• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকই কলেজের পিয়ন
মেহেরপুরের গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও মানিকদিয়া ভোলাডাঙ্গা কেশবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন আনোয়ার হেসেন। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে কলেজটির পিয়ন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।  জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ ১৮ বছর গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজে পিয়ন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ২০০৫ সালে উপজেলার এম বি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। গাংনীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে তিনি খাতা কলমে প্রধান শিক্ষক। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া বিদ্যালয়ে আসেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে তিনি বেতন তুললেও বিদ্যালয় থেকে কোনো বেতন-ভাতা তোলেন না। তবে বিদ্যালয়টির নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন স্কুলে না গিয়েও বাড়িতে বসেই করেন স্কুলের অফিসিয়াল সব কার্যক্রম। স্কুলটির শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে কোনোদিন কোনো ক্লাস নিতে আসেনি। আবার আমারা অধিকাংশ শিক্ষার্থী স্যারকে ঠিকমতো চিনিও না। তবে বিশেষ দিনগুলোতে তিনি স্কুলে আসেন ঠিকই, ছাত্রছাত্রীদের তেমন একটা সময় দেন না।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এম বি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রায় বছর জুড়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেন। বিশেষ দিনগুলোতে তার পদধুলি পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল কাজ তিনি বাড়িতে বসেই সারেন। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচপত্র ও নিয়োগের বিষয়ে ঠিকই খোঁজ রাখেন।’ এ বিষয়ে মানিকদিয়া ভোলাডাঙ্গা কেশবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান, ‌‘বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে খসড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেন। নির্বাচনের কোনো তারিখ ও ভোট ছাড়াই প্রধান শিক্ষক মানিকদিয়া গ্রামের আব্দুর রবকে সভাপতি করে সমস্ত কাগজপত্র যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাঠান।’ তিনি বলেন, ওই কমিটির বিষয় জানতে পেরে শিক্ষাবোর্ডে বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর একটি আবেদনপত্র দেওয়া হয়। আবেদন পেয়ে শিক্ষাবোর্ড মেহেরপুরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাদের কর্যক্রম চলমান। তিনি আরও জানান, ‘আনোয়ার হোসেন কলেজে চাকরি করেন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তিন চারমাস পরপর উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন তিনি।’ সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম আরও জানান, ‘আনোয়ার হোসেন গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের একজন অফিস সহায়ক। তিনি কলেজে চাকরি করেন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যালয়ে তিন চারমাস পরপর উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন তিনি।’ অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজে চাকরি করি এটা সঠিক। তবে এ বিদ্যালয়টির সঙ্গে আমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জড়িত। আমি অফিসিয়াল কাজগুলো অনেক সময় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আবার কখনও বাড়িতে বসে করি। তবে এটা ঠিক এই প্রতিষ্ঠান থেকে আমি কোনোদিন বেতন উঠাইনি। আমি প্রতিষ্ঠানটিকে খুব ভালোবাসি।’ গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কলেজে ১৮ বছর ধরে বেতন উত্তোলন করছেন আনোয়ার হোসেন। আমিও হঠাৎ করেই শুনছি তিনি একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি আমি এরইমধ্যে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসনে মোবারক জানান, ‘আমি শোনার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। শিগগিরই এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩০

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে চাকরির সুযোগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২টি পদে ৯ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন  প্রতিষ্ঠানের নাম : শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভাগের নাম : কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ কর্মস্থল : বিভাগীয় শহর বয়স : ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর। আবেদনের নিয়ম : আগ্রহীরা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।  আবেদন ফি : টেলিটক প্রি-পেইডের মাধ্যমে ১ পদের জন্য ২২৩ টাকা, ২ নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে। আবেদন শুরু : ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখ সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় : ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সন্ধা ৬টা পর্যন্ত।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭

মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ থাকবে কি না, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
রমজানের প্রথম দিন থেকে স্কুল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত। তবে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শোনাবে  আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ)। ফলে, রমজানের প্রথম দিন মঙ্গলবার স্কুল খোলা না বন্ধ তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়েররের কাছে। মঙ্গলবার স্কুল খোলা না বন্ধ, তা নিয়ে সরাসরি উত্তর না দিলেও বলেন, আদালত যেভাবে বলেছেন, সেভাবে চলতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। সোমবার যেহেতু আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি, তাই হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকবে এমনটা ধরে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আদালতের আদেশ মানবে। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে রমজান মাসে ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও। কিন্তু পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়। গত রোববার (১০ মার্চ) রমজানের প্রথম দিন থেকে স্কুল বন্ধ রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট।  রিটকারীর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ এ প্রসঙ্গে জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দুইমাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিপক্ষে সোমবার সকালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার আপিল নিষ্পত্তি করা হবে বলেও জানান তিনি।   
১১ মার্চ ২০২৪, ২২:৫১

রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘বন্ধ’ নিয়ে যা জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। এর আগে রমজানে স্কুল খোলা রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে। পরে রোববার সন্ধ্যার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় জানায়, এখনো রায়ের কপি পাওয়া যায়নি। রায়ের কপি পেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন পূর্বক আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (১০ মার্চ) রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতির কে এম কামরুল কাদের ও খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এসময় স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কেনো বাতিল করা হবে না জানতে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। এছাড়াও ২ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে স্কুল খোলা রাখার প্রজ্ঞাপন। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছিল।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৫

বাংলাদেশে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা: করণীয় ও প্রস্তাবনা
বাংলাদেশের নারীরা যুগ যুগ ধরে শোষিত ও অবহেলিত হয়ে আসছে। পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতা, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বেড়াজালে তাকে সর্বদা রাখা হয়েছে অবদমিত। তার মেধা শ্রমশক্তিকে শুধু সাংসারিক কাজেই ব্যয় করা হয়েছে। সমাজ ও দেশ গঠন কাজে তাকে কখনও সম্পৃক্ত করা হয়নি। নারী আন্দোলনের অগ্রদূত মহীয়সী বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন– ‘তোমাদের কন্যাগুলিকে শিক্ষা দিয়া ছাড়িয়া দাও, তাহারা নিজেরাই নিজেদের অন্নের সংস্থান করুক।’ তাঁর এ আহ্বানে নারীর অধিকার অর্জনের পন্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও লিঙ্গভিত্তিক সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তবু নারীদের নিরাপত্তা, বিশেষ করে শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে নিশ্চিত করা একটি স্থায়ী চ্যালেঞ্জ হিসাবে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা মৌলিক অধিকার এবং ক্ষমতায়নের মূল চালিকা হিসেবে বিবেচিত হয়। শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ ও সংস্কৃতির নানামুখী পরিবর্তন হয়। শিক্ষা শুধু যে আত্মিক বিকাশের জন্যই অপরিহার্য তা নয়; বরং শিক্ষা বর্তমানে কর্মের দৃঢ় সুযোগ এবং সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণ ও তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭২ সালে নবগঠিত রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় রচিত এ সংবিধানে নারীর মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সংবিধানে ২৭ ধারায় উল্লেখ আছে যে ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ ২৮(১) ধারায় রয়েছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না’। ২৮(২) ধারায় আছে, ‘রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন’। ২৮(৩)-এ আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ নারী-পুরুষভেদ বা বিশ্রামের কারণে জনসাধারণের কোনও বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোনও নাগরিককে কোনোরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না’। ২৮(৪)-এ উল্লেখ আছে যে ‘নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের কোনও অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোনও কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না’। ২৯(১) এ রয়েছে–  ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে’। ২৯(২)-এ আছে–  ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ নারী-পুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনও নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মের নিয়োগ বা পদলাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না’। এছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে রাষ্ট্র, অর্থনীতি, পরিবার ও সমাজ জীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর প্রতি  বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ডিসেম্বর, ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) গৃহীত হয় এবং ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৮১ সালে কার্যকর হয়। নারীর জন্য আন্তর্জাতিক বিল অব রাইটস বলে চিহ্নিত এই দলিল নারী অধিকার সংরক্ষণের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মানদণ্ড বলে বিবেচিত। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ তিনটি ধারায় [২, ১৩(ক), ১৬(ক), ও (চ)] সংরক্ষণসহ এ সনদ অনুস্বাক্ষর করে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ১৯৯৭ প্রণয়ন করে, যার প্রধান লক্ষ্য ছিল যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ও অবহেলিত এ দেশের বৃহত্তর নারী সমাজের ভাগ্যোন্নয়ন করা। এতদসত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে নারীর ওপর যৌন হয়রানি ব্যাধিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অভিভাবক মহলে দুশ্চিন্তার রেখাপাত দাঁড় করিয়েছে। একটি গবেষণা সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী দেখা যায় যে পড়াশোনার মান নিয়ে সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীরা একই ধরনের মত দিলেও নিরাপত্তার বিষয়ে বিশাল মত পার্থক্য দেখা গেছে। পুরুষ শিক্ষার্থীদের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না হলেও নারী শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত। ভীতি, নিরাপত্তাহীনতা, ঝুঁকির মতো বিষয়গুলোতে দুই দলের এই বিশাল মতপার্থক্য এটি স্পষ্ট করে দেয় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনও নিরাপদ বোধ করার মতো পরিবেশ নারী শিক্ষার্থী প্রদান করা যায়নি। বাংলাদেশের সামাজিক রীতি-নীতিতে বরাবরই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন ঘটে আসছে। বাংলাদেশে আর্থিক উপার্জনমূলক খাতে নারীর পদচারণা আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক উভয় কর্মক্ষেত্রেই বেড়েছে। নারীদের শিক্ষায় অংশগ্রহণের হার বাড়ায়, নারীদের আনুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রের পরিধি ও অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের আওতায় শিল্প, কলকারখানা, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে নারীর উপস্থিতি বাড়ছে। নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি যোগ্যতা ও দক্ষতাতেও পরিবর্তন এসেছে। সরকারি চাকরিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীর ২৭ শতাংশ নারী। উদ্যোক্তা হিসেবেও নারীদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে, বিশেষত অনলাইন ব্যবসায়। গত তিন দশকে নারীর ক্ষমতায়ন হলেও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পেছনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে কর্মজীবী নারীর নিরাপত্তা। যৌন হয়রানির ফলে একজন নারীর কর্মজীবনে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষতি, মর্যাদাহানি এবং নারীর জীবনের সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করে, নারীর পরিবারে দুঃখ-দুর্দশা, যন্ত্রণা ও অসম্মান ভোগ করে। তাই যৌন হয়রানি বন্ধে সরকারকে আইন, বিচার ও প্রশাসন রাষ্ট্রের এই তিন অঙ্গের সবকটি দ্বারা নারীর জন্য রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রদানের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। কর্মস্থলে যৌন হয়রানি থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশের হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছিল। সেখানে বলা আছে, কোনও প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে সেটি তদন্ত এবং প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু কর্মজীবী নারীদের এবং শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হাইকোর্টের এই নির্দেশনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্তৃক গত ২০১৯ সালের ১০ জুন জেনেভাতে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির ১০৮তম সেশনে ‘Elimination of Violence and Harassment in the world of work’ শীর্ষক কনভেনশন ১৯০-এ বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসনে একটি ঐতিহাসিক প্রস্তাবনা গ্রহণ করে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে এই কনভেনশনের প্রস্তাবনা একদিকে একটি শক্তিশালী ফ্রেমওয়ার্ক ও সুরক্ষা কবজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১০ বছরে শিক্ষার সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। প্রাথমিক স্তরে ছেলে ও মেয়েদের শিক্ষার হার সমান হলেও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা মাত্র ৩ শতাংশ পিছিয়ে। তবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ৬ শতাংশ এগিয়ে মাধ্যমিক স্তরে। পেশাগত এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও ছেলেদের চেয়ে পিছিয়ে। পেশাগত শিক্ষায় নারী ৩৮ শতাংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় ৩৩ শতাংশ। অনেক প্রতিবন্ধকতা জয় করেই এগিয়ে চলেছেন দেশের নারীরা। আকাশে বিমান ওড়াচ্ছে নারী। হিমালয়ের চূড়ায় উঠছে নারী; বন্দুক কাঁধে যুদ্ধেও যাচ্ছে। নারীর নিয়োগ বাড়ছে সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে। রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরতদের ৮০ শতাংশেরও বেশি নারী। শিক্ষায় নারীর নিরাপত্তার উন্নয়নে অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এবং হয়রানির ব্যাপকতা। নারী শিক্ষার্থীরা প্রায়ই মৌখিক অপব্যবহার, যৌন হয়রানি এবং এমনকি শারীরিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হয়, যা তাদের অ্যাকাডেমিক