• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘১০ বছরে ১০০ ক্যানসার-কিডনি রোগীর চিকিৎসা করিয়েছি’
ফের শাকিবের বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে পরিবার!
ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর নাম। দুজনকেই বিয়ে করেছিলেন এই নায়ক। তবে দুজনের সঙ্গেই হয়েছে বিচ্ছেদ। শুধু তাই নয় বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে তিনজনই আলাদা আলাদা জীবনযাপন করছেন। তবে শাকিবকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকা মাঝেমধ্যেই বাদানুবাদে জড়াচ্ছেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। তাদের এমন কাণ্ডে বিরক্ত শাকিব খান ও তার পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুতই এই নায়ককে আবারও বিয়ে দিতে চায় পরিবার। ইতোমধ্যে শাকিবের মতামত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই সবাই মিলে পাত্রী দেখা শুরু করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পারিবারিক সূত্র খবরটি জানিয়েছে, শাকিবের জীবনে তারা (অপু বিশ্বাস ও বুবলী) সাবেক হওয়া সত্ত্বেও প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এ কারণে শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে। সেই মোতাবেক তার জন্য পাত্রী দেখা শুরু হয়েছে। পরিবারের এমন সিদ্ধান্তে শাকিবের পূর্ণ সম্মতি রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সম্পর্ক না থাকার পরও বুবলী শাকিবের ব্যক্তিগত জীবন জড়িয়ে বিভিন্ন কথা বলেন, যা মিথ্যাচার। এতে বিরক্ত হয়ে তাকে কড়াকড়িভাবে বাসায় আসতেও বারণ করেছেন শাকিব ও তার পরিবার। যেহেতু অপু-বুবলী দুজনেই অতীত, এ কারণে শাকিবের পরিবার তাকে নতুন করে বিয়ে দিতে যাচ্ছে চলতি বছরই। সূত্রে এ-ও জানা গেছে, শাকিব নাকি পরিবারেই ইচ্ছেমতোই বিয়ে করতে চান। পরিবারের পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করবেন। কারণ, আগে দুইবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতার মধ্যে পড়েছিলেন, আর সে ভুল করতে চান না তিনি। এদিকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়ে শাকিবের বউ হিসেবে পছন্দের ফিসফাস শোনা যাচ্ছে। মেয়েটি নাকি যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবের ডাক্তার মেয়ে পছন্দ। অনেক বছর আগে ডাক্তার মেয়ে বউ হিসেবে পছন্দের কথা গণমাধ্যমের সামনেও বলেছিলেন শাকিব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান ঢাকাই ছবির এই নায়ক।
৬০ বছর বয়সে মিস ইউনিভার্স আলেজান্দ্রা, তবে...
পরমব্রত-পিয়ার জীবনে নতুন অতিথি
সিনেমা দেখলে বিরিয়ানি ফ্রি, যা বললেন আদর-পূজা
নারীবাদ নিয়ে নোরা ফাতেহির মন্তব্য, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা
শাকিবের সঙ্গে বিয়ের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন অপু বিশ্বাস
ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি অপু বিশ্বাস-শাকিব খান।  তাদের অভিনীত অধিকাংশ সিনেমাই ব্যবসাসফল। এ কারণে দর্শকমহলেও বেশ পরিচিত এই জুটি। কাজের করতে করতে প্রেম অতঃপর বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্যজীবনে কোলজুড়ে আসে সন্তান আব্রাম খান জয়। বিয়ে ও সন্তানের কথা প্রকাশ্যে আসার পর ভাঙনের সুর বাজতে থাকে তাদের সংসারে। একপর্যায়ে ডিভোর্স হয় তাদের। দুজন দুদিকে পথ চলতে থাকলেও সাম্প্রতিক এ নায়িকাকে বেশ ইতিবাচক দেখা যায় স্বামী ও অভিনেতা শাকিবের ব্যাপারে। এমনকী বেশ ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে। এবার নায়কের সঙ্গে কীভাবে বিয়ে হয়েছিল তা জানিয়েছেন অপু বিশ্বাস। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে এসে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, মা কখনই নায়িকা ভাবেননি আমায়। কোনো একটা ব্যাপারে শুটিং সেটে এসেই মা আমাকে ধাপ্পড় দিয়েছেন। মেকআপ নেওয়া, রোমান্টিক সিনের জন্য প্রস্তুত আমি। আর মা বলছে, এদিকে আয়। আমি আসছি বলি। কিন্তু আসছি বললাম কেন, উঠে সবার সামনেই দুই গালে দুটি থাপ্পড় দিয়েছেন। অপু বলেন, বলতে গেলে তখন ক্যামেরা অন। মেকআপ নেওয়া থাকায় গালে থাপ্পড়ের দাগ বসে গেছে। সেটে উপস্থিত সবাই বলছিল, আন্টি কী হয়েছে, কী হয়েছে। সিনেমার নাম ছিল ‘তোমার জন্যে মরতে পারি’। সবার সামনে একে তো লজ্জা, আবার মারের ব্যথা, তৃতীয়ত যাকে পছন্দ করি তার সামনে ছোট হলাম না? এসব হচ্ছে বিয়ের আগের ঘটনা। আর এসব ব্যাপার থেকেই বিয়ে আমাদের। এই অভিনেত্রী বলেন,মা যখন এভাবে বাধা দিচ্ছিল, তখন মগবাজারের একটি ডুপ্লেক্স বাসায় থাকত শাকিব খান। সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার শাশুড়িও ছিলেন। তখন আন্টি ডাকি আমি। যাওয়ার পর আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কী খেতে পছন্দ করি। আমি সবসময় ইলিশ মাছ খেতে ভীষণ পছন্দ করি। তিনি বলেন, আমার মাকে আমি বলেছিলাম, শপিংয়ে যাচ্ছি। শাকিবের বাসায় যাওয়ার পর আমাকে ইলিশ মাছ খাওয়ান আন্টি। সঙ্গে উকিল বাবা মামুন (প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন) ছিলেন। শাশুড়ি মাছ ভেজে খাওয়ান। মাছের এক টুকরা আমাকে খাইয়ে দেন। এত লজ্জা আর ভয় লাগছিল। আবার বিষয়টি এত ভালো লেগেছিল যে প্রায় তিন মাস আমি শুধু ওই চিন্তাই করতাম। মানে কীভাবে সবার মধ্যে আমাকে খাওয়াল। একবার এক লোকমা খাইয়ে দিয়েছিল।  
যে কারণে লালন ব্যান্ড ছাড়লেন ড্রামার তিতি
এক-দুদিন নয়, পথচলা দীর্ঘ ১৭ বছরের। এবার সেই সম্পর্কের ইতি টেনে ‘লালন’ ব্যান্ড ছাড়লেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে জানালেন নানা কথা।  জানা যায়, সবশেষ গত ৯ মার্চ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কনসার্টে লালন ব্যান্ডের সঙ্গে ড্রাম বাজান তিতি। এরপর তার ফেসবুক আইডিতে  দেখা যায় ‘লেফট জব’ স্ট্যাটাস। হঠাৎ কেন দল ছাড়লেন তিনি, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে ভক্ত থেকে সাংবাদিক—সবার মনেই। বিষয়টি নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যম কথা বলে ড্রামার তিতির সঙ্গে। তখন তিনি বলেন, লালন ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা রয়েছে। আর সে কারণেই কণ্ঠশিল্পী সুমি যতটা পরিচিতি পেয়েছেন, তার তুলনায় বাকি সদস্যরা রয়ে গেছেন অনেকটাই আড়ালে। কনসার্ট আয়োজকদেরও দেখেছি, ব্যান্ড থেকে সুমিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে। বেশির ভাগ কনসার্টে তাকেই একা আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সেগুলোতে তিনি অংশ নেন না। এতে করে দিনের পর দিন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সুমি। আমি এমনটা চাই না। চাই, সুমি নিজেকে মেলে ধরুক। আরও এগিয়ে যাক।  তিনি আরও বলেন, সুমি কিন্তু অনেকের মতো ব্যান্ডকে ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানও গড়তে পারেননি। তিনি আসলে যত বড় শিল্পী, সে তুলনায় আজও তার আর্থিক সফলতা আসেনি। আর এটা শুধু ব্যান্ডের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণেই।  তিতি বলেন, দেশ কিংবা বিদেশ—অনুষ্ঠান যেখানেই হোক সবাই শুধু সুমিকেই খোঁজেন, ব্যান্ডকে নয়। অবশ্য এর পেছনে কারণও রয়েছে। ব্যান্ডদলের সবাইকে নিলে অনেক খরচ। সুমি এখানেও নিজের অবস্থানে অটুট। একা কোথাও যান না। বিষয়টি নিজে থেকে অনুধাবন করেছি। চাই না, ব্যান্ডের জন্য তার সফলতা আটকে থাকুক। এ কারণেই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত।  তবে এসবের বাইরে কণ্ঠশিল্পী সুমিকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগও আছে তিতির। তিনি বলেন, সুমি অনেক সময় স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতেন। আর তার সেই সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করতো পুরো দলের প্র্যাকটিস ও কনসার্ট। এমনটা হওয়া উচিত নয়। কারণ, কিছু সময় মানুষকে তার প্রিয় জিনিস ছেড়ে আসতে হয়। আমি ব্যান্ড ও সুমিকে সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছি। খারাপ সময়ে মোটেই ফেলে যাইনি। প্রসঙ্গত, তিতি ২০০৭ সালে লালন ব্যান্ডে যোগ দেন। এর আগে তিনি ফেইথ, আর্ক, স্বাধীনতা ও কানিজ সুবর্ণার সঙ্গে কাজ করেছেন।
পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ অভিনেতা গুরুচরণ সিং
ভারতের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘তারাক মেহতা কা উল্টা চশমার’ জনপ্রিয় অভিনেতা গুরুচরণ সিং পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি এই ধারাবাহিকটিতে ‘রোশান সিং সোধি’-র ভূমিকায় অভিনয় করে থাকেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, গত ২২ এপিল থেকে গুরুচরণ সিং নিখোঁজ রয়েছেন। দিল্লি পুলিশ এখন একটি অপহরণের মামলা নিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন। গুরুচরণের বাবা  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল)  দিল্লির পালাম পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে তিনি জানান তার ছেলে নিখোঁজ রয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে ৫০ বছর বয়সি এই অভিনেতা ২২ এপ্রিল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে মুম্বাই যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তবে তিনি মুম্বাইগামী ওই ফ্লাইটে চড়েননি। অর্থাৎ তিনি মুম্বাই যাননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, গুরুচরণের মোবাইল নাম্বারটি ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এই সময়ের মধ্যে তার মোবাইল দিয়ে বেশ কয়েকবার অর্থ আদান-প্রদান হয়েছে।
সমাজের নানা অসঙ্গতি নিয়ে তানিনের ‘রসের হাঁড়ি বাড়াবাড়ি’
এ প্রজন্মের নায়িকা তানিন সুবহা। নিয়মিত নাটক-সিনেমায় অভিনয় করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এই অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন বৈশাখী টেলিভিশনের ‘রসের হাঁড়ি বাড়াবাড়ি’ নামের নতুন ধারাবাহিকে। নতুন ধারাবাহিকটি নিয়ে তানিন সুবহা বলেন, ‘রসের হাঁড়ি বাড়াবাড়ি’ মূলত একটি কমেডি নাটক। হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সমাজের নানা অসঙ্গতি। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, নাটকটি দেখে দর্শকরা প্রতারিত হবেন না। আশা করছি, সব শ্রেণির দর্শকদের এটি ভালো লাগবে। আকাশ রঞ্জনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নাটকের গল্প লিখেছেন টিপু আলম মিলন। ধারাবাহিকটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন চিত্রলেখা গুহ, আরফান আহমেদ, রিনা খান, জিল্লুর রহমান, সাদ্দাম মাল, উদাস শরীফ খান, শমসের আলী, শাকিলা পারভীন, সুজন হাবিব, আজীজুন মীম, পারিশা জান্নাত, মুকুল সিরাজ, লিটন খন্দকার, রেশমা আহমেদসহ আরও অনেকে।
