• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মধ্যরাত থেকে ইজতেমার আশপাশে গণপরিবহন বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে শনিবার মধ্যরাত থেকে টঙ্গী ও এর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রক কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম এসব তথ্য জানান।  গাজীপুর মেট্রোপলিটন কমিশনার বলেন, প্রথম পর্বের মতো এই পর্বেও ৬ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ র‍্যাব, টুরিস্ট পুলিশ, শিল্পপুলিশ, নৌ-পুলিশসহ সব বাহিনী আগের মতোই মোতায়েন আছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন কমিশনার আরও বলেন, আজ মধ্যরাত থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগরা বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও গাজীপুরগামী যানবাহনগুলোকে গাবতলী দিয়ে কোনাবাড়ি হয়ে এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে ভোগরা বাইপাস দিয়ে তিনশ ফিট সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ সময় এসব সড়ক হয়ে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি যান চলতে দেওয়া হবে না। তবে ইজতেমা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। আগামীকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে ৫৭ তম বিশ্ব ইজতেমার এবারের আসর।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৯

দ্বিতীয় পর্ব / ইজতেমার আখেরি মোনাজাত রোববার 
টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সা'দের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীর আ'মবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তা শেষ হবে। ইজতেমায় ইতোমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নেমেছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জুমার জামাতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সা'দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী। এদিন দুপুর দেড়টায় খুতবা শুরু হয়। তার বয়ানের বাংলা তরজমা ক‌রেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার আগে জুমার ফাজায়েল বয়ান ক‌রেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। নামাজ শেষ হয় ১টা ৫৭ মিনিটে। জুমার পরে বয়ান ক‌রেন শেখ মোফলে। তার বয়ান বাংলা তরজমা ক‌রেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর।   এদিকে বুধবার দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। সেই স্রোত আজও অব্যহত রয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা। রোববার ফজরের পর বয়ান কর‌বেন ভার‌তের মুফতি মাকসুদ তার বক্তব্য বাংলা তরজমা কর‌বেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। এরপর হেদা‌য়ে‌তি বয়ান। হেদা‌য়ে‌তি বয়া‌নের শে‌ষে হেদায়েতের কথা ও দোয়া।  মোনাজাত প‌রিচালনা কর‌বেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছে‌লে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের সব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি চলছে।   বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ অংশ নিয়েছেন দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমায়। তারা জেলাভিত্তিক নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকেও ইজতেমায় অংশ নিতে এসেছেন অনেক অতিথি। সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত, ইরাক, তুরস্ক, এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপসহ ৫৪টি দেশ থে‌কে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৬ জন বি‌দে‌শি মুস‌ল্লি ইজ‌তেমার ময়দা‌নে এসেছেন। এদিকে আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দ্বিতীয় পর্বেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে এস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শরিফ আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুনুর রশিদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। বাদ আসর বয়ান করেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তার বয়ান বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা মুফতি জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমা ময়দানে এবারও আসতে পারেননি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা'দ আহমদ কান্ধলভী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা সা'দ সাহেবের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আলোচনা হয়েছে। আশানুরূপ কোনো খবর এখোনো পাওয়া যায়নি। তবে ইজতেমায় মাওলানা সা'দের তিন ছেলে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা ইউসুফ বিন সা'দ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সা'দ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা'দ কান্ধলভী।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:১২

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৭ মুসল্লির মৃত্যু
গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব চলছে। দ্বিতীয় পর্বের এ ইজতেমা শুরুর আগে ও পরে সাত মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় এবং বাকি ছয়জন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমায় আসার পথে আব্দুল্লাহপুরে বাসের ধাক্কায় আবুল কা‌শেম (৬৫) নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছেন।  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবুল কা‌শেমের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। আর মারা যাওয়া অন্য দুইজনের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।  মারা যাওয়া বাকি মুসল্লিরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামের মো. হেলিম মিয়া (৬৫), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর এলাকার মো. জহির উদ্দিন (৭০) ও জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার গোয়ালের চর গ্রামের নবীর উদ্দিন (৬৫)।  বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। অন্য একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।  তিনি জানান, যাদের তথ্য ও ঠিকানা পাওয়া গেছে, তাদের স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫

আম বয়ানে শুরু বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব 
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হয়। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ আম বয়ান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলা তরজমা করে মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু, জুমার আগে জুমার ফাজায়েলের ওপর ১০ মিনিট বয়ান করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার পরে বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি), তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ্ মনসুর, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ, মাগরিবের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তাৎক্ষণিক ভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার এবারের দ্বিতীয় পর্বে ১২ থেকে ১৪ হাজার বিদেশি মেহমান যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন, প্রথম পর্বের মতো একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা এ পর্বেও বলবৎ রয়েছে। 
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৬

আ'মবয়ানে শুরু হচ্ছে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা  সা'দের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীর আ'মবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ইজতেমা। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তা শেষ হবে। ইজতেমায় ইতোমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নেমেছে। আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জুমার জামাতে অংশ নেবেন লাখো মুসল্লি। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা সা'দের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা'দ কান্ধলভী। এদিকে বুধবার দুপুর থেকেই জামাতবদ্ধ দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ১২-১৪ হাজার বিদেশি মেহমান আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দেশের ৩ হাজার ২৬৩ জন বিদেশি মেহমান ময়দানে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর মুসল্লিদের উদ্দেশে এস্তেকবালি (স্বাগত) বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা শরিফ আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা হারুনুর রশিদ। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। বাদ আসর বয়ান করেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার। তার বয়ান বঙ্গানুবাদ করেন মাওলানা মুফতি জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমা ময়দানে এবারও আসতে পারেননি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা'দ আহমদ কান্ধলভী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য হাজি মনির হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা সা'দ সাহেবের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আলোচনা হয়েছে। আশানুরূপ কোনো খবর এখোনো পাওয়া যায়নি। তবে ইজতেমায় মাওলানা সা'দের তিন ছেলে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা ইউসুফ বিন সা'দ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ বিন সা'দ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস বিন সা'দ কান্ধলভী।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৩

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগেই ৫ মুসল্লির মৃত্যু
আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শুরু হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। তুরাগ নদের তীরে তিন দিন ব্যাপী দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা শুরুর আগে পাঁচ জন মুসল্লী মৃত্যু বরণ করেছেন। তারা হলেন- শেরপুর সদর থানার রামকৃষ্ণপুর এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর এলাকার মৃত সুলতান উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হেলিম মিয়া (৬৫) ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার শিবনগর এলাকার মৃত ইউসুফ উদ্দিনের ছেলে জহির উদ্দিন (৭০)। অপর দুজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত ইজতেমায় অংশ নেওয়া পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হয়। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সেলের প্রধান মো. সায়েম মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে ময়দানে বার্ধক্য জনিত কারণে ৫ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তবে পরপর দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) যোহরের পরে পাকিস্তানের মাওলানা হারুনের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। পরে বয়ানের বাংলা তরজমা করেন কাকরাইল মসজিদের মাওলানা আজিম উদ্দিন। তিনি আরও জানান, মূলধারা তাবলীগ জামাতের নিজামুদ্দিনের অনুসারী দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। এখনও অনেকেই ইজমেতায় অংশ নিচ্ছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ব ইজতেমার ময়দান বুঝে নেয় নিজামুদ্দিন অনুসারীরা। এরপর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসতে শুরু করেন মুসল্লি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৩

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু শুক্রবার
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দান বুঝে পেয়েছেন। ইজতেমা উপলক্ষে আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।  ইজতেমায় গতকাল পর্যন্ত মাওলানা সাদ কান্ধলভির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি। তবে গতকাল সন্ধ্যায় ইজতেমা ময়দানে পৌঁছেছেন মাওলানা সাদের তিন ছেলে- মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী, মাওলানা সাঈদ কান্ধলভী ও মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা গতকাল বুধবার থেকে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হতে থাকেন। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে দুই হাজারের বেশি মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম। আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হবে বয়ান। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতে কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা।  ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা: ইজতেমা উপলক্ষে গতকাল বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নির্দেশনা অনুযায়ী, আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্ত জেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আবদুল্লাপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী, বিজয় সরণি ও গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহন কামারপাড়া এবং আবদুল্লাপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউর ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।  ঢাকা থেকে বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে আসা যানবাহন কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা ও বিমানবন্দর দিয়ে নামা যাবে না। আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আসা যানবাহন কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (বিমানবন্দরগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ ব্যবহার করবে। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। তবে উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন, বিমানের ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্স বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে। ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি হেঁটে বিশ্ব ইজতেমায় যাবেন, তাদের তুরাগ নদের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করতে হবে। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউ লুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ থেকে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পরিবহন সেবা দেওয়া হবে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৪

