• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মদ কোম্পানির লোগো ছাড়া খেলতে নেমে প্রশংসায় ভাসছেন মোস্তাফিজ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চার উইকেট শিকার করে চেন্নাইকে জয় এনে দিতে বিশেষ অবদান রাখেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়াও আরও একটি কারণে প্রশংসায় ভাসছেন এই টাইগার পেসার। শুক্রবার (২২ মার্চ) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে জার্সিতে অ্যালকোহল কোম্পানির লোগো ছাড়াই মাঠে নামেন ফিজ। ম্যাচে চেন্নাইয়ের একাদশে থাকা অন্যান্য ক্রিকেটারদের জার্সির হাতায় সেই মদ ব্র্যান্ডের লোগো থাকলেও সেটি দেখা যায়নি কাটার মাস্টারের জার্সিতে। যা নিয়ে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশি এই মুসলিম ক্রিকেটার। ক্রিকেট বিশ্বে এরকম ঘটনা নতুন কিছু নয়। যে কাতারে ছিলেন হাশিম আমলা, মইন আলীসহ বিশ্বের নামকরা সব মুসলিম ক্রিকেটার। এবার সেই খাতায় নিজের নাম লেখালেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচে যারা বাঁহাতি রয়েছে তাদের জার্সির ডান হাতায় দেখা গেছে সেই লোগো। একইভাবে সিএসকের উইকেট কিপার ব্যাটার ধোনির বামহাতে ছিল সেই লোগো। কারণ, ধোনি ডানহাতি ব্যাটার। তাই, সে অনুযায়ী ফিজের ডান হাতেই অ্যালকোহল কোম্পানির সেই লোগো থাকার কথা ছিল। গুঞ্জন আছে, জার্সিতে মদের ব্র্যান্ডের লোগো ছাড়া মাঠে নামার এ ঘটনায় জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন ফিজ। যদিও এ বিষয়ে তিনি সিএসকের ম্যানেজমেন্ট এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অনুমতি থাকলে, লোগো না লাগানোর কারণে এই নির্দিষ্ট স্পন্সরের অর্থ পাবেন না তিনি।  উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ১২০ ফ্যান্টাসি পয়েন্ট নিজের করে নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ফলে, ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার ওঠে তার হাতে। আর ৪ ওভারে ২৯ রানের খরচায় বেঙ্গালুরুর মূল্যবান ৪টি উইকেট নেয়ায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জিতে নেন ফিজ। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

৭০০ শিক্ষার্থীকে হলে পৌঁছে প্রশংসায় ভাসছেন রেল কর্মকর্তা অসীম
মানবহিতৈষী আমাদের ‘রেলওয়ে ম্যান’ অসীম কুমার তালুকদার। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছেন প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী। এতে প্রশংসায় ভাসছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ওই মহাব্যবস্থাপক। জানা গেছে, গত ৫ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ছিল। এদিন এই ইউনিটের চতুর্থ ও শেষ শিফটের পরীক্ষা দুপুর সাড়ে ৩টায় শুরুর কথা ছিল। পরীক্ষা দিতে ধূমকেতু ট্রেনে আসছিলেন প্রায় ৭০০ পরীক্ষার্থী। আর তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে হলে পৌঁছাতে ঘটে এক রুদ্ধশ্বাস ঘটনা। পরীক্ষার্থীদের পৌঁছাতে ট্রেনের ইঞ্জিন খুলে আরেক ট্রেনে লাগাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ৮৫ কিলোমিটার বেগে চালাতে হয়েছিল ট্রেন। অসীম কুমার তালুকদার ৫ মার্চের সেই ভ্রমণের কাহিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখে পোস্ট করেছেন। হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আজকের ধূমকেতুর যাত্রা’ শিরোনামে ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, গতকাল (৫ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী ধূমকেতু এক্সপ্রেস নামের ট্রেনে রওনা হন। ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়তেই দেরি হয়ে যায়। বেলা ১১টায় হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বেলা ৩টা নাগাদ রাজশাহীতে পৌঁছাবে। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ট্রেনটি অন্য ট্রেনকে বসিয়ে দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। লাহেড়ী মোহনপুর স্টেশনে এসে ধূমকেতুর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শরৎনগরে বসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন এনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস আবার চালু করা হয়। তখন হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রাজশাহীতে পৌঁছাবে, তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অসীম কুমার তালুকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। ট্রেন সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতিতে চলছিল। তবে দুশ্চিন্তা ছাড়ছিল না। সময়মতো পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল। উপায় না পেয়ে আড়ানী স্টেশনের স্টপেজে ট্রেন না থামিয়ে থ্রু পাস করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বেলা ৩টা ৩৮ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেনটি থামে। পরে শিক্ষার্থীরা দ্রুত দৌড়ে পরীক্ষার হলে গিয়ে বসেন। অসীম কুমারের পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা তাকে নিয়ে সিনেমা বানানোর দাবিও তুলেছেন। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন টেস্ট ছিল। ঢাকা থেকে আসা একটি ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। থ্যাংকফুলি পশ্চিমাঞ্চল ট্রেনের মহাব্যবস্থাপক সেটা মনিটর করেছেন। নিজে রাবি’র ভিসির সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষায় লেট এন্ট্রির ব্যবস্থা করেছেন। অন্য ট্রেনের ইঞ্জিন ওই নষ্ট ট্রেনে সেট করে দ্রুত রাজশাহী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন। এতো কষ্ট না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও কারও কিছু করার ছিল না। একটু সহমর্মিতা, একটু আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বলে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থীকে চোখের পানি ফেলতে হয়নি। তার নাম অসীম কুমার তালুকদার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একটা পচে যাওয়া সময়ে অসীম যা করেছেন, তা আসলেই রেলওয়ের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমরাও সুর মিলিয়ে বলতে পারি- অসীম, আপনি যা করলেন, তার জন্য ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে। এই শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ যদি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না-ও হয়, তবু আপনার ঠাঁই হবে মহাকালের অনন্ত যাত্রায়।’
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়