• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিল্পপতির সংসার ছাড়তে গরিবের মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নেশাগ্রস্ত এবং বিকৃত স্বভাবের স্বামী দীপের সংসার ছাড়তে মশলা বিক্রেতার মেয়ে প্রিয়ন্তী সাহা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের চৌধুরীকান্দা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। জানা গেছে, প্রিয়ন্তীর স্বামী দীপ একজন শিল্পপতির ছেলে। আর প্রিয়ন্তীর বাবা কুমারেশ সাহা ভাঙ্গায় ফুটপাতের পাশে মশলা বিক্রি করে সংসার চালান। সংবাদ সম্মেলনে  প্রিয়ন্তী জানান, আমার বাবা-চাচাদের অনেক লোভ দেখিয়ে আমাকে বিয়ে করে দীপ। আমার বাবা সুখের কথা ভেবে আমাকে বিবাহ দেন ভাঙ্গা বাজারের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রবিন সাহার ছেলে দীপের সঙ্গে। বিবাহ হয় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। হিন্দু ধর্মের রীতি-নীতিতে অনেক কিছু করতে হয়, যা দীপ প্রথম রাতেই বিবাহ সম্পন্ন না করে নেশায় আসক্ত হন। সে আমাকে একা রেখে নেশা করতে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়, ফিরে আসে ভোররাতে। তাই নেশাগ্রস্ত স্বামীর সঙ্গে কোনোভাবেই আমার সংসার করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন স্ত্রী প্রিয়ন্তী। তিনি জানান, তাকে জোর মদপান করতে হতো। মদ না খেলে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে টয়লেটের মধ্যে আটকে রাখত। এছাড়া আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে সে সেটা চেঞ্জ করে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছেড়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে আমি ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছি। প্রিয়ন্তীর মা শিখা সাহা জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলে দীপ আমার মেয়ে প্রিয়ন্তীর জীবনটা বিপন্ন করে ফেলেছে। ছেলে যে এমন নেশাগ্রস্ত তা জানলে কিছুতেই তার কাছে বিয়ে দিতাম না মেয়েকে। এছাড়া দীপের পরিবার অনেক ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রিয়ন্তীর চাচা গোপাল সাহা জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলের কাছে আমার ভাতিজি মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রিয়ন্তীকে বিয়ে দেওয়ার পর তার জীবনটা বিপন্ন করে ফেলেছে। আমরা এর বিচার চাই।   দীপের চাচা রাজকুমার সাহা জানান, আমার ভাইয়ের একমাত্র ছেলে দীপ। আমরা অনেক আনন্দ করে বিয়ে করিয়েছিলাম, কিন্তু দীপ মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। মনে করেছিলাম বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।  এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, দীপের বিরুদ্ধে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। দীপ তার স্ত্রীকে দিয়ে মদপানসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করাতে জোর করত। পরে তার স্ত্রী প্রিয়ন্তীকে আমরা উদ্ধার করে ওর বাবা-মায়ের হাতে দিয়েছি। এরপরও স্বামী দীপ কোনো অন্যায় করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৫

পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল-সংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন বলেন, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন সামিয়া রহমান। ইফতারির সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে হোটেলের রুমটির দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, তার শরীরে দৃশ্যমান কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে এগুলো সপ্তাহখানেক আগের। সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০২

