গোপনে বিয়ে করেছেন মনোজ-মৌ!
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক ও সঞ্চালক মৌসুমী মৌ গোপনে বিয়ে করেছেন। বিয়ের খবর প্রকাশ হতেই সহকর্মী-অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তারা। তাদের বিয়ের ছবি প্রকাশ করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।
ফেসবুকে পাঁচটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘মনোজ ও মৌ-এর বিয়ে! আহা!!’
ছবিতে দেখা যায়, বরের পরনে কালো পাঞ্জাবি আর কনের পরনে লাল শাড়ি। দুজনের গলায় ফুলের মালা। ছবিতে তাদের বেশ আনন্দময় ও অন্তরঙ্গ দেখা যায়। হঠাৎ তাদের বিয়ের খবরে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কিন্তু সবাই তাদের শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেননি।
পরবর্তীতে জানা যায় মূল ঘটনা। নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর ঈদের বিশেষ নাটকে দেখা যাবে মনোজ ও মৌকে। শুটিং সেটেই তাদের কস্টিউমসহ ছবিগুলোই প্রকাশ করা হয়েছে।
এনএস
মন্তব্য করুন
শাকিব খানের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বুবলী
বুবলী-শাকিব খানকে নিয়ে আলোচনা যেনো থামছেই না। কিছুদিন পরপরই নতুন নতুন ইস্যুতে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন তারা। এবার শবনম বুবলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তার ‘প্রাক্তন’ স্বামী শাকিব খানের পরিবারের। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেসব অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার পর এবার মুখ খুললেন বুবলী। তার দাবি, তিনি শাকিব খানকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেননি।
বুবলী গণমাধ্যমকে বলেন, আমার নিজেকে বা সিনেমাকে আলোচনায় রাখতে কারও নাম বা কাহিনি বলতে হয় না। কারণ, আমার এবং সিনেমার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা, সিনেমার টিম এবং দর্শকরাই যথেষ্ট। বরং আপনারা দেখছেন কারা আলোচনায় থাকতে একের পর এক সিরিজ নিউজ করে আমার নাম নিয়ে যেকোনো প্রোগ্রাম বা সাক্ষাৎকারে কথা বলেই যাচ্ছে বছরের পর বছর।
শাকিব খানের পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগের ব্যাপারে বুবলী বলেন, নিউজটি দেখেছি। অনেক অভিযোগ। দেখুন নিউজে ঘনিষ্ঠসূত্র, পরিবারের এক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক—এসব সূত্রেই বা কী কথা বলব? নির্দিষ্ট কারও নাম বা কথা থাকলে কথা বলতে সুবিধা হতো। অভিযোগ ধরে ধরে বলা যেত।
নায়িকা বলেন, আমি আমার সিনেমা মুক্তির প্রমোশনাল প্রোগ্রামে যখন অংশগ্রহণ করি, তখন সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিষয় চলে আসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে। তখন আমি সবাইকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক উত্তর দিই। কোথাও কাউকে অসম্মান করে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি না। এখন কেউ সম্মান দেওয়া হজম করতে না পারলে জোর করে আর সম্মান দেব না।
শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ বিষয়ে বুবলী বলেন, আমি এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে কোনো মিথ্যাচার করিনি, যা নিয়ে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারি। মিথ্যাচার করে আমার কী লাভ? আপনাদের দোয়ায় আমি নিজেই প্রতিষ্ঠিত। চাঁদের মতো আমার সন্তান শেহজাদ আছে। আমার বাবা–মায়ের ভালোবাসা আছে আমার সঙ্গে। তাই আমার জীবনে তো নতুন করে চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই।
শাকিব খানের পারিবারিক একটি সূত্র সম্প্রতি দাবি করেন, বুবলী প্রায়ই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কিং খানকে নিয়ে মিথ্যাচার করেন। তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক না থাকারও পর বুবলী বলে বেড়ান, তাদের ডিভোর্স হয়নি। তারা আলাদা থাকছেন মাত্র। সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি এও বলেন, ছেলে শেহজাদ খান বীরের বাহানায় প্রায়ই বুবলী শাকিব খানের অফিস ও বাসায় গিয়ে হাজির হন। এরপর শাকিবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার সঙ্গে ছবি তুলতে তৎপর হয়ে ওঠেন। এরপর সেগুলো ফেসবুকে পোস্ট করে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকই আছে।