গরমে নাজেহাল মানুষের জন্য অরিজিৎ সিং'র ভিন্ন উদ্যোগ
তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ। এমন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন গায়ক অরিজিৎ সিং। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ শহরে অরিজিৎ সিংয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ‘হেঁশেল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ পরিচালনা করা হয়। রেস্তোরাঁর বাইরে ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। সংগীত জগতে অরিজিতের খ্যাতির পাশাপাশি তার পারিবারিক রেস্তোরাঁ হেঁশেলের সুনাম বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশবিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে জিয়াগঞ্জের হেঁশেলের সুখ্যাতি। পথ চলতি সাধারণ মানুষের যখন গলা শুকিয়ে কাঠ, এক গ্লাস পানির জন্য প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখন অরিজিৎ সিং তার পরিবারের পরিচালনা করা হেঁশেলে গ্লুকোজ দেওয়া ঠান্ডা পানি তুলে দিচ্ছেন সবাইকে।
ফরিদুল হাসানের তারকাবহুল ধারাবাহিক ‘বাহানা’
পারিবারিক ও কমেডি ঘরানার গল্প জনপ্রিয় নির্মাতা ফরিদুল হাসান একঝাঁক তারকা নিয়ে নির্মাণ করেছেন দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘বাহানা’। পরিবারের বিভিন্ন টালবাহানা নিয়ে ধারাবাহিকটির গল্প।  গল্পটিতে দেখা যাবে শিমুলতলী গ্রামের একটি বাড়ি তালুকদার বাড়ি। এই বাড়ির গৃহকর্তা মরহুম মোহরম তালুকদার সংসারে ছয় মেয়ে ও প্রচুর বিষয়সম্পত্তি রেখে গেছেন। বংশ রক্ষার তাগিদে একে একে ছয়টি মেয়ে হয় তার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পুত্র সন্তানের মুখ দেখা হয়নি। তার আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। মোবারক তালুকদারের স্ত্রী আমেনা ছয় মেয়ে জুই, জবা, বেলী, শাপলা আর টগর শিউলীকে নিয়ে দিন কাটান। পর্যাপ্ত টাকা পয়সা থাকা সত্ত্বেও তিনি এক মেয়ে ছাড়া অন্য মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে পারেননি। কারণ লেখাপড়ার ব্যাপারে তাদের কারোই তেমন আগ্রহ ছিল না। লেখাপড়ার প্রসঙ্গ এলেই শুরু হয় টালবাহানা। বড় মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর অন্যদের বিয়ের বয়স হয়ে গেলেও তিনি বিয়ে দিতে পারছেন না। এখানেও টালবাহানা। আমেনা বেগম এই নিয়ে বেশ চিন্তিত। তার একমাত্র ভরসা বড় মেয়ের জামাই মোফাক্কর। আমেনা বেগম বড় মেয়ে জুইকে পাঁচ বৎসর আগে বিয়ে করেন ভিন্ন জেলার ছেলে মোফাক্কর। বিয়ের পর মোফাক্কর স্থায়ীভাবে শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে। সেখানে থাকে নানান টালবাহানা। তার কথা হলো, বাড়িতে একজন পুরুষ মানুষ না থাকলে কেমনে হয়? আমেনা বেগমও বিষয়টা মেনে নেয়। তারপর থেকেই ঘর জামাই হিসেবে শ্বশুর বাড়িতে থাকা শুরু করে মোফাক্কর। আর মোফাক্করের পাঁচ শ্যালিকা একেক জনের সঙ্গে তার একেক রকম সম্পর্ক। মূলত পাঁচ শ্যালিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং আচার-আচরণ নিয়েই এই নাটকের গল্প এগিয়ে যায়। ধারাবাহিকটি নিয়ে ফরিদুল হাসান বলেন, নাটকটিতে পরিবারের গল্প বলা হয়েছে। বর্তমানে সেরকম পরিবারের গল্প হয় না বললেই চলে। আমি বরাবরই পারিবারিক গল্পে কাজ করে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখেই নির্মাণ করি। হাস্যরসের মধ্যে গল্পে রয়েছে সামাজিক বার্তা। আশা করি, দর্শকদের ধারাবাহিক নাটকটি ভালো লাগবে। নির্মাতা জানান, ‘বাহানা’ ধারাবাহিকটি আসছে ৩০ এপ্রিল বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিতে প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় প্রচার হবে। এরপর টেলিভিশনটির ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হবে। জাকির হোসেন উজ্জ্বলের রচনায় এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালাউদ্দিন লাভলু, আ খ ম হাসান, জামিল হোসাইন, নাদিয়া আহমেদ, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, তাহমিনা মৌ, সাবিহা জামান, শেলী আহসান, ফারুক আহমেদ, ডা. এজাজ, সিদ্দিকুর রহমান, সাইদুর রহমান পাভেল,শহীদ-উন-নবী, আইরিন তানি, এমিলা হক, সামিনা বাশার, জামাল রাজা, হেদায়ত নান্নু, তানিয়া রিতু, রেশমী, সাজু খাদেম, সূচনা সিকদার, রাজা হাসান, শ্রবন্তী খান, ফারজানা মিথিয়া প্রমুখ।     
মাহির পর এবার মায়ের চরিত্রে জয়া আহসান
সম্প্রতি ‘রাজকুমার’ সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এবার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন দুই বাংলার দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। তবে বাংলাদেশের কোনো সিনেমা নয়, কলকাতার সিনেমায় মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে জয়াকে।   ভারতীয় নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর নতুন বাংলা সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন জয়া। সিনেমাটির নাম ‘ডিয়ার মা’। মূলত এ কারণেই বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন তিনি। শিগগির নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করবেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নতুন এই সিনেমার ব্যাপারে কথা বলেন জয়া। অভিনেত্রী বলেন, অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী দশ বছর পর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। সবশেষ তিনি ‘বুনোহাঁস’ পরিচালনা করেছিলেন। তার পরিচালনায় হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’ সিনেমায় কাজ করেছি। এবার বাংলা সিনেমায় কাজ করব। তিনি আরও বলেন, এখন প্রচণ্ড গরম। শুটিং শুরুর আগে চরিত্রটি নিয়ে প্রস্তুতির কাজ চলছে। স্ক্রিপ্ট পড়ছি, নিজেরা আলোচনা করছি, আশা করছি ভালো কিছু হবে। নতুন সিনেমার চরিত্রটি নিয়ে জয়া বলেন, মায়ের চরিত্রে দর্শকরা আমাকে দেখবেন। প্রথমবার এমন চরিত্র করছি। মা-সন্তানের গল্প। মা-সন্তানের সম্পর্কের গল্প। দর্শকরা একটি সুন্দর সম্পর্কের গল্প দেখবেন এই সিনেমায়। 'ডিয়ার মা' সিনেমার অন্যতম প্রধান চরিত্র জয়া আহসানের। তিনি বলেন, ভালো গল্পের জন্য সবসময় অপেক্ষা করি। ভালো চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করি। ‘ডিয়ার মা’ তেমনই একটি কাজ হবে। প্রসঙ্গত, জয়া ছাড়া সিনেমায় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও অভিনয় করবেন। অভিনেত্রীর স্বামীর চরিত্রে দেখা যাবে চন্দন রায় স্যানালকে। জয়া অভিনীত কলকাতায় সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'ভূতপরী'। সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে।