• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মাদকের পাওনা টাকার জেরেই বগুড়ায় ৪ খুন

বগুড়া প্রতিনিধি

  ১৪ মে ২০১৮, ১৮:১৮

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ডাবইর নামক এলাকায় চারজনকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। চার যুবক খুনের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মাদকের পাওনা টাকার জেরে প্রথমে খুন করা করা হয় দুইজনকে। এরপর হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় খুন করা হয় আরও দুজনকে। খুনের শিকার চারজনই মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন জুয়েল শেখ (২৫), আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও রুবেল (২৭)। তাদের সকলের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলায়।

সোমবার দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা আরটিভি অনলাইনকে জানান, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৯ জনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কেন এবং কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : চবির শাটল ট্রেন অবরোধ স্থগিত
--------------------------------------------------------

গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছে, মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে স্থানীয় কিছু মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিরোধ ছিল খুনের শিকার জাকারিয়া ও সাহাবুল ওরফে সাবুর। এর জেরে ঘটনার ঘণ্টা দুয়েক আগে ফোন করে তাদের ডাবইর পাথার এলাকায় ডেকে নেয়া হয়। পরে তাদের ধানক্ষেতের ভেতরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এসময় জয়পুরহাটের দুই মাদক ব্যবসায়ী হেলাল ও খবির ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলে। পরে তাদেরকেও খুন করে আসামিরা। তবে এসবের বাইরেও ওই চারজনকে খুনের পেছনে অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহত জাকারিয়া একই উপজেলার কাঠগড়া গ্রামের জুয়েলের কাছে টাকা পেত। এ নিয়ে জাকারিয়ার সঙ্গে জুয়েলের প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার রাতে জুয়েল ও তার সহযোগীরা পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে জাকারিয়া ও সাবুকে ডাবইর এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে জুয়েল, আবুল কালাম আজাদ, রুবেলসহ আরও ছয়জন মিলে জাকারিয়া ও সাবুকে গলা কেটে হত্যা করে। এসময় ওই এলাকা দিয়ে হেলাল ও খবির ঢাকায় যাওয়ার যাওয়ার সময় মরদেহ দুটি দেখে ফেলে।

এসময় হত্যাকারীরা হেলাল ও খবিরকে জিজ্ঞাসা করে তারা লাশ দেখেছে কিনা? তারা মরদেহ দেখার কথা স্বীকার করে। এ কথা বলার পর হত্যাকারীরা ভয় পেয়ে হেলাল ও খবিরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাদেরকেও জবাই করে হত্যা করে।

এর আগে গেল ৬ মে শিবগঞ্জের একটি ধানক্ষেত থেকে চারজনের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত জাকিরের পিতা বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক আসলাম আলী।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়ে পুলিশ সুপারসহ গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে কিভাবে কোথায় হত্যা সংঘটিত হয়েছে তা আসামিদের কাছ থেকে বর্ণনা নেন।

আরও পড়ুন :

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কোটি টাকার মাদকসহ সংগীতশিল্পী গ্রেপ্তার 
বান্দরবানের লামায় রাইফেলসহ যুবক গ্রেপ্তার
কসবায় ছুরিকাঘাতে কৃষক হত্যা, গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ গ্রেপ্তার 
X
Fresh