• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হামাসের অবস্থানগুলোতে হামলা চালাতে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী
ফিলিস্তিনে গাজায় হামাসের অবস্থানগুলোতে হামলা চালাতে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা থেকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দিয়ে এই হামলা পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।  বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন। মিশরের সীমান্ত সংলগ্ন রাফায় গাজার বাকি অংশ থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছে। এখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।   ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ইসরায়েল ‘স্থল অভিযান’ চালানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো সময়সূচি উল্লেখ করেননি তিনি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওই কর্মকর্তা জানান, হামলা চালানোর আগে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিয়ে রাখার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪০ হাজার তাঁবু কিনেছে, এর প্রতিটিতে ১০ থেকে ১২ জন থাকতে পারবে।  গাজায় ছয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার মুখে বহু ফিলিস্তিনি অন্য স্থান থেকে পালিয়ে রাফায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন। আগে রাফাকে ‘নিরাপদ’ শহর হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। এখন এই শহরটিও তাদের আক্রমণের লক্ষ্য হওয়ায় ওই ফিলিস্তিনিদের আবার পালাতে হতে পারে- এমন আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে আছেন তারা।   
২১ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আবারও বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন। গাজা অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো বর্বর এই আগ্রাসনে অন্তত ৩৪ হাজার ২৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত এসব বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজার ২২৯ জন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও স্কুলসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪ হাজার ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪

সমুদ্রের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে যৌথ উদ্যোগ ভারত ও ওমানের
চোরাচালার কিংবা অপহরণ, এ জাতীয় যেকোনো ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং রয়েল ওম্যান পুলিশ।   বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নয়াদিল্লিতে এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সমুদ্রে বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে বুধবার দিল্লিতে বিশেষ বৈঠক করলেন ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী এবং রয়্যাল ওমান পুলিশ উপকূল রক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরা।  ওমানের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কমান্ডিং কর্নেল আব্দুল আজিজ মহম্মদ আলি আল জাবরী। ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর তরফে ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ পাল।  বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য দুই দেশের দক্ষতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ক্রস সিপ পরিদর্শন, সি রাইডার কর্মসূচি রূপায়ণ এবং অন্যান্য সহযোগী ব্যবস্থার মধ্যে পেশাদারি যোগসূত্র গড়ে তোলা। ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা কাঠামো আরও মজবুত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬

আল-শিফা হাসপাতাল ছেড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী
দুই সপ্তাহের অভিযানের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ধ্বংসের দৃশ্য রেখে গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল থেকে সরে এসেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন ভোরে প্রত্যাহারের পর শত শত ফিলিস্তিনি আল-শিফা হাসপাতাল এবং আশেপাশের এলাকায় ফিরে আসে। তারা হাসপাতালের ভিতরে এবং বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহগুলি খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। ফিরে আসা মহম্মদ মাহদি নামের একজন বলেন, বেশ কয়েকটি ভবন পুড়ে গেছে এবং তিনি হাসপাতালের প্রাঙ্গণে দুটি সহ এলাকার ৬টি মৃতদেহ গণনা করেছেন। আরেক বাসিন্দা ইয়াহিয়া আবু আউফ বলেন, সেনাবাহিনীর বুলডোজাররা হাসপাতাল চত্বরের অভ্যন্তরে একটি অস্থায়ী কবরস্থানের ওপর দিয়ে চলে গেছে, যেখানে এখনও রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং বাস্তুচ্যুত লোকেরা আশ্রয় নিচ্ছেন। বেশ কয়েকজন রোগীকে নিকটবর্তী আহলি আরব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অবর্ণনীয়। দখলদার ইসরায়েল এখানকার সমস্ত জীবনবোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে। হাসপাতাল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতাল থেকে তারা নিজেদের প্রত্যাহার করেছে। এ সময় হাসপাতালটিতে তাদের দুই সপ্তাহের অভিযানে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের হত্যাসহ অস্ত্র ও গোয়েন্দা নথি জব্দ করেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।     ইসরায়েল হামাসকে সামরিক উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ব্যবহার করার জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং বেশ কয়েকটি চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়েছে। সমালোচকরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে বেপরোয়াভাবে বেসামরিক নাগরিকদের বিপন্ন করার এবং ইতিমধ্যে যুদ্ধে আহতদের দ্বারা অভিভূত একটি স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। এর আগে নভেম্বরে সেনাবাহিনী আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান চালায়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৬

পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে ঝিনাইদহে প্রথম সম্মুখযুদ্ধ
আজ ১ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে ঝিনাইদহ জেলার বিষয়খালীতে মুক্তিযোদ্ধাদের শুরু হয় প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ। দখলদার বাহিনী সংবাদ পায় ঝিনাইদহের মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে আক্রমণ করার জন্য বিষয়খালী বাজারের বেগবতী নদীর তীরে সংগঠিত হচ্ছে। ১ এপ্রিলের এ দিনে পাকিস্তান বাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝিনাইদহ দখলের উদ্দেশে এগিয়ে আসতে থাকে।  এ আক্রমণের খবর জেলার মুক্তিযোদ্ধারা আগেই পেয়ে যান। তারা যুদ্ধের অন্যতম স্থান হিসেবে বেছে নেন বিষয়খালীর বেগবতী নদীর তীরকে। পাকিস্তান বাহিনীকে এই নদীর তীরে এসে প্রবল বাঁধার মুখে পড়তে হয়। হানাদার বাহিনীকে রুখতে নদীর তীরের সেতু ভেঙে গুড়িয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। প্রায় ৮ ঘণ্টা তুমুল যুদ্ধ হয়। নদীর তীরের সম্মুখ যুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ফিরে যায় যশোর ক্যান্টনমেন্ট অভিমুখে। যাওয়ার পথে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী চালায় বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ। আর সেই হত্যাযজ্ঞে শহীদ হন বিষয়খালী হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির তরুণ মেধাবী ছাত্র গোলাম মোস্তফা।  এ ছাড়াও যারা শহীদ হন তারা হলেন বুদ্ধিজীবী মায়াময় ব্যানার্জী, নূরুল ইসলাম মুন্সী, কাশেম আলী, শামছুদ্দীন, জাহানারা বেগম, সিদ্দীকুর রহমান, আ. জব্বার, সিরাজ মিয়া, মতিয়ার রহমান, আদ্যনাথ অধিকারী, সৈয়দ আলী, হামিদ আলী খা, জিতেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, আব্দুল হোসেন, গোকুল চন্দ্র, সুধির চন্দ্র সুত্রধর, আদ্যনাথ সাখারী, অনাথ বাগচী, নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, আইয়ুব মিয়া, দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ভূষণ বাবু, নলিনী গোসাই, দীনেন্দ্র নাথ ব্যানার্জী, উকিল উদ্দিন, দুঃখু মিয়া, সদর উদ্দীন, দুখী মাহমুদ, আব্দুল কুদ্দুস, খলিলুর রহমান, কাজী নজির উদ্দিন, শমসের আলী ও বিষয়খালী গ্রামের কৃতি সন্তান মাহাতাব মুনিরসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।  আর তাইতো ঝিনাইদহের অমিততেজী দামাল তরুণ দল বাংলাদেশের ইতিহাসের যুদ্ধ বিজয়ের গৌরবের প্রথম মাইলফলক স্থাপন করলো এ বিষয়খালী যুদ্ধে। এই যুদ্ধের কাহিনী প্রথমে বিবিসি, ফরাসী বার্তা সংস্থা ও অষ্ট্রেলিয়া রেডিও এবিসিতে প্রচারিত হয়। এই সম্মুখ যুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন যশোর সেনানিবাসের বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক এবং ইপিআরের জোয়ানরা, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের হাবিলদারসহ স্থানীয় বিষয়খালী গ্রামের সংগ্রামী জনতা। এই দিনটি প্রতিবছর বিষয়খালী তথা ঝিনাইদহবাসী পালন করে আসছে।  বিষয়খালী শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ ও ‘প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ’ নামের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য।  অভিযোগ রয়েছে বিষয়খালী যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছিলেন, তাদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান না। তালিকায়ও তাদের নাম নেই।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

ঈদ ঘিরে সক্রিয় অপরাধী চক্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠছে অপরাধীরা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক বা শপিং মল এলাকার অপরাধীরা ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পেলেই সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারী চক্র ছাড়াও চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা বাড়ছে। আরেক গ্রুপ জড়িত জাল টাকার সাথে। ঈদে এই চক্র জাল টাকা ছাড়ানোর পাঁয়তারা করে। এ ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটার ভিড়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাল নোটের কারবারিরা। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকাতে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর অভিযান। এরপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে ঘটে নানা অপরাধ। ডিএমপি বলছে, রাজধানীরর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপি আরও বলছে, রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। এমন কড়া নজরদারির মধ্যেও অপহরণ, ডাকাতি,  চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছু চক্র। তবে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি লিটন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকা চিহ্নিত করে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টহল টিমসহ বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। তিনি আরও বলেন, ছিনতাই ঠেকাতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখছি, যেখানে গ্যাপ রয়েছে সেগুলো ধরেও কাজ করছি। আমাদের বড় একটি অংশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ঈদকে ঘিরে যেন কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ‌র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ঈদে লোকজনের চলাচল বেড়ে যায়। অনেকে আগেভাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়। মার্কেটগুলোতে ভিড় হয়। সব কিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‌্যাব। ‌ তিনি আরও বলেন, ঈদে জালনোটের কারবার যারা করে তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখছে র‌্যাব। ‌ র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক অনলাইনে নজরদারি করছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করছে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিট।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮

এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৩৬ জনকে হত্যা ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনের গাজায় একটি বাড়িতে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৬ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার (১৬ মার্চ) আল-জাজিরা ও টিআরটি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে ৩৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু এবং গর্ভবতী মহিলা ছিলেন। এদিকে, শর্তসাপেক্ষ নতুন করে যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের দেওয়া প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল। হামাসের দেওয়া নতুন প্রস্তাবে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে অসুস্থ, বৃদ্ধ ও নারী জিম্মিদের ছেড়ে দেবে তারা। এর বদলে ইসরায়েলকে ৭০০ থেকে এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে হামাসের এই প্রস্তাবে রাজি হননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, হামাসের এই প্রস্তাব অযৌক্তিক। এদিকে, গাজা উপত্যকার রাফা এলাকায় হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দিয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। রাফায় বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে হামলা চালালে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। ওইদিন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা। ওই হামলার পর গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১১:২০

‘কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে’
কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  রোববার (১০ মার্চ) সকালে কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  এ সময় দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট কার্ডের প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। পরে শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে ভি-স্যাটনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা, নবনির্মিত পাঁচটি স্টেশন, ১টি আউটপোস্ট উদ্বোধন করেন। এদিকে, বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের পদক দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ১০ জন করে পাচ্ছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় কাজ করছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা, বনজ সম্পদ রক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ রক্ষাসহ নানা কাজ বাহিনীটি করে যাচ্ছে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

শেষ হলো ২ সিটির ভোটগ্রহণ, চলছে গণনা
কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে যারা থাকবেন, বিকেল ৪টার পরও তাদের ভোট নেওয়া হবে। ভোট শেষ হলে মোট ভোট পড়ার হার জানানো যাবে। তিনি বলেন, প্রথম ছয় ঘণ্টায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।   নির্বাচনে গুলির ঘটনাসহ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে। এসব ঘটনায় ৪৫ জনকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেই সবচেয়ে সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটেছে। এখানে ‘ছাত্রলীগ নেতার’ গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মেয়র প্রার্থী মুনিরুল হক সাক্কু তার এজেন্টদের বের করে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন। কুমিল্লায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮। ময়মনসিংহে সিটিতে ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। দুই সিটি বাদে আজ ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভায় উপনির্বাচন, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালী পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে। পৌরসভার শূন্যপদে উপনির্বাচন হয়েছে ১৫টিতে, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ১৩টি, ইউনিয়ন পরিষদের শূন্যপদে উপনির্বাচন ১৯০টি এবং জেলা পরিষদে শূন্যপদে সাতটি উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৮

বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতির আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মহিলা কল্যাণ সমিতির (বাফওয়া) উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন হয়েছে।  বাফওয়া ও আদার্স উইমেন এন্ড চিলড্রেন ক্লাবের সভানেত্রী তাহমিদা হান্নানের নির্দেশনায় শুক্রবার (৮ মার্চ) অত্যন্ত অনাড়ম্বর পরিবেশে দিবসটি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী  নাহিদ ইজাহার খান উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাহমিদা হান্নান বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাফওয়ার কর্মকান্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাতজন নারীর ব্যক্তিগত সফলতার স্মৃতিচারণ করা হয় এবং সম্মাননা প্রদান করা হয়।  সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নাহিদ ইজাহার খান বরেণ্য নারীদের বাফওয়া ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করেন। তাহমিদা হান্নান বলেন, উপস্থিত বরেণ্য নারীরা জয় আর শক্তির অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সফলতার চূড়ায় উঠে সময়কে দিয়েছেন নতুন মাত্রা। তাদের চিন্তা-চেতনা, কর্ম, সৃষ্টি, প্রাপ্তির পূর্ণতা দিয়ে তারা সমাজ, সংস্কৃতি আর অর্থনীতির নতুন কাঠামো নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।  অনুষ্ঠানটিকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে নারীদের ওপর গীতি নৃত্য নাট্যের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে নারী দিবস উপলক্ষে বাফওয়া কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক স্মরণিকা ‘অভ্রনীল’-এর ৫ম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এই স্মরণিকাটিতে বাফওয়ার সার্বিক কর্মকান্ডের চিত্র স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা হয়েছে। বাফওয়ার কর্মকান্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি স্মরণিকা প্রকাশে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যরা যে আন্তরিকতা ও একাগ্রতা প্রদর্শন করেছে, তার জন্য প্রতিমন্ত্রী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তাহমিদা হান্নানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং বাফওয়ার প্রতি তার দায়িত্ববোধ ও সম্পৃক্ততায় অতি দ্রুত বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণের ফলে সংগঠনটি শুধু বিমান বাহিনী নয় জাতীয় পর্যায়ে এক অনন্য উচ্চতর নারী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী হতে আগত অতিথিবৃন্দ, কেন্দ্রীয় বাফওয়ার সহ-সভানেত্রীবৃন্দ, ঢাকা এলাকায় বসবাসকারী বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সহধর্মিনী ও মহিলা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে তাদের প্রতি প্রধান অতিথি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল বরেণ্য নারীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সকল ঘাঁটিতে একইভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ২১:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়