তাসনিয়া ফারিণের নামে মেয়ের নাম রেখেছেন কলকাতার ট্যাক্সিচালক
বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। দেশের পাশাপাশি ওপার বাংলাতেও কাজ করছেন। সম্প্রতি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা অতনু ঘোষের ‘আরও এক পৃথিবী’ ছবির জন্য সেরা নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ফলে সময়টা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী। নেটিজেনদের নজরও রয়েছে তার ওপর। এবার তিনি জানালেন রাফিয়া সুলতানা থেকে তাসনিয়া ফারিণ হওয়ার কারণ।  সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন ফারিণ। সেখানে ফারিণকে দেখা গেছে উবারচালকের সঙ্গে কথা বলতে। জানতে চাইছেন তার মেয়ের নাম কী? উবারচালক জানাচ্ছেন, তাসনিয়া ফারিণ। তাদের আলাপে জানা যায়, উবারচালকের ক্লাস থ্রিতে পড়ুয়া মেয়েটির বয়স সাড়ে আট বছর। শুরুতে তার নাম রাখা হয় রাফিয়া সুলতানা। বাবার নাম রাকিবের সঙ্গে মিল রেখেই এই নাম রাখা হয়। এই নামেই বড় হতে থাকে মেয়ে। কিন্তু পরে তাসনিয়া ফারিণের ভক্ত হয়ে যান বাবা রাকিব। তার অভিনীত সব নাটক দেখেন নিয়মিত। উবারচালক আরও জানান, এ কারণে মেয়েটির নাম বদলে তাসনিয়া ফারিণ রাখেন তিনি। অপূর্বর সঙ্গে ফারিণের অভিনয় সবচেয়ে ভালো লাগে তার। এদিকে উবারচালক ভক্তের এমন মন্তব্যে আপ্লূত অভিনেত্রী। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, সবকিছু ছাপিয়ে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন দর্শকদের ভালোবাসা। অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে দেখা হয় কিন্তু আজকে এমন একজনের সাথে দেখা হলো যিনি নিজের মেয়ের নাম পরিবর্তন করে আমার নামে নাম রেখেছেন। বিশ্বের যেকোন প্রান্তে গেলে আপনাদের এমন ভালবাসা আমাকে সত্যিই অনেক আপ্লুত করে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৫

আম্বানির মেয়ের বাড়ি কিনে নিলেন গায়িকা জেনিফার লোপেজ!
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির মেয়ে ঈশা আম্বানির প্রিয় বাড়িটি বেশ চড়ামূল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে অবস্থিত এই বিলাশবহুল বাড়িটি। এটি কিনে নিয়েছেন মার্কিন গায়িকা জেনিফার লোপেজ। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মেয়ের এই বাড়িটি প্রায় ৩৮ হাজার স্কয়ার ফিটের উপর নির্মিত। এই বাড়িতে রয়েছে ১২টি বেডরুম, রয়েছে ২৪টি বাথরুম। অন্দরসজ্জা দেখলে চোখে–ঝিলমিল লেগে যাবে।  এখানেই শেষ নয়, জিম থেকে শুরু করে, স্পা, স্যালন–কী নেই সেখানে? রয়েছে ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টও। এত সভ কিছু কিনতে গায়িকাকে খরচ করতে হয়েছে ৫০৮ কোটি ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। বেন অ্যাফ্লেককে নিয়ে লোপেজ এখন এই বাড়িতে বসবাস করবেন। যদিও আম্বানি পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। জেনিফার লোপেজ, তার ভক্তরা স্নেহের সাথে জেএলও নামে ডাকেন, একজন আমেরিকান গায়ক, অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। গায়িকাকে প্রায়শই 'নৃত্যের রাণী' হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং তার শৈল্পিক ক্ষমতা এবং ফ্যাশন পছন্দের জন্য একটি বিশাল ফ্যান বেস রয়েছে। ডিভা দুইবারের একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী এবং প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মাতা বেন অ্যাফ্লেককে বিয়ে করেছেন। ফ্যান পেজটি জানিয়েছে যে, ইশা আম্বানি তার গর্ভাবস্থার বেশিরভাগ সময় তার মা নীতা আম্বানির সাথে সেই বাড়িতে কাটিয়েছেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৬

