• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
দল থেকে বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাকর্মীদের ঠেকাতে পারছে না বিএনপি। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে শুধু চেয়ারম্যান পদেই ভোটের মাঠে রয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৮ নেতা। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ভোট করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদেও লড়ছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এটিই তার প্রমাণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচন না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দলটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নানাভাবে দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। এজন্য দলের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার নেতাদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত এবং নেতাদের সব অনুরোধ উপেক্ষা করে অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পদধারী নেতা। ১১ জন দল থেকে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত কিংবা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাবেক নেতা। এ ছাড়া বাকি ৯ জন বিএনপি নেতাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা এলাকায় বিএনপির লোক হিসেবে পরিচিত। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা জানান, এমনিতেই টানা প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত লম্বা সময় কখনোই ক্ষমতাহীন থাকেনি দলটি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা ও নির্বাচনের বাইরে থাকলেও স্থানীয়ভাবে বিএনপির অনেক নেতা প্রভাবশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অনেকের পূর্বপুরুষ কিংবা পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘকাল নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পারিবারিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারা নির্বাচন করছেন। তারা আরও জানান, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক কারণে আপাতত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনও ধারাবাহিকভাবে বর্জন করতে থাকলে তৃণমূলে দলীয় নেতাদের প্রভাব কমে যাবে। এতে ব্যক্তির পাশাপাশি দলও অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল দলীয় প্রতীক না দেওয়ায় সবার জন্যই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেও জানান তারা। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএনপির আহ্বায়ক রমিজ উদ্দীন (লন্ডনি) বলেন, আমি জেনে-বুঝেই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। রাজনীতি করতে করতে বুড়ো হয়ে গেছি। আমার এমপি হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনে না গেলে তৃণমূল নেতাকর্মীকে কীভাবে ধরে রাখব? চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে তো নেতাকর্মীরা কিছুটা সুবিধা ও স্বস্তি পাবেন। তাদের স্বার্থেই নির্বাচন করছি। আমি জয়ী হলে তাদের জন্য হবে বিরাট সান্ত্বনা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবর আলী বিশ্বাস বলেন, এলাকার জনগণ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাপেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। বিজয়ী হয়ে তাদের আশা পূরণ করব। তাছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে নেতাকর্মীরা দলছাড়া হয়ে পড়ে। আশা করি, দল পরিস্থিতি বুঝে আমাদের বিষয়টি সঠিকভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান বলেন, স্থানীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শেই স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। দল কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা দলের বিষয়। এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনের কথা বুঝতে পারছে না। এজন্য তাদের নির্দেশ মানছেন না বেশিরভাগ নেতা। এটি বুঝতে ভুল করলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব  অচিরেই টের পাবে রাজনীতিতে কতটা সংকুচিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, এমনিতেই টানা প্রায় দেড় যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত লম্বা সময় কখনোই ক্ষমতাহীন থাকেনি দলটি। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা ও নির্বাচনের বাইরে থাকলেও স্থানীয়ভাবে বিএনপির অনেক নেতা প্রভাবশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেও তারা নির্বাচন করছেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৫

বাংলাদেশের স্পিন বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে চান মুশতাক
বিসিবিতে ব্যস্ত কর্তারা। বোর্ডে এদিন বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের প্রায় সবাই উপস্থিত। ক্যামেরার লেন্সের ফোকাস মুশতাক আহমেদের দিকে। বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ বিসিবিতে এসে এদিন ব্যস্ত সময় পার করেছেন।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণার দিনে হোম অব ক্রিকেটে ক্রিকেটীয় আমেজ। জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে মুশতাক আহমেদের অ্যাসাইনমেন্ট। মিরপুরে এসে রোমন্থন করলেন স্মৃতি। সেখানে উঠে আসে তার খেলোয়াড়ি জীবনের নানান কথা। টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের ভাষ্য, ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের কয়েক বছর পর, ৯৩ সালে আমি দলের নিয়মিত সদস্য। আমি এখানে এসে বেশ আনন্দ পাই। বাংলাদেশি মানুষ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বেশ পছন্দ করে। তাদের আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করে। বাংলাদেশের খাবার ও আবহাওয়া সবই উপভোগ্য। আমার মনে আছে, আমি ১৯৯৮ সালে সবশেষ খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছি। বাংলাদেশে এসে প্রথম দিনেই জানালেন লাল-সবুজের স্পিন বোলিং ডিপার্টমেন্টে বৈচিত্র্য আনতে চান। দেখাতে চান কোচ হিসেবে নিজের মুনশিয়ানা। তার দাবি, আমি মনে করি কাজটা চ্যালেঞ্জিং। একজন কোচ হিসেবে কোথাও কাজ করতে গেলে সেখানকার পরিবেশ ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। আমি বিশ্বাস করি, আমি বাংলাদেশের স্পিন বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্য ও পরিবর্তন আনতে পারবো। আমি জানি, এখানে বেশ ভালো মানের স্পিনার আছে। এদিকে বিসিবিতে এদিন বৈঠক করেছে কোচিং প্যানেল। বোর্ডে এসে ব্যস্ত সময় পার করেছেন হেড কোচ হাথুরুসিংহেও।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯

