• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নোয়াখালীতে গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ১৮ শিক্ষার্থী  
নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচণ্ড গরমে ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।   রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া দশটা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।  হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, আজ সকাল দশটার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। এক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন অষ্টম শ্রেণির দুইজন নবম শ্রেণির দুজন ও দশম শ্রেণির দুইজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।  শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত আরও জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারও পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থী বমি করে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক শ্রেণিশিক্ষক তাকে বিষয়টি জানান। তিনি স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে এনে অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলের ঘরটি টিনের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। তারা গরমের কারণে সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। অপরদিকে, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। ১০টার দিকে আফিফা হঠাৎ গরম সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আফিফা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আমরা তার মাথায় পানি ঢালার পর সে সুস্থ বোধ করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আফিফা ছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। আমরা তাদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি।  জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, হাতিয়ার জনকল্যাণ ট্রাস্ট হাইস্কুলে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ছাড়া তিনি আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাননি।
১৫ ঘণ্টা আগে

তীব্র গরমে চলছে ক্লাস, অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ থেকে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস চলছে। যদিও চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুল খুলে দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা। তারা বলছেন, শিশুদের কথা বিবেচনা করে সরকার আরও অন্তত এক সপ্তাহ পরে স্কুল খুলতে পারতো। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের গেটে দেখা যায়, অভিভাবকরা তাদের সন্তান পৌঁছে দিচ্ছেন; সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছেন পানি ও জুস। একই সঙ্গে গরমে সুস্থ থাকতে দিয়েছেন নানা উপদেশ। আবার তাপপ্রবাহে ক্লাসের বাইরে বের না হতে, মাঠে খেলাধুলা না করতে এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি না করার জন্যও সতর্ক করেছেন তারা। তীব্র গরমের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে ছিলেন না অনেক অভিভাবক। তাদের শঙ্কা, বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে গরমের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আর শিক্ষকরা বলছেন, গরমে শিশুদের অস্থিরতা ধরা পড়ছে ক্লাসরুমে। অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দনিয়া এ একে স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাউনিতে সন্তানের ক্লাস শেষ হওয়ার অপেক্ষায় অভিভাবক আকলিমা বেগম বলেন, এই গরমের মধ্যে স্কুল খোলাটা ঠিক হয়নি। কারণ, পড়াশোনার চেয়ে জীবন আগে। হয়তো সপ্তাহখানেক পরে বা ১০ দিন পরে তাপমাত্রা কমে যেত, আবহাওয়া অফিস কি সবসময় ঠিক কথা বলে। একটু অপেক্ষা করলে কি আর এমন হতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা সমর্থন করছি না। যেখানে একটা নিয়মের মধ্যে আছি, সেখানে তো জলে বসবাস করে কুমিরের সঙ্গে মারামারি চলে না। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম। সকাল ৭টায় তার ক্লাস শুরু হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে ছুটি হয়েছে। ছুটি শেষে এই কোমলমতি শিক্ষার্থী বমি করে এবং কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে তাকে স্কুলে নিয়ে আসা মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শুধু উম্মে কুলসুম নয়, এ স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তারা ক্লাস না করেই বাসায় ফিরে গেছে। যাতায়াতের সময়ই তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে বলে জানান অভিভাবকরা। ক্লাস করতেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। অভিভাবকদের দাবি, গরমের এই তীব্রতার মধ্যে স্কুল বন্ধ কিংবা অনলাইনে ক্লাস নিলে ভালো হয়। আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী অনামিকা। তার বাবা মহসিন বলেন, এই গরমে বড়রা টিকতে পারে না। সেখানে বাচ্চারা কীভাবে ক্লাস করে ভাবতে কষ্ট লাগে।  শামসুন্নাহার নামের আরেকজন অভিভাবক বলেন, শনিবারের ছুটিটা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একই সরকার দুই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকের স্কুল শনিবারে বন্ধ থাকবে আর আমাদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো শনিবার খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন যে কারিকুলামটা দিয়েছে এটা কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না। আমাদেরকে বাইরের দেশের উদাহরণ দেওয়া হয় ভালো কথা। তাহলে ওরা আগে বাইরের দেশের মতো অবকাঠামো তৈরি করত। তারপর নতুন কারিকুলাম নিয়ে আসতো। তাহলে পুরো দায়িত্বটা স্কুল নিতো। আমরা সকালে এসে বাচ্চাকে দিয়ে যেতাম এবং বিকেলে এসে নিয়ে যেতাম। আমাদেরকে এই মাঝামাঝি সময় এখানে বসে থাকতে হতো না। ভিকারুননিসা ন্যূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পাল বলেন, আজই প্রথম স্কুল খুলেছে, ক্লাস হচ্ছে। আমাদের শাখায় সব ক্লাসে উপস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠছে এটা সত্য। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা আমাদের স্কুলে নেই। ৩১ মার্চ থেকে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। গত ২৮ দিন ধরে টানা তাপপ্রবাহ চলছে; যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। এ পরিস্থিতিতে ঈদের ছুটির পর আর স্কুল খোলেনি সরকার। অসহনীয় গরমের কারণে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গরমে শিশুদের ‘অতি উচ্চঝুঁকির’ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফও। তবে সাত দিন ক্লাস বন্ধ রাখার পর ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে কারণে রোববার থেকেই ক্লাসে ফিরতে হলো শিশুদের। এদিকে তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ বন্ধের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আজ (২৮ এপ্রিল) বলেছেন, কোথাও বেশি গরম আছে মানেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে—এটার কোনো মানে নেই। কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। এদিকে চলমান তাপদাহের মধ্যে স্কুল খোলায় শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হলে দায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
১৪ ঘণ্টা আগে

গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
যশোরে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে আহসান হাবিব (৩৭) নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহসান হাবিব যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হাবিব আজ সকালে মাঠে কাজ করে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, সকালে ওই স্কুলশিক্ষককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন সকালে রোদের মধ্যে তিনি মাঠে কাজ করে স্কুলে গিয়েছেন। স্বজনদের দাবি, তার হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট পাইনি। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব না।
১৮ ঘণ্টা আগে

অসুস্থ খন্দকার মোশাররফকে দেখতে গেলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে তার বাসায় যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গুলশানের বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা তারা একান্ত আলাপ করেন। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই দুই নেতা একান্তে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান। এ সময় দুজন পরস্পরের খোঁজ নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এরপর দুই দফায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৬

অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের দেখতে হাসপাতালে আইজিপি
ঈদের নামাজ শেষে হাসপাতালে যেয়ে অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের খোঁজ খবর নিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন তিনি।  নামাজ শেষে দেশ ও জনগণের অব্যাহত অগ্রযাত্রা, শান্তি ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ঈদের জামাতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন। এ সময় আইজিপি পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য এবং মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। পরে আইজিপি কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগে চিকিৎসাধীন অ্যাডিশনাল ডিআইজি তোফায়েল আহমেদ, কনস্টেবল মো. আবদুর রাজ্জাকসহ অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২

অসুস্থ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে মোহনপুর উপজেলা হলরুমে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এসব চেক বিতরণ করা হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। এ সময় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে। ঈদ আসলে অতীতে এই কাজগুলো হয়নি।  এখন অসুস্থ রোগীদের সহায়তা করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সব সময়ই মানুষের পাশে দাঁড়ান। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই সহায়তা প্রদান।   তিনি বলেন, আজকে যে সহযোহিতা দেয়া হচ্ছে, এই টাকায় হয়তো আপনাদের চিকিৎসা হবে না। কিন্তু চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা সেটি হবে। আমি মনে করি এটি দেশরত্ন শেখ হাসিনার অনুদান। এটি টাকার জায়গাতে ছোট মনে হলেও আন্তরিকতার জায়গা থেকে অনেক বড়।   মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান মেহবুব হাসান রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজীদা রহমান রিক্তা, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক প্রমুখ। পরে সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ১১ জন রোগীর মাঝে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে চেক দেয়া হয়। একই সময় জাতীয় সমাজকল্যান পরিষদের অর্থায়নে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ১৮টি পরিবার ও ৫ শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৬

শিক্ষার্থীকে যেই স্পর্শ করে সেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, হাসপাতালে ৩৫
ভোলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময় এক শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তাকে স্পর্শ করা ৪০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জনকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পশ্চিম চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন স্কুলে গণিত ক্লাসে হঠাৎ এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে যায়। ওই ছাত্রকে প্রাথমিক সেবা দেওয়া অবস্থায় ওই ছাত্রকে ধরে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরাও একে একে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিছু কিছু ছাত্র স্কুল থেকে বাসায় গিয়েও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ক্লাস শিক্ষক আবু ছাঈদ বলেন, ‘আমি ক্লাস নিচ্ছি এমন সময় জিহাদ অসুস্থ হলে তাকে অন্যদের ধরতে বলি। এর কিছুক্ষণ পরেই দেখি যেই ধরে সেই একটা চিৎকার দিয়ে ঘুরে পড়ে যায়। আমারও মাথা ঘুরেছে এবং চোখ দিয়ে হঠাৎ পানি পড়া শুরু করেছে।’ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদ বলেন, ‘গণিত স্যারের ক্লাসে হঠাৎ করে আমি মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছি। এমনভাবে মাথা ব্যথা উঠছে মনে হয়েছে চুলগুলো উঠিয়ে ফেলি। আমার এমন অবস্থা দেখে স্যাররা আমাকে লাইব্রেরিতে নিয়ে যায়। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে।’ সিভিল সার্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। হঠাৎ ছাত্র-ছাত্রীরা ম্যাস সাইকোজনিক ইলনেস (Mass Psychogenic Illness) নামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আতঙ্কের কিছু নেই তারা শিগগিরই সুস্থ হয়ে যাবে।’ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপক কুমার হালদার জানান, আমি বিকাল ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালে থেকে চিকিৎসার অগ্রগতি লক্ষ্য করেছি।  
২০ মার্চ ২০২৪, ০১:০১

ক্যাম্পাসে পড়ে ছিল অসুস্থ ভুবন চিল
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে অসুস্থ অবস্থায় একটি ভুবন চিল পাওয়া গেছে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সরকারি আজিজুল হক কলেজ চত্বর থেকে চিলটি উদ্ধার করেন পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের (তীর) সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে তীরের সভাপতি হোসেন রহমান জানান, অসুস্থ ভুবন চিলটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর এটি বন বিভাগের পরামর্শে দ্রুত অবমুক্ত করা হবে। জীববৈচিত্র পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে তীর। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সংগঠনটি দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পদক বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন ২০১১-এ ভূষিত হয়।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩২

মাঝ আকাশে অসুস্থ পাইলট, কলকাতা থেকে ঢাকায় জরুরি অবতরণ
কাতার যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের পাইলট। অসুস্থ পাইলটকে নিয়ে কলকাতার আকাশ থেকে ঘুরে ফ্লাইটটি ঢাকায় জরুরি অবতরণ করে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে কাতারের (বিজি-৩২৫) উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। অসুস্থ হওয়া বিমানের ওই পাইলটের নাম ক্যাপ্টেন মাকসুদ বলে জানা গেছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টায় কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কলকাতার আকাশে হঠাৎ পাইলট অসুস্থ হলে ফ্লাইটটি ঢাকায় ফিরে আসতে শুরু করে। পরে রাত ৮টার দিকে ফ্লাইটটি ঢাকায় জরুরি অবতরণ করে। অবতরণের পর ক্যাপ্টেন মাকসুদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে পাইলট পরিবর্তন করে ফ্লাইটটি রাত সাড়ে ১০টায় আবারও কাতারের দোহার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানের বিজি-৩২৫ ফ্লাইটটি বোয়িং-৭৭৭ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। ৪১৯ জন যাত্রী ছিলেন এতে।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৯

মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পান করে শিশুর মৃত্যু, মাসহ অসুস্থ ৩
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পান করে জিম খাতুন নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে নিহত শিশুর মাসহ তিনজন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বৈলগাছি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত জিম খাতুন উপজেলার বৈলগাছি গ্রামের কায়েম উদ্দিনের মেয়ে। অসুস্থরা হলেন- নিহতের মা পারভিন খাতুন, বোন রিয়া ও মিথিলা। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, সোমবার সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে ওরস্যালাইন ও ইস্পি ট্যাংয়ের মিশ্রণ গুলিয়ে পান করেন পারভিন খাতুন। এ সময় তার তিন সন্তান জিম, রিয়া ও মিথিলা ওরস্যালাইন এবং ইস্পি ট্যাংয়ের মিশ্রণের পানি পান করেন। ইফতার শেষে পারভিন ও তার তিন শিশুসন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েন।  ডা. ফয়সাল হোসেন আরও জানান, অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এখানে আসার পর জিম খাতুন নামের তিন বছরের শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্য অসুস্থ অপর তিনজনকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জিমের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়