• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে চার বছরের দায়িত্বে সফলতার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। রোববার (১৯ মে) ডিএসসিসির নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। মেয়র তাপসের দায়িত্বভার গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএসসিসি। লিখিত বক্তব্যে শেখ তাপস বলেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯ হাজার ৭৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। তখন সারাদেশে রোগী ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার ১৭৫ জন। যা মোট রোগীর মাত্র ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। ফলে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। যদিও গত বছর (২০২৩) দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। কেবল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে যত মৃত্যু হয়, তা আগের ২২ বছরে হয়নি। অর্থাৎ আগের ২২ বছরের চেয়ে গত বছর রোগীর সংখ্যা ছিল বেশি। এ সময় মেয়র বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই করপোরেশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছি। প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি ও দুর্নীতির দায়ে বিগত ৪ বছরে বিভিন্ন স্তরের ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে করপোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম সম্পাদনে জনবলের যে তীব্র সংকট ছিল তা উত্তরণে বিগত ৪ বছরে ভারী গাড়ির ১৪৩ জন চালক, ৬৬ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ৭৭ জন হিসাব সহকারী, ২৭ জন রেভিনিউ সুপারভাইজার, ৩১ জন পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক, ২০ জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন বিভাগে সর্বমোট ৮৭৯ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২১৭ জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাপস বলেন, কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে গত তিন দশকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত দায়িত্ব, চলতি দায়িত্ব দিয়ে করপোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। এমন অনেকেই আছেন, যারা চাকরিতে যে পদে যোগদান করেছিলেন সে পদ হতেই পিআরএলে গেছেন। আমরা যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করতে চাই। সেজন্য এই পদোন্নতি জট খুলে গত চার বছরে আমরা ১৫৭ জন যোগ্য প্রার্থীকে পদোন্নতি দিয়েছি। ফলে যেমন সুশাসন নিশ্চিত করা হয়েছে, তেমনি মাঠ পর্যায়সহ করপোরেশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে কর্মোদ্যম সঞ্চারিত হয়েছে বিধায় দুর্নীতি কমেছে এবং রাজস্ব আয় বেড়েছে। মেয়র বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির সংকটকালে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। তথাপি করোনা মহামারির মাঝেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে প্রায় সকল খাতেই আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট হই।
১৯ মে ২০২৪, ১৫:৫৯

ঢাকাবাসীকে গত বছর রোগমুক্ত রাখতে পেরেছি: তাপস
ঢাকাবাসীকে ২০২৩ সালে রোগমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৫ মে) সকালে মালিবাগ মোড় সংলগ্ন উড়াল সেতুর নিচে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এ দাবি করেন তিনি।  তাপস বলেন, ‘২০১৯ সালে ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ রোগী পাওয়া গেছিল এডিস মশার বিস্তারের কারণে। সে সময় ১ লাখ ৫৫ হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল হাসপাতালে। গত বছর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল যে, ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে যাবে। আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। জনবল, যন্ত্রপাতি, মানসম্মত কীটনাশক মজুত রেখেছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কাউন্সিলর ও মশক বাহিনীর সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা সফলতার সঙ্গে সেই এডিস মশার বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। ২০২৩ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, ঢাকা শহরে দক্ষিণ ও উত্তর মিলে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১৩ হাজার রোগী পাওয়া গেছে। তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৯ সালের তুলনায় ৪২ হাজারের মতো রোগী আমরা কম রাখতে পেরেছি। ঢাকাবাসীকে আমরা সেই সুবিধা দিতে পেরেছি, ঢাকাবাসীকে রোগমুক্ত রাখতে পেরেছি, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখতে পেরেছি।’ তাপস আরও বলেন, ‘এবারও পূর্বভাস রয়েছে যে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হয়তো গত বছরকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত বছরের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেছে। আমরা ঢাকাবাসীর জন্য কাজ করি, আমরা ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সব প্রস্তুতি নিয়ে চলেছি।’ এ সময় আগাম চিরুনি অভিযান চালিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা পরিষ্কার করা হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র।
১৫ মে ২০২৪, ১৫:৪৬

বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রাজধানীর শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে (মোট ৩৯.৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য) ব্যাপক বৃক্ষরোপণের যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে। বুধবার (৮ মে) সকালে মুগদা এলাকার শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন 'মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি' কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।  শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা জানি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদণ্ড পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি। এই মান্ডা খালের পাড় দিয়ে আমাদের প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব। যার মাধ্যমে এই এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার সাথে সাথে আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম সেটা আরও বেগবান হবে, ত্বরান্বিত হবে।কিন্তু এই খালগুলো (প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও খালুনগর খাল) এবং আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারবো।’ আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তনের আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার মধ্যে মান্ডা খাল সবচেয়ে বড় (৮.৭ কিমি)। এরপরে শ্যামপুর (৪.৭৮ কিমি), জিরানি (৩.৯ কিমি) এবং কালুনগর (২.৪ কিমি) খাল। এর  পরিপ্রেক্ষিতে আজ মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের সবগুলো কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে এবল আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সকল পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, আগামী এক বছরের মধ্যে (খালগুলোর) দৃশ্যমান ও নান্দনিক পরিবর্তন আমরা নিয়ে আসতে পারব।’ উল্লেখ্য যে, ৮৯৮ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ৮.৭ কি মি দৈর্ঘ্যের মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি টাকা। মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির আওতায় ভূমি উন্নয়ন, খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ, বাই সাইকেল লেন ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ, ৩টি এম্পিথিয়েটার নির্মাণ, ব্যায়াম করার সেড-ফোয়ারা-ওয়াকওয়ে-ঘাট নির্মাণ, ৩২টি পথচারী পারাপার সেতু ও ৬টি গাড়ি চলাচল সেতু নির্মাণ, বসার বেঞ্চ নির্মাণ, বাচ্চাদের খেলার জায়গা-ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ, আর. সি. সি. রিটেনিং ওয়াল ও ঢাল সুরক্ষা নির্মাণ, দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি অনুষঙ্গ রয়েছে।  এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ৭ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয়, মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বাহার এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খায়রুজ্জামান, ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল আলম শামীম, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আকবর হোসেন, সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদ ও সেলিনা খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
০৮ মে ২০২৪, ১৫:৪৭

নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা মিললে নির্মাণকাজ বন্ধ : মেয়র তাপস
নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ড. কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয় সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ফলাফল ও জরিপে আমরা দেখেছি যে নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণকাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১-এর মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-২-এর সুয়ে মেন জো, অঞ্চল-৫-এর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও রাজীব খাদেম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় প্রমুখ।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৪

শৃঙ্খলায় না ফেরা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অবৈধ ভবন ও রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করে যেখানে সমস্যা পাওয়া যাবে, প্রাথমিকভাবে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। শৃঙ্খলায় না ফেরা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলের সাউথ পয়েন্ট নগর ব্যায়ামাগার উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে এবং ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব ভুল শুধরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবার আবেদন করলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ভবন খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে কারও ওপর দোষ না দিয়ে যারা যারা আইনের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় প্রথম দায় স্থপতির, দ্বিতীয়ত যারা এমন ভবনের অনুমোদন দিয়েছে। বেইলি রোডের ঘটনায় দায়সারা তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দেওয়ার আহ্বান জানান মেয়র। উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে সংস্থাগুলো।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪১

দক্ষিণের ২২১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে নতুন ভবন : তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ২২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ‘ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের আওতায়’ ধানমন্ডি ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬তলা ভিত বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে স্মার্ট পর্যায়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের স্মার্ট বিদ্যালয় হবে, স্মার্ট শিক্ষার্থী হবে এবং স্মার্ট নাগরিক হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা কলাবাগান, মতিঝিলের দিলকুশা, নবাব কাটরা ও শ্যামপুরে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছি। তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ডিএসসিসি এলাকার প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন পাবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিএসসিসি এলাকায় ২২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার থেকে পাঁচ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ধুলাবালু নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রেখেছে উল্লেখ করে তাপস বলেন, ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণের জন্য সূচি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। প্রথমত, আমরা নিয়মিতভাবে মূল সড়কগুলোতে সকাল থেকে পানি দিচ্ছি। দ্বিতীয়ত, আমাদের যে উড়াল সেতু আছে সেগুলো আমরা সাকার যন্ত্র দিয়ে পুরোটা পরিষ্কার করছি। তারপরও নির্মাণাধীন ভবনসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজের ফলে ধুলোবালি উৎপন্ন হচ্ছে। ধুলাবালু নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্যক্রম চলমান। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, একটা আদর্শ স্কুলের যেসিব সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার আমরা তা অন্তর্ভুক্ত করে স্কুলগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মিলে প্রায় ৩০টির মতো স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। আজকে ৪টি স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০টি স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের সংকট দূর হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নতুন এসব ভবন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সহয়তার নির্মাণ করা হবে বলেও জানা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব। পরে মেয়র বংশালের নবাব কাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতিঝিলের দিলকুশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শ্যামপুরে খোকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন– ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাহবুবুর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত আসনের নারগিস মাহতাব প্রমুখ।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৭

সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকবে ধানমন্ডি লেক
সপ্তাহের একদিন ধানমন্ডি লেক ঘিরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দূষণরোধ এবং পরিচ্ছন্ন রাখার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ম না মানলে শাস্তির ব্যবস্থাও থাকছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ কথা জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এদিন ধানমন্ডি লেকে পরিচালিত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আসেন মেয়র। এ সময় তিনি বলেন, ধানমন্ডি লেক ঘিরে পরিচালিত সব ধরনের কার্যক্রম প্রতি সপ্তাহের বুধবার বন্ধ থাকবে। এ নিয়ম না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করা হবে। মেয়র বলেন, ধানমন্ডি লেককে আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় স্পটে পরিবর্তনের লক্ষ্যে নজরুল সরোবর স্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগিরই এর উদ্বোধন করবেন।  
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৫

শপথ গ্রহণের পর যে প্রতিশ্রুতি দিলেন ফেরদৌস
নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সংসদ ভবনে শপথ নিয়েছেন তিনি।  শপথ গ্রহণের পর ফেরদৌস বলেন, জনগণ আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি তাদের আস্থার প্রতিদান দেব। কোনো কাজ বিঘ্নিত না হয় সে চেষ্টাই করে যাব।  তিনি আরও বলেন, আমি যেন সততার সঙ্গে দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি বিশেষ করে আমার ঢাকা-১০ আসনের সম্মানিত নাগরিকদের জন্য অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারি। পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে ঢাকা-১০ কে উন্নয়নে দশে দশ রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। গত ৮ জানুয়ারি বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ফেরদৌস।  শুধু তাই নয়, সেখানে কার্যক্রম শেষে নিজ হাতে নির্বাচনী এলাকার পোস্টার অপসারণ করেন ফেরদৌস।  নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতার পর গণমাধ্যমে ফেরদৌস বলেন, আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য সব ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই আমি। আশা করছি, পাশে থাকবেন আপনারা। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ফেরদৌস। ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন তিনি।  
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়