অ্যাপলের নতুন মাস্ক ইমোজিতে লুকিয়ে আছে একটি হাসি
অ্যাপলের নতুন আপডেট ১৪.২ খুব শিগগির বাজারে আসছে। নতুন এই আপডেটে থাকছে মুখোশ ইমোজিটি। এই মাধ্যমটি সাধারণত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বা অসুস্থ ব্যক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করবে।
অ্যাপলের নতুন আইওএস ১৪.২ আপডেটে ইমোজিটির চেহারা পরিবর্তন এনেছে ইমোজিপিডিয়া তথ্য অনুসারে।
নতুন মুখোশ ইমোজিটি হচ্ছে হাসি মুখ ইমোজির অনুলিপি বা অনুরূপ। নতুন আপডেটে দেখা যাবে মুখোশ ইমোজিটিতে হাসি মুখের উপর মাস্ক পরা, যা দেখে মনে হয় না সে কষ্টে আছে, বরং দেখে মনে হবে সে উৎফুল্ল।
তবে নতুন এই আপডেট সম্পর্কে অ্যাপল থেকে এখনও কোনো মন্তব্য আসেনি।
ইমোজিপিডিয়া তথ্য অনুসারে মাস্ক ইমোজিটি প্রথম ২০০৮ সালে আইওএস এবং ২০১২ সালে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছিল।
এস/ এমকে
মন্তব্য করুন
ফ্যানফেয়ারের মেগা ভিডিও কন্টেস্টের বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দিলেন টেক ব্লগার হিমেল
সম্প্রতি ফ্যানফেয়ারের স্টুডিওতে মেগা ভিডিও কন্টেস্ট ”অনর প্রেজেন্টস ফোন মেনিয়া”- এর বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন এ এফ আর টেকনোলজির জনপ্রিয় টেক রিভিউয়ার হিমেল আহমেদ।
'অনর প্রেজেন্টস ফোন মেনিয়া’ মেগা কন্টেস্টে প্রায় হাজার খানিকের মত ভিডিও পাঠিয়েছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা। টেক ব্লগার থেকে শুরু করে প্রায় সব কন্টেন্ট ক্রিয়েটররাই অংশগ্রহন করেন এই মেগা কন্টেস্টে। সেখান থেকে বাছাই করে সেরা ৫ জন বিজয়ী অনরের পক্ষ থেকে স্মার্টফোন, স্মাটওয়াচ, এয়ারবাডসহ আকর্ষনীয় সব পুরষ্কার জিতে নেন।
পুরষ্কার পেয়ে বিজয়ীরা ছিলেন আনন্দিত আর উচ্ছ্বসিত। পুরষ্কার গ্রহনের পর বিজয়ীরা জানান, ফ্যানফেয়ার এমন একটি মাধ্যম যেখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতিভার মূল্যায়ন হয়।
অনুষ্ঠানে হিমেল বলেন, বর্তমান সময়ে খুবই কঠিন, জনপ্রিয় এবং তথ্যযুক্ত ব্লগিং হলো টেক ব্লগিং। এর মধ্যেও ফ্যানফেয়ার এবং অনর যে টেক নিয়ে কাজ করছে সেটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
তিনি আরও বলেন, টেক ব্লগিং বা রিভিউ নিয়ে অনেকেই কাজ করতে চায় কিন্ত সুযোগ বা দিক নির্দেশনার অভাবে অনেকেই করতে পারেননা তবে ফ্যানফেয়ার ইতিমধ্যেই সবার জন্য সেই সুযোগ তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনর বাংলাদেশের জি এম আবদুল্লাহ আল মামুন ও ফ্যানফেয়ারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ফ্যানফেয়ার বাংলাদেশের প্রথম সোশ্যাল কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ইউজারদেরকে প্রাধান্য দিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। ফ্যানফেয়ার অ্যাপে ভালমানের কন্টেন্ট চাইলেই ইউজাররা শেয়ার করতে পারেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ধামাকা কন্টেস্টেও অংশগ্রহণ করেন এই অ্যাপের ইউজাররা।
মানসম্মত ভিডিও শেয়ার করে ক্রিয়েটররা প্রতিনিয়ত জিতে নিচ্ছেন আকর্ষনীয় সব পুরষ্কার। আর মানসম্মত ভিডিওতে তারা ব্র্যান্ড ফোকাস করে শেয়ার করলেই থাকছে মনিটাইজেশনের সুবিধা।
বর্তমানে ফ্যানফেয়ার অ্যাপে চলছে ’টেস্ট অফ রামাদান’ নামের একটি মেগা ভিডিও কন্টেস্ট। সম্প্রতি রমজান মাসকে ঘিরে এই মেগা ভিডিও কন্টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে।
রমজান মাসে ইফতারি বাজার, ইফতারি করা সহ রমজান সম্পর্কিত যেকোন ভিডিও ব্লগিং বা রিভিউ শেয়ার করা যাবে এই কন্টেস্টে। এই মেগা ভিডিও কন্টেস্টের পুরষ্কার হিসেবে থাকছে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা কাপল টিকিট ট্রিপ, আড়ং এর গিফট ভাউচার এবং বাটার গিফট ভাউচার।
