ভারী অস্ত্র লুট, ক্যাম্পে আতঙ্ক
মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলিতে টিকে থাকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ভারী অস্ত্র কেড়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সীমান্তের ওপারে গিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবা লুটের অভিযোগও উঠেছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি ভারী অস্ত্র হাতে তাদের কয়েকজনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
স্থানীয়রা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রসহ পালিয়ে আসার সময় ২৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। আরও কিছু রোহিঙ্গার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি একে-৪৭ রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, প্রচুর গুলি লুট করেন স্থানীয় রোহিঙ্গারা। পরে দুটি একে-৪৭ রাইফেল বিজিবির কাছে তুলে দেওয়া হলেও বাকি অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা অপরাধীদের কাছে রয়ে গেছে।
সূত্রের বরাতে জানা যায়, ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর থেকে হেলাল পালংখালী ইউনিয়নের পুঠিবনিয়া ও সফিউল্লাহ কাটা এলাকায় রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নবী হোসেন গ্রুপের সহযোগী হিসেবেও কাজ করছেন। পালিয়ে আসা নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যদের নিরাপদে ক্যাম্পে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছেন হেলাল।
এ বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আমার কাছেও অস্ত্র লুটের খবর এসেছে। সেদিন ২৩ জনকে আটক করা হলেও অনেকে বিভিন্নভাবে ক্যাম্পে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য না পেলে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। অস্ত্র মজুতের তথ্য সঠিক হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটতে পারে।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কিছু রোহিঙ্গার কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ অস্ত্র বা গুলি জমা রাখেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কোনো ব্যক্তির কাছে যদি একটি গুলির খোসাও পাওয়া যায় তারপরও ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন