• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জিম্বাবুয়েও পারলো না লিটনকে ফর্মে ফেরাতে!
ক্যারিয়ারের শুরুতে নিজের স্কিল এবং দুর্দান্ত সব শট খেলে ক্লাসিক ব্যাটসম্যানের খেতাব অর্জন করেছিলেন তিনি। নেটিজেনরা এই টাইগার ওপেনারের নাম দিয়েছিলেন গরিবের বিরাট কোহলি। বলছি টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাসের কথা।  তবে সময় যত গড়িয়েছে লিটনের ব্যাটের ধার ততই কমে চলেছে। একটি ভালো ইনিংস খেললে, বাকি দশ ইনিংসে ব্যর্থ হচ্ছে তিনি। এভাবেই চলছে লিটনের আন্তজার্তিক ক্যারিয়ার। তবুও নির্বাচক, কোচ এবং অধিনায়কের প্রিয় খেলোয়াড় এলকেডি। বিশ্বের বড় দলগুলোর বিপক্ষে লিটনের পারফরম্যান্স যেমনই হোক না কোনো জিম্বাবুয়েকে পেলেই যেনও জ্বলে ওঠেন লিটন। অনন্ত লিটনের ট্র্যাক রেকর্ড তো এই কথাই বলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে খেলেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে মোট ১৩ ইনিংসে ৯৮ স্ট্রাইক রেট এবং ৫৯ দশমিক ৮১ গড়ে ব্যাট করে তুলেছেন ৬৫৮ রান। এরপর মধ্যে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছে ৯ বার। প্রথম ইনিংসে ৭৪ দশমিক ৫৭ গড়ে ৫২২ রান তোলে লিটন। দিকে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে লিটনের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে বেশ চিন্তিত টাইগার ম্যানেজমেন্ট। তবে আশা ছিল হয়তো জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে রানে ফিরবেন এই ওপেনার ব্যাটার। কিন্তু প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যে যোজন যোজন পার্থক্য রয়েছে তা ভালোভাবেই টের পেয়েছেন নির্বাচকরা। চট্টগ্রাম পর্বের তিন ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন লিটন। তিন ম্যাচে লিটনের রান (১, ২৩ ও১২) মোটে ৩৬, গড় ১২। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অন্য কাউকে নিয়ে ভাবতেই পারেন নির্বাচকরা। এতে মনে হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে চেষ্টা করেও লিটনকে ফর্মে ফেরাতে পারলো না। টি-টোয়েন্টিতে লিটন সবশেষ ৫০ প্লাস ইনিংস খেলেছিলেন গত বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ৮৩ করেছিলেন সেই ম্যাচে। তার আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৩ রান এবং ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যা অনেকটাই হ্যালির ধুমকেতুর মতো। যা ফিরে আসে ৭৬ বছর পর পর। অন্যদিকে অফ ফর্মের মধ্যে লিটন যেন অনেকটাই চিল মুডে রয়েছে। তৃতীয় ম্যাচের আগে সৌম্য যখন ক্যাম ব্যাক করতে মরিয়া হয়ে অনুশীলনে ঘাম ঝরাতে ব্যস্ত, তখন লিটন টিম হোটেলে অবসর সময় কাটিয়েছেন। যেখানে ছন্দে ফেরার জন্য অনুশীলনে বাড়তি সময় দেন সাকিবের মতো ক্রিকেটাররা। সেখানে লিটন যেনো অনেকটাই চিল মুডে। গত বিপিএলে ফর্মে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে অনুশীলন করেছিলেন সাকিব। আর তার ফল তো সবারই জানা। তবে লিটনরা কবে এমন পরিশ্রমী এবং পেশাদার হয়ে উঠবে, তা নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে লিটন থাকবে কিনা সেটাই দেখা বিষয়।  
০৭ মে ২০২৪, ২২:৫১

‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে?’
নিজ কক্ষে তিন ঘণ্টা যাবত আটকে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতা ও তার বন্ধুকে মারধর ও নির্যাতনের পাশাপাশি পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবসহ কয়েক নেতার বিরুদ্ধে।  সোমবার (৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। নাফিউল বর্তমানে শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপরদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ। জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নাফিউল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে আমি ও আমার বন্ধু মিলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় দেখি ছাত্রলীগের তিনজন নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ আমাদের পেছনে এসে দাঁড়ায়। তাদের দেখে আমরা ক্যাম্পাস থেকে বাইক নিয়ে চলে আসছিলাম। আসার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া আবাসিক এলাকায় তারা আমাদের পথ রোধ করে তাদের বাইকে আমাকে তুলে নেয়। এরপর তারা আমাকে মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ওই কক্ষে আসেন। এসময় সে আমাকে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এক পর্যায়ে সে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে চড়-থাপ্পর ও মাথার উপরে কিল-ঘুষি মারে। এরপর সে একটা পিস্তল বের করে। পিস্তলটিতে তিনটা গুলি লোড-আনলোড করতে করতে আমাকে বলে, ‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে’। এমন করতে করতে সে একবার শুট  করে। তবে গুলি তখন আনলোড করা ছিল। এছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করে। পরবর্তীতে রাত ১টার দিকে তারা আমাকে সহকারী প্রোক্টরদের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, দেশ থেকে ধ্বংস হয়ে যাওয়া গণতন্ত্র আবার প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা শত বাঁধা নির্যাতন সহ্য করে লড়াই চালিয়ে যাবো। একা পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছাত্রদলের কর্মীকে নির্যাতন করে সন্ত্রাসীদের সংগঠন ছাত্রলীগ কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে। সেই সাথে ছাত্রলীগ প্রকাশ্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল সহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত আহত এবং নির্যাতন করছে। আর এতে রাবি প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমি প্রোক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর আগে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। আমরা তাই সন্দেহজনকভাবে তাকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি।’ পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারণ অস্ত্রের রাজনীতি ছাত্রদল করে, এটা ছাত্রলীগ করেনা। ছাত্রলীগের হাতে কলম থাকবে, অস্ত্র না। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ফোন পেয়ে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রোক্টরকে পাঠাই। তারা সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বিনোদপুরে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় মারধর কিংবা নির্যাতনের আমি কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মারধরের ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ করলে আমি বিষয়টি দেখব।
০৭ মে ২০২৪, ২০:৪৮

ডেঙ্গুতে আর কেউ যেন স্বজন না হারায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গুতে তার মতো আর কেউ যেন স্বজন না হারায়, সেজন্য সংক্রমণ বৃদ্ধির আগেই তা প্রতিরোধে জনসচেতনতায় গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  তিনি বলেছেন, ডেঙ্গুতে আমি মাকে হারিয়েছি। তাই এটা নিয়ে আমার চিন্তা আছে। আমি কাজ করব যাতে আর কারও মা এতে মারা না যায়। মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ২০২৪ সালের ডেঙ্গু প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ সবচেয়ে বড় বিষয়। যেন মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং নাগরিক, সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা করেছি ইতোমধ্যে। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গু বৃদ্ধির সময়ে কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং স্যালাইনের দামও না বাড়ে। পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালগুলোকে খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনাও দিয়েছি। যাতে করে পরে সার্জারি বা ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায় এমন যারা আছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি না করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হয়। মন্ত্রী এরপর বলেন, আমাদের ফগিং বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করবো। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গেও খোলাখুলি আলোচনা করবো। 
০৭ মে ২০২৪, ১৩:৩৪

ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হচ্ছে না ন্যাশনাল ব্যাংক: নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান
খেলাপি ঋণের বোঝা ও সুশাসনের অভাবে ডুবতে বসা ন্যাশনাল ব্যাংক ইউসিবি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের নবনিযুক্ত পর্ষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ব্যাংকের আর্থিক ভিত শক্তিশালী করার শর্তে আপাতত একীভূত না হওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান খলিলুর রহমান। তিনি জানান, ন্যাশনাল ব্যাংককে টেনে তুলতে উদ্যোক্তারা আরও ১ হাজার কোটি টাকা মূলধন বিনিয়োগ করবেন। পাশাপাশি নতুন করে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। চেয়ারম্যান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকে আর লুটপাট হবে না। সবার সহযোগিতায় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ উদ্ধার করা হবে বলেও জানান তিনি। খলিলুর রহমান বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের মূলধনে শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন সংগ্রহ ক্যাম্পেইনের ও প্রকল্পের মাধম্যে আমানত সরবরাহ করা হবে। এতে করে ন্যাশনাল ব্যাংকের চলমান তারল্য সংকট নিরসন হবে আশা করছি। এছাড়া মন্দ ঋণ পুনরুদ্ধারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মন্দ ঋণ পুনরুদ্ধারে কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছি, অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে আমরা ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত করতে রাজি নই। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের সময় দিয়েছে। আমরা যাতে তারল্য সংকট নিরসন করতে পারি, সেই চেষ্টাই করব। ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরও বলেন, নতুন পরিচালনা পর্ষদ ন্যাশনাল ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করতে ও গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করবে। বিভিন্ন সূচকে ব্যাংকের হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতেও কাজ করবে বর্তমান পর্ষদ। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের অনেক প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই সংবাদ সম্মেলন শেষ করা হয়। ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমানে ২২১টি শাখা, ৬৫টি উপশাখা, দেশে ভেতরে ২টি ও দেশের বাইরে ৪টি সাবসিডিয়ারি, জিসিসি অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্রে ২টি মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা চুক্তিসহ দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) এবং রেটিং প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকটি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ২০ লাখের অধিক আমানতকারী ও প্রায় ১ লাখ ঋণগ্রহীতা আছে। বিদেশ থেকে বৈধ পথে ও নিরাপদে টাকা প্রেরণের লক্ষ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকই সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। এছাড়া কৃষি খাতের উন্নয়নেও ন্যাশনাল ব্যাংকের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ১৯৮৩ সালে প্রথম দেশীয় মালিকানায় বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল ব্যাংক। ঋণ বিতরণসহ নানা অনিয়ম, বিধি-বিধান ভেঙে ঋণ অনুমোদন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ করায় গত বছর ২১ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পাঁচ মাসের মধ্যে আবারও ব্যাংকটির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানানো হয়। আর এই নতুন পর্ষদ গঠনের পরই সোমবার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
০৬ মে ২০২৪, ১৯:৫৮

চাকরি দেবে বাংলালিংক, থাকছে না বয়সসীমা
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘রেডিও সার্ভিস লিড ইঞ্জিনিয়ার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ।  যা যা প্রয়োজন-   প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলালিংক পদের নাম : রেডিও সার্ভিস লিড ইঞ্জিনিয়ার বয়সসীমা : নির্ধারিত নয় কর্মস্থল : ঢাকা বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে অভিজ্ঞতা : ৪ থেকে ৫ বছর কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম কর্মক্ষেত্র : অফিস প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) শিক্ষাগত যোগ্যতা : বিএসসি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বা টেলিকমিউনিকেশনে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। অন্যান্য সুবিধা : নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন-বোনাস ছাড়াও কোম্পানির নীতি অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। ঠিকানা : টাইগারস ডেন, ফ্ল্যাট ৪, এসডব্লিউ (এইচ) গুলশান এভিনিউ, গুলশান, ঢাকা-১২১২ আবেদনের শেষ তারিখ : ৩ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত।
০৬ মে ২০২৪, ১১:৩৭

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না সিপিবি
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির অভিযোগ, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে। তাই এ নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। রোববার (৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সিপিবি। দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জনগণের তথা মেহনতি শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ কেড়ে নিয়েছে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থীদের নির্বাচনী জামানত বৃদ্ধি করাসহ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের গণদাবিগুলো সরকার উপেক্ষা করায় জনগণের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ আরও সংকুচিত হয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা আরও ধনীমুখী হয়ে পড়েছে। টাকার খেলা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আর এ অবস্থা বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে আরও পাকাপোক্ত করছে। এতে আরও বলা হয়, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন গোষ্ঠীতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, অপরাধী, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত এবং মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ক্ষমতা দখলের পথ আরও প্রশস্ত করবে। তৃণমূলে টাকার খেলা, গোষ্ঠীতন্ত্র, অপরাধ, দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা আরও ছড়িয়ে পড়বে। তাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
০৬ মে ২০২৪, ১০:২০

