• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাথরঘাটায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় স্থানীয় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গরুতে ফসল নষ্ট করার বিরোধ নিয়ে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে দুই সাংবাদিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শহিদুর রহমান গতকাল সোমবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। মামলার আইনজীবী ও বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সায়েম-উল-আলম সাইবার আদালতে মামলাটি গ্রহণের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে  নিশ্চিত করেন। মামলার আসামিরা হলেন দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের পাথরঘাটা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশ দর্পণের সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম, আরটিভির পাথরঘাটা প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম এবং স্থানীয় হাড়িটানা গ্রামের বাসিন্দা হানিফা, পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৪ ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজন খান ও তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম। মামলার আর্জি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশ দর্পণে ‘খেতেই চাচা ভাতিজার ধমকা–ধমকি’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক জিয়াউল ইসলাম। গরুতে ফসল নষ্টের বিষয়ে দুই পক্ষের বিরোধ নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়। ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাদীর সম্মানহানি ও বাদীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়েছে। আরটিভির সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম প্রতিবেদন প্রকাশ কিংবা প্রতিবেদন তৈরির সময় ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাকেও আসামি করা হয়। তাওহীদুলের পরিবারের সঙ্গে শহিদুরের দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে। সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম  বলেন, সাইবার আইনের মামলার বাদী শহিদুর রহমান তার ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য। ওই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সম্পর্কে তাঁর চাচা। গত নির্বাচনে তিনি চাচার পক্ষে নির্বাচন করেন। এ জন্য তিনি (শহিদুর) প্রতিপক্ষ হিসেবে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। সর্বশেষ ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাঁকে আসামি করেছেন। প্রায় এক বছর আগে শহিদুর রহমানে ছেলে সোহেল মুন্সি   আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিত পরে আমি পাথরঘাটা থানায় চার জনকে আসামি করে।  একটি সাধারণ ডাইরি  করি আমি এখনো আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখায় শহিদুর রহমান এবং তারি ছেলে সোহেল মুন্সি  মামলার বাদী ও ইউপি সদস্য শহিদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে মামলার আবেদনে তিনি বলেন, গরুতে ফসল নষ্ট করা নিয়ে সাংবাদিক জিয়াউল অন্য আসামিদের ডেকে এনে ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। ভিডিও ছাড়ার আগে জিয়াউল তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দিয়ে সম্মানহানি করে। এর আগে ৪ এপ্রিল পাথরঘাটার তিন সাংবাদিকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। স্থানীয় দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন লাইভ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নির্যাতনে অভিযুক্ত সৌদিপ্রবাসী আল মামুনের চাচাতো ভাই লিটন হাওলাদার বাদী হয়ে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলা করেন। পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল। তাঁরা মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন
০১ মে ২০২৪, ২২:০২

বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ
অল্প পুঁজি নিয়েও ভারতকে বেশ শক্তভাবে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই শেফালির ভার্মার উইকেট তুলে নেন মারুফা আক্তার। তবে এই ম্যাচে এই উইকেটই বাংলাদেশের আনন্দের একমাত্র উপলক্ষ্য।  এরপর দ্রুতই রান তাড়া করতে থাকে সফরকারীরা। তবে ইনিংসের ৫ দশমিক ২ ওভারে ৪৭ রানের মাথায় বৃষ্টির বাগড়ায় থেমে যায় ম্যাচ। এরপর এক ঘণ্টা ম্যাচ বন্ধ থাকলেও আর বল মাঠে গড়ায়নি। মাঠ খেলার অনুপযোগী হওয়ায় ইনিংস ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। এতে বৃষ্টি-আইনে ১৯ রানে জয় পায় সফরকারীরা। এই জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরুই পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ঝোড়ো শুরু করেন দিলারা আক্তার। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ৬ বলে ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সোবহানা মোস্তারিও দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ৪ বাউন্ডারিতে ১৫ বলে ১৯ রানের ইনিংস সাজান এই ব্যাটার। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে এদিন ব্যর্থ হন আগের ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করা টাইগ্রেস দলপতি। জ্যোতির বিদায়ের পরই মূলত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। ৬৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ স্কোর বোর্ডে ৫ রান যোগ করতেই আরও ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপরই বৃষ্টি নামলে ৫ উইকেট ৬৯ রান নিয়ে দ্রুত মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে প্রায় এক ঘণ্টা ম্যাচ বন্ধ থাকলেও দৈর্ঘ্য কমেনি ম্যাচের। আর নতুন করে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষটা ভালোভাবে রাঙাতে পারেননি বাংলাদেশও। মুর্শিদা একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে দ্রুতই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন-আপ। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ ওভারে ৪৯ বলে ৪৬ রানে থামেন মুর্শিদা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়