Android: https://cutt.ly/IwjFnDOY বা IOS: https://cutt.ly/ywqyfgCz লিংকে গিয়ে ফ্যানফেয়ার অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ চাইলেই অংশগ্রহন করতে পারবেন ফ্যানফেয়ারের যে কোনও কন্টেস্টে।
কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত
কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে গণশুনানির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ৮ মে এটি অনুষ্ঠিত হবে। গণশুনানিতে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক, বাংলাদেশের ভোক্তা সংঘ, পেশাজীবীসহ অন্যান্যরা মতামত দিতে পারবেন।
এরইমধ্যে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ শীর্ষক গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, সম্মানিত গ্রাহক, বাংলাদেশের ভোক্তা সংঘ, পেশাজীবীসহ আগ্রহী যেকোনো ব্যক্তিবর্গ মতামত জানাতে পারবেন। আগামী ৮ মে (বুধবার) সকাল ১১টায় বিটিআরসি ভবনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, যারা সশরীরে উপস্থিত হতে অপরাগ হবেন তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে গণশুনানিতে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে। এবিষয়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য, প্রশ্ন, উপদেশ আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে।
তবে সময়ের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় শুধু বিষয় সংশ্লিষ্ট যৌক্তিক প্রশ্ন, বক্তব্য, উপদেশ দিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের একটি ই-মেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। তারাই সরাসরি বিটিআরসি ভবনে ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
যেভাবে দেখবেন বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
ক্যালেন্ডারের পাতায় ৮ এপ্রিল ২০২৪। এ দিন বছরের প্রথম ও বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাবাসী। পাশাপাশি প্রযুক্তির কল্যাণে ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সরাসরি উপভোগের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ।
ইতোমধ্যে যেসব জায়গায় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্যের পাশাপাশি মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শকরা ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে অন্যান্য দেশ থেকেও জড়ো হচ্ছেন।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশাবলের মতে, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী আগামী ৮ এপ্রিল দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এই ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে। এই ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।
একইসঙ্গে জানা যায়, এবারের সূর্যগ্রহণটি ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে; যা ঘটে সুদীর্ঘ ৫০ বছরের মধ্যে একবার। এর আগে, সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে এরকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল।
আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচার ফাঁস
আইফোন মানেই মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় বস্তু। এর পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। আধুনিক সময়ে কম্পিউটারে করা যায় এমন প্রায় সব কাজই সহজেই হাতে থাকা আইফোনে করা সম্ভব হয়। আবার বিশেষ করে ছবি ও ভিডিওর মানেরও বিষয় রয়েছে। কোম্পানিটি প্রতি বছর নতুন সিরিজের ফোন ছাড়ে বাজারে। নতুন নতুন ফিচার ও সুবিধা যুক্ত করে গ্রাহকদের জন্য এসব ফোন রিলিজ করে আইফোন। কিন্তু সম্প্রতি আইফোন ১৬ প্রোর ডিজাইনের একটি সিএডি (কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন) ফাইল অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। যা থেকে অ্যাপলের আসন্ন ফ্ল্যাগশিপ মডেলটিতে কী থাকতে পারে তার একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ফাঁস হওয়া ডিজাইন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন বাদ দিলে আইফোন ১৬'র ডিজাইন অনেকটা আইফোন ১৫'র মতো একই থাকবে।