ভেঙে গেল ভারত-পাকিস্তানের দুই মেয়ের সম্পর্ক
বহুল আলোচিত ভারতের মেয়ে অঞ্জলি ও পাকিস্তানের মেয়ে সুফি মালিকের সমকামী জুটি ভেঙে গেল। বিয়ে করে আজীবন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সোমবার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলাদাভাবে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে পাঁচ বছরের সম্পর্কে ইতি টেনেছেন তারা।             View this post on Instagram                       A post shared by Anjali (@anjalichakra) অঞ্জলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, প্রেমিকা পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত সুফি মালিক তাকে ধোঁকা দিয়েছেন। এটা শুনে অবাক লাগতে পারে। কিন্তু আমাদের পথ আলাদা হচ্ছে। আমরা আমাদের বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ সুফি সবটা জেনে-বুঝে পরকীয়ায় জড়িয়েছে। তিনি লেখেন, আমি জীবনের এই অধ্যায় শেষ করছি, তাই বলে আমি চাই না সুফির প্রতি কোনওরকম নেতিবাচক আচরণ। আমি চাই এই সিদ্ধান্তকে সকলে সম্মান জানাক। আমাদের পাঁচ বছরের এই সম্পর্ক প্রেমে ভরপুর ছিল। সেইভাবেই আমি অতীতটা মনে রাখতে চাই।             View this post on Instagram                       A post shared by Sufi Malik (@sufi.sun) পরকীয়া বিষয়টি স্বীকার করে সুফি লিখেছেন, বিয়ের আগেই না বুঝে আমি তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। আমি আমার ভুল স্বীকার করছি এবং তা করতেই থাকব। আমি জানি আমি ওকে কষ্ট দিয়েছি, আমি বুঝতে পারিনি। আমি এই ভুলটা কত বড় সেটা জানি, তাই শুধু অঞ্জলি আর  সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতে পারি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী এই ভারত-পাক জুটির অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়েছিল। আজীবন সঙ্গে থাকার কথা বলেছিলেন দুজনে। কিন্তু পাঁচ বছরেই ফুরালো প্রেম!
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:০০

মেয়ের মৃত্যুর খবরে মায়ের মৃত্যু
পাবনায় মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে স্ট্রোক করে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) জেলার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের পাটেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, গত রোববার মেয়ে আমেনা খাতুন (৩৫) পাবনার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই খবর শোনার পর মা ইসমত আরা (৫৫) স্ট্রোক করেন। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোহাইমীন হোসেন চঞ্চল বিয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মেয়ের মৃত্যু সইতে না পেরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমত আরা মারা গেছেন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৬

১১ দিন পর মেয়ের মরদেহ পেয়ে যা বললেন বৃষ্টির বাবা 
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ বৃষ্টির বাবা শাহাবুল আলম ওরফে সবুজ খানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মেয়ের লাশ বুঝে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহাবুল আলম সবুজ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে বৃষ্টি খাতুনের বাবা বলেন, আমি বাবা হয়ে ১১টা দিন মেয়ের লাশ রেখে কীভাবে ভাত খাই, কীভাবে ঘুমাই। আমার চোখে তো ঘুম আসে না। আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া যে ১১ দিন পার হলেও নিজের মেয়ের মরদেহ বুঝে পেলাম। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার সন্তান আমার কাছে ফেরত দিয়েছে। আমি সন্তুষ্ট। কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, মেয়ের জন্য তার মা কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার ছোট মেয়েরাও কান্না করছে। আমি যে ভোগান্তিতে পড়েছি, এমন ভোগান্তিতে কেউ যেন না পড়ে। আল্লাহ পাক আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন, আমি আমার মেয়েকে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে ফিরে পেয়েছি। এজন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেন আমার মেয়েকে জান্নাতবাসী করে, বেইলি রোডে যারা মারা গেছে, সবাইকে যেন আল্লাহ জান্নাতবাসী করে। বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আগুনের ঘটনার পরদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তার বাবা সবুজ খান। তবে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন, মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। মেয়েটি নিয়মিত মন্দিরে আসতেন। উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মর্গ থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি আরও বলেন, গতরাতে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারও লিখিতভাবে আবেদন করেন, আমার কোনো দাবি নেই, ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক। বৃষ্টি খাতুনের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাস করে হাইস্কুলে ভর্তি হন তিনি। গ্রাম থেকে এসএসসি ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকায় ইডেন কলেজে ভর্তি হন বৃষ্টি।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৫

প্রথমবার মেয়ের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন আলিয়া
আলিয়া ভাট এবং রণবীরের মেয়ে রাহাকে একবার দেখার জন্য উদগ্রীব ছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু রাহার বাবা-মা ঠিক করেছিলেন এখনই মেয়ের মুখ প্রকাশ্যে আনবেন না। রাহার এক বছরের জন্মদিনে কেকের সঙ্গে রাহার আবছা একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন আলিয়া। তখন কাপুর দম্পতি জানিয়েছিলেন, দু’বছর বয়স না হলে রাহার মুখ দেখাবেন না। তবে নিজেরাই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলেন।  গত বছর ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে মা-বাবার হাত ধরে প্রকাশ্যে আসে রাহা। এবার মেয়ের ছবি প্রথমবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন আলিয়া। অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্‌-বিবাহের উদ্‌যাপন সেরে সদ্য জামনগর থেকে বাড়ি ফিরেছেন আলিয়া-রণবীর। মেয়েকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। জামনগরের আম্বানিদের অনুষ্ঠানে রাহার দুষ্টুমির ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই অনুষ্ঠানেরই একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছেন আলিয়া। ছবিতে মেয়ে রাহাকে কোলে নিয়ে আছেন আলিয়া। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মা-মেয়ে দুজনেই একই নকশার পোশাক পরেছেন। মায়ের কোলে উঠে রাহাও খিলখিলিয়ে হাসছে। আর আলিয়া মেয়েকে আদরে, স্নেহে ভরিয়ে দিচ্ছেন। ছবির নিচে আলিয়া লিখেছেন ‘সুস্থ’। শুধু রাহার নয়, আলিয়া আরও বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। প্রতিটি ছবিই জামনগরে আম্বানিদের অনুষ্ঠানেই তোলা হয়েছে। একটি ছবিতে রণবীরকে আলিঙ্গন করছেন আলিয়া। ননদ কারিনা কাপুরের সঙ্গেও বেশ কিছু ছবি দিয়েছেন আলিয়া। কোনও ছবিতে কারিনার পাশে বসে মেকআপ করছেন আলিয়া। আবার ননদ-ভাজেরও একসঙ্গে ছবি আছে। কিছু দিন আগেই ‘কফি উইথ করন’-এর চ্যাটে শোয়ে এসে আলিয়া জানিয়েছেন তাদের মেয়ে রাহা হচ্ছে রণবীর ও তার মিশেল। অনেকটা নাকি রণবীরের বাবা ঋষি কাপুরের মুখের সঙ্গে মিল রয়েছে রাহার। যদিও পিসি কারিনার কাপুর খানের মতে, রাহা দেখতে রণবীরের মতো। তবে রাহা যেমনই দেখতে হোক, রাহা কী ভাবে বড় হয়ে উঠছে, কী করে সারা দিন, সব কিছুই জানতে উৎসাহী ‘রণলিয়ার’ অনুরাগী।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

স্ত্রী ও মেয়ের লাশ গ্রহণ করলেন পোল্যান্ড প্রবাসী
বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে আগুনে মৃত্যু হওয়া স্ত্রী ও মেয়ের লাশ গ্রহণ করলেন পোল্যান্ড প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কুমার রায়। শনিবার ভোরে দেশে ফিরেন পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম রায়। পরে ভাগিনা অনয় রায়কে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যান। সেখানে তিনি স্ত্রী-সন্তানের লাশ শনাক্ত করেন। দুপুরে লাশবাহী গাড়ি নিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামে পৌঁছান। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাদের দেখতে আশপাশের শত শত মানুষ ভিড় করেন। জানা যায়, প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের মেয়ে বিভাঙ্কা রায় ঢাকার গেটওয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের শিক্ষার্থী। তিনি তার মা ফিলিপাইন নাগরিক রুবি রায়ের সঙ্গে ঢাকার মালিবাগে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে আগুনে মারা যান তারা।  মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, অকালে দুটি প্রাণ চলে গেছে। এতে আমরা মর্মাহত। ওই পরিবার যাতে শোক সইতে পারে, আমরা সে প্রার্থনা করি।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৩১

