• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
র‍্যাগিংয়ে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা, হাবিপ্রবির দুই ছাত্র বহিষ্কার
নবীন শিক্ষার্থীকে চড়থাপ্পড় এবং সিগারেটের আগুনে হাতে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) আর্কিটেকচার বিভাগের দুই ছাত্রকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন হল থেকে বহিষ্কারসহ ৬ ছাত্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ মার্চ হাবিপ্রবি র‍্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ মূলকমিটির সভায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি আর্কিটেকচার বিভাগের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘটিত র‍্যাগিংয়ের ঘটনা বিশদভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানবির রুবাইয়েত ফারাবী ও দিগন্ত সাহাকে এক সেমিস্টার করে বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে বহিষ্কার করা হলো। আগামী ২৭ মার্চ হতে তাদের শাস্তি কার্যকর বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ৬ ছাত্রকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হলো।   জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসের এক ভোরবেলা আর্কিটেকচার বিভাগের নবাগত ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বটগাছের নিচে ডাকে একই বিভাগের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ঐ শিক্ষার্থীরা। কথোপকথনের এক পর্যায়ে তারা নবীন শিক্ষার্থীকে চড়থাপ্পড় মারে এবং সিগারেটের আগুনে হাতে ছ্যাঁকা দেয়। এরপর তাদের মেসে নিয়ে গিয়েও র‍্যাগ দেয়। পরে নবীন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে এর সত্যতা পায় র‍্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি।  প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের এর আগেও সতর্ক করা হয়েছিলো। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন ও প্রক্টর অফিস তাদের র‍্যাগিং থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, র‍্যাগিং কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং থেকে দূরে থাকতে আহবান জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন বলেন, ছাত্রদের শাস্তি প্রদান ও বহিষ্কার আমাদের জন্য দুঃখজনক একটি বিষয়। শিক্ষার্থীদের আমরা বারংবার সতর্ক করে যাচ্ছি র‍্যাগিং থেকে দূরে থাকার জন্য। আমাদের তারপরেও ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আমরা অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই হাবিপ্রবিতে কোন অবস্থাতেই র‍্যাগিংয়ের ঘটনাকে সমর্থন করা হবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণু নীতিতে রয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

ক্যান্সারে আক্রান্ত হাবিপ্রবির সোহেলকে বাঁচাতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন
যে সময়টাতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দিকে তাকিয়ে থাকে দেশ এবং পরিবার। পড়াশোনা করে তিনি হাল ধরবে পরিবারের, অংশগ্রহণ করবেন দেশ বিনির্মাণে। কিন্তু কই আর এসব হলো। তার নিজের জীবনটাই আজ যে বিপন্ন! তিনি নিজেই নিজের চিকিৎসার অর্থ সহায়তার জন্য তাকিয়ে আছেন পরিবারের দিকে, দেশবাসীর দিকে।  বলছিলাম দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অর্থনীতি ১৯ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী সোহেল রানার কথা। তার বাসা দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ উপজেলায়।  মেধাবী এই শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছেন দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে। জানা গেছে, গত ২ বছর যাবৎ সোহেল রানা (Ewing Sarcoma) ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রথম দিকে প্রায় দেড় বছর দিনাজপুরে আসল রোগ নির্ণয় না হওয়ায় তার সঠিক চিকিৎসা হয়নি। পরবর্তীতে ছয় মাস আগে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আরিফুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান তার ক্যান্সার (Ewing Sarcoma) হয়েছে।  