• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ছাত্রলীগ নেতাকে বেদম পিটুনি, ভিডিও ভাইরাল
কক্সবাজারে র‍্যাব-ডাকাত গোলাগুলি, কৃষক নিহত 
কক্সবাজারের ভারুয়াখালীতে র‌্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে বায়াত উল্লাহ নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বেসরকারি সংস্থা ‘প্রত্যাশী’ এর কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে শেরে বাহিনী নামে পরিচিত ডাকাত দল অপহরণ করে। বিষয়টি জানার পর র‍্যাব এনজিওকর্মী মাসুদকে উদ্ধারে ভারুয়াখালীর ৯নং ওয়ার্ড মুরাপাড়া এলাকার পাহাড়ে অভিযান চালায়। ওই অভিযানের সময় র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে কৃষক বায়াত উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত বায়াত উল্লাহর ভাই করিম উল্লাহ জানান, ডাকাত ফরহাদ বাহিনীর সদস্যরা একজন এনজিও কর্মীকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গেলে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে আনা হলে আমার ভাই মারা যান।  তিনি বলেন, শেরে বাহিনীর প্রধান ডাকাত ফরহাদ মোস্তাক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বাজারে আসলে সবার মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতো। এদিকে আহত বেশ কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান। জানা যায়, এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‍্যাব। অভিযানে ডাকাত ফরহাদকে আটক করা হয়েছে বলে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা জানান, র‌্যাব পুরো বিষয়টি নিয়ে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানাবে।
কক্সবাজারে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৩
উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আটক
কক্সবাজারে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ২
নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউপিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন 
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের মৃত্যু 
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নেমে মতিউর রহমান নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। পর্যটক মতিউর রহমান কুমিল্লার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সৈকতের লাইফগার্ড কর্মী মোহাম্মদ ওসমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পর্যটক মতিউর রহমান সকালে সমুদ্রসৈকতে নামেন। তিনি ফোনে কথা বলার একপর্যায়ে হঠাৎ সৈকতের বালুতে পড়ে যান। তখন দায়িত্বরত লাইফগার্ড কর্মীরা দেখতে পেয়ে ছুটে যায়। পরে বিচ কর্মীদের সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পর্যটক মতিউর রহমানকে। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মতিউর রহমান হার্ট অ্যাটাক করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী পাহাড়ি এলাকার মুরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেন প্রকাশ পেটুর ছেলে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ১০ জন কৃষককে অপহরণ মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে সরাসরি নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। আসামি বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে তার জড়িত থেকে লোমহর্ষক বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেয়। আসামির বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণসহ আরও ৪টি মামলা রয়েছে। আসামিকে আইনি কার্যক্রম শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা: এফএসআইএন
মিয়ানমারের সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার কারণে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা ২০১৭ সাল থেকে একটি বড় খাদ্য সংকট হিসেবে জিআরএফসি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত বছর জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।   বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে ফুড সিকিউরিটি ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (এফএসআইএন) প্রকাশিত প্রতিবেদন ২০২৪-এ বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে নিষ্ফলা মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষতীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার উচ্চমাত্রার সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে, যার ৬৫ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও ।  সংস্থাটির মতে, এসব মানুষের তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় বিশেষভাবে প্রভাব রেখেছে প্রতিকূল আবহাওয়া, বৈশ্বিক যুদ্ধ-সংঘাত ও উচ্চমাত্রায় দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ নেটওয়ার্কের সদস্য। এটির অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বজুড়েই গত বছর খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। ওই বছর ২৮ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ সংঘাত, বিশেষ করে গাজা ও সুদানে লড়াই চলার কারণে তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদন ও ২০২৩ সালে খাদ্যের সহজলভ্যতার উন্নতি হলেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ধাক্কায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তিই রয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ তা এসে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে জ্বালানি, গমের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য, সার ও গবাদিপশুর খাবার আমদানিতে বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রাখে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের আমদানি ব্যাহত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া। ফলে একদিকে খাদ্যশস্যের আমদানি কমার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্যের উৎপাদন খরচ বাড়ে।   প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অব্যাহত উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর খাদ্যসুবিধা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এসব মানুষের আয় ক্রমেই কমেছে ও তাঁদের খাদ্যপণ্য কেনার খরচ বেড়েছে।   ২০২২ সালে ৭০ লাখের বেশি মানুষ অস্বাভাবিক মৌসুমি বন্যার শিকার হন এবং প্রধানত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গৃহহীন হন ২০ লাখের বেশি মানুষ। এতে তাঁদের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ কারণে ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করার সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে তাঁদের। আগস্টে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি হয়। এর শিকার হন ১৩ লাখ মানুষ।   ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের মধ্যে ছয় লাখের খাবার, সুপেয় পানি, ওষুধ ও বিদ্যুতের মতো মৌলিক সেবার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। একই সময় রাজশাহীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ দেখা দেয় এবং দেশে ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটে। মৌসুমভিত্তিক কর্মসংস্থানের প্রভাব এবং খাদ্যসুবিধা ও প্রাপ্যতার ওপর পুনঃপুন বিপর্যয় মানুষের মধ্যে বড় ধরনের পুষ্টির ফারাক তৈরি করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দুটি রেশন কাটছাঁট খাদ্য গ্রহণের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছিল। রেশন কাটছাঁটের কারণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের গ্রহণযোগ্য খাদ্য গ্রহণের স্কোর ছিল, যা ২০২২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ।  ২০২২ ও ২০২৩ সালে মিয়ানমারে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরার কোনো প্রত্যাশিত সম্ভাবনা নেই। বাইরে কাজ করার সুযোগ সুযোগ, আয়, জমি এবং পানীয় জলের উৎসগুলোর ওপর চাপের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। 
মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাত, টেকনাফে এসে পড়লো গুলি
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি (এএ) ও কয়েকটি বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান এই সংঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে আবারও একটি গুলি এসে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের জাদিমুড়া সিআইসি অফিসের জানালায় এসে গুলিটি পড়ে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতে থেমে থেমে মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দ আবারও টেকনাফের সীমান্তে ভেসে আসছে। এ ঘটনার জেরে গত রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি অফিসের জানালায় এসে একটি গুলি লেগে ছিদ্র হয়ে যায়। হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে চিংড়ির ঘেরে গেলে মিয়ানমারের ওপারে চলা গোলাগুলির শব্দের ভয়ে চিংড়ির ঘের থেকে চলে আসতে হয়েছে। গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘেরে থাকতে পারিনি। রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে। হ্নীলা জাদিমুড়া ক্যাম্প-২৭ মাঝি নুর আহমদ বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি থেকে এপারের ক্যাম্প-২৭ সিআইসি অফিসের জানালায় একটি গুলি এসে পড়ে ছিদ্র হয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেলে আমরা সেখানে গিয়ে বিষয়টি দেখে ক্যাম্পের দায়িত্বরত সিআইসিকে অবগত করি। উল্লেখ্য, এর আগে গত তিন মাস আগে মিয়ানমার রাখাইনের সংঘাত থেকে ঘুমধুম-উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে এসে পড়েছিল মর্টারশেল ও গুলি।
কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত
কক্সবাজার ডুলাহাজারা স্টেশনে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁও ডুলাহাজারা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী।  তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এতে ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।  তিনি আরও বলেন, ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী।
অপহরণের একদিন পর পল্লী চিকিৎসকসহ দুইজন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে একদিন পর পল্লী চিকিৎসকসহ দুজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি। তিনি বলেন, পাহাড়ে পুলিশের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ দুজনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা। অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫২) উখিয়ার থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই সাংবাদিক কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অটোরিকশাচালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে ফোনে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।   প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।