কর্মক্ষমতা এবং সামগ্রিক সুস্থতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তদুপরি হয়রানির অভিযোগের সমাধান এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থার অভাব সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থার অভাব রয়েছে এবং হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। ফলস্বরূপ লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনাগুলো প্রায়ই রিপোর্ট করা হয় না, যা দায়মুক্তি এবং নীরবতার সংস্কৃতিকে স্থায়ী রূপ দান করছে। কিন্তু এরপরও সিংহভাগ নারীকে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। একক নারী, নারীর একক পরিবার এবং একক মা—নারীর এই পরিচয়কে সমাজ করুণার চোখে দেখে। উন্নয়ন ও আধুনিকতার এই ডামাডোলের মধ্যেও নারীকে এক ধরনের ভয়ের পরিবেশে চলাফেরা করতে হয়। ঘরে, বাইরে, পরিবহনে, শিক্ষাক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে নারীর যতই অর্জন থাকুক কিন্তু নিরাপত্তা ও অধিকার নারীরা ঠিক সেই অর্থে পাচ্ছেন না। অর্থনীতিবিদরা দেখিয়েছেন, দেশে ৪৩ শতাংশের বেশি নারী পুরোপুরিভাবে গৃহস্থালি কাজে যুক্ত। পুরুষের সংখ্যা ১ শতাংশেরও কম। দেশের জিডিপিতে মোট জাতীয় উৎপাদনে নারীর অবদান ২০ শতাংশ। এই কাজগুলো কোনও অর্থনৈতিক লেনদেন বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা ছাড়াই গৃহিণীরা করে থাকেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অব চেঞ্জ, শিক্ষায় লিঙ্গসমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেসকোর ‘শান্তি বৃক্ষ’ এবং গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিছু হতাশা থাকলেও নারীর ক্ষমতায়নে দেশের অর্জন অনেক। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জেন্ডার সমতাভিত্তিক এক উন্নত-সমৃদ্ধ বিশ্বে প্রবেশের মাধ্যমে উন্নত দেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সব ক্ষেত্রে নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি কার্যক্রম জোরদার করা জরুরি। প্রান্তিক নারী প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠীগুলোর কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত নীতি তৈরি করা দরকার। যেসব আইন ও নীতি আছে, তা বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা গুরুত্বপূর্ণ। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ অবসানে স্কুলের পাঠ্যক্রমে নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। এছাড়া নারীর নিরাপত্তার উন্নয়ন, সহিংসতার শিকার নারীদের আইনি সেবা পাওয়ার সহজপ্রাপ্যতা, সহিংসতা রোধে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সে বিষয়গুলো সরকার ও উন্নয়ন অংশীদারদের কার্যক্রম ও কৌশলে স্থান পাওয়া উচিত। এছাড়াও দেশের শিক্ষাঙ্গন ও কর্মক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। করণীয়– ১. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি শিক্ষাবর্ষের পাঠদান কার্যক্রমের শুরুতে এবং প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সংবিধানে বর্ণিত লিঙ্গীয় সমতা ও যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত দিকনির্দেশনাটি বই আকারে প্রকাশ করতে হবে। ২. নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। ৩. আদালতের নির্দেশনা যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, সে জন্য সরকারি উদ্যোগে একটি তদারকি কমিটি থাকা উচিত। ৪. গণপরিসরে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন করা। ৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলীর মাঝে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত আইন, প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা এবং আদালতের নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ৬. প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধী একটি কমিটি থাকতে হবে। ৭. নারীবান্ধব অবকাঠামোগত বরাদ্দ বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে নারী সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হয়। ৮. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি নিজস্ব নৈতিক নীতিমালা বা কোড অব কন্ডাক্ট থাকা প্রয়োজন। ৯. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নির্যাতন সেল গঠন ও তার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত করা। ১০. নিরাপত্তা সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশনগুলো অনুমোদন এবং সে অনুযায়ী আইন সংস্কার জরুরি। সর্বোপরি, নারীবান্ধব শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানামুখী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই পরিবেশ উন্নত হলে বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে, যা আগামীর জন্য সুখী, সমৃদ্ধশালী ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারবে। লেখক: প্রভাষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৩