এ যাবৎ সোহেল রানার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং কেমোথেরাপি বাবদ প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এখন চিকিৎসক অপারেশন ও অপারেশন পরবর্তীতে ১১টি কেমোথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। তার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এ বিশাল অঙ্কের অর্থ বহন করা সম্ভব  না। তার বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি। সোহেল রানা আক্ষেপের সুরে বলেন, আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ার কারণে আমার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধব, ছোট ভাই-বোন, বড় ভাই-বোনদের নিকট এবং দেশবাসীর নিকট অর্থনৈতিক সাহায্য এবং দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনাদের সহযোগিতায় আল্লাহ তায়ালা হয়তো আমাকে আবারো আপনাদের মতো স্বাভাবিক জীবন দান করতে পারেন। সোহেলের বন্ধু স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, এই তো সেদিন ২০১৯ সালে আমরা ক্যাম্পাসে আসলাম। শহরে মেসে থাকার সুবাদে সোহেলের সঙ্গে বাসে কিংবা অটো করে ক্লাসে যাই। প্রায় শুক্রবার রাতে খিচুড়ি খাওয়া দাওয়া করি। সোহেলের বিভিন্ন খুনসুটিতে চায়ের আড্ডাগুলো কতই না জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠতো। কিন্তু সবই এখন স্বপ্নের মত লাগছে। তিনি আরও বলেন, সোহেল ধর্মীয় চেতনার হওয়ায় অনেক নম্র ভদ্র ছিল। সর্বোপরি আমাদের সবার সঙ্গেই অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রইলো- সোহেল যাতে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে। সোহেলের দিকে শুধু তার মা-বাবা, বন্ধু, ভাই-বোনেরা তাকিয়ে নেই। তার দিকে তাকিয়ে আছে তার স্ত্রী এবং এক বছরের ফুটফুটে মেয়ে আফিয়া। সোহেল দুবছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যেই সোহেল রানা আজ অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সেই সোহেলই হতে পারেন ভবিষ্যৎ দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ। তাই আসুন সোহেল রানাকে বাঁচাতে আমরা এগিয়ে আসি সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে। সোহেল রানা ফিরে পাক জীবন, বন্ধুরা ফিরে পাক তার বন্ধুকে, মা-বাবা ফিরে পাক সন্তানকে, স্ত্রী ফিরে পাক স্বামীকে, কন্যা ফিরে পাক তার বাবাকে। আফিয়ার সকাল কাটুক বাবার কোলে ঘুরে বেড়িয়ে।  ভূপেন হাজারী বোধহয় সোহেল রানাদের মতো মানুষদের দুর্দশার কথা ভেবেই বলেছিলেন- ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য! একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু!’  সোহেল রানাকে সহোযোগিতা করতে নিচের দেওয়া ব্যাংক একাউন্ট মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠান :  ব্যাংক একাউন্ট Account Name:Sohel Rana Account Number: 1721050083398(DBBL) বিকাশ/নগদ: 01575026752 / 01796839158 রকেট: 01797868118 ব্যাংক একাউন্ট Account Name: Md Aktarul Islam   Account Number: 1721050068148 (DBBL) / 5074010016205 (Rupali Bank Ltd.) যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে মো. আক্তারুল ইসলাম অর্থনীতি বিভাগ (১৯ ব্যাচ) হাবিপ্রবি। মোবাইল: 01575026752 / 01611078939 অথবা  স্বপন চন্দ্র রায় মোবাইল: 01516079350
০৫ মার্চ ২০২৪, ০১:১৮

শিক্ষার্থীদের নকশায় নির্মিত হচ্ছে হাবিপ্রবির দৃষ্টিনন্দন ফটক
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফটকের নির্মাণকাজ প্রায় সমাপ্ত। দৃশ্যমান হয়েছে মূল স্থাপনা। যার নয়নাভিরাম দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। জানা যায়, ফটকটি নির্মাণের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে একটি ডিজাইন আহ্বান করা হয়। স্থাপত্য বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফার্নিয়া কবির ও তার দল ডিজাইনটির জন্য নির্বাচিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ এই ফটকের নকশা প্রণয়ন করে। ২০২৩ সালের জুন মাসে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ফটকটির মূল এন্ট্রি অংশ ২০ ফুট এবং পথচারী এন্ট্রি অংশ ১০ ফুট প্রশস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে অদ্যাবধি এই গেটের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের কাছে অপরিসীম। ভেতরে টিএসসি, ব্যাংক, ডি-বক্স, আবাসিক হলসহ গুরুত্বপূর্ণ নানান স্থাপনা ও ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখর থাকে এই গেটটি। এ ছাড়াও গেটের পাশে অনেক টঙ দোকান থাকায় সর্বদায় ব্যস্ততা লেগে থাকে এই পথে। কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী জাবির আল মামুন