শেষ মুহূর্তের সিদ্ধান্ত শুনে হতাশ কিংস অধিনায়ক
রোববার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ফ্লাইট ধরার কথা। গন্তব্য মালদ্বীপের রাজধানী মালে। লক্ষ্য এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে অংশ নেয়ার। সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করেছেন বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। সব প্রস্তুত। দুপুরে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল লাগেজ। ঠিক এমন সময় খবর এলো স্থগিত করা হলো গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ও জাতীয় দলের এই তারকা জানায়, ১৪ থেকে ১৭ মে মালদ্বীপের মালেতে এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচগুলো আয়োজন হচ্ছে না।
এমন সংবাদ শুনে বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক তপু বর্মণ বলেন, ‘এমন সংবাদ শুনে আমরা শতভাগ প্রস্তুত ছিলাম। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। এটা খেলারই অংশ। অবশ্যই হতাশ।’
গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব ও ভারতের মোহনবাগান ছিল বসুন্ধরা কিংসের সামনে। অন্যদিকে ১১ মে ভারতের বেঙ্গালুরু এফসি ও মালদ্বীপের ঈগলস ক্লাবের মধ্যকার প্লে-অফ ম্যাচের পর। তৃতীয় প্রতিপক্ষটি নিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল।
তপু আরও বলেন, ‘প্রায় সাত থেকে আট সপ্তাহ এক সঙ্গে অনুশীলন করেছি। লিগের তিনটি ম্যাচ খেলেছি। এএফসি কাপে ভালো করার সুযোগ ছিল। প্রত্যাশা ছিল ভালো কিছু নিয়ে দেশে ফেরার।’
কয়েকদিন আগেই ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচ আয়োজনে অনীহা প্রকাশ করে এএফসি’র কাছে আবেদন করে আয়োজক দেশ মালদ্বীপ। কারণ হিসেবে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টি জানান দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমেদ মাহলোফ।
যদিও বিষয়টি নিয়ে এএফসি’র পক্ষ থেকে তখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে সূচি অনুযায়ী প্লে-অফের ম্যাচ খেলতে শনিবার মালে পৌঁছায় বেঙ্গালুরু এফসি। মালদ্বীপে পৌঁছে ক্লাবটির বিরুদ্ধে কোভিড প্রটোকল ভঙ্গ করার অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনার পরেই বেঙ্গালুরু দলকে মালদ্বীপ ছেড়ে চলে যেতে আহ্বান জানান ক্রীড়া মন্ত্রী আহমেদ। এমনকি এএফসির কাছে অনুরোধ করেন যাতে ম্যাচ গুলো স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
বিবৃতিতে এএফসি জানায়, ‘যে দলগুলো মালদ্বীপ পৌঁছেছিল সেগুলোকে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। যারা দেশটির জন্য রওয়ানা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তাদের নিজ দেশেই অবস্থান করতে বলা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো স্থগিত থাকবে।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন