• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচু বাগান, বাম্পার ফলনের আশা 
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে লিচু বাগানগুলো। ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মৌমাছি নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন মৌয়ালরা। এতে একদিকে যেমন মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন তারা, অন্যদিকে পরাগায়নের মাধ্যমে বাড়ছে ফলন। ভালো ফলনে চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কৃষি অফিস। বাম্পার ফলনের আশায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগানিরা।  কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উপজেলার লিচু বাগানের জন্য বিখ্যাত চাপাইর ইউনিয়নের মেদীআশুলাই গ্রামের দেড়চালা ও চান্দের চালা। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তাঘাটে পা রাখলেই চোখে পড়ে বাগান, বসতবাড়ি ও রাস্তার পাশে লিচু গাছগুলোতে মুকুলের সমাহার। প্রতিটি লিছু গাছ ভরে গেছে ফুলে ফুলে। দেড়চালা ও চান্দের চালা এলাকায় গোলাপী, চায়না-২, চায়না থ্রি, বোম্বাই, বেদানাসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার লিচু গাছ রয়েছে।  লিচু চাষি হানিফ ও সিরাজুলের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রতিবছর তাদের ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। এতে লাভ হয় ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা। তবে গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লাভের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।  কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ভালো ফলনে চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। লিচুর মুকুল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌ খামারিরা দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন। এরমধ্যে তিনটি খামারে প্রায় ১৯২টি মৌ-বাক্স নিয়ে এসেছেন তারা। এতে একদিকে যেমন মধু সংগ্রহ করতে পারবেন মৌয়ালরা অন্যদিকে পরাগায়নের মাধ্যমে অধিক ফলনের আশা চাষিদের।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২১:২৬

রাবার বাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
টাঙ্গাইলের মধুপুরের একটি রাবার বাগান থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মরদেহের মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পোড়া ছিল। পুলিশের ধারণা, ‘হত্যাকাণ্ডের’ শিকার যুবকের মরদেহ যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারে সেজন্য পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে মধুপুর উপজেলার পীরগাছা এলাকার একটি রাবার বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ২৪ বছর। শনিবার রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে গেছে বলে ধারণা পুলিশের। পুলিশ জানায়, দুপুরে স্থানীয়রা রাবার বাগানের ভেতরে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে মধুপুর থানা ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত মরদেহের কোনো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৫

খরচ কমাতে বাড়িতে গাঁজা চাষ, বাগান মালিকসহ গ্রেপ্তার ৪
গাঁজা তো কিনে সেবন করতে হয়। যদি গাছই লাগানো যায়! এতে নিজের চাহিদা যেমন পূরণ হবে তেমনি বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যাবে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এমন পরিকল্পনা থেকেই বাড়ির আঙিনার পাশে বাঁশের চাটাই দিয়ে চারপাশে বেড়া তৈরি করে গাঁজার চাষ করেন বীরবল (৪০) নামের এক ব্যক্তি। এ খবর জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালায় তার বাড়িতে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গাঁজা গাছের মালিকসহ গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে। গ্রেপ্তারকৃত অন্য তিনজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সত্যজিৎ (৩০), সাতপাড়া গ্রামের শাহ আলম (৩৫) ও গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সুলতানপুর গ্রামের উপেন দাস (৫৫)।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তাকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে বীরবল নামের ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ির আঙিনাতেই সযত্নে রোপণ করেছিলেন গাঁজার গাছ। তিনি নিজেও একজন গাঁজা সেবনকারী। বাইরে থেকে কিনতে গেলে খরচ বেশি হয়। তাই নিজেই বীজ রোপণ করেছিলেন। এ ছাড়াও তিনি নিজের গাছের গাঁজা বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের স্বপ্ন দেখছিলেন। বিক্রিও শুরু করেছিলেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান ও অরুপ কুমার রায়সহ পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালায়। সেসময় ১৩ কেজি ওজনের ১১ ফিট লম্বা গাঁজার গাছ ও ৭০ গ্রাম গাঁজাসহ গাঁজা সেবনের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।  তিনি আরও জানান, বসতবাড়িতে গাঁজার গাছ চাষাবাদ এবং ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে হেফাজতে রেখে সেবনের অপরাধে চার জনের নাম উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আজ রোববার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়