বেইলি রোড ট্রাজেডি / মায়ের জন্মদিনে মেয়ের জন্ম, মৃত্যুও একই দিনে
তিন বছরের শিশু ফাইরুজ কাশেম জামিরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হন খাগড়াছড়িতে ঘুরতে যাবেন বলে। সে রাতে বাসের টিকেটও কেটে রেখেছিলেন ফাইরুজের বাবা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ফাইরুজের খাগড়াছড়ি ঘুরে দেখা হলো না আর। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাবা শাহজালাল উদ্দিন (৩৪) ও মা মেহেরুন্নেছা জাহান হেলালীর (২৪) সঙ্গে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে গিয়েছিল ফাইরুজ। সেখানে আগুনে প্রাণ গেছে তার। অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে তার মা-বাবারও। শাহজালালের পরিবারের কেউই জানতেন না এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন তাদের পরিবারের তিন সদস্য। প্রতি শুক্রবার শাহজালাল বাড়িতে ফোন করে সবার খোঁজখবর নিতেন। কিন্তু এই শুক্রবার ফোন না পেয়ে পারিবারের সকলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শাহজালালকে ফোনে না পেয়ে তার শ্বশুর মুক্তার আলম হেলালী চলে আসেন ঢাকা মেডিকেলে। খুঁজতে থাকেন তার মেয়ে, জামাই ও নাতনিকে। অবশেষ রাত সাড়ে ১০ টায় খোঁজ মেলে তাদের। ততক্ষণে ঢাকা মেডিকেলের মর্গের হিমাগারে চিরনিদ্রায় ফাইরুজরা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনে আগুন লাগে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর গতকাল রাত ১০টার দিকে শিশুটির নানা মুক্তার আলম হেলালি ফাইরুজকে শনাক্ত করেন। তিনি জানান, তিন বছরের শিশুটির নাম ফাইরুজ কাশেম জামিরা। মায়ের নাম মেহেরুন নিসা জাহান হেলালি (২৪) এবং বাবা শাহজালাল উদ্দিন (৩৪)। জানা গেছে, মা মেহেরুন্নেছা জাহান হেলালীর জন্মদিন ১৪ সেপ্টেম্বর। একই দিন জন্ম হয় মেয়ে ফাইরুজের। জন্মের পর থেকে মা-মেয়ে একসাথে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শেষ পর্যন্ত তাদের মৃত্যুও হলো একই দিনে। শিশুটির খালা মুক্তারুন নিসা হেলালী আজ গণমাধ্যমকে জানান, সকাল ৭টা থেকে তারা মর্গের সামনে অপেক্ষা করেছেন। তিনজনের মরদেহ নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা কক্সবাজারের উখিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে পূর্ব গোয়ালিয়া গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে তিনজনের দাফন সম্পন্ন হবে। কক্সবাজার উখিয়া থানার পূর্ব গোয়ালিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল কাশেমের ছেলে শাহজালাল। তিনি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। কেরাণীগঞ্জের পানগাঁও কার্যালয়ে শুল্ক বিভাগে তিনি কর্মরত ছিলেন। বেইলি রোডের ওই ভবনের আগুনে এই পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা কেউ ‘শঙ্কামুক্ত’ নন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন গতকাল বেইলি রোডে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানিয়েছে, ভবনটিতে রেস্তোরাঁ বা পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কোনো অনুমোদন ছিল না।  
০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়