রমজানে প্রাথমিকের নতুন সময়সূচি
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দশ দিন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু থাকবে। এ জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার (৬ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা এক পরিপত্রে একটি রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। পরিপত্রে জানানো হয়েছে, নতুন সময়সূচিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলবে। এদিকে পবিত্র রমজান মাসে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে। আর জোহরের নামাজের জন্য দুপুর সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৩

প্যারিসে ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘পাঠশালা’র যাত্রা
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ফরাসি ভাষা শিক্ষাদানের প্রত্যয় জানিয়ে ‘পাঠশালা’র যাত্রা শুরু হয়েছে।  শনিবার (১মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা ও কেক কেটে পাঠশালার উদ্বোধন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের পৃষ্টপোষক আব্দুল্লাহ আল হাসানের সভাপতিত্বে ও  হাসান আহমদের পরিচালনায় উদ্বোধনী সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন রায়হান উদ্দিন।  প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান উবায়দুল্লাহ কয়েছ জানান, পাঠশালাটি ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে।  এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি সালেহ আহমদ চৌধুরী, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত ভট্রাচার্য শুভ, বিডি ফার্ণিচারের সত্বাধিকারী মিয়া মাসুদ, বাংলা অটো ইকুলের পরিচালক হোসেন সালাম রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সদস্য আলী হোসেন, কবি ও ছড়াকার লুকমান আহমদ আপনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, ফ্রান্সে বসবাস করতে হলে ফ্রেঞ্চ ভাষা শিক্ষার বিকল্প কিছুই নেই। ফ্রান্সে নিয়মিত হওয়া থেকে শুরু করে জাতীয়তা অর্জন সব ক্ষেত্রেই এখন ফরাসি ভাষা পড়া ও লেখার বাধ্যতামূলক আইন জারি করা হচ্ছে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৩

‘আমরা দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি’
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা জ্ঞান এবং দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি। যেখানে শিক্ষার্থীরা দক্ষ, যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা স্বাবলম্বী হবে এবং তার মধ্যে যে প্রতিভা আছে তার পুরোটা বিকাশের সুযোগ পাবে। আমি মনে করি একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শরীর ও মনে যে শিশু সুস্থ হবে সেই শিশুই মানবিক, সৃজনশীল, দক্ষ ও যোগ্য হয়ে সোনার বাংলা গড়বার সোনার মানুষ হয়ে উঠবে।   মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড় বার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই বাংলাদেশ গড়বার জন্য তারই সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে চলেছেন। এখন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বার জন্য কাজ করছেন। আর সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বার জন্য যে স্মার্ট নাগরিক দরকার সেই নাগরিক তৈরির জন্য আমরা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে সে দিকে নেওয়ার জন্য কাজ করেছি এবং করছি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার।  বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এম আর শামীম পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, সদস্য অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হাসান খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল্যা পাটওয়ারীসহ শিক্ষক, অভিভাবক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৮

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ : সনদের সঙ্গে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট জমার নির্দেশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রের (সব সনদের মূল কপি ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম) সঙ্গে ডোপ টেস্টের রিপোর্টও জমা দিতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের শর্তসাপেক্ষে সর্বমোট দুই হাজার ৪৯৭ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করেছে অধিদপ্তর। নির্বাচিত কোনও প্রার্থী কোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রদান করলে কিংবা কোনও তথ্য গোপন করেছেন বলে প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ ওই প্রার্থীর ফলাফল বা নির্বাচন বাতিল করতে পারবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনের দেওয়া স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ বা প্রত্যয়নপত্র ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিল করতে হবে। স্বাস্থ্যগত সনদে প্রার্থী কোনো দৈহিক বৈকল্যে ভুগছেন কিংবা উল্লিখিত পদে নিয়োগযোগ্য নন বলে  উল্লেখ থাকলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না। আরও বলা হয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ১৪ মার্চের মধ্যেই পরিচিতি প্রতিপাদন ও সব ডকুমেন্টস যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র সশরীর উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে তিন সেট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমও যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। কোনও প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে পূর্ব কার্যকলাপ সন্তোষজনক না হলে কিংবা নাশকতা বা সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অথবা রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন বলে প্রতীয়মান হলে তিনি নিয়োগের অনুপযুক্ত বলে গণ্য হবেন। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ, সব মূল সনদসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে না পারলে এবং পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম জমা না দিলে পরবর্তী সময়ে তিনি নিয়োগপত্র পাবেন না বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩

শিক্ষা সফরে স্কুলছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকের মদ্যপান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেসবুক ও টিকটকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে মদ্যপান করছেন। বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছেন শিক্ষার্থী। শিক্ষক ও  শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মদ্যপান করে আনন্দ উল্লাস করছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সফরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শিক্ষা সফরে যান বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪১ জন শিক্ষার্থী, তাদের সঙ্গে কোন অভিভাবক ছিল না। শিক্ষা সফর থেকে এলাকায় ফেরার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মদ্যপানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওয়ালিদ মদের বোতল হাতে নিয়ে মদ ঢালছেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে মদের বোতল দিচ্ছেন। এমন ভিডিও দেখে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমি ঢাকা থেকে শিক্ষা সফরে যোগ দিয়েছি। এর আগে বাসের মধ্যে কী হয়েছে তা আমি জানি না। আমি বাসে ওঠার পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে ব্যবস্থা নেবো। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য। এটা নিয়ে তদন্ত কমিটি করে দেবো। যদি শিক্ষকরা এর সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়