ভিজলেও নষ্ট হয় না এই ল্যাপটপ, পাবেন দেশেই
দেশের বাজারে ‘আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই’ মডেলের লেনেভোর নতুন ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। এটি টি ৮১০ এইচ মিলিটারি গ্রেড স্ট্যান্ডার্ড প্রযুক্তির পানিরোধী হওয়ায় ভিজলেও নষ্ট হবে না।  সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড। এতে বলা হয়েছে, ১৪ এবং ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল হাই ডেফিনেশন পর্দার ল্যাপটপটির ধারণক্ষমতা ৫১২ গিগাবাইট, যা ১ টেরাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ৮ গিগাবাইট র‍্যাম সুবিধার ল্যাপটপটিতে টি ইউভি লো ব্লু লাইট ডিসপ্লে প্রযুক্তি থাকায় চোখের ক্ষতি হয় না। ল্যাপটপটিতে দুটি অ্যান্টিনাযুক্ত ওয়াইফাই ৬ রিসিভার রয়েছে, ফলে সহজেই নিরবচ্ছিন্নভাবে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। দুটি মাইক্রোফোন এবং ডলবি অডিও স্টেরিও স্পিকারযুক্ত ল্যাপটপটিতে ৬৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সুবিধা থাকায় চার্জ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। জানা গেছে, ইন্টেলের ১২ প্রজন্মের কোর আই ৫ প্রসেসর থাকায় দ্রুত কাজও করা যায় ল্যাপটপটিতে। দুই বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ সংস্করণভেদে ল্যাপটপটির সর্বনিম্ন দাম ৭০ হাজার টাকা।  
০৬ মে ২০২৪, ০২:৩৫

সঠিক স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে হেভি ফ্লো কোনো ব্যাপারই না
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো খুবই কমন একটি ব্যাপার। পিরিয়ডের শুরুতে হেভি ফ্লো থাকবেই। আর প্রতিটি মেয়েই পিরিয়ডের হেভি ফ্লোর দিনগুলোতে একটু দুশ্চিন্তায় ভোগে। এ ছাড়াও পিরিয়ডের সময় দীর্ঘ ভ্রমণও অনেক নারীর জন্যই রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়।  অন্যদিকে হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা নিয়ে নানান ভ্রান্তধারণা প্রচলিত থাকায়, কর্মজীবী নারীরা পিরিয়ড নিয়ে সবসময়েই উদ্বিগ্ন থাকেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি এর সাথে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হওয়ার যে ধারণা বিদ্যমান সেটাও ভিত্তিহীন।  পিরিয়ডের হেভি ফ্লো দিনগুলো হ্যাসেল ফ্রি থাকতে কিছু বিষয় মনে রাখতে পারেন। সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা সম্পন্ন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে হেভি ফ্লো নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায়। কতোক্ষণ পর পর স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানো উচিত, এই পুরো বিষয়টাই নির্ভর করে পিরিয়ডের ফ্লো এবং ন্যাপকিনের শোষণক্ষমতার উপর। কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পরে থাকা সম্ভব।  হেভি ফ্লো’র এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। একই সাথে কিছু হাইজিন মেনে চলা অনেক জরুরি। পরিষ্কার অর্ন্তবাস ব্যবহার করা উচিৎ যাতে ইনফেকশন না ছড়ায়। মাসে পিরিয়ড সাইকেলের ট্র্যাক রাখার জন্য হেলথ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, এতে হেভি ফ্লো সহজে ট্র্যাক রাখা সহজ।  সঠিক ও সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা সম্পন্ন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করার ট্রাই করুন, তাহলে যে কারো কাছে  হেভি ফ্লো কোন ব্যাপারই না। 
০৬ মে ২০২৪, ১০:৫১

