• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কাভার্ডভ্যানচাপায় প্রাণ গেল ২ সবজি বিক্রেতার 
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাটুরিয়ার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার কাটিগ্রাম গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে সানোয়ার হোসেন এবং মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম (৫০)। তারা নিজেদের এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন। গোলড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে জেলা সদরের জাগীর বন্দর কাঁচামালের আড়ত (পাইকারবাজার) থেকে সবজি কিনে একটি রিকশাভ্যানে করে নিজ এলাকা কাটিগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন সবজি ব্যবসায়ী সালাম ও সানোয়ার। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রিকশাভ্যানটিকে সামনের দিক থেকে চাপা দেয় পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ডভ্যান। এ সময় ঘটনাস্থলেই সালামের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সানোয়ারকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় রিকশাভ্যানটির চালক সড়কের পাশে পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হন। গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু গণমাধ্যমকে বলেন, কাভার্ডভ্যানটির চালক ও সহকারী গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছেন। গাড়িটি জব্দ এবং এর চালক ও তার সহকারীকে আটকের চেষ্টা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১ ঘণ্টা আগে

সবজি বাদে প্রায় সব পণ্যেই অস্বস্তি
রমজানের ১০ দিনের মাথায় এসে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বাজারে। সবজিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম অনেকটাই কমেছে। তবে চাল, ডাল, চিনিসহ আবশ্যক পণ্যগুলোর দাম এখনও চড়া থাকায় ভাটা পড়েছে এ স্বস্তিতে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাক-সবজি ছাড়াও পড়তির দিকে পেঁয়াজ-রসুন আর ডিমের দাম। দাম কিছুটা কমেছে মুরগিরও।  তবে সবজির মধ্যে ভেলকি দেখিয়েছে আলু। সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন সবজিটির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা। সেইসঙ্গে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছ, মাংস আর মসলার বাজার। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো। এবার ভরা মৌসুমেও কম দামে সবজি কিনতে পারেননি ক্রেতা। প্রতিটি সবজির দাম ছিল অস্বাভাবিক। রোজার শুরুতেও কয়েকটির দর ছিল চড়া। তবে এখন কিছুটা সুবাতাস বইছে সবজির বাজারে। যদিও গত শুক্রবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দর বাজারে বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে যে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। যে শসার কেজি রোজার শুরুতে ছিল ১০০ টাকারও ওপরে, এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। একইভাবে লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙা, করলার মতো সবজিগুলোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারিতে বর্তমানে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়, আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শালগম ২৫ টাকা ও পেঁয়াজের কলি ৩০ টাকায়  বিক্রি হতে দেখা গেছে শুক্রবার। আকারভেদে প্রতিপিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, ব্রকলি ৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।  এতসব সবজির ভিড়ে দাম বেড়েছে আলুর। সপ্তাহান্তে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি ভোগ্য এই সবজিটি। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরেই নিম্নমুখী পেঁয়াজের বাজার। ৭ দিন আগেও যে দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, তার দাম এখন প্রায় অর্ধেক বা কাছাকাছি চলে এসেছে। বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তার উপর ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে এমন খবরেও বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। পেঁয়াজের সঙ্গে দাম কমেছে রসুনেরও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি দেশি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। তবে আমদানিকৃত রসুনের দাম এখনও ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা; দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। এছাড়া মাংসের বাজারে সুসংবাদ দিচ্ছে মুরগি। রোজার শুরুতে বেড়ে সর্বোচ্চ ২৩৫ টাকা ছুঁয়েছিল ব্রয়লার মুরগির দর। তবে, শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২১৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ১০-২০ টাকা কমেছে অন্যান্য জাতের মুরগির দামও। মুরগির সঙ্গে কমেছে ডিমের দামও। ফার্মের ডিমের ডজন এখন ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, রমজানে ডিমের চাহিদা কমে যায়। তবে ক্রেতার কপালে ঘাম ছুটছে মুদি দোকানে গিয়ে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতিটি ৫০ কেজির চালের বস্তার দাম মানভেদে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর খুচরায় কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল, চিনি, মসলা। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। তবে বাড়েনি খাসির মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের দাম খুব শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই। গরুর দাম বাড়ায় বাড়ছে মাংসের দামও। যারা কম দামে মাংস বিক্রি করেছে এতদিন, তারাও এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৯

নাটোরে অবিশ্বাস্য দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি
ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। রমজান শুরুর আগেই ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। রমজান শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বহু গুণ। যেখানে ঢাকায় নিত্যপণ্য কিনতে দিশাহারা ক্রেতা-ভোক্তা। সেখানে অবিশ্বাস্য দরে সবজি বিক্রি হচ্ছে নাটোরে। কয়েক দিন আগেও নাটোরে সবজির বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, করলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, লালশাক এক টাকা আটি, ধনেপাতা ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি, ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এ দিকে নাটোরে কম দামে সবজি কিনতে পেরে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। কিন্তু সবজির বাজারে এমন ধস নামায় দিশেহারা কৃষক। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পেয়েছিলেন কৃষকরা। আশা ছিল ভরা রমজানে আরও বেশি দামে বিক্রি করবেন। উল্টো রমজানের সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই সবজির দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবজি বিক্রি করে পরিবহন খরচই উঠছে না তাদের। সবজির দাম কমে যাওয়ায় নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে নাটোরের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দামের কারণে আমরা তো সবজি খাওয়া প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। এখন বাজারে যা দাম, এমনটা হলে আমাদের সবজির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারব।  একজন রিকশাচালক খুশি হয়ে বলেন, সারা দিনে যা উপার্জন করি, তা চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি। এ বিষয়ে রাজশাহীর বাগমারা থেকে নাটোর স্টেশন বাজারে আসা এক কৃষক হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি আমরা নাটোর স্টেশন বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। সরকার একটা ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। সবজির দাম নিয়ে বাগমারা থেকে আসা অপর এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, তেল সার কীটনাশক বীজের আকাশ ছোয়া দামের কারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে পথে বসতে হবে কৃষকদের। শুধু কৃষকরাই ধাক্কা খায়নি। সেই সঙ্গে খুচরা বিক্রেতারাও ধাক্কা খেয়েছে অনেক বড়। এ প্রসঙ্গে নাটোর স্টেশন বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা জানান, আগে এক কেজি পণ্য বিক্রি করলে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হতো। সেখানে সবজির প্রতি কেজি যদি দুই থেকে পাঁচ টাকা হয় তাহলে লাভ কীভাবে হবে। এমন অবস্থায় ক্রেতারাও যাতে সহনীয় দামে পণ্য কিনতে পারেন এবং কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারাও স্বাভাবিক দাম রেখে তাদের পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা নাটোরবাসীর। জানতে চাইলে নাটোরের ভারপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জুয়েল সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারব হঠাৎ কেন বাজারের এই অবস্থা হলো।’
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৭

৭ টাকায় ব্যাগ ভর্তি সবজি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গরিব ও অসচ্ছল মানুষের মাঝে ৭ টাকায় ব্যাগ-ভর্তি সবজি বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেসরকারি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ফাইট আনটিল লাইট’ (ফুল) দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ। জেলার সদর উপজেলা, ফুলবাড়ী উপজেলা ও রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে এই ৭ টাকার সবজি বিক্রির কার্যক্রম চলতে থাকবে বলে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের জানান। কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক দরিদ্র মানুষের মধ্যে এক কেজি সিম, এক কেজি আলু, এক কেজি বেগুন, একটি ফুলকপি, এক কেজি বেগুন, দুই আঁটি ধনে পাতা, দুই আটি পালং শাক এবং একটি করে মুরগীর ডিম দেওয়া হয়। পুরো প্যাকেজটির বাজারমূল্য তিন থেকে সাড়ে ৩ শত টাকার বেশি হলেও এসব মানুষেরা পেয়েছেন মাত্র ৭ টাকায়। এ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সোহেলী পারভীন, ফুলবাড়ী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব হোসেন লিটু এবং ফুল সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের প্রমুখ। এদিকে, ৭ টাকার বাজারে সবজি কিনতে আসা উপজেলার পাঠানটারী গ্রামের রানী আক্তার জানান, এত দাম এখন বাজারে। জিনিসপত্র কিনতে পারছি না। আমার স্বামী একজন কৃষক। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় কৃষক স্বামীর পক্ষে একসঙ্গে এত বাজার করা অসম্ভব। মাত্র ৭ টাকায় তিনশত টাকার কাচা বাজার ফুলের দেয়া বাজার থেকে পেলাম। পরিবারে চারজন সদস্য নিয়ে এই বাজার দিয়ে পাঁচদিন নিশ্চিন্তে খেতে পারর।  