এর আগে, পেছনের ক্যামেরা প্ল্যাটফর্মের ডিজাইনের একটি ত্রিভুজাকার বিন্যাসে পরিবর্তন আনার গুজব উঠলেও ফাঁস হওয়া ফাইলগুলো থেকে দেখা যায় আইফোন ১৫ প্রোতে দেখা সেই পরিচিত থ্রি-লেন্স ডিজাইনটিই অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।
তবে ফাঁস হওয়া ফাইলগুলোতে একটি উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজন দেখা যায়। ১৬'র ডিজাইনে ডানদিকে পাওয়ার বাটনের নীচে যুক্ত করা হয়েছে নতুন একটি ক্যাপচার বাটন। এর মাধ্যমে ছবি ক্যাপচার করতে আর স্ক্রীনে ট্যাপ করার প্রয়োজন পড়বে না। এটি ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ক্যাপচার বাটনের সম্পূর্ণ ফাংশন বা ক্ষমতা এখনও রহস্যে আবৃত, তবুও ধারণা করা হচ্ছে, বাটনটি হালকাভাবে ট্যাপ করলে ফোকাস ট্রিগার হবে এবং সম্পূর্ন চাপলে ফটো ক্যাপচার হবে। অনেকটা প্রথাগত ক্যামেরার শাটার বাটনের মতোই।
প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম ৯১মোবাইলসের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন ১৬ প্রোর সঙ্গে আইফোন ১৫ প্রোর বেশ কিছু সাদৃশ্য থাকবে। পার্থক্যের মধ্যে আইফোন ১৬ প্রো এর পূর্বসূরীর চেয়ে আকারে সামান্য বড় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর দৈর্ঘ্য ১৪৯ দশমিক ৬, প্রস্থ ৭১ দশমিক ৪ এবং পুরুত্ব ৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার হতে পারে।
অপরদিকে, এর ডিসপ্লের আকার ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি নাকি ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি হবে তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। ৯১মোবাইলসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুনভাবে প্রকাশিত ডাইমেনশন এবং কাচের চারপাশে পাতলা বেজেল প্রদর্শনের কারণে তারা মনে করছেন এটি ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি হবে।
এছাড়া আইফোন ১৬ প্রো একটি ৫এক্স টেট্রা প্রিজম টেলিফোটো ক্যামেরা নিয়ে আসতে পারে। যা ফোনটির জুম করার ক্ষমতা আরও বাড়াবে। এর বাইরে, স্মার্টফোনটিতে ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং একটি ৩ হাজার ৩৫৫ এমএএইচ ব্যাটারি থাকারও গুঞ্জন উঠেছে। তবে এর অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনও জানা যায়নি।
অ্যাপল সাধারণত সেপ্টেম্বরে একটি বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের নতুন আইফোন মডেলগুলো উন্মোচন করে থাকে। আশা করা হচ্ছে, এবারের ইভেন্টে আইফোন ১৬ প্রোর পাশাপাশি চতুর্থ প্রজন্মের আইফোন এসই এবং অ্যাপল ওয়াচ এক্স-ও উন্মোচন করবে অ্যাপল।
‘ভাইরাল হওয়াই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে’
বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন মনে করেন বাংলাদেশে এখন ভাইরাল হওয়া সবচেয়ে বড় বিপণন কৌশল হয়ে উঠেছে৷ এক্ষেত্রে ন্যায়-অন্যায় নিয়ে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে মনে করেন শিল্পী আফজাল হোসেন৷
গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ, নতুন পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয় শিল্পীদের উত্থানে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে৷ টেলিভিশন, থিয়েটারের বাইরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে দর্শকদের সঙ্গে শিল্পীদের যোগাযোগ৷ রুপালি পর্দার বাইরেও তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনুসারীরা৷ তবে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে দুই ধরনের মনোভাবই রয়েছে৷
অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমার কাছে মনে হয় পরিবর্তন মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা আমাদের থাকা উচিত৷
এক টকশো-তে বিনোদনের একাল ও সেকাল, বিনোদনের মান নিয়ে আলোচনায় অতিথি ছিলেন শিল্পী ও নির্মাতা আফজাল হোসেন এবং অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলোয়ার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, আমার ফলোয়ার্স অনেক আছে কিন্তু কতজন আমাকে পছন্দ করে বা আমার ভক্ত সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই৷ বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেটা ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক যা হোক৷ যারা আমাকে আমার কাজের জন্য পছন্দ করে তারা আমি যেমন, যে কাজ করছি সেগুলো দেখেই আমাকে পছন্দ করেন৷ তারা যে সবাই আমার ফলোয়ার্সের মধ্যে আছে বা সবাই আমাকে ফলো করছে সবসময় এমন নয়৷ আমি এই পার্থক্যটা দেখেছি৷
দর্শক নির্বাচন ও সে অনুযায়ী কনটেন্ট নির্মাণের প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, আমরা একটা পজিটিভ সময়ে কাজ করতে পেরেছি৷ কাজ করার আগে যদি ভাবতে হতো, আমাদের অনেক বড় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে হবে, তাহলে অনেকগুলো ভালো কাজ হতো না৷
গণমাধ্যম, নির্মাতাদের দর্শক ধরার প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন অনেক টেলিভিশন এলো, তখন আর অনুষ্ঠান থাকলো না৷ অনুষ্ঠান দর্শককে খাওয়ানোর বিষয় তৈরি হলো৷ আজমেরী হক বাঁধনের অভিনীত সিনেমা রেহানা মারিয়াম নূর প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে কান উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলো৷ তবে ছবিটি ব্যবসা সফল কিনা সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, সুপার ডুপার হিট বলতে যা বুঝায় তা অবশ্যই ছিল না৷
একটি মোবাইক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বিপণন কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ছিল দুই অতিথির কাছে৷ এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, আমাদের মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভাইরাল হতে হবে৷ এত কনটেন্ট এত বিজ্ঞাপন, এত খবর, এত কিছু পৃথিবীতে ঘটে যাচ্ছে এখন এটা একটা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আমরা কীভাবে ভাইরাল করবো একটা কিছু৷ মানুষ চিন্তা করছে তার কাজটা কয়জন দেখছে, কয়টা ক্লিক হচ্ছে, ভিউ হচ্ছে এটার জন্য তারা অস্থির হয়ে যাচ্ছে৷
আফজাল হোসেন মনে করেন, শুধু বিজ্ঞাপন নয় যে যেখানে আছে সেই অবস্থায় যা খুশি তা করতে পারে৷ এক্ষেত্রে প্রশ্ন করার মানুষ নাই৷ যদি প্রশ্ন কেউ করে থাকে, করে ফেলে তাহলে আক্রমণ করার মানুষেরও অভাব হয় না৷
বলেন, কোনটি ন্যায় কোনটি অন্যায় সেটাও আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না৷ তবে ভাইরাল হওয়া দোষের কিছু নয় এমনটা মনে করেন তিনি৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে ভাবনায় যদি একটা বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হয় এর মতো অসাধারণ সৃজনশীলতা আর হতে পারে না৷ যখন মানুষ ঐ অসাধারণত্ত্বকে স্পর্শ করতে পারে না তখন খুব সাধারণ বিষয় নিয়ে এসে মানুষ হৈ চৈ ফেলে দেয় এবং এটাকে আমরা ভাইরাল বলি৷ এটা আসলে সাফল্য নয়৷ বরং এই বিষয়গুলো মানুষকে দিনে দিনে নিম্নগামী করে৷
ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ থাকতে শেখাবে সিসিমপুর
ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ থাকতে শেখাতে একসঙ্গে কাজ করেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুর।
সম্প্রতি বিটিআরসি ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
এতে ইন্টারনেট জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখা ও ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে শিশু ও অভিভাবকদের উৎসাহী করতে একসঙ্গে কাজ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