ইজতেমার প্রথম পর্বে ২১ জনের মৃত্যু
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে এক পুলিশ সদস্যসহ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লা রায়হান এ তথ্য জানান। মৃতদের মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ১৩ জন, দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের এক সদস্য ও ময়দানে আসার পথে ৭ জন রয়েছে। ইজতেমা ময়দানে নিহতরা হলেন- রাজবাড়ীর সানোয়ার হোসেন (৬০), চট্রগ্রামের আলম (৫৬), নরসিংদীর শাহনেওয়াজ (৬০), সিরাজগঞ্জের আল মাহমুদ (৭০), শেরপুরের নওশের আলী (৬৫), ভোলার আ. কাদের (৫৫) ও শাহ আলম (৬০), নেত্রকোণার স্বাধীন (৪৫), আবদুস সাত্তার (৭০) ও এখলাস মিয়া (৬৮), জামালপুরের মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর আ. জব্বার (৫৫)। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। ইজতেমায় দায়িত্ব পালনকালে বাসচাপায় পুলিশের এএসআই হাসাসুজ্জামান (৩০) মারা যান।  ইজতেমা ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়ারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্চের জামান মিয়া (৪০), শেরপুরের আমেলা খাতুন (৬০), ঢাকার মিরপুরের মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮), নরসিংদীর জনি (১৮) ও সোহেল (৪০), আরেক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এ বছর ইজতেমার প্রথম পর্ব গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে শেষ হয়। এতে বিশ্বের ৭২টি দেশের ৮ হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান অংশ নেন।  আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৫

ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে যখন
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগতীরে চলমান বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে। সাধারণত আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হয়। এবারের আখেরি মোনাজাত রোববার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলম এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছি। জিএমপি কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ভোগড়া বাইপাস থেকে ইজতেমামুখী সাধারণ জনগণের কোনো গাড়ি চলবে না, তারা ডাইভার্ট হয়ে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে মীরের বাজারের দিকে চলে যাবেন। এই পথে কেবল মুসল্লিদের গাড়ি আসতে পারবে। আর ঢাকার ভেতরে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ডাইভার্ট করে দেবে তিনশ ফিটের দিকে। আশুলিয়া সড়কের গাড়ি মিরপুর বেড়িবাঁধের দিকে ডাইভার্ট করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আখেরি মোনাজত শেষে সবার আগে এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভার চালুর চেষ্টা থাকবে বলে জানান তিনি। এর ফলে মুসল্লিরা দ্রুত ইজতেমা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জিএমপি কমিশনার। এদিকে তুরাগতীরে চলমান বিশ্ব ইজতেমায় আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে শনিবার ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের মৃত্যু হলো। এরমধ্যে ইজতেমা ময়দানে মারা গেছেন ৭ জন, আর ময়দানে আসার পথে মারা গেছেন একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৭

বিশ্ব ইজতেমার মূল বয়ান উর্দুতে, বাংলা-আরবিতে তর্জমা
গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে আগামী ০২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা। প্রতি বছরের মতো এবারও উর্দু ভাষায় বয়ান করা হবে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে বয়ানের সঙ্গে বাংলা ও আরবি ভাষায় তর্জমা করা হবে। আগতদের উদ্দেশ্যে বয়ান করবেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিরা।  তিন দিনব্যাপী ইজতেমা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নানাধরনের প্রস্তুতি। ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারি খিত্তা বা তাঁবুতে অবস্থান করবেন। প্রতিবারের মতো এবারো যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি। ফলে ইজতেমাকে সফল করতে আয়োজকদের পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থাও গ্রহণ করেছে নানা ব্যবস্থা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে টঙ্গীর তুরাগ তীরে রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা। তুরাগ তীরে বিদেশ থেকে আগতদের জন্য রয়েছে আলাদা থাকার ব্যবস্থা। বিদেশি ছাউনির পূর্ব পাশে তৈরি করা হয়েছে মূল বয়ান মঞ্চ। এ মঞ্চ থেকেই উর্দুতে বয়ান করা হবে এবং এখান থেকেই বয়ানের বাংলা অনুবাদ করা হবে। তবে অন্যান্য ভাষাভাষীদের জন্য বয়ানের অনুবাদ করা হবে তাদের জন্য নির্ধারিত ছাউনিতে। প্রত্যেক ছাউনিতে মূল বয়ান অনুবাদ করার জন্য একজন করে দোভাষীর ব্যবস্থা রাখা হয় ইজতেমায়। ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ নদীতে এ বছর ছয়টি ভাসমান সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি সেতু নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী এবং একটি বিআইডাব্লিউটিএ। এসব ব্রিজ দিয়ে সাময়িকভাবে মুসল্লিরা এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করতে পারবেন। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে ১৭টি বিশেষ ট্রেন চলবে। বেশিরভাগ আন্তঃনগর ট্রেন টঙ্গী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে। রেলওয়ের ঘোষণা অনুসারে দুই পর্বেও আখেরি মোনাজাতের দিন (৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে টঙ্গীর মধ্যে পাঁচ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।  এছাড়া টঙ্গী-ময়মনসিংহ ও টঙ্গী-টাঙ্গাইলের মধ্যে একটি করে বিশেষ ট্রেন চলানো হবে। টঙ্গী ও ঈশ্বরদীর মধ্যে চালানো হবে দুটি বিশেষ ট্রেন। ২ ফেব্রুয়ারি ও ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টঙ্গী পথে ‘জুম্মা স্পেশাল-২’ নামে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া ৩ ফেব্রুয়ারি ও ১০ ফেব্রুয়ারি জামালপুর-টঙ্গী পথে আরেকটি বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে। ইজতেমা উপলক্ষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৮ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা অভিমুখী সব আন্তঃনগর, মেইল, কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে ৩ মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে। দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন (৪ ফেব্রুয়ারি ও ১১ ফেব্রুয়ারি) সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ছাড়া সব আন্তঃনগর, মেইল, কমিউটার ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে তিন মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে। অর্থাৎ, এই দুই দিন চারটি ট্রেন বাদে বাকি সব ট্রেন টঙ্গীতে থামবে। এছাড়া, ইজতেমার মুসল্লিদের সুবিধার্থে দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন বলাকা কমিউটার, বনলতা এক্সপ্রেস ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের সময় পরিবর্তন করা হবে। ইজতেমা উপলক্ষে সব আন্তঃনগর, মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ট্রেনে যাত্রী চাহিদা ও প্রাপ্যতা সাপেক্ষে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে প্রথমবারের মতো কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। দিন দিন লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রামের কাছে (টঙ্গীর মনসুর জুট মিলের নিকটে) একটি মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ইজতেমায় বিদেশি কয়েকটি জামাতও অংশ নেয়। এখান থেকেই এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা। ১৯৬৭ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তুরাগ পাড়ের ১৬০ একর জমি তাবলিগ জামাতের জন্য বরাদ্দ দেয়। ২০১১ সালের আগে একপর্বে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হত। স্থান সংকট এবং জনদুর্ভোগ বিবেচনা ও মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি, আইন-শৃ্ঙ্খলা উন্নতি ও নিরাপত্তা প্রদানের নিমিত্তে তাবলিগের শুরা সদস্যদের পরামর্শের ভিত্তিতে তিন দিন করে ২ ধাপে ইজতেমা আয়োজনের কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২ ধাপে ইজতেমা আয়োজনের পরও মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর ৩২ জেলার অংশগ্রহণে ২ ধাপে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়