তিনি আরও বলেন, ফুল সংগঠন রিলিফ দেয় নাই, তারা কম দামে বিক্রি করলো আর হামরা কিনি নিলাম। কমদামে এত বাজার পেয়ে আমার খুব উপকার হইল। উপজেলার সাতচন্দ্রখানা গ্রামের রিনা রানী বলেন, হামার স্বামীর কোন আবাদী জমা জমি নাই, হাতের কামাই দিয়ে কোন রকমে চাল কিনে ভাত খাই। বাজারে সবজির দাম চড়া, ভালমন্দ সবজি, মাছ, ডিম খামো, তার সামর্থ্য নাই। আজ ৭ টাকা দিয়ে এক কেজি সিম, এক কেজি আলু, এক কেজি বেগুন, একটি ফুলকপি, এক কেজি বেগুন, দুই আঁটি ধনে পাতা, দুই আটি পালং শাক এবং একটি ডিম কিনেছি। আমার ছাওয়াটা ডিম পায়া খুব খুশি হইছে বলেও তিনি জানান। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ বলেন, বেসরকারি সংগঠন ফুল এর অর্থায়নে উপজেলার অভাবী মানুষের মাঝে মাত্র ৭ টাকায় ব্যাগ-ভর্তি বাজার করার সুযোগ পেলো। ফুল সংগঠন ত্রাণ না দিয়ে নামমাত্র টাকায় গরীব মানুষের বাজারের সুযোগ দিয়েছে। ফুল সংগঠনের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ‘ফুল’ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এ সংগঠন গরীব মানুষের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে আসছে। আমরা ত্রাণ প্রথা থেকে মানুষকে বেরিয়ে এসে সম্মানের সঙ্গে বাঁচবার জন্য ৭ টাকা করে নিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের সংগঠন থেকে নাগেশ্বরী উপজেলা, ফুলবাড়ী উপজেলা, রাজারহাট উপজেলায় গরীব ও অসহায় মানুষদের মাঝে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১

ফ্রান্সে রাস্তায় সবজি ছিটিয়ে পথ অবরোধ
ফ্রান্সে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। প্যারিসের কাছে এসে গেছেন তারা। রাস্তা অবরোধ করেছেন। হাইওয়েতে ছড়িয়ে আছে সবজি। রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। সরকারি বাড়িতে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে সার। সারি সারি ট্রাক্টরও দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ফ্রান্সের বড় শহরগুলির বাইরে কৃষক বিক্ষোভের এই ছবি দেখা গেল। সস্তায় জিনিস আমদানি, চাষের খরচ সমানে বেড়ে যাওয়া ও সরকারি লাল ফিতের দাপটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। মার্সেই ও লিয়ঁর মধ্যে সংযোগকারী হাইওয়েতে ছড়ানো ছিল টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি। কৃষকদের অভিযোগ এই সবজিগুলিই প্রতিবেশী দেশ থেকে কম দামে আমদানি করা হচ্ছে। প্যারিসের কাছে সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে ট্রাক্টরগুলি সড়ক দিয়ে ধীরে ধীরে চলছিল। এক কৃষক জানিয়েছেন, তারা ধীরে ধীরে প্যারিসের খুব কাছে এসে গেছেন। বুধবার রাতে কৃষকদের শক্তিশালী সংগঠন এফএনএসইএ সরকারের হাতে তাদের একশটি দাবি তুলে দিয়েছে। তারা কৃষিক্ষেত্রের আরো সুরক্ষা চেয়েছে। তাদের দাবি, বিদেশ থেকে সস্তায় সবজি এনে তাদের অন্যায় প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আর আমলাতন্ত্র তাদের উপর অনেক বেশি বোঝা চাপাচ্ছে। ফ্রান্সে কৃষকদের এই ইউনিয়ন খুবই প্রভাবশালী। তারা দাবি করেছে, কৃষকদের ট্রাক্টর ও গাড়ির ক্ষেত্রে ডিজেলে ছাড় দিতে হবে। অবিলম্বে ইইউ-র দেয়া কৃষি ভর্তুকি তাদের হাতে তুলে দিতে হবে, বিমার অর্থ দেয়ার গ্যারান্টি দিতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতি হলে তা পূরণ করতে হবে। সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ কৃষকদের এই বিক্ষোভ এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে তা শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই জার্মানির কৃষকরাও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ফ্রান্সের এই কৃষক বিক্ষোভের মোকাবিলা করা এখন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রীকে প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ দুই সপ্তাহ আগে নিয়োগ করেছেন। মাক্রোঁর আশা, প্রশাসনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার অর্থ, পরিবেশ ও কৃষিমন্ত্রীরা আলোচনায় বসেছিলেন। তারা শুক্রবারের মধ্যে কৃষকদের বিষয়ে একটা ঘোষণা করতে চান। তিন মন্ত্রী কৃষকদের সমস্যা, বিশেষ করে ডিজেল নিয়ে এবং পশুপালন ও কৃষিজ জিনিসের ন্যায্য দাম নিয়ে কথা বলেছেন। ফ্রান্সের সরকার একটি কৃষি আইন আনতে চাইছিল। আপাতত সেটা বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, তারা আগে কিছু ব্যবস্থা নিতে চায়। তারপর ওই আইন করা হবে। চিন্তিত মাক্রোঁ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন আসছে। এই অবস্থায় কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মাক্রোঁ চিন্তিত। কারণ, অতি দক্ষিণ পন্থিরা এই বিক্ষোভকে হাতিয়ার করতে পারে। তাদের অভিযোগ, সরকার ইইউ-র কৃষক-বিরোধী নিয়ম সমর্থন করছে। আর এই নিয়মগুলি সব দেশকে অনুসরণ করতেই হবে। অতি-দক্ষিণপন্থি নেতা লে পেন বলেছেন, মাক্রোঁ কৃষকদের কাঁধে হাত রেখে কথা বলেন, তারপর ছুরি দিয়ে তাদের পিঠে মারেন। কৃষকরাই সরকারের সবচেয়ে বড় শত্রু। ভালো খাবার চাইলে দাম দিতে হবে কৃষক ইউনিয়নের এক নেত্রী জানিয়েছেন, মানুষকে ভালো খাবার খেতে হলে, উপযুক্ত দাম দিতে হবে। তার দাবি, চাষ করে কৃষকরা আর নিজেদের অন্নসংস্থান করতে পারছেন না। তাই তারা হতাশ।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়