চুক্তির আওতায় বিটিআরসি পরিচালিত ‘সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ প্রকল্পের ১০০ স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা হবে।
সিসিমপুরের বাস্তবায়নাধীন ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান এবং সিসেমি ওয়ার্কশপের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম চুক্তিতে সই করেন।
২০২১ সাল থেকে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত এবং ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে 'সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট' প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।
প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে শিশুদের জন্য গল্পের বই, শিশু ও অভিভাবকদের জন্য সচেতনতামূলক ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, গেমস তৈরি ছাড়াও বিটিআরসির সঙ্গে যৌথভাবে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টাল ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে।
আইফোনকে টপকে শীর্ষে স্যামসাং
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বিশ্বব্যাপী বিক্রি কমেছে আইফোনের। এতে করে স্মার্টফোন বিক্রিতে বাজারের শীর্ষস্থান হারিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। তাদের টপকে বর্তমানে শীর্ষে অবস্থান করছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (আইডিসি) রোববার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী স্যামসাং স্মার্টফোনের বিক্রি গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ৯৪ লাখে। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক টেক জায়ান্টটির বর্তমান পরিমাণ ।
এর আগে ২০২৩ সালের শেষ চার মাসে রীতিমতো সুবাতাস বইছিল আইফোনের ব্যবসায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে স্যামসাংকে হারিয়ে শীর্ষ ফোন বিক্রেতা হয় তারা। শেষ পর্যন্ত চার মাস পর আবার শীর্ষস্থান দখলে নিল স্যামসাং। ২০ দশমিক ৮ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে অ্যাপলকে তারা ঠেলে দিয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই মুহূর্তে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অ্যাপল স্মার্টফোনের।
এদিকে বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও একটু শক্ত করে নিয়েছে শাওমি ও হুয়াওয়ের মতো কোম্পানিগুলো। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মার্কেটে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন চীনের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি।
২০২৪ সালের শুরুতে স্যামসাং বাজারে আনে তাদের সবশেষ ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ এস-২৪। একই সময়ের মধ্যে এই সিরিজের ছয় কোটি ফোন বিক্রি হয় বিশ্বজুড়ে। বাজারে আসার প্রথম তিন সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী এস-২৪ সিরিজের বিক্রি তার পূর্বসুরী ২৩ সিরিজের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি ছিল।
আইডিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম চতুর্থাংশে অ্যাপল বিক্রি করে পাঁচ কোটি ইউনিট ফোন। অথচ গত বছর একই সময়ে তারা বিশ্বজুড়ে সাড়ে পাঁচ কোটি ইউনিট ফোন সরবরাহ করেছিল। ২০২২-এর শেষ চতুর্থাংশের তুলনায় ২০২৩ সালে চীনে অ্যাপল স্মার্টফোনের সরবরাহ কমে ২.১ শতাংশ।
চীন অ্যাপল ফোনের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। কিন্তু কিছু চীনা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। চীনা অ্যাপ ব্যবহারে মার্কিন সরকারের কড়াকড়ি আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় শি জিন পিং প্রশাসন।