই রকম টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আরেক আম্পায়ার সোহেলের মন্তব্য, আমরা যুব বিশ্বকাপে ভালো করতে পারলে আমাদের র‌্যাঙ্কিও বাড়বে। বাংলাদেশের আম্পায়ারদের ভাবমূর্তিও বাড়বে। আমরা ভালো করলে আমাদের দেখে ভবিষ্যতে আরও আম্পায়াররা উঠে আসবে। সৈকত ভাই যেমন দুই বছরের মধ্যে আইসিসি এলিট প্যানেলে চলে আসছেন। সেটা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। সোহেল যোগ করেন, করোনার আগে আমাদের ইমেজ সংকট ছিল। করোনার পর যখন সুযোগ পেলাম আমরা ধারাবাহিক ভালো করেছি। আইসিসি থেকে উদ্দীপনামূলক মেইলও আমরা পেয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় সৈকত ভাই এখন বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছে, টেস্টে করবে। মুকুল ভাই এশিয়া কাপে করেছে। এখন বিপিএলে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা আরও ভালো করেছি। যুব বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ২০২০ শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ। সেখানে ভারত ছাড়াও আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে টাইগার যুবারা। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠেয় যুব এই মহাযজ্ঞে শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে মাহফুজুর রহমান রাব্বিকে অধিনায়ক করা হয়েছে। এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এদিন টাইগার যুবাদের প্রতিপক্ষ ভারত। ২২ জানুয়ারি গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। এ ছাড়া ২৬ জানুয়ারি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে টাইগার শিবির। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের গ্রুপ ‘বি’ তে আছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড। গ্রুপ ‘সি’ তে আছে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া। এ ছাড়া গ্রুপ ‘ডি’ তে আছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও নেপাল। চার গ্রুপ থেকে প্রতিটির সেরা তিন দল নিয়ে হবে সুপার ১২। এরপর প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল নিয়ে হবে সুপার সিক্স। সেখান থেকে চার দল সেমিফাইনাল খেলবে। তারপর ১১ ফেব্রুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে লড়াই।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৯

আরেকটি প্রথমে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত
ভারত বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির কোনো ইভেন্টে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বমঞ্চে নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন তিনি। এবার ফলস্বরূপ নিরপেক্ষ একটি সিরিজেও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। জানুয়ারিতে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দায়িত্ব পালন করবেন সৈকত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন সৈকত। পরবর্তীতে ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্টে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন তিনি। এ ছাড়াও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ম্যাচ পরিচালনা করবেন ৪৪ বছর বয়সী এ আম্পায়ার।  এর আগে, বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচসহ মোট পাঁচটি ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড উদ্বোধনী ম্যাচসহ তিনটি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার এবং আরও তিনটি ম্যাচে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৈকত। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশি আম্পায়ারিং ইতিহাসে কীর্তি গড়তে যাওয়া সৈকত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩টি টেস্ট, ৮৫টি ওয়ানডে এবং ৫৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনা করারও কীর্তি আছে তার। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসন্ন সিরিজ হবে দুটি টেস্ট (১৭ ও ২৫ জানুয়ারি)। এ ছাড়া ২, ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি হবে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ। তবে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকবেন না তিনি।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়