নোয়াখালীতে রেজাল্ট শিট আনতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বেপরোয়া গতির পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মরিয়ম আক্তার আফরিন (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াপদা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত আফরিন চরজব্বর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরজব্বর গ্রামের নাসির আহমদের মেয়ে।   স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আফরিন স্থানীয় নুরুল হক নূরানী তালিমুল কোরআন মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিলেন। সকালে বাড়ি থেকে দক্ষিণ ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন নিজের মাদরাসায় যান রেজাল্ট শিট আনতে। ওই সময় দক্ষিণ ওয়াপদা বাজারে রাস্তা পারাপারের সময় মাইজদীমুখী বেপরোয়া গতির পিকআপ ভ্যান তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।   এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি অজ্ঞাত পিকআপ ভ্যান আফরিনকে ধাক্কা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩০

ব্রাজিল থেকে কোরবানির পশু আনতে চায় সরকার
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সরকার ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশ পশু আমদানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোববার (৭ এপ্রিল) ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েইরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বল্পমূল্যে মাংসজাত পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করতে আগ্রহী ব্রাজিল। তবে মাংসজাত পণ্য নয় বরং ব্রাজিল থেকে পশু আমদানির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েইরাকে।  বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মূলত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে এসব পশু আমদানি করা হবে। এছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।  এদিকে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েইরা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২

মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নারী-শিশুসহ নিহত ৩
ঝালকাঠিতে গবাদি পশু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল। নিহতরা হলেন হেলেনা বেগম (৪০), মিনারা বেগম (৩৫) ও মাহিয়া আক্তার ঈশানা (১১)।  নিহত হেলেনা বেগমের বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার উত্তর তালগাছিয়া গ্রামে, মিনারা বেগমের বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে ও মাহিয়া আক্তার ঈশানার বাড়ি পোনাবালিয়া গ্রামে।  এর মধ্যে হেলেনা বেগম ও মিনারা বেগম গৃহিনী এবং মাহিয়া আক্তার ঈশানা আফসার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।  এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে মাঠ থেকে গবাদি পশু আনতে গিয়ে তারা বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ করে ঝালকাঠির আকাশ কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে রাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস ছিল। কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৫

গরু আনতে যাওয়া সাইফুলের ভাগ্যে কী ঘটেছে 
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের ভাগ্যে কি ঘটেছে, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার আশঙ্কা পরিবার ও স্থানীয়রা করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।   সাইফুল ইসলামের বড় ভাই রবিউল ইসলাম জানান, গত সোমবার এশার নামাজের পর সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন ভারতে গরু আনতে গিয়েছিলো। এরপর থেকে সাইফুলের আর কোন খোঁজ তারা পাচ্ছিলেন না। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে তার ভাইয়ের মরদেহের ছবি ফেসবুকে দেখার পর তারা এখন নিশ্চিত যে, তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বিএসএফের গুলিতেই।  রবিউল ইসলাম আফসোস করে বলেন, সাইফুল কৃষি কাজ করতো। তার দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। কিভাবে যে ভারতে গরু আনতে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। যেন লাশটা আনার ব্যবস্থা করা হয়। এটাই বিজিবি আর সরকারের কাছে অনুরোধ।   এ বিষয়ে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, সাইফুল ইসলাম নামে একজন মিসিং হয়েছে, এটা নিয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। সাইফুল ইসলাম মারা গিয়েছে কিনা, বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। মঙ্গলবার রাতে সীমান্তে ফায়ারিং এর শব্দ শোনা গিয়েছিলো, এর প্রেক্ষিতে বিএসএফের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো। তারা আমাদের সন্ধ্যার মধ্যে জানাবে বলে জানিয়েছে। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৯

সীমান্ত পেরিয়ে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সাইফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক। সাইফুল ইসলাম রাধানগর ইউনিয়নের হাসান আলীর ছেলে।  সাইফুল ইসলামের পরিবার জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে ভারতে গরু আনতে সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে না আসায়, সাইফুলের অবস্থান সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন। তবে আশঙ্কা করছেন বিএসএফের গুলিতে সাইফুলের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।  সাইফুল ইসলামের বড় ভাই রবিউল ইসলাম জানান, গত সোমবার এশার নামাজের পর সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন ভারতে গরু আনতে গিয়েছিল। এরপর থেকে তার ভাইয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছেন না। যাদের সঙ্গে গরু আনতে গিয়েছিল, তারাও ফোন ধরছে না। তাই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ভারতে কী হয়েছে তার ভাইয়ের ভাগ্যে। রবিউল ইসলাম আরও জানান, সাইফুল কৃষি কাজ করতেন। তার দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। কিভাবে যে ভারতে গরু আনতে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। যদি ধরা পড়ে তাহলেও যেন তাদের পরিবারকে জানানো হয় সেই অনুরোধ করেন তিনি। আর তার ভাই যদি গুলিতে মারা গিয়ে থাকেন তাহলে যেন লাশটা আনার ব্যবস্থা করে দেয় সরকার সেই অনুরোধও করেন তিনি।   এ বিষয়ে নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ সাদিকুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮

তরকারি আনতে দেরি হওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মাকে গলা করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের মরারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত চান মিয়া (২৮) ওই এলাকার নুর হোসেন ও ফুলবানু দম্পতির ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে চান মিয়ার স্ত্রী মারা যাওয়ায় মায়ের সঙ্গে তিনি বসবাস করছেন। আজ বিকেলে খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের কাছে তরকারি চান ছেলে চান মিয়া। তরকারি আনতে দেরি হওয়ায় মাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেন তিনি। পরে ফুলবানুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে চান মিয়া পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ফুলবানুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, এখনো কিছু জানি না। খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৬

চোরাই কয়লা আনতে গিয়ে পাথরচাপায় ২ শ্রমিক নিহত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তে অবৈধভাবে ভারত থেকে চোরাইপথে কয়লা আনতে গিয়ে পাথরচাপা পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক শ্রমিক। সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাতে তাহিরপুরের টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।  নিহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাকমা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মুখলেস মিয়া (২৫)। গুরুতর আহত অপর শ্রমিকের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।  স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ১০-১২ জনের একটি শ্রমিক দল টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারত থেকে কয়লা আনতে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকরা কয়লার গর্তের মধ্যে প্রবেশ করলে হঠাৎ পাথরচাপায় গর্তের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। পরে অক্সিজেনের অভাবে তিনজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েন। এ সময় সঙ্গে থাকা অপর শ্রমিকরা গর্তের ভেতর থেকে তিনজনকে টেনে বের করলেও দুজন অক্সিজেনের অভাবে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অপর আহত একজন শ্রমিককে মুমূর্ষু অবস্থায় বাংলাদেশে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিজিবির টেকেরঘাট ক্যাম্প কমান্ডার সাইদুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা কোন দিক দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল জানি না। আমরা দিনরাত সীমান্তে টহল দিচ্ছি। শুনেছি কয়লা আনতে গিয়ে দুজন মারা গেছেন।  তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, রাতের আঁধারে ভারত থেকে অবৈধভাবে কয়লা আনতে গিয়ে পাথরচাপায় ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩

জিম্মিদের সুস্থ ও নিরাপদে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ও নিরাপদভাবে ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী নাবিকরা সুস্থ এবং ভালো আছেন। অপহরণ হওয়া জাহাজ উদ্ধারে আমাদের কথা হচ্ছে যেকোনো মূল্যে আমাদের নাবিকদের বাংলাদেশে ফেরত আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। অপহৃত ক্রুদের পরিবারগুলো উদ্বিগ্নের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সামাজিক জীব, পরিবার নিয়ে বসবাস করি। যে পরিবারগুলোর সদস্যরা সেখানে আটকে আছে, সেই পরিবারগুলোর কীভাবে দিন যাচ্ছে সেটা আমরা ফিল করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যান্য জায়গাগুলোতে তিনি কথা বলেছেন। নাবিকদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় জাহাজটিতে ২৩ জন ক্রু ছিলেন। ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর এর পূর্বে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরীতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে; আবহাওয়া সংকেত অনুসরণ পূর্বক লঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে; ঈদ-উল-ফিতর, ২০২৪ কালবৈশাখী মৌসুমে বিধায় অধিকতর সতর্কতার সাথে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে; রাতের বেলায় সকল প্রকার বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দিন-রাত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে; অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিটনেস বিহীন নৌযান ও ফেরী চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে; অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের নিমিত্ত ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক/পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বর- ১৬১১৩ যোগাযোগ করবেন। সকল প্রকার যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; কোন ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না; ঈদের আগে ৫ (পাঁচ) দিন সদরঘাট হয়ে নির্গমন কারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫(পাঁচ) দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে সদরঘাটে আগমনকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে; ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মটর সাইকেল পরিবহণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে গত বছরের ঈদ-উল-আযহা, ২০২৩ উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত হারে প্রতিটি লঞ্চে মটর সাইকেল পরিবহনের জন্য ভাড়া আদায় করতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতের বেলায় স্পীডবোট চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার এবং দিনের বেলায় স্পীডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে; নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে লঞ্চে/নৌযানে যাত্রী উঠানো যাবে না। উঠতে না পারে তার জন্য নৌপুলিশ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আসন্ন ‘পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা  নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়