• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাহাড়ে কুকি-চিনের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা : কাদের
পাহাড়ে কুকি-চিনের সশস্ত্র তৎপরতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে ‍তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, পাহাড়ের ঘটনা নিয়ে সরকার অত্যন্ত সতর্ক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন। যৌথ অভিযান চলছে।  তিনি বলেন, ব্যর্থতা ঢাকতে কুকি-চিন নিয়ে ইস্যু খুঁজছে বিএনপি। মিয়ানমার ইস্যুতে ব্যর্থ হয়ে এখন তাদের কুকি-চিন ইস্যু। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির আন্দোলনের শক্তি ও সামর্থ্য সবই হারিয়ে ফেলেছে। নেতাকর্মীরা দলটির নেতৃত্বের ওপর হতাশ। তারেকের ওপরও হতাশ। নেতা দেশে না থাকলে কী আন্দোলন হবে? আন্দোলন করতে হলে রাজপথে এসে করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থার জন্য বিএনপিই দায়ী। তাকে মুক্তির জন্য বিএনপি ৫০০ লোকের একটা মিছিলও করতে পারেনি। বিএনপি আন্দোলনের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার আইনি লড়াইয়েও ব্যর্থ। তাদের এখন চোখের পানি, কান্না, দীর্ঘশ্বাস সম্বল। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমপি ও মন্ত্রীরা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৪

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে সশস্ত্র হামলা, আটক ১১
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অস্ত্রধারীদের হামলা ও দুই আনসার সদস্যসহ ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় ওই চক্রের ১১ সদস্যকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় একটি দেশীয় একনালা বন্দুকও জব্দ করা হয়। এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, এটি কোনো ডাকাতির ঘটনা নয়। চুরির উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ চোরেরা সেখানে আসে। পরে গার্ডদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এমন চুরির ঘটনা এখানে নতুন নয়। তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ পর্যন্ত ১১ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে একটি দেশি একনালা বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বৃহস্পতিবার সকালে জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসিক ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিলে অস্ত্রধারীরা গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর হামলা করে। নিরাপত্তাকর্মীদের চিৎকারে আনসার সদস্যরা ছুটে গেলে, ডাকাতরা আনসার সদস্যদের ওপরও হামলা করে। আত্মরক্ষার্থে আনসার সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ডাকাতরা পিছু হটে। তাদের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দুইজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অপর ৩ জনকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০১

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ ১৯ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ঢাকার উত্তরে জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে শহীদদের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানাজানি হতেই বিক্ষুব্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বাণী বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।   ওই সময় বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরও একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়। বাণীতে তিনি বলেন, আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই। তিনি বলেন, কোনো মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতিত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনও বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই।  পরে তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।  সূত্র : বাসস  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৭

জিম্মি জাহাজে উঠল আরও সশস্ত্র জলদস্যু
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সোমালিয়ার উপকূল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জাহাজটিতে আরও কয়েকজন সশস্ত্র জলদস্যু উঠেছে। ফলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিডেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জাহাজাটি সোমলিয়া উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করলেও শুক্রবার বিকেলে অবস্থান বদল করে। বর্তমানে এটি ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। জাহাজটিতে নতুন করে আরও ১৩ জন সশস্ত্র জলদস্যু উঠেছে। বর্তমানে জাহাজটিতে ২২ জন জলদস্যু অবস্থান করছে। মেহেরুল করিম বলেন, নতুন করে জাহাজে আরও জলদস্যু ওঠায় বর্তমানে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তবে জলস্যুদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি। এর আগে, গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে। পরে সেটি আরও এগিয়ে উপকূলের ৭ মাইলের মধ্যে অবস্থান নেয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ জাহাজটি আরারও চলতে শুরু করে। সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাড থেকে গোদবজিরান উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগের অবস্থান থেকে এটি প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে। বর্তমানে জাহাজটি উপকূল থেকে মাত্র ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২০:০৬

খাগড়াছড়িতে দুই পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে দুটি পাহাড়ি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও ইউপিডিএফের (প্রসীত) গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির দেওয়ান পাড়া এলাকার শান্তিগ্রাম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। তবে হতাহতের ঘটনা জানা যায়নি। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরটিভিকে জানান, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পেলে আপনাদের অবগত করব। আরও পড়ুন : দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৫ মার্চ   এদিকে, প্রতিপক্ষের গুলিতে সম্প্রতি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার ইউপিডিএফ নেতা নিহত হয়। এর প্রতিবাদে গত ১২ ডিসেম্বর থেকে ইউপিডিএফ এক মাসের জন্য পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক দেয়।  এরপর গত ১২ জানুয়ারি বয়কটের মেয়াদ আরও একমাস বাড়ায় সংগঠনটি। এ সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বাজার বয়কটের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও জানায় ইউপিডিএফ।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩

প্রয়োজনে প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী : ইসি সচিব
ভোটের আগে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে এবং প্রয়োজনে তারা প্রশাসনকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান। আরও পড়ুন : নিক্সন চৌধুরীর গাড়ি বহর দেখে জাফর উল্লাহর সমর্থকদের বৈঠা মিছিল   ইসি সচিব বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সব আয়োজন নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করেছে। ভোটের আগে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে আছে। প্রয়োজনে তারা প্রশাসনকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি না। যদি ঘটে তখন সমন্বিতভাবে সবাই তা প্রতিহত করবে। সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। সুতরাং যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে বেসামরিক প্রশাসন যেখানে মনে করবে সেখানে তারা মোকাবিলা করবে। আরও পড়ুন : ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ   এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের সব আয়োজন নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করেছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন যারা আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ, তাদের প্রধানদের সঙ্গে আজকে আমাদের বিশেষ মিটিং হয়েছে। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার মহোদয়সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাহিনীগুলোর প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। সব বাহিনী মাঠ পর্যায়ে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমে গেছে। এটা একটা ফলোআপ মিটিং ছিল, কোন বাহিনীর কত জন, কোথায় কীভাবে কাজ করছেন। সেই পরিকল্পনা তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে কমিশনকে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রত্যেকেই বলেছেন, মাঠের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো নাশকতার আশঙ্কা করছেন না। তবে যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে এ জন্য প্রত্যেকেই তারা তাদের নিজ নিজ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও সক্রিয় রাখবে। যাতে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার আগেই তা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়। আরও পড়ুন : জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে সুনামগঞ্জ জেলায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা   ইসি সচিব বলেন, প্রত্যেক বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রগুলোর অতীত ইতিহাস, ভোটারের সংখ্যা এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে দুই জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তিনজন, অতিগুরুত্বপূর্ণ তিনজন পুলিশ এভাবে তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তো পেট্রল (টহল) ডিউটি করবেন। তারপর বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পেট্রল ডিউটি করবেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে (গুরুত্বপূর্ণ) অবস্থান করবে। যখন স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ বেসামরিক প্রশাসন যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে কাজ করবেন। এ ছাড়া সমন্বিতভাবে তারা পেট্রল ডিউটি অব্যাহত রাখবে। জনগণের মধ্যে যেন ভীতি না থাকে এই বিষয়টিতে তারা কাজ করবেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়