এর জন্য বুবলীকে নাকি বাসা এবং অফিস দুই জায়গাতেই নিষিদ্ধ করেছেন শাকিব খান। ছেলে বীরকে যদি বাসায় আনতেই হয়, তাহলে বুবলী বাদে অন্য কেউ যেন নিয়ে আসেন বলে জানায় শাকিবের পারিবারিক সূত্র। বুবলীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, আমিও চাই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাহলে আমি যে কোনো মিথ্যাচার করিনি, সেটাও আমি প্রমাণসহ আইনিভাবে তুলে ধরতে পারব।
শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন উঠেছে তৃতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। ইতোমধ্যে তার পরিবার থেকেও নাকি বিয়ের তোড়জোড় চলছে। আর শাকিবও চান বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়ে করতে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা এগোচ্ছে শাকিবের। আর এ কারণে অপু বিশ্বাস এবং শবনম বুবলীকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন না চিত্রনায়কের পরিবার।
একই সঙ্গে শাকিবের পরিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শাকিবকে নিয়ে কোনো রকম মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
এ প্রসঙ্গে সত্যতা জানতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে এখনই কথা বলতে নারাজ অপু। অভিনেত্রী বলেন, আপাতত এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাইছি না। তবে খুব শিগগিরই কথা বলব।
দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব-অপু। টানা আট বছর সুখে সংসারও করেন তারা। এমনকি সন্তানের মা-বাবাও হন সাবেক এই তারকা দম্পতি। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের মাঝে ঢুকে পড়েন বুবলী। তৈরি হয় শাকিব-অপুর সম্পর্কের টানাপোড়েন।
মূলত বুবলীর সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক তৈরি হওয়াতেই বাঁধে বিপত্তি। নিজের সংসার টেকাতে অনেকটা অনিশ্চয়তা থেকেই নিজের গোপন বিয়ে আর সন্তান জয়কে নিয়ে মিডিয়ার সামনে আসেন অপু। নানান নাটকীয়তার পর শাকিব-অপু প্রকাশ্যে সংসার শুরু করলেও বেশিদিন টেকেনি।
পরবর্তীতে অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বুবলীকে নিয়ে সংসার শুরু করেন শাকিব। সেই সংসারে শাকিব-বুবলীর কোল জুড়ে আসে ছোট্ট বীর। তবুও ভেঙে যায় তাদের সেই সংসার। ধীরে ধীরে বুবলীর সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয় শাকিবের।
বর্তমানে দুই সন্তানের বাবা হলেও সিঙ্গেল জীবন কাটাচ্ছেন শাকিব। তবে সন্তানদের কারণে অপু-বুবলীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়েছে তার।
এদিকে বিচ্ছেদের পর বুবলীর সঙ্গে সখ্যতা না থাকলেও অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছিল শাকিবের। পরিবারের সঙ্গেও এবারের ঈদও উদযাপন করেন অপু।
এতে ভক্তরাও ভাবতে শুরু করেন হয়তো আবারও এক হতে যাচ্ছেন শাকিব-অপু। কিন্তু তাদের সেই ভাবনাতেও পানি ঢেলে দিলো চিত্রনায়কের পরিবার। নতুন করে যখন পথ চলতে শুরু করেছেন তারা ঠিক সেই সময়ে ঢালিপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে শাকিবের তৃতীয় বিয়ের কথা।
নির্মাতা সৌদের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন নীলাঞ্জনা নীলা
নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের সিনেমা ‘গহীন বালুচর’ দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় নীলাঞ্জনা নীলার। এর সাত বছর পর একই নির্মাতার ‘শ্যামাকাব্য’ দিয়ে আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। কিন্তু এর মাঝেই গুঞ্জন উঠেছে নির্মাতা সৌদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নীলা।
শুধু তাই নয়, গোপনে নাকি জমে উঠেছে তাদের প্রেমের রসায়ন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নীলা। নির্মাতার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নাকি স্রেফ গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নীলা বলেন, তার সঙ্গে বড় পর্দায় আগেও কাজ করেছি। তার পুরো টিমের সঙ্গেই আমার পারিবারিক একটা সম্পর্ক। তিনি ভীষণ পছন্দের একজন ডিরেক্টর আমার। খুব ভালো করে বোঝাতে পারেন।
নির্মাতা সৌদের সঙ্গে নীলার প্রেম চলছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, আমি তো এটা কখনোই শুনিনি। এটা কোথা থেকে এলো! এটা পুরোই ফালতু একটি কথা।
প্রেমের বিষয়টি স্রেফ গুঞ্জন পুরো জানিয়ে নীলা বলেন, এটাকে পুরোই হাস্যকর লাগল আমার কাছে। আমি জানি না এটা কারা ছড়াচ্ছে, কেন ছড়াচ্ছে, কীভাবে ছড়াচ্ছে। এটা জাস্ট একটা ফালতু কথা। কেন এ ধরনের কথা উঠল আমি নিজেও জানি না। এটা কীভাবে সম্ভব!
