• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের ৭০ নেতা
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলা ভোটে অংশ নিচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অন্তত ৪৫ জন নেতা মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর জামায়াতে ইসলামীর  ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ছিল প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। ১৫০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নেতা আছেন কমবেশি ৪৫ জন।আর জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২২ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। প্রার্থী হওয়ার বিএনপির নেতারা বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। তাই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। জনগণের জন্য কাজ করতে ভোটে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই।  যেসব বিএনপি  নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ উপজেলায় মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল; নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আয়েন উদ্দিন ডালিম; মহাদেবপুরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু; কুমিল্লার মেঘনায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন; একই উপজেলার নাঙ্গলকোটে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলাম; চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় বিএনপি নেতা মো. আশরাফ হোসেন আলিম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাইহান; ভোলাহাট উপজেলায় বিএনপির মোহাম্মদ বাবর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও ইয়াজদানী আলীম আল রাজী; ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান পল্লব চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।  একইভাবে নাটোর সদর উপজেলায় বিএনপি নেতা গোলাম সরোয়ার ও বিএনপি কর্মী সাবেক ভিপি মো. ইসতেয়াক আহম্মেদ (হিরা); একই জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি সরদার আফজাল হোসেন; পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ফায়জুল কবির তালুকদার; বান্দরবন সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুছ; নওগাঁর মহাদেবপুরে থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক ভাস চেয়ারম্যান গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে আরও অনেক উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হয়েছেন।  এছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাহেনা বেগম হাছনা। জামায়াতের যেসব নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন-: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আব্দুর রশিদ পাটোয়ারী, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় নায়েবে আমির মাওলানা মো. আতাউর রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির ওলিউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক জামায়াত নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, দিনাজপুরের বিরামপুরে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এনামুল হক, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান এবং সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আমির নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এর বাইরে বেশ কয়েকটি উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। এবার মোট চার ধাপে ৪৮০টি উপজেলা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে দুটি উপজেলার (নারায়ণগঞ্জ সদর ও কুমারখালী) ভোট স্থগিত করা হয়। প্রথম ধাপের মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোট গ্রহণ ৮ মে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৫

বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুস্মিতা সেন
বলিউড অভিনেত্রী  সুস্মিতা সেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিশ্বজোড়া খ্যাতির অধিকারিণী তিনি। বলিউডে অভিষেক তার ঠিক দুই বছর পর। ১৯৯৬ সালে ‘দস্তক’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক। তার পর ‘বিবি নম্বর ওয়ান’, ‘সির্ফ তুম’, ‘ফিজা’, ‘আঁখে’, ‘ম্যায় হু না’-র মতো অসংখ্য ফিল্মে অভিনয় করেছেন।  এই নায়িকার ব্যক্তিত্বের জন্য যতটা আলোচিত হয়েছেন, ততটাই চর্চিত ব্যক্তিগত জীবনের জন্য। বলা ভালো তার প্রেমজীবন নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। তবু কোনো দিনই কোনো কিছু লুকিয়ে করায় বিশ্বাসী নন সুস্মিতা সেন। কখনো রণদীপ হুডা, কখনো মুম্বাইয়ের রেস্তোরাঁ মালিক হৃতিক ভাসিন, কখনো পরিচালক বিক্রম ভাট, আবার কখনো ললিত মোদী, আবার কখনো বয়সে অনেক ছোট রোহমান শলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। বয়স তার পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। তবু ঘর বাঁধা হয়নি। এই মুহূর্তে দুই মেয়ে রেনে ও আলিশাকে নিয়ে তার সংসার। সঙ্গে রয়েছেন প্রাক্তন প্রেমিক রোহমনও। এবার সুস্মিতা জানিলেন, বিয়ে করবেন তিনি। মুখ খুললেন তার প্রাক্তনদের নিয়েও। বছর খানেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসার পরে নতুন করে নিজের জীবন ফিরে পেয়েছেন। সেই সঙ্গে জীবনে ফিরে এসেছে পুরনো প্রেমও। তিনি রোহমান। এই মুহূর্তে একসঙ্গেই আছেন তারা। তবে সম্পর্কে আছেন কি না, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সুস্মিতা জানান, প্রাক্তনদের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্কই রয়েছে তার। শুধু তাই নয়, তিনি কৃতজ্ঞ জীবনে এমন কিছু বন্ধু পেয়ে। তিনি স্বীকার করেন, যেকোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর বন্ধুত্ব থাকতেই পারে। তবে সেটারও নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। রোহমন তার জীবনে ফিরে আসায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তবে কি প্রাক্তন প্রেমিকেই থিতু হবেন অভিনেত্রী? সেই সময় শুধুই জানান, বিয়েতে তার অনীহা নেই। তবে এবার সুস্মিতা জানান, তিনি বিয়ে করবেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, বিয়ে করার জন্য আমি কখনোই সামাজিক চাপ অথবা বয়সের তোয়াক্কা করি না। তবে বিয়ে করার ইচ্ছে আছে। কিন্তু জীবনে সেই সঠিক মানুষটাকে আসতে হবে। যেদিন এমন কোনো পুরুষ জীবনে আসবে, যাকে দেখে মনে হবে একেই বিয়ে করা যায়, