রাজিয়ার মৃত্যুতে স্বামীর অভিযোগ, বিচার চেয়েছেন চেয়ারম্যানের কাছে
সন্তান প্রসবের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যান বাংলাদেশের হয়ে সাফজয়ী নারী ফুটবলার রাজিয়া সুলতানা। তবে তার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন স্বামী ইয়াম রহমান। তিনি অভিযোগ করেছেন পরিবারের অবহেলার শিকার রাজিয়া, মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রাজিয়ার মা বাধা দেন।
ইয়ামও পেশায় একজন ফুটবলার। ফুটবলার হিসেবেই বাফুফে ভবন-সংলগ্ন টার্ফে তাদের পরিচয়। তারপর দেড় বছর প্রেম করে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন তারা। রাজিয়ার অকাল মৃত্যু সবকিছু শেষ করে দিয়েছেন ইয়ামের।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্ত্রী রাজিয়ার দাফন শেষে দেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ইয়াম। তিনি বলেন, বিকেলে রাজিয়ার দাফন শেষ করে এখনো কবরের পাশে বসে আছি। কি থেকে কী হয়ে গেলো। আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো সে বেঁচে যেতো। কিন্তু তাকে নেওয়া হয়নি।
রাজিয়ার মা ও ভাইয়ের ওপর অভিযোগ করে ইয়াম বলেন, আমি এখানে এসে শুনলাম, রাজিয়া আমার সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য তার মাকে অনুরোধ করেছিল ফোনে ধরিয়ে দিতে। তার মা সেটাও দেয়নি। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে এর বিচার চেয়েছি।
নিজের বাচ্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি বলেন, আমার বাড়ি চট্টগ্রামে। মা আসতেছেন। তিনি এখন পথে। তিনি আসলেই শিশু সন্তানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাচ্চাকে আমার ভাবির কাছে বগুড়ায় দিয়ে আসবো।
রাজিয়া সুলতানা ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল দলে খেলেছেন। ২০১৮ সালে সাফ জেতা অনূর্ধ্ব-১৮ দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মা হওয়ার পরও ফুটবল খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন রাজিয়া। গত বছর জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল তখন সে খেলেছে এবং ওই সময়ই আমাকে সুঃসংবাদ দিয়েছিল আমি বাবা হতে চলেছি।
‘তখন রাজিয়া বলেছিল তার ফুটবল খেলার কী হবে। আমি তাকে বলেছিলাম, বাচ্চা হওয়ার পর আবার খেলবা। এখন নিজেই সবকিছু থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো’।
মন্তব্য করুন