• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীরে এসে তরী ডুবলো পাকিস্তানের, সিরিজে এক হাত নিউজিল্যান্ডের
হায়দ্রাবাদকে বিধ্বস্ত করে ছয় ম্যাচ পর জয়ে ফিরলো বেঙ্গালুরু
চলতি আইপিএলের প্রথম দেখায় বেঙ্গালুরু বিপক্ষে ২৮৭ রান তুলেছিল হায়দ্রাবাদ। সেই ম্যাচে ২৫ রানে হেরেছিল কোহলিরা। দ্বিতীয় দেখায় সেই হারের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বেঙ্গালুরু। নিজেদের নবম ম্যাচে উড়তে থাকা হায়দ্রাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে কোহলি-কার্তিকরা। সেই সঙ্গে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেলো বেঙ্গালুরু। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বেঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে কামিন্সের দল। এতে ৩৫ রানের জয় পায় বেঙ্গালুরু। এতে টানা চার জয়ের পর হারের স্বাদ পেলো হায়দ্রাবাদ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দ্রাবাদ। ৩ বলে ১ রান করে ইনিংসের ষষ্ঠ বলে সাজঘরে ফেরেন ট্রাভিস হেড। ১৩ বলে ৩১ রান আউট হন আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এইডেন মারক্রামও। ৮ বলে ৭ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। হেইনরিচ ক্লাসেন (৭), নিতিশ কুমার (১৩) এবং ৬ বলে ১০ রান করে আব্দুল সামাদ আউট হলেও দলীয় ৮৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। এরপর শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই অজি ব্যাটার। ১৫ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হন ভুবনেশ্বর কুমার। এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন শাহবাজ আহমেদ। ৩৭ বলে ৪০ রানে শাহবাজ অপরাজিত থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি হায়দ্রাবাদের। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে কামিন্সের দল। এতে ৩৫ রানের জয় পায় বেঙ্গালুরু। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে স্বপনীল সিং, কারান শর্মা ও ক্যামেরুন গ্রিন দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও উইল জ্যাক এবং যস দয়াল নেন একটি করে উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেঙ্গালুরুকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ১২ বলে ২৫ রান করে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি উইল জ্যাক। ৯ বলে ৬ রান করে আউট হন এই ইংলিশ ব্যাটার। এরপর পিচে এসে তাণ্ডব শুরু করেন রজত পাতিদার। ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন রজত। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। ফিফটির বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি কোহলিও। ৪৩ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ভারতীয় ব্যাটার। এরপর মাহিপাল লোমরোরকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ক্যামরুন গ্রিন। কিন্তু ৪ বলে ৭ রান করে আউট মহিপাল। ৬ বলে ১১ রান করে আউট হন দিনেশ কার্তিকও। শেষ পর্যন্ত স্বপনীল সিংয়ের ৬ বলের ১২ রান এবং গ্রিনের ২০ বলের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের বড় পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু।
প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন ক্রিকেটাররা
হায়দ্রাবাদকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিলো বেঙ্গালুরু
শান্ত-বিজয়দের বীরত্বে ডিপিএলের শিরোপা আবাহনীর
জয়ের খোঁজে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বেঙ্গালুরু
স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন
বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা ২০২৪। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আহমেদুর রহমান। তিন দিনব্যাপী এ  প্রতিযোগিতায় বিকেএসপি, বাংলাদেশ পুলিশ, কোয়ান্টামসহ জুনিয়র-সিনিয়র বিভাগে ৩৫ টি দল/ক্লাবের  প্রায় ৫০ জন পুরুষ ও মহিলা জিমন্যাস্ট অংশ নিচ্ছে। মূলত, আগামী ১২-২০ মে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান (সিনিয়র এবং জুনিয়র) জিমন্যাস্টিকস  প্রতিযোগিতার  দল  নির্বাচনের বাছাইপর্ব হিসেবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান।   ফেডারেশন সভাপতি শেখ বশির আহমেদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী  অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের(বিওএ) মহাসচিব  সৈয়দ শাহেদ রেজা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে যা বললেন সাকিব
কয়েক দিন আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগারদের নিয়ে বেশি আশা না রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে শোনা গেল আশার বানী। বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। দর্শকদের ভালোবাসারও প্রতিদান দিতে চান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা নিয়ে সাকিব বলেন, বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে বাংলাদেশেরও বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে। আমরা যদি মোমেন্টাম পেয়ে যাই এটা ধরে রাখতে পারি। ভালো কিছু করতে খুব বেশি ম্যাচ জিততে হয় না কিন্তু। আমি আশা করছি, আমরা সেটা করতে পারব। আপনাদের সমর্থন থাকলে কেন নয়, কেন নয়। আমি বিশ্বাস করি আমরা করতে পারব। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডি গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও নেদারল্যান্ড। কঠিন গ্রুপে পড়লেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়ায় কন্ডিশন থেকে সহায়তা পাওয়ার কথা জানান সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, যদিও আমরা কঠিন গ্রুপে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে আসলে দলগুলোর পার্থক্য খুব কম হয়। যেকোনো দিন যেকোনো দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে। অবশ্যই কঠিন প্রতিযোগিতা হবে।  ‘তবে আমার মনে হয় কন্ডিশন যেমন হবে সেটা আমাদের সহায়তা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের (খেলার) সঙ্গে বেশ মানানসই। একই ধরনের পিচ (বাংলাদেশের মতো) আমরা পেতে পারি। বিশেষ করে ডালাসে। আমি জানি না নিউইয়র্কের পিচ কেমন হবে।’ তিনি আরও বলেন, আশা করছি প্রচুর সমর্থন পাব। ভালো করি বা খারাপ করি আপনাদের অনেক সমর্থন পাব, এটাই আমার আশা। সমালোচনাও করতে পারেন, সমস্যা নেই। আমি মনে করি, আমরা আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতিদান দিতে পারব।
