বাফুফের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করলে আইনি পদক্ষেপ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে দেশের ফুটবল সমর্থকরা। আগামী ৩ অক্টোবরের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বর্তমান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়।
বলতে গেলে বাদল ও মানিক ছাড়া কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষেই অবস্থান সমর্থকদের। বাফুফের অফিশিয়াল পেজ থেকে যা কিছুই পোস্ট করা হচ্ছে সেখানেই হামলে পড়ছে ‘সালাউদ্দিন মুক্ত বাফুফে চাই’ হ্যাশ ট্যাগ মন্তব্যে।
দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলে আসলেও এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাফুফে। বিশেষ করে বাফুফের পরিচালনা পর্ষদকে নিয়ে ট্রল, সমালোচনা করে ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গুজব ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ এনেছে বাফুফে। তাই যেসব আইডি, গ্রুপ ও পেজ থেকে এসব করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ জারি করেছে বাফুফে।
এ নিয়ে রোববার আইনি নোটিশ জারি করেছেন বাফুফের আইন উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম.এইচ তানভীর।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাফুফে ও ফিফার স্বীকৃত ফেসবুক পেজে কুরুচিপূর্ণ, অসৌজন্যমূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এতে বিশ্ব দরবারে দেশ ও দেশের ফুটবলকে হেয় করা হচ্ছে।
‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর হতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীগণ নিজেরা ফেসবুক গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অ্যাডমিন হয়ে বাফুফের নাম, লোগো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ অনুমতি ছাড়া যত্রতত্র ব্যবহার করে আমার মক্কেলের (বাফুফে) বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যার সঙ্গে আমার মক্কেল (বাফুফে) কোনোভাবেই জড়িত নয়।’
আইনি নোটিশটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই নোটিশ প্রদানের পর থেকে আমার মক্কেলকে (বাফুফে) উদ্দেশ্য করে অপমানজনক পোস্ট, বিবৃতি ও ভিডিও বার্তা প্রদান করে থাকেন বা এই কাজকে উৎসাহিত করে থাকেন বা জাতীয়/আন্তর্জাতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করে থাকেন কিংবা আসন্ন বাফুফের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে তারা/তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নোটিশের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের মহা-পুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, র্যাব মহাপরিচালক, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি) এর কাছে।
এমআর/
মন্তব্য করুন