ধ্রুপদী গানে যুবতীর সঙ্গে নেচে ভাইরাল কুকুর
বাড়ির সামনে গাছপালা দিয়ে ঘেরা উঠান। সেখানেই একটি খুঁটিতে বাঁধা একটি পোষা কুকুর। তার সামনে ধ্রুপদী গানে নাচতে শুরু করলেন এক যুবতী। মূলত সে-ই লালন-পালন করে কুকুরটির। যুবতী গানের সুরে তাল মিলিয়ে নাচছেন। আর তার সেই নাচের সঙ্গে কুকুরও দুই পা তুলে অঙ্গভঙ্গি করছে।
আরও পড়ুন... মৃ’ত্যু নিশ্চিত জেনেও বিয়ে করলেন তারা!
কুকুরের এ নাচের দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে কুকুর যেন যুবতীর নাচই নকল করার চেষ্টা করছে। নাচের ফাঁকে যুবতী একবার কুকুরের অঙ্গভঙ্গি দেখে নিলেন। আর এরপর নাচতে নাচতে পোষা কুকুরকে আদর করলেন ওই যুবতী।
সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। এমন দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছেন ভিডিওটি।
জানা গেছে, ওই যুবতীর নাম আদ্রা প্রসাদয়। তার বাড়ি ভারতের কেরালার ছেরথালায়। তার পোষা কুকুরের নাম মিতু। সূত্র : আনন্দবাজার
এসআর/
মন্তব্য করুন
শবে কদরের রাতে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা
শবে কদরের রাতে নিজের ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন সৌদি আরবের আতি আল-মালিকি নামের এক ব্যক্তি।
রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দুবাই ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের মক্কার বাসিন্দা আতি আল-মালিকির ছেলে আবদুল্লাহকে হত্যা করে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন এক ব্যক্তি। চলতি মাসের ১৭ তারিখে ওই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দণ্ড কার্যকরের আগেই খুনিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন নিহতের বাবা। এর বিনিময়ে কোন ক্ষতিপূরণও নেননি তিনি।
এরই মধ্যে আল-মালিকির ক্ষমা করার ঘোষণার মুহূর্তটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক্সের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রমজান মাসের পবিত্রতম রাত শবে কদরে অভিযুক্তকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন সন্তান হারানো বাবা। ঘোষণা শেষ হওয়া মাত্রই উপস্থিত অনেকে তাকে জড়িয়ে ধরে ওই বাবার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
الشيخ عاطي بن عطيه المالكي يعفو عن قاتل إبنه . شاهر ضيف الله الحارثي لوجه الله الكريم بيض الله وجهك وجزاك الله خير فمن عفى وأصلح فأجره على الله سبحانه والله يعتق رقابكم من النار pic.twitter.com/BP7Yyqy5Uz
— موسى المالكي (@moussa_saudi) April 5, 2024
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নিয়মে হত্যার বদলে হত্যা। অর্থাৎ, হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবার চাইলে ক্ষতিপূরণ নিয়ে কিংবা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।
অফিসে মিথ্যা বলে আইপিএলের গ্যালারিতে নারী, অতঃপর....
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) শুধু ক্রিকেটারদেরই নয়, ভাইরাল করে দেয় ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। ভারতের বেঙ্গালুরুতে তেমনই ঘটনা ঘটেছে। অফিসে মিথ্যা কথা বলে স্বামীর সঙ্গে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন এক নারী। তবে তার বিপত্তি বাড়িয়েছে টেলিভিশনের ক্যামেরা। টিভির পর্দায় তাদের দেখে ফেলেছেন অফিসের বস।
সোমবার (৮ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নেহা দ্বিবেদী নামের এক নারী পারিবারিক জরুরি কাজের’ কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি মিথ্যা ছিল। মূলত তিনি আইপিএলে তার তার প্রিয় দলের খেলা দেখার জন্য তিনি এই ছুটি নেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু গত ২ এপ্রিল বেঙ্গালুরুতে খেলেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। মাঠে বসে খেলা দেখার সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য টিভি ক্যামেরায় দেখানো হয় নেহাকে। আর সেই দৃশ্যটাই চোখে পড়ে যায় বসের।
View this post on Instagram
A post shared by Neha Dwivedi (@mishraji_ki_bitiya)
এরপর যা হয়েছে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন নেহা। তিনি জানান, প্রিয় দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ম্যাচ দেখতে ‘ফ্যামিলি ইমার্জেন্সি’র কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এক পর্যায়ে দর্শক সারিতে বসা আমাকে টিভির ক্যামেরায় দেখানো হয়। আর তা চোখে পড়ে যায় বসের। পরে বিষয়টি জানাতে বস নিজেই মেসেজ করেন নেহাকে।
ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্টে বসের সঙ্গে কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন তিনি। তাতে দেখা যায়. নেহার বস জানতে চাচ্ছেন, আপনি কি আরসিবির ভক্ত?
