• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি ভর্তি নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে এক শ্রেণিতে যেন ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা না হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাভারের ব্র্যাক সিডিএম-এ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ স্কিম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার এখনই সময়। এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের চেয়ে বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে, আগামীতে আরও বাড়ানো হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে যে-প্রশ্ন রয়েছে, শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে যে উদ্বেগ রয়েছে, আমাদের সবাইকে এই নতুন ভাবনা সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করা জরুরি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিম এর স্কিম পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন) এবং এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।  
২২ ঘণ্টা আগে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ কমার খবর নেই আবহাওয়া অফিসের। বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। তবে তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালু হতে পারে। আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাপপ্রবাহজনিত ছুটি। তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।  ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৩

সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন। মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন জানান, এ থানার মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে এদিন সেহেলা পারভীনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আগামীকাল বুধবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে সেহেলা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২১ এপ্রিল সেহেলা পারভীনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওইদিন আদালতে পুলিশের দেওয়া রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন। এই মর্মে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এ কে এম শামসুজ্জামান। পরবর্তীতে গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) সেহেলা পারভীন জিজ্ঞাসাবাদে একে এম শামসুজ্জামানের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও পোস্টিং সংক্রান্ত সাড়ে ৫ লাখ টাকার কথা কৌশলে এড়িয়ে যান। সেহেলা পারভীনের স্বামী মো. আলী আকবর খান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর দ্বারা ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি একে এম শামসুজ্জামানকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেছিল বলে স্বীকার করেন। সেহেলা পারভীনের সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামি একে এম শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশীদের কাছে বিক্রি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি সেহেলা পারভীনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান। এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। ডিসি মশিউর রহমান জানান, একে এম শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালে। বর্তমানে তার পদ সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন থানার আনাচে-কানাচে অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল প্রকার ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজেশন মূল দায়িত্ব তার কাঁধে। সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছর কত হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, কতজন ফরম ফিলআপ করে রোল নম্বর পেয়েছে, কতজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি আবার কতজন কৃতকার্য ও অকৃতকার্য হয়েছে তার সব তথ্যই শামসুজ্জামানের কাছে থাকতো। এ বিশাল তথ্যভাণ্ডার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃপক্ষ, সিস্টেম কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকার সনদ ও মার্কশিট বাণিজ্য করেছেন শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা। ডিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালেও মার্কশিট ও সনদ বিক্রির অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে তিনি এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার সনদ-মার্কশিট বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৫

৪১তম বিসিএস / ৮৬৬ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন কলেজে পদায়ন
সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৪১তম বিসিএসের ৮৬৬ জন কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে পদায়ন করা হয়েছে। জাতীয় বেতন স্কেল (নবম গ্রেড) ২০১৫ অনুসারে শর্ত স্বাপেক্ষ তাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। পদায়ন পাওয়া এসব শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা দুই বছরের আগে বদলির আবেদন করতে পারবেন না। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পদায়ন কৃত কর্মস্থলে তাদের যোগদান করতে বলা হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি)। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশের ভিত্তিতে মোট ৮৬৬ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে নিয়োগ প্রদান করা হয়। প্রার্থীকে দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে পদায়ন করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে চাকরিতে যোগদান না করলে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন বলে ধরে নেওয়া হবে এবং এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।  ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে আবেদন করেন ৪ লাখের বেশি প্রার্থী। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১২

সনদ বাণিজ্য / এবার গ্রেপ্তার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি সূত্র।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়েছে ডিবির একটি সূত্র। এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জানান, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসব কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান। এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইট, সরকারি পাসওয়ার্ড ও অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। ডিসি মশিউর রহমান জানান, একে এম শামসুজ্জামানের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগদান করেছেন ২০০৯ সালে। বর্তমানে তার পদ সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন থানার আনাচে-কানাচে অবস্থিত কারিগরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা করা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন, রোল নম্বর, সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি, সেগুলোকে নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড দেওয়া, ভেরিফিকেশন নিশ্চিত করা, কম্পিউটার সিস্টেম কোড সংরক্ষণ গোপনীয়তা বজায় রাখাসহ বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল প্রকার ডিজিটালাইজেশন এবং কম্পিউটারাইজেশন মূল দায়িত্ব তার কাঁধে। সিস্টেম অ্যানালিস্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতি বছর কত হাজার পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে, কতজন ফরম ফিলআপ করে রোল নম্বর পেয়েছে, কতজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি আবার কতজন কৃতকার্য ও অকৃতকার্য হয়েছে তার সব তথ্যই শামসুজ্জামানের কাছে থাকতো। এ বিশাল তথ্যভাণ্ডার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কর্তৃপক্ষ, সিস্টেম কোড ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে  লাখ লাখ টাকার সনদ ও মার্কশিট বাণিজ্য করেছেন শামসুজ্জামান এবং তার সহযোগীরা। ডিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৭ সালেও মার্কশিট ও সনদ বিক্রির অভিযোগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী একে এম শামসুজ্জামানকে সাময়িকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল হয়ে তিনি এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার সনদ-মার্কশিট বিক্রি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা পেলো বাইসাইকেল ও শিক্ষা বৃত্তি 
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাচোল উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান।  এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বক্তব্যে তিনি বাল্যবিয়ে মাদকরোধে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।  মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল আফ্রিকার ডিরেক্টর প্রোগ্রাম মিস আন্না মিনজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁওসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে নাচোল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবারের ১৬৭ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল ও ১৮৭ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৭

বেকারদের জন্য সুখবর
অ্যাকসিলারেটিং অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং স্কিল ফর ইকোনমিক ট্রান্সফরমেশন (অ্যাসেট) প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে দুই লাখের বেশি যুবক ও তরুণী প্রশিক্ষণ পাবেন। একই সঙ্গে প্রতি মাসে আর্থিক সহায়তাও পাবেন তারা। চার মাসে ৩৬০ ঘণ্টা মেয়াদি কোর্সটির জন্য কাছের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে জানানো হয়, নিয়মিত উপস্থিতি সাপেক্ষে সাধারণ প্রশিক্ষণার্থী প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন প্রশিক্ষণ ভাতা। এ ছাড়া নারী, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা পাবেন।  এতে আরও বলা হয়েছে, যাতায়াত ভাতা হিসেবে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে দৈনিক ৮০ টাকা হারে মাসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৬০ টাকা করে দেওয়া হবে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, প্রশিক্ষণার্থী একই কোর্সের উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে পারবে, তবে একাধিক কোর্স বা অকুপেশনে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে না। সব ধরনের সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতা ব্যাংকিং চ্যানেলে বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৮

হাতিয়ায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড
হাতিয়ায় ৩০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে কলেজ, মাদরাসাসহ অনেক ঘরবাড়ি। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ২০মিনিট পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের সময় গোটা হাতিয়া রাতের মতো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। গাছপালা ভেঙে পড়ে সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়াও প্রচুর বৃষ্টির কারণে জনজীবনে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের সময় সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের গ্রামগুলোর বসতবাড়ির ঘরে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক পরিবার।  এ ছাড়াও উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরচেঙ্গা মানিক বাজারে অবস্থিত সোনাদিয়া মডেল নূরানী মাদরাসা ভেঙে গেছে। এ বিষয়ে সোনাদিয়া মডেল নূরানী মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি  আবুল হাসেম জানান, ঝড়ে মাদরাসার  ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক মাদরাসায় যাই। গিয়ে দেখি পুরো মাদরাসা ভেঙে ঝড়ে উড়িয়ে ধানখেতে নিয়ে ফেলেছে।  জানা যায়, উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নে অবস্থিত হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের টিনের চাল, বিভিন্ন জায়গার বসতঘর ও মসজিদের টিন উড়িয়ে নিয়ে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে এ কালবৈশাখী ঝড়।  হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শারফুদ্দিন বলেন, ঝড়ে কলেজগেট ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক কলেজে গিয়ে দেখি শ্রেণিকক্ষের টিনের চাল ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৯

যে নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষা বোর্ডের
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়, পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা এবং বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।  এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের নির্দেশনা হলো- ‘টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না। পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা যাবে না।’ এই নির্দেশনা না মানলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন এইচএসসি পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পালনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের আওতাধীন এইচএসসি পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে এসংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৩

মাদরাসা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহ আলমগীর
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলমগীর। বর্তমানে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব হাছিনা আক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০-এর ধারা ১৩(২) অনুযায়ী মুহাম্মদ শাহ আলমগীর (১২৪০), মাদ্রাসা পরিদর্শক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ গত বছরের নভেম্বরে অবসরে গেলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। প্রসঙ্গত, অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। এর আগে, তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।‌ এর আগে, তিনি মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি থাইল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন এবং মালয়েশিয়ার নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিডারশিপ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়