• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা ইরানের
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে নিজঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১৩ মে) ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মো. ইলিয়াস (৪৩) রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪-এর ‘সি’ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হোসাইন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, উখিয়ার আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ‘সি’-এর ৩ নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মো. ইলিয়াস। ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানেই  ইলিয়াসকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি আভিযানিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মো. ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার মরদেহ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ খুন
উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক
উখিয়ায় পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় শিশু নিহত 
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুইডেনের রাজকন্যা
উখিয়ায় ক্যাম্প থেকে গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময়  দুটি ওয়ানশুটারগান ও গুলিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  রোববার (১০ মার্চ) রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুটি ক্যাম্প থেকে ৫ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বর্ধিত ক্যাম্প-৪ এর আবুল বাছেরের ছেলে মোহাম্মদ সালাম, বি-১ ব্লকের আমির হোসেনের ছেলে জিয়াউর রহমান, ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট আই-১৩ ব্লকের মোহাম্মদ ওলা মিয়ার ছেলে হাশিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার হাশিম, এ-২৯ ব্লকের জাফর উল্লাহর ছেলে রহিম উল্লাহ ও ক্যাম্প-৪ এর এ-১১ ব্লকের মৃত মো. রশিদের ছেলে আতাউল্লাহ। অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট ও ক্যাম্প-১৭ এলাকায় বিশেষ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২টি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ২ রাউন্ড তাজা গুলিসহ দুজন এবং ৩ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৪ এপিবিএন, জেলা পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারসহ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নেয়। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ক্যাম্পে অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলমান রয়েছে ৷ এর মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ ৩ ‘আরসা’ সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি-আরসার ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, আগের রাতে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত অংশে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড আবুল হাশিম, আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির দেহরক্ষী রয়েছেন। তাৎক্ষণিক আরেকজন আরসা সদস্যের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। কর্নেল সাজ্জাদ বলেন, উখিয়ার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে গোপন খবরে সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে ওই ক্যাম্পে তল্লাশি চালিয়ে আরসার তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং দুটি বিদেশি অস্ত্র, একটি এলজি ও চারটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
খাকি পোশাক পরা মরদেহ ভেসে এলো বাংলাদেশে
কক্সবাজারের উখিয়ায় খালের ঝিরি দিয়ে মিয়ানমার থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক মরদেহ বাংলাদেশ সীমান্তে ভেসে এসেছে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বালুখালী কাস্টমস এলাকায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা।  মরদেহের মাথায় জলপাই রংয়ের হেলমেট ও খাকি পোশাক পরা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।  তাদের ধারণা, মিয়ানমার বাহিনীর কোনও সদস্যের মরদেহ এটি। স্থানীয়রা জানান, মরদেহের মুখে কালি রয়েছে। মাথায় হেলমেট ও শরীরে খাকি পোশাক পরা। এটা মিয়ানমারের বিজিপি অথবা দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কোনও সদস্যের মরদেহও হতে পারে এটি। মরদেহটি খালের ঝিরির চলন্ত পানিতে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া থেকে ভেসে এসেছে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, খালের ঝিরি দিয়ে মরদেহটি ভেসে আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিদর্শন শেষে তারা ফিরে এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। 
ভারী অস্ত্র লুট, ক্যাম্পে আতঙ্ক
মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলিতে টিকে থাকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ভারী অস্ত্র কেড়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সীমান্তের ওপারে গিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবা লুটের অভিযোগও উঠেছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে।  সম্প্রতি ভারী অস্ত্র হাতে তাদের কয়েকজনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রসহ পালিয়ে আসার সময় ২৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। আরও কিছু রোহিঙ্গার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি একে-৪৭ রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, প্রচুর গুলি লুট করেন স্থানীয় রোহিঙ্গারা। পরে দুটি একে-৪৭ রাইফেল বিজিবির কাছে তুলে দেওয়া হলেও বাকি অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা অপরাধীদের কাছে রয়ে গেছে। সূত্রের বরাতে জানা যায়, ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর থেকে হেলাল পালংখালী ইউনিয়নের পুঠিবনিয়া ও সফিউল্লাহ কাটা এলাকায় রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নবী হোসেন গ্রুপের সহযোগী হিসেবেও কাজ করছেন। পালিয়ে আসা নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যদের নিরাপদে ক্যাম্পে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছেন হেলাল।  এ বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আমার কাছেও অস্ত্র লুটের খবর এসেছে। সেদিন ২৩ জনকে আটক করা হলেও অনেকে বিভিন্নভাবে ক্যাম্পে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য না পেলে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। অস্ত্র মজুতের তথ্য সঠিক হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটতে পারে। এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কিছু রোহিঙ্গার কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ অস্ত্র বা গুলি জমা রাখেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কোনো ব্যক্তির কাছে যদি একটি গুলির খোসাও পাওয়া যায় তারপরও ছাড় দেওয়া হবে না।
সীমান্তে একাধিক মরদেহ
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় একাধিক মরদেহ পড়ে আছে। আরকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সংঘর্ষের ঘটনায় এ মরদেহের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা।  শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব মরদেহ পড়ে থাকার দাবি করেছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল এলাকায় কয়েকজনের মরদেহ পড়ে আছে। কয়েকজন কৃষক তিন থেকে চারটি মরদেহ সীমান্তের পাশে পড়ে থাকতে দেখেছেন। স্থানীয় শিক্ষক নুরুল বশর বলেন, রহমতের বিল থেকে ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবুনিয়া সীমান্তের দূরত্ব আধা কিলোমিটার। সীমান্তের এপারে তিন থেকে চারটি মরদেহ পড়ে আছে।  উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে এমন খবর পেয়েছি। শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু সীমান্তের একেবারে কাছাকাছি লাশগুলো থাকায় নিরাপত্তা জনিত কারণে পুলিশ তা উদ্ধার করতে পারেনি। তবে তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশ, মিয়ানমারের ২৩ জনের বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র নিয়ে অনুপ্রবেশ করা ২৩ জনকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় শুক্রবার (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।  অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।  তিনি জানান, পালংখালী ইউনিয়নের থ্যাংখালী রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ২৩ জনের বিরুদ্ধে বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মামলা নথিভুক্ত করেছি। এই মামলা পুলিশ তদন্ত করবে।  আটককৃতরা মিয়ানমারের নাগরিক কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, তারা বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।  পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী বলেন, গত মঙ্গলবার রহমতের বিল দিয়ে কিছু লোক ভিন্ন পোশাকে অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে স্থানীয়দের ওপর বোমা হামলা করে। এ সময় কয়েকজন লোক আহত হয়। পরে তাদের ধাওয়া করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।