অবশেষে জানা গেল ভাইরাল ওই কনসার্টের গায়কের পরিচয়
বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখলেই ঘুরে ফিরে আসছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে অপেক্ষমান এক মাঠ শ্রোতাদের মাঝে নেচে নেচে এসে গান শোনাতে থাকেন এক গায়ক। তবে ওই ভিডিও দেখে সে গায়ককে চেনার উপায় নেই। কেননা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে যে কারও মুখ বসিয়ে দেওয়া যাচ্ছে গায়কের জায়গায়। নেটিজেনরা তা সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করে হাসি-ঠাট্টাও করছেন।
এবার জানা গেল ওই গায়কের আসল পরিচয়। এটি আমেরিকার জনপ্রিয় র্যাপার লিল ইয়ার্টির এক কনসার্টের দৃশ্য। ২০২১ সালের আগস্টে শিকাগোর ডাগলাস পার্কে আয়োজিত হিপহপ ফেস্ট ‘দ্য সামার স্মাশ ফেস্টিভ্যাল’–এ গেয়েছিলেন তিনি; সেই মঞ্চে ওঠার সময় ভিডিওটি করা হয়েছিল।
২০২২ সালের ২০ জুন ইউটিউবে প্রকাশিত হয়ে লিল ইয়ার্টির ভিডিওটি। মিম ভিডিও নিয়ে আলোচনার মধ্যে আসল ভিডিওটির ‘ভিউ’ হু হু করে বাড়ছে। ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৫২ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। এত দিন পর হঠাৎ করে কোন প্রেক্ষাপটে ভিডিওটি ‘ভাইরাল’ হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে লিল ইয়ার্টি একাধারে একজন গীতিকার ও গায়ক। ২৬ বছর বয়সী গায়ক আলোচনায় আসেন ‘ওয়ান নাইট’গানটির মাধ্যমে। গানটি প্রকাশ পেয়েছিল ২০১৫ সালে।
এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব!
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। এবার তাকে দেখা গেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে সাকিবের ক্ষোভের বিষয়টি দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি জায়েদ খানের।
অনুমান করা হচ্ছে, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জায়েদ খানের কোনো ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সে কারণেই হয়তো জায়েদ খানের ওপর চটেছেন সাকিব। শেষমেশ মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে হাতে থাকা ফোনটি পানিতে ছুড়ে মারেন।
ভিডিওটি ঠিক কোন জায়গায় ধারণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ভিডিওটির বিশ্লেষণে অনুমান করা যায়, সেটি কোনো রিসোর্ট কিংবা হোটেলের সুইমিংপুল হতে পারে।
জানা গেছে, ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে সেখানে সাকিবের সঙ্গে দেখা হয় জায়েদ খানের। তখন একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাঝেই ঘটে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
যদিও এই ঘটনার রেশ ধরে এখনো তাদের কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
‘নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে’
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। এবার তাকে দেখা গেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে সাকিবের ক্ষোভের বিষয়টি দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি জায়েদ খানের।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, নাম্বার ওয়ান বলেই কি ফোন ফেলে দেবে? শিগগিরই সব জানাবো, তারপর আপনারাই বিচার কইরেন।
জায়েদের এ স্ট্যাটাস দেখে এটি স্পস্ট যে ভিডিওটি সাজানো। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি শুটিংয়ের অংশ হয়ে থাকতে পারে। তবে এটি কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অংশ নাকি অন্য কোনো ধর নের শুটিং তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
বর্তমানে সাকিবের কাঁধে রয়েছে গুরু দায়িত্ব। শুধু মাঠে না, সংসদে ভবনেও যেতে হয় তাকে। কেননা তিনি এখন নির্বাচিত সংসদ সদস্য। অন্যদিকে জায়েদ খান ব্যস্ত বিভিন্ন শোরুম উদ্বোধন নিয়ে। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিনোদিত করেন। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার সিনেমা সোনার চর।
শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
দুই প্রাক্তন স্ত্রীর বাগবিতণ্ডায় বিরক্ত ও বিব্রত শাকিব খানের পরিবার। যার ফলে দুজনের জন্যই বন্ধ হয়ে গেছে এই নায়কের বাড়ির দরজা। তাদের কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে দিতে চায় না শাকিবের পরিবার। এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ে করছেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়ক। খবরটি পুরোনো হলেও নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না অপু। রীতিমতো বিরক্ত তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবশেষে মুখ খুললেন এ নায়িকা।
অপু বলেন, শাকিব তো একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলার থাকলে তিনি নিজেই বলবেন। তিনি তো আমার ছেলে জয়ের মতো ছোট নন। তবে প্রতিনিয়ত এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতে আমি বিরক্ত।
এ সময় ছেলে জয়কে নিয়ে অপু আরও বলেন, শাকিব শুধু বাংলাদেশের সব থেকে বড় তারকা নন। তিনি আর্ন্তজাতিক মানের তারকা, বুদ্ধিমান মানুষ। আমার ও শাকিবের যেহেতু সন্তান রয়েছে, তাই সম্পর্ক থেকেই যায়। একসময় আমার তরফে জয়ের পরিচয় দিতে সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিতে হয়েছিল। সেই সময় পরিস্থিতি তেমনই ছিল। তবে এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি না। দীর্ঘ নয় বছরের সম্পর্ক আমাদের। ওর পরিবারের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তা তো ছিন্ন হওয়ার নয়! আর এই মুহূর্তে, বিশেষত ছেলের একটা সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ওকে বাইরে পাঠাচ্ছি।
শোনা যাচ্ছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
শাকিবের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সীগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সীগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন।