প্রমাণ করলেন জো বাইডেন
৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন। পূরণ হলো দীর্ঘ পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবনে হোয়াইট হাউস অধিকারের স্বপ্ন।
জো-বাইডেন। পুরো নাম জোসেফ বাইডেন জুনিয়র। জন্ম ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর। বাবা জোসেফ বাইডেন সিনিয়র আর মা ক্যাথরিন ফিনেগান।
জো বাইডেনের জন্য শুরুটা বেশ কঠিনই ছিল। নয় মাস আগেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবার সম্ভাবনা মলিন হয়ে গিয়েছিল আইওয়া ককাসের ভোটের ফলাফলে। তবে চেষ্টাই যে মানুষকে স্বপ্নের শিখরে নিয়ে যায় তাই প্রমাণ করলেন জো বাইডেন।
সহকর্মী সিনেটর বব কেরির মতে, অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে টিকে থাকা একজন ব্যক্তি হলেন জো বাইডেন। ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় যিনি স্ত্রী ও এক সন্তানকে হারান।
জো বাইডেনের বাবা ব্যবসায়ী হলেও কৈশোর কেটেছে অভাব অনটনে। পেনসিলভেনিয়ায় খুবই সাদামাটা এক যৌথ পরিবারে বড় হন তিনি।
ছোট থেকে তোতলামির অভ্যাস থাকায় উচ্চ শ্রেণি পর্যন্ত ভুগতে হয় জো-বাইডেনকে। উচ্চশিক্ষা নেন ডেলাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেখান থেকে সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়েন।
১৯৭২ সালে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে সিনেটে জয়ী হন তিনি। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সেই তার পথচলার শুরু। সম্ভাবনা থাকলেও ১৯৮৭ সালে ডেমোক্রেট দলের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন। আইওয়ায় এক বিতর্কে অন্যের ভাষণ অনুকরণের অভিযোগে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি।
এর বিশ বছর পর নতুন করে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবার লড়াইয়ে নামেন বাইডেন। তবে সেই লড়াইয়ে সফল হননি। বারাক ওবামা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেলে রানিং মেট হিসেবে বেছে নেন বাইডেনকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জো বাইডেনের সাফল্যের পেছনে রয়েছে বারাক ওবামার ডেপুটি হিসাবে দীর্ঘ আট বছর দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা। এবার একজন কৃষ্ণাঙ্গ-ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী কমালা হ্যারিসকে তিনি বেছে নেন রানিং মেট হিসাবে।
আরও পড়ুন:
আমি হব সবার প্রেসিডেন্ট: জো বাইডেন
বিক্ষুব্ধ ট্রাম্প শিবির
আমি বিশাল ব্যবধানে জয়ী: ট্রাম্প
এসএস
মন্তব্য করুন