জবাবে নেহা বলেন, হ্যাঁ'। এরপর বস বলেন, তাহলে আপনি নিশ্চয় গতকাল খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। ওরা ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ মিস করার সময় আপনাকে খুব উদ্বিগ্ন চেহারায় দেখেছি। ১৬.৩ ওভারে যখন কিপার ক্যাচ মিস করলো, তখন।
হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পর নেহা স্বীকার করে নেন, ওটা তিনিই ছিলেন। বলেন, হ্যাঁ, অনুজ রাওয়াত ক্যাচ মিস করেছিল।
এরপর নেহার বস বলেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ক্যামেরায় আপনাকে দেখিয়েছিল। আর তাতেই আমি চিনে ফেলেছি। তাহলে এটাই ছিল গতকাল দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার কারণ।
এরপর তিনি একটি হাসির ইমোজি দিয়ে কথপোকথন শেষ করেন।
নেহার পোস্টে নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, বসও তাহলে অফিসে বসেই খেলা দেখছিলেন। কেউ আবার লিখেছেন, অনেকেই ক্যামেরায় ধরা পড়ার চেষ্টা করেন নানাভাবে। নেহা চাননি, কিন্তু তার ভাগ্যটাই খারাপ, তিনিই ফ্রেমবন্দি হলেন। এমন মজাদার নানা কমেন্টও দেখা যাচ্ছে নেহার পোস্ট।
নতুন গাড়ি কিনে আলোচনায় নীতা আম্বানি
নীতা মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন ও প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির স্ত্রী।
বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য সুপরিচিত নীতা আম্বানি। দামি শাড়ি, গয়না, জিনিসপত্র, বিমান, জুতা, ঘড়ি সব কিছুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে নীতা আম্বানির। সম্প্রতি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিবাহ অনুষ্ঠানের পর ফের আলোচনায় এলেন তিনি।
সম্প্রতি বিলাসবহুল রোজ কোয়ার্টজ শেডের Rolls Royce Phantom VIII EWB গাড়ি কিনেছেন নীতা আম্বানি। প্রায় ১২ কোটি টাকা দামের গাড়িটির ডিজাইনেও রয়েছে বিশেষত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা চলছে এই গাড়ি নিয়ে। গাড়িটি কাস্টোমাইজ করা, তাই আসলে কত দাম পড়েছে সেটা এই মুহূর্ত অনুমান করা যাচ্ছে না।
ভারতে এই বিলাসবহুল সেডানের গাড়ির দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা (অন-রোড)। কাস্টমাইজেশন বিকল্পগুলির জন্য আলাদা মূল্য দিতে হবে। নীতা আম্বানি যে বিলাসবহুল সেডানটি কিনেছেন সেটিক সবচেয়ে বিশেষ জিনিস হল এর রং। এর লোয়ার বডি রোজ কোয়ার্টজ এবং আপার বডি ভেলভেট অর্কিড।
ঈদে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জয়ের
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
জয় লিখেছেন, সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি সবার জন্য হোক আনন্দ ও উৎসবের। ঈদ বার্তা বয়ে আনুক শান্তি ও সম্প্রীতির। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আজকের দিনে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণীর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবাই, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ঈদ মোবারক!
এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার ১৫০০ জনকে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
অন্যদিকে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দেশে-বিদেশে সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঈদে সবার জীবনে সুখ শান্তি নেমে আসুক, অনাবিল আনন্দ বয়ে যাক এ কামনা করি।
গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা ও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেল ভাইরাল তরুণ-তরুণীর মারধরের কারণ
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অবশেষে জানা গেছে তাদের মারধরের কারণ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া শৌলা সড়কের। সম্পর্কে ওই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী।
৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করেতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
জানা গেছে, নির্যাতিত তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ঈদের দিন কামরুল শ্বশুরবাড়ি আসেন। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি এমনই ভাইরাল হয়েছে যে থানায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নির্যাতিত তরুণীর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবুও পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
ঈদের দিন তরুণ-তরুণীর মারধর, মিম ফিরলেন শ্বশুরবাড়ি
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলের ওই তরুণ-তরুণী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অভিমান থেকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এবার পুলিশ ও চেয়ারম্যানের সমঝোতায় শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেছেন মিম।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাউফল উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাউফল থানা থেকে ফোন পেয়ে আমি গিয়ে দেখি কামরুল ও মিমকে থানায় এনেছে পুলিশ। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে সমঝোতার জন্য আমার জিম্মায় দিয়ে দেন। আমি তাদের অবিভাবকদের নিয়ে ইউপিতে বসি। দুই পক্ষ মিলেমিশে থাকতে চায়, তাই মিমকে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি এবং তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি ফয়সালার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় থাকতেন। কামরুল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগের দিন কামরুল ও মিম ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন কামরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বললে মিম রাজি হয়নি। সে বলে, আমি কেন তোমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে, দরকার হলে তোমার মা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।
৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ইউটিউবার তরুণ-তরুণীর আত্মহত্যা
ভারতে একটি বহুতল ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা তরুণ-তরুণী। পেশায় তারা দুজনই ইউটিউবার ছিলেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
জানা গেছে, দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার বাহাদুরগড়ের একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্টের সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা গরভিত (২৫) ও নন্দিনী (২২) জুটি। দুজনেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছিলেন, তাদের নিজস্ব চ্যানেল চালাতেন এবং ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মের জন্য শর্ট ফিল্ম তৈরি করতেন। কয়েকদিন আগে দেরাদুন থেকে বাহাদুরগড়ে উঠেছিলেন এই জুটি। রুহিলা রেসিডেন্সির সপ্তম তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন তারা, যেখানে তারা তাদের পাঁচ সতীর্থকে নিয়ে থাকতেন তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকাল ৬টা নাগাদ আত্মঘাতী হন ওই দম্পতি। শুটিং শেষে দেরি করে বাড়ি ফেরেন তারা, অজ্ঞাত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর এ ঘটনা ঘটায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তবে এই দম্পতি চরম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একটি ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, তারা দম্পতির সিদ্ধান্তের দিকে পরিচালিত পরিস্থিতি তদন্তের জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। ঘটনাটি কেন ঘটেছে তা বোঝার জন্য ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগবীর বলেন, আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।