• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এসির ওপর দাঁড়িয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না জুয়েল
রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় নিহত জুয়েল রানা গাজী (৩০) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম মধুখালী গ্রামের ইসমাইল গাজীর ছেলে। জীবন বাঁচাতে সাত তলা থেকে নামার চেষ্টা করেন তিনি। অনেক কষ্টে জানালার পাশে এসির ওপর দাঁড়ান জুয়েল রানা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি সাহসী এ যুবকের। অপ্রত্যাশিতভাবে নিচে পড়ে গিয়ে মারা যান জুয়েল।  শুক্রবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য জানান জুয়েলের ভাগিনা রাকিব।  জানা যায়, ওই ভবনে এমবাসিয়া নামের একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন জুয়েল। তার মা-বাবা ছাড়াও এক ভাই, তিন বোন রয়েছে। এ ছাড়াও জুয়েলের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, ছয় বছরের মেয়ে তাসনিয়া ও তিন বছরের ছেলে তাইফুর রয়েছে। বাড়িতে চলছে মাতম। শ্রমজীবী পরিবারের ছেলে জুয়েল ও বড় ভাই আল আমিন ঢাকায় কাজ করতেন। প্রায় ৩ বছর আগে জুয়েল ঢাকায় যান। মাঝখানে করোনার ধকলে বেকার ছিলেন।  জুয়েলের মরদেহ শুক্রবার শেষ বিকেলে কলাপাড়ায় বাড়িতে নিয়ে গেলে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এলাকার হাজারো মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করেন। পরে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জুয়েলকে।  নিহতের মামাতো ভাই সায়মন বলেন, পুরো পরিবারের দায়িত্ব ছিল জুয়েলের মাথায়। নিজে জীবনে কত কষ্ট করেছে তা আমি কাছ থেকে দেখেছি। আজ ভাই চলে গেল। এখন তার দুটি সন্তান ও তার বৃদ্ধ বাবা মাকে কে দেখবে। তাদের আর্থিক সংকট অনেক। জুয়েলের এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গ্রামবাসী কি বলে বৃদ্ধ বাবা মাকে সান্ত্বনা দেবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। জুয়েলের বন্ধুরাও শোকে ভাষাহীন। স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওসার মুসল্লি বলেন, জুয়েল অনেক ভালো ছেলে। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতো। আমরা চেষ্টা করবো সাধ্যমত ওর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল বলেন, পরিবারটি অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল জুয়েল। এখন পরিবারটি আরো অসহায় হয়ে পড়ল। পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকব সুখে দুঃখে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাড়িতে মরদেহ আসার খবর পেয়ে আমি উপস্থিত হয়ে দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেছি।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়