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা এবং ধোনিকে নিয়ে যা বললেন মোস্তাফিজ
চলতি আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে বেশ ছন্দে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেললেও ধোনির সঙ্গে ফিজের বোঝাপড়াটা বেশ জমে উঠেছে। তাই এবারের মিনি নিলাম থেকে চেন্নাইয়ের ডাক পাওয়ার পরের অনুভূতি, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সঙ্গে আলোচনা ও দলের অভ্যন্তরীণ আবহ নিয়ে কথা বলেছেন এই টাইগার পেসার।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) চেন্নাইয়ের মিডিয়া বিভাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বাংলাদেশি পেসার বলেন, এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা।  ‘যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। এক রকম উত্তেজনা কাজ করছিল। কিন্তু পরদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ছিল, তাই ঘণ্টাখানেকের মতো ঘুমাই, এরপর থেকে শুধু মেসেজ আসতে ছিল। রাত দেড়টার মতো বাজে তখন, সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাতে থাকে।’ গত আসরগুলোতে মোস্তাফিজের ফিল্ড সেটাপ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে অনেকেই। তবে এবারে আসরে সেই অভিযোগকে ভুল প্রমাণ করেছেন ধোনি। ফলে ধোনি-ব্রাভোদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন ফিজ। তিনি বলেন, এখানকার সবাই খুব আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের। জাতীয় দলে যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, তেমনি এখানেও শুরু থেকে আমার অস্বস্তি লাগেনি। এখানে বড় ভূমিকা ছিল মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের, ডিজে ব্রাভো (চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ) এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফের। ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সেট-আপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট কিছু বিষয় জানায়, সেগুলো আমার ডেথ ওভারের বোলিংয়ে খুব ভালো কাজে লাগে।’ ফিজ আরও বলেন, মাহি ভাইয়ের সঙ্গে বেশিরভাগ বোলিং নিয়েই কথা হয়, তবে যা হয় মাঠেই। এর বাইরে তেমন কথা হয় না। মাহি ভাই এসেই বলেন যে এটা (কৌশল) করলে ভালো হয়।  ‘আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক আত্মবিশ্বাস পায়, পুরো টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক সব তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে যদি আমি সফল হই, যেকোনো জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হয়।’ জাতীয় দলের হয়ে খেলা এই টাইগার পেসার বলেন, যখন আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলি তখন বাড়তি প্রেরণা কাজ করে। আর বিশেষ করে যখন ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য বড় দলের সঙ্গে খেলি, যেখানে হাইলাইটস হয় বেশি, সবমিলিয়ে বড় দলের সঙ্গে খেলতে সবসময় ভালো লাগে। এসব ম্যাচে দর্শক থাকে অনেক বেশি। খেলা দেখি কম, তবে খেলতে পছন্দ করি। 
জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা নিয়ে যা জানালেন সাকিব
বিশ্বকাপে শক্তিশালী দল তৈরি করতে জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে তিন দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করতে যাচ্ছে বিসিবি। যার জন্য ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে নাম নেই সাকিব আল হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমানের। তবে জিম্বাবুয়ের সিরিজের সাকিবের না থাকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক। এবার মুখ খুললেন সাকিব নিজেই। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাকিব বলেন, আমেরিকায় থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে, মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে।  ‘যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ, আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’ জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলা নিয়ে এই টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলব না, ডিপিএল খেলব। ‘আসলে কোচ-অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটো ম্যাচ খেললেই হবে। এরপর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এত কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।’ এর আগে প্রধান এই নির্বাচক লিপু বলেছিলেন, সাকিব বাংলাদেশে আসলে সম্ভাবনা আছে ডিপিএলে একটা-দুইটা ম্যাচ খেলার। তারপর আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঢুকে যাবেন। সেখানে স্কিল অনুশীলনের সুযোগ থাকবে। টিম ম্যানেজমেন্ট যেভাবে চায়, তিনি যেভাবে চান। তারপর অবশ্যই চাইব যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ যেহেতু পাঁচটা, শেষের দিকে তিনি যেন খেলেন।  
বাংলাদেশ সিরিজের জন্য আইপিএল ছাড়ছেন রাজা!
আইপিএলে খেলতে এই মুহূর্তে ভারতে আছেন সিকান্দার রাজা। তবে বিশ্বের জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের এবারের আসরের সবগুলো ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি।  কেননা, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকায় পা রাখবে জিম্বাবুয়ে দল। ১৫ সদস্যের সেই স্কোয়াডে অধিনায়ক হিসেবে আছেন রাজা। ফলে আইপিএল ছেড়ে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে তাকে। যদিও রাজার দাবি, জাতীয় দলের খেলা থাকলে কোনোরকম দ্বন্দ্ব ছাড়াই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ছেড়ে যাবেন তিনি। সম্প্রতি জিম্বাবুয়েভিত্তিক ওয়েবসাইট থ্রি-মোবডটকমে এক সাক্ষাৎকারে রাজার ভাষ্য, ‘আমি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, দেশের একটা সীমিত ওভারের ম্যাচও আমি মিস করব না। এর কারণে যে লিগকেই ছেড়ে যেতে হোক না কেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘জিম্বাবুয়ে যদি এখন আমাকে বলে যে তিনদিন পরই সিরিজ আছে, আর প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া, তাতে আমার কিছু যায়–আসে না। জিম্বাবুয়ে যদি আমাকে দলে নেয়, তাহলে আমি পিএসএল ছেড়ে যাব। যদি আইপিএলের সময় সিরিজ আসে, আমি আইপিএল ছেড়ে যাব। গ্লোবালটি-টোয়েন্টি, সিপিএল, আইএলটি-টোয়েন্টি—যে লিগই হোক না কেন।’ উল্লেখ্য, আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছে চট্টগ্রামের বিমান ধরবে রোডেশিয়ানরা। এরপর আগামী ৩ মে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের প্রথম তিনটি টি-টোয়েন্টি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাকি দুই ম্যাচ হবে ৫ ও ৭ মে। সাগরিকা পর্ব শেষে দুই দলই ঢাকায় ফিরবে। সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম টি-টোয়েন্টি গড়াবে ঢাকায়। মিরপুরে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ। এই সিরিজ শেষেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবে লাল-সবুজেরা। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আগামী ২১ মে হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ মে। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই টেক্সাসের হিউস্টনেপ্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে (পিভিসিসি) অনুষ্ঠিত হবে। জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড : সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, বেনেট ব্রায়ান, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জংওয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইনস্লে এন্ডলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও শন উইলিয়ামস।
গতিমানব থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উসাইন বোল্ট
উসাইন বোল্ট এখনও বিশ্বের দ্রুততম মানব। অ্যাথলেট হিসেবে পরিচিত হলেও ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে এই জ্যামাইকান স্প্রিন্টারের। স্প্রিন্টার না হলেও হয়তো ক্রিকেটেই মনস্থির করতেন তিনি। এবার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার দুর্দান্ত এক উপলক্ষ পেয়েছেন বোল্ট। আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গতিমানব বোল্টকে শুভেচ্ছা দূত করা হয়েছে। বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী সাবেক এই স্প্রিন্টারের ভাষ্য, ‘আমেরিকা খেলায় এবং এর তীব্রতায় বিশ্বাস করে। এমন বাজারে ঢোকা আমার কাছে বড় ব্যাপার বলে মনে হয়। তারা যখন কোনো খেলা অনুসরণ করে, সেটি একেবারে ঠিকঠাকভাবে করে। তারা উজাড় করে দেয়। যদি তারা এদিকে ঝোঁকে, তাহলে তারা ঠিকঠাকভাবেই এগোবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেমন উৎসাহ থাকবে, তেমন কিছু হলে দারুণ হবে।’ উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। ২৯ জুন ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের।
গুজরাটের বিপক্ষে দিল্লির ব্যাট টু ব্যাক জয়
চলতি আইপিএলের প্রথম দেখায় গুজরাটকে আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ছয় উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় পান্থের দল। দ্বিতীয় দেখায় ঘরের মাঠে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাট জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে ২২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। এতে গুজরাটকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে দিল্লি। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। ৫ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শুভমান গিল। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধিমান শাহা। ২৫ বলে ৩৯ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই সুদর্শন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আজমতুল্লাহ ওমারজাই। ২ বলে ১ রান করে আউট হন এই আফগান অলরাউন্ডার। ৩৯ বলে ৬৫ রান করে সুদর্শন আউট হলে চাপে পড়ে গুজরাট। ৫ বলে ৮ রান করে শাহরুখ খান এবং ৫ বলে ৪ রান করে রাহুল তাওয়াতিয়া আউট হলে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ডেভিড মিলার। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ১৮তম ওভারে দ্বিতীয় বলে মুকেশ কুমারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ডেভিড মিলার। ২৩ বলে ৫৫ রান করে এই বাঁহাতি ব্যাটার আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় গুজরাট। ৬ বলে ১৩ রান করে আউট হন কিশোর। শেষ দিকে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললেও হার এড়াতে পারেনি গুজরাট। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রাসিখ সালাম। এ ছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব দুটি, এনরিখ নরকিয়া, মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে দিল্লি। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকে পান্থও। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন দিল্লি অধিনায়ক। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করে ক্রিস্টান স্টাবস। ১৯তম ওভারে ২১ রান তোলে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। শেষ ওভারে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে রান তুলতে থাকেন পান্থ। স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি।