• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা, না মানলে শাস্তি
চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখসহ থাকবে ওজনের তথ্যও; যা রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে রয়েছে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।   এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে, যা আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে।   খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।    এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১০

তরমুজ বিক্রিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের নির্দেশনা
তরমুজ পিস হিসেবে কিনে তা কেজি দরে বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, তরমুজ বিক্রেতারা যেভাবে কিনবেন সেভাবে বিক্রি করতে হবে। কেউ যদি পিস হিসেবে কিনতে চায়, তাহলে কেজি দরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। তবে কোনো ব্যবসায়ী যদি তরমুজ কেজি হিসেবে কেনেন, তাহলে তিনি কেজি হিসেবে বিক্রি করবেন। কিন্তু এর সপক্ষে ওই ব্যবসায়ীকে অবশ্যই ভাউচার রাখতে হবে। যদি পাকা ভাউচার না থাকে, তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে । তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী যদি তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করেন, তখন যেন ভোক্তারা তা প্রত্যাহার করেন এবং আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেন। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিদপ্তর। প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে বাজারে কেজি হিসেবে বিক্রি করার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে কারওয়ান বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে দেখা গেছে, ১১ কেজি ওজনের তরমুজ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় কেনা। আর তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ কেজি হিসেবে ৭০০ টাকায়।
২১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়