বলেন, দেরিতে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দৃষ্টিনন্দন ফটক নির্মাণ কাজ হচ্ছে এটা আমাদের জন্যে অত্যন্ত আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলো অনেকটা পরিচায়ক হিসেবে কাজ করে। আর্টিকেল কিংবা নিউজে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের ছবিগুলোই বেশি ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে, দৃষ্টিনন্দন ফটকগুলো একটি ভালো ইম্প্রেশন তৈরিতেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এ টি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রথম ফটকটি পূর্বে থেকেই ছিল, এটি শুধু আধুনিকায়ন করা হয়েছে। প্রথম ফটকটি শুধুমাত্র প্রবেশদ্বার ছিল, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে খুব অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। আধুনিকায়নের ফলে ফটকটির সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে গেছে। কাজ প্রায় শেষ, খুব দ্রুতই উদ্বোধন করা হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০১

‘শিক্ষার্থীরা চাইলে হাবিপ্রবির হলের ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে’
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি-২ হলের ক্যান্টিন দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় হল সুপার প্রফেসর ড. মো রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যান্টিনের দায়িত্ব নিজেরাই নিতে পারে। ক্যান্টিন পরিচালনায় শিক্ষার্থীদের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও আমরা লোক খুঁজছি ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য।  এ দিকে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হলে অবস্থানরত আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাওনের সঙ্গে। তিনি বলেন, হলে উঠার সময় ক্যান্টিনটি জাঁকজমকভাবে চলতে দেখা গেলেও গত কয়েকমাস যাবত সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ রয়েছে ক্যান্টিনটি। প্রয়োজনের সময়ও আমাদের অন্য হলের ক্যান্টিনে যেতে হয়। শীতের রাতে আবার বাঁশেরহাটও যেতে হয় ।  রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চয়ন রায় বলেন, ডরমেটরি-২ হল হাবিপ্রবির অন্যতম একটা হল। যেখানে সর্বাধিক সংখ্যক ছাত্র অবস্থান করেন। এই বড় হলের ক্যান্টিন সর্বদায় বন্ধ থাকে। রাতে এবং সকালে নাস্তার প্রয়োজনে হলের বাহিরে যেতে হয়, যেটা অনেকটা বিরক্তিকর। মানসম্মত খাবার যেখানে প্রয়োজন সেখানে ক্যান্টিন সবর্দাই বন্ধ থাকে। খুব শিগগিরই এটার সমাধান হওয়া উচিত। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।ডরমেটরি-২ হলের ক্যান্টিন পরিচালনায় যারা দায়িত্ব নিয়েছিল কেউ স্থায়ী ছিল না। প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীদের একটি মাত্র ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় প্রায় সময়ই ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিন বন্ধের বিষয়ে ডরমেটরি-২ হলের হল সুপার আরও বলেন, কিছু ছাত্রের বিরূপ আচরণের জন্য ক্যান্টিনের দায়িত্বরত লোক ক্যান্টিন বন্ধ করে চলে যান। তারপর থেকেই ক্যান্টিনটি বন্ধ রয়েছে। আমরা লোক খুঁজছি এক্ষেত্রে ছাত্রদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩২

হাবিপ্রবির বিভাগীয় প্রজেক্ট এক্সিবিশনে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ইন্সট্রুমেন্ট এন্ড মেজারমেন্ট কোর্সের নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রজেক্ট এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক্সিবিশনটিতে সবার নজর কেড়েছে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা পোস্টার সংবলিত 'অটোমেটিক সিড সোয়িং মেশিন' প্রজেক্টটি৷  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ড. মুহাম্মদ কুদরাত ই খুদা একাডেমিক ভবনের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাবে এই এক্সিবিশনটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রজেক্টের সদস্যরা জানান, মূলত নিপীড়িত ফিলিস্তিনবাসীদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে আমাদের এই উদ্যোগ। এতে করে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ও তাদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনে সকলের দৃস্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে এ সচেতনামূলক প্রচার চালানো হয়।  এক্সিবিশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রজেক্টগুলো ঘুরে ঘুরে দেখে মূল্যায়ণ করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিসান মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক মো. রাসেল আহম্মেদ, প্রভাষক মো. আব্দুর রহিম হীরা ও অতিথি শিক্ষক মো. ওয়াহেদুজ্জামান বসুনিয়া নোমান।  এই এক্সিবিশনে উল্লেখযোগ্য প্রজেক্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অরডিনো বেসড্ স্মার্ট ফিংগারপ্রিন্ট ডোর লক সিস্টেম, বিল্ডিং পাওয়ার ফর্ম স্টিম, ফুললি অটোমেটিক মাল্টিফাংশনাল সিড সোয়িং মেশিন, অটোমেটিক সিড সোয়িং মেশিন, কালার সর্টিং মেশিন ইউজিং অরডিনো, টেম্পারেচার বেসড্ এইচভ্যাক স্পিড কন্ট্রোলার, রোবোটিক আর্ম উইথ মেকানিক্যাল ভেহিকল, লেজার সিকিউরিটি এলার্ম এবং পটেনশিয়াল মেকানিক্যাল পাওয়ার রিজার্ভার।  প্রজেক্ট এক্সিবিশনের বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক খো. নাজমুল আহসান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রজেক্ট এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের এ কোর্সে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক কন্ট্রোলিং সিস্টেমের সঙ্গে পরিচিত করানো হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মেধা কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন ইনোভেশন করে থাকে। শিক্ষার্থীদের ইনোভেশনে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে নিয়মিত এ ধরনের এক্সিবিশন আয়োজন করা হয়ে থাকে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৭

হাবিপ্রবির টিএসসিতে নেই নারীবান্ধব শৌচাগার, বিপাকে ছাত্রীরা
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে নারীদের জন্য আলাদা শৌচাগার নেই। ফলে একই শৌচাগার ব্যবহার করতে হয় ছাত্র-ছাত্রীকে। এতে প্রতিনিয়ত বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয় তাদের। বিশেষ করে ছাত্রীদের পিরিয়ডকালীন সময় পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ছাত্রীদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে প্রশাসনকে জানানো হলেও তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এ সমস্যা সমাধানে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে মাত্র একটি শৌচাগার রয়েছে। এতেও টয়লেটের সংখ্যা অপ্রতুল। মাত্র তিনটি টয়লেট রয়েছে। আবার এতে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য নেই আলাদা টয়লেট। ফলে প্রতিনিয়ত ব্রিবত অবস্থায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে। এ ছাড়া শৌচাগারের ভেতরে টয়লেটগুলোতে লাইট থাকলেও অধিকাংশ সময় নষ্ট থাকে। ফলে অন্ধকারেই শৌচকর্ম সারতে হচ্ছে তাদের। শৌচাগারে সাবান ও টিস্যুর ব্যবস্থা নেই। এমনকি টিস্যু ফেলার পর্যাপ্ত ঝুড়িও রাখা হয়নি। মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করা হলেও সর্বশেষ কবে পরিষ্কার হয়েছে তা জানে না কেউ। প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ আসে শৌচাগার থেকে।  শুধু ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ঘুরেও এমন চিত্র দেখা গেছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ভবনগুলোতেও দেখা যায় বেসিনে ট্যাপ আছে কিন্তু পানি আসে না, আবার কোনোটিতে ট্যাপই নেই। কোনটির পানির ট্যাপ ভেঙে অনবরত পানি পড়ে শৌচাগারের মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। বেশির ভাগ বেসিনের ওপরেই আয়না উধাও হয়ে গেছে, আবার পুরোটা থাকলেও তার ওপর রং পড়ে চেহারা দেখা যায় না। প্রায় অধিকাংশ শৌচাগারের ফ্লাশ অচল। কোনটির ফ্লাশে ধুলো-বালুর আবরণ পড়ে আছে।  অনেকগুলো শৌচাগারে বদনা পাওয়া যায়নি, তাছাড়া অনেক শৌচাগারের দরজায় কোনোটাতে ছিটকিনি নেই।অনেক শৌচাগারের লাইট নেই, থাকলেও সেগুলো জ্বলে না। যেসব শিক্ষকের কক্ষে এটাচড্ ওয়াশরুম নেই, তাদেরকেও বিষয়টি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। নারী শিক্ষকেরাও এমন ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটির শৌচাগার নারীবান্ধব নয় এমন অভিযোগ তুলে ছাত্রীরা বলেন, টিএসসিতে নারীবান্ধব টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় পিরিয়ড চলাকালে অনেকে টয়লেটে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। বাধ্য হয়ে দীর্ঘক্ষণ পরে থাকতে হয় একই স্যানিটারি প্যাড। এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাদের। অথবা দূরে অন্য ভবনে যেতে হয় তাদেরকে।   বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে টিএসসি প্রাঙ্গণে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশাপাশি টিএসসিতেও পড়াশুনা করতে আসেন শিক্ষার্থীরা। ফলে ক্লাসের বাইরে দীর্ঘসময় শিক্ষার্থীদের টিএসসিতে অবস্থান করতে দেখা যায়।   টিএসসিতে পড়তে আসা পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা বলেন, শৌচাগার থেকে দুর্গন্ধ আসার কারণে ওইদিকে কেউ বসতে চায় না। প্রায় খালি থাকে শৌচাগারের পাশের টেবিলগুলো।  ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা তাসনিম বলেন, আমাদের টিএসসিতে একটাই মাত্র কমন ওয়াশরুম। কিন্তু একটা মেয়ের পক্ষে সব সময় কমন ওয়াশরুম ইউজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এটা অনেক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। দেখা যায় ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে মেসে বা ওয়াজেদ ভবনের ওয়াশরুমে ইনস্ট্যান্ট না যেতে পারার কারণে আমাদেরকে বেছে নিতে হয় টিএসসির ওয়াশরুম এবং এই ওয়াশরুমে মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে কোন প্রাইভেসি বা আলাদা ওয়াশরুম না থাকার কারণে আমাদেরকে অনেক সময় অনেক বিব্রতিকর সিচুয়েশনে পড়তে হয়। বিশেষ করে পিরিয়ডের সময়। এইজন্য দেখা যায় অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত সত্ত্বেও আমাদের দীর্ঘ সময় ওয়েট করতে হয় শৌচাগার ব্যবহার করার জন্য।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন বলেন, আমরা শৌচাগার আলাদা করার ব্যাপারে ভেবেছি। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৭

হাবিপ্রবির তিন অনুষদে নতুন ডিন
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) তিন অনুষদে নতুন ডিন নিয়োগ পেয়েছেন। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে প্রফেসর ড. মো. মামুনার রশিদ এবং সোশ্যাল সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদে প্রফেসর রোজিনা ইয়াসমিন লাকিকে নতুন ডিন হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত তিন ভিন্ন ভিন্ন অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। অফিস আদেশ অনুযায়ী অনুষদের অধ্যাপকগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আগামী দুই বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মেহেদী হাসানের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন ডিন হয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেন। দায়িত্ব পেয়ে প্রফেসর ড. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাকে ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সম্প্রতি বিদেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছি। বিদেশে উচ্চতর গবেষণায় অর্জিত জ্ঞান আমার ফ্যাকাল্টিতে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। ফ্যাকাল্টির সকল শিক্ষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ফ্যাকাল্টির পাঠদান ও গবেষণায় দৃশ্যমান উন্নয়নের চেষ্টা করবো। যাতে আমাদের ফ্যাকাল্টির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরো ছড়িয়ে পড়ে। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর রাফিয়া আক্তারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন ডিন হয়েছেন একাউন্টিং বিভাগের প্রফেসর মো. মামুনার রশিদ। নতুন ডিন হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে অধ্যাপক মো. মামুনার রশিদ বলেন, অনুষদের ডিনের দায়িত্ব একটি রুটিন দায়িত্ব। আগামী দুইবছর এ দায়িত্ব পালন করতে হবে। অর্পিত কর্তব্য সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদকে আরো এগিয়ে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এদিকে সোশ্যাল সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের ডিন ইকোনোমিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মো. গোলাম রাব্বানীর মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন ডিন হয়েছেন একই বিভাগের প্রফেসর রোজিনা ইয়াসমিন (লাকি)। ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রফেসর রোজিনা ইয়াসমিন (লাকি) বলেন, ডিন হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে জীবনের নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম কাজ হবে ফ্যাকাল্টির শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি করা, এতে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এরপর ফ্যাকাল্টিকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন করার কাজ করবো। সেইসাথে চেষ্টা করবো ফ্যাকাল্টিকে গবেষণার দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আমাদের শিক্ষকরা অনেক কোঅপারেটিভ ওনাদের সহযোগিতায় ফ্যাকাল্টিকে এগিয়ে নিতে আরো পরিকল্পনা করবো।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৯

