• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৭
ফাইল ছবি

প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোকে দমিয়ে রেখে স্মার্টফোনের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ তুলে টেক জায়ান্ট অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দেশটির নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালতে বিচার বিভাগ এই মামলা করে। মামলা চালিয়ে নিতে ১৬ সদস্যের যে আইনজীবী দলটি গঠন করেছে সরকার। সেই দলের প্রত্যেকেই এক একটি অঙ্গরাজ্যের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কূটকৌশল এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্টফোনের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার ও বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে অ্যাপল।নিজেদের ব্যবসা পরিচালনাসংক্রান্ত সার্বিক অপারেশনের অন্তত ৫টি ক্ষেত্রে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে কোম্পানিটি।

আদালতে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন করেছে মার্কিন সরকারের আইনজীবী দলটি। দলের অন্যতম সদস্য অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্মার্ট ফোনের বাজারে প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা নিশ্চিতের জন্য নিজেদের একচেটিয়া প্রভাবের অপব্যবহার করছে অ্যাপল,যা যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত আইনে অপরাধ। ক্রেতাদের এমন কোনো কোম্পানির পণ্য চড়া মূল্য দিয়ে কেনা উচিত নয়, যেটি আইনের কোনো পরোয়া করে না।

সংবাদ সম্মেলনে মেরিক গারল্যান্ড বলেন, অ্যাপল কখনো চায় না যে তাদের আইফোনের অ্যাপস্টোরে যেসব অ্যাপ রয়েছে, সেসবের চেয়ে উন্নত কোনো অ্যাপ বাজারে আসুক। নতুন প্রতিযোগী অ্যাপের আগমন ঠেকাতে অ্যাপল নিয়মিত তার ‘অ্যাপ রিভিউ’ প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করছে।

গারল্যান্ড আরও বলেন, স্মার্টওয়াচের বাজার নিজেদের দখলে রাখতে আইফোনে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে অ্যাপল, যার ফলে অ্যাপলের নিজেদের কোম্পানির তৈরি স্মার্টওয়াচ ব্যতীত অন্য কোনো কোম্পানির স্মার্টওয়াচের সঙ্গে যেন আইফোনের সংযোগ স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে মামলা দায়েরের পর এক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপল জানিয়েছে, আদালতকে মামলাটি খারিজ করার অনুরোধ করবে তারা। তবে এই অনুরোধ ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অ্যাপল বলছে, ‘তথ্য ও আইনের প্রেক্ষিতে মামলাটি ভুল এবং আমরা এর বিরুদ্ধে জোরালোভাবে লড়াই করব।’

২০০৯ সাল থেকে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে তৃতীয়বারের মতো আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছে অ্যাপল এবং রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে কোম্পানির বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম অ্যান্টি-ট্রাস্ট চ্যালেঞ্জ।

যদি সরকার মামলায় জয়লাভ করে, তবে এটি অ্যাপলকে তার বর্তমান চুক্তি ও অনুশীলনগুলো সংশোধন করতে বাধ্য করতে পারে, এমনকি কোম্পানিটি ভেঙে ফেলতে পারে। কারণ বিনিয়োগকারীদের ওপরও আইনি লড়াইয়ের প্রভাব পরায় অ্যাপলের শেয়ার ৪ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে।

তবে এসব পরিবর্তন বাস্তবায়িত হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। কারণ মামলাটি আদালতে নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লাগবে। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রেবেকা অ্যালেনসওয়ার্থ মামলাটিকে ‘ব্লকবাস্টার’ হিসেবে অভিহিত করেন। এর আগে গুগল, মেটা ও আমাজন সবাই একই ধরনের মামলার মুখোমুখি হয়েছে।

তিনি বলেন, স্মার্টফোনের কার্যকারিতা বাড়ানো, প্রযুক্তি ও সফটওয়্যারকে ভোক্তা এবং অন্যান্য ব্যবসায়ের কাছে আরও অ্যাকসেসযোগ্য করে তোলার মতো বিষয় এই মামলার মূলে রয়েছে। মামলাটি অ্যাপলকে ছোট ইউনিটে বিভক্ত করা বা বিভাজন বন্ধ করার বিষয়ে নয়। অ্যাপল তার আইওএস ইকোসিস্টেমে ও ব্যবসায়িক অনুশীলনের জন্য ক্রমবর্ধমান আইনি প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে।

বিচার বিভাগের মতে, মার্কিন স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলের শেয়ার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিস্তৃত স্মার্টফোন বাজারে কোম্পানিটির শেয়ার ৬৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচিত অংশীদার হওয়া, শত্রু নয়: শি জিনপিং
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
X
Fresh