মা দিবসে রুনা লায়লার নতুন গান
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। আগামী ১২ মে ‘বিশ্ব মা দিবস’ উপলক্ষে আসছে তার নতুন গান। ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের গানটিতে গুণী এই শিল্পীর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন খায়রুল ওয়াসী। আল আমিন জমাদ্দার সবুজের কথায় এটির সুরও করেছেন তিনি। সংগীত পরিচালনা করেছেন রিপন খান। গানটি নিয়ে গণমাধ্যমকে রুনা লায়লা বলেন, ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ গানটির কথাগুলো বেশ টাচি। মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়েই এই গান। এখন যারা সন্তান, একদিন তারাও বাবা-মা হবে। তাই বাবা-মাকে তাদের স্রষ্টার আশীর্বাদ মনে করা উচিত। গানেও এই বার্তা থাকবে।  সুরকার ও শিল্পী খায়রুল ওয়াসী বলেন, ছোটবেলা থেকেই প্রিয় স্বপ্নের কণ্ঠশিল্পী ও ব্যক্তিত্ব রুনা লায়লা ম্যামের গান শুনে শুনে বড় হয়েছি। গানচর্চায় এত দ্রুত ম্যামের সঙ্গে দ্বৈত গান গাইতে পারব ভাবতে পারিনি। আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান তিনি আমার সুরে আমার সঙ্গেই গান গেয়েছেন। একইসঙ্গে মাথায় হাত রেখে দোয়া করে বলেছেন, ভালো ভালো কাজ যেন অব্যাহত রাখি। গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ বলেন, কত স্বপ্ন, কত কষ্ট ও কত আশা নিয়ে বাবা-মা তার সন্তানদের বড় করেন। অথচ কিছু সন্তান নামের কুলাঙ্গার বাবা-মাকে শেষ জীবনে বোঝা মনে করে। নিজেদের কাছে রাখতে চায় না। ফলে তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। কিন্তু এ সময় তারা ভুলেই যায় কদিন পর তারাও বাবা-মা হবে, বৃদ্ধ হবে। তাদের সন্তানরাও তাদের সঙ্গে একই আচরণ করতে পারে। বাস্তবতার এমন নিরিখেই ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি লেখা। লেখার পাশাপাশি গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ নিজেই। এটি এজেএস ওয়ার্ল্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে। 
০৫ মে ২০২৪, ১৪:৪৯

মোবাইল ডাটা দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়
চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম প্রতি জিবিতে গড়ে বেড়েছে ২০ টাকা। ফলে বিভিন্ন কোম্পানির সিম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খরচ বেড়ে গেছে ৩০ শতাংশ। কিন্তু মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে শান্তি পাওয়া যায় না। খুব দ্রুতই যেন শেষ হয়ে যায় এ ধরনের ইন্টারনেট প্যাক। মোবাইল ডেটার অন্যতম সুবিধা হলো যেকোনো স্থানেই মোবাইল ডেটা ব্যবহার করা যায়। লোডশেডিংয়েও নেট দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন আপনি, যা ওয়াইফাই ব্যবহারে সম্ভব হয় না। কীভাবে মোবাইল ডাটা সাশ্রয় করবেন এবার সেই উপায় জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সাইট গাইডিং টেক। চলুন জেনে নেই মোবাইল ডেটা যাতে দ্রুত শেষ না হওয়ার উপায়।  আপনি যদি অ্যাড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন তবে এই মোবাইলে আপনি দুর্দান্ত সেটিং পাবেন। এই ফিচারের নাম ডেটা সেভার মোড। এ ফিচার ব্যবহার করলে আপনি ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক রিল এবং ইউটিউব যতই দেখেন না কেন, ডেটা ব্যবহারের হিসাব কমে আসবে।  মোবাইলে এই সেটিংটি করতে প্রথমে আপনাকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সেটিংসে যেতে হবে। সেখানে সিম কার্ড এবং মোবাইল ডেটার অপশন পাবেন। সেটিতে ক্লিক করুন। এরপর ডেটা ইউজেস অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ব্যবহারকারীরা ডেটা সেভিং অপশন পাবেন। এতে ট্যাপ করুন। এরপর ডেটা সেভিং টগল চালু করলেই আপনি এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
০৪ মে ২০২৪, ২২:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়