হাবিপ্রবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ মইনুর 
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. শাহ্ মইনুর রহমান। আগামী তিন বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।   বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।  এ বিষয়ে বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ মইনুর রহমান বলেন, প্রথমেই উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অতিরিক্ত দায়িত্বের তুলনায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখানকার দায়িত্বে আমরা আমাদের পড়াশোনা এবং গবেষণা হতে লব্ধ জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটাতে পারি পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরির মাধ্যমে একটি বিভাগকে এগিয়ে নিতে পারি। অধ্যাপক ড. শাহ্ মইনুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে কৃষিতে স্নাতক ও ২০০২ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে জাপানের ইয়ামাগাটা ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োপ্রোডাকশনে স্নাতকোত্তর এবং ২০১৪ সালে আইওয়াটে ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৫ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ওই বিভাগেই পর্যায়ক্রমে ২০০৮ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১৩ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৭ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এছাড়াও তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডরমেটরি-২ হলের সহকারী হলসুপার, ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে অধ্যাপক ড. শাহ্ মইনুর রহমান অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ২০২১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৩

হাবিপ্রবির কবি সুফিয়া কামাল হলের নতুন হল সুপার অধ্যাপক ড. নূর- ই-নাজমুন নাহার
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের নতুন হল সুপার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসা. নূর- ই-নাজমুন নাহার। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।  দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিকটে যাবার অধিকতর সুযোগ তৈরি হবে। এ দ্বায়িত্ব দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। অধ্যাপক ড. নূর- ই-নাজমুন নাহার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং মনবুশো স্কলারশিপের আওতায় জাপানের ওকাইয়ামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের তৃতীয়বারের মতো বিভাগীয় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১২

হাবিপ্রবির উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের ওরিয়েন্টেশন ও পিঠা উৎসব
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগে নতুন ভর্তিকৃত স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের গবেষণাগারে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহিদুল হাসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এমদাদুল হাসান এবং প্রফেসর ড. শেখ মো. মোবারক হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও কর্মচারীগণ এবং নবীন ও মাস্টার্স এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন লেকচারার মো. মবিনুল ইসলাম। নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মহিদুল হাসান বলেন, যারা আমাদের ক্যাম্পাস থেকে স্নাতক শেষ করেছ এবং যারা বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছ সবাই এখন আমরা উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব পরিবার। আমরা তোমাদের শিক্ষা গবেষণায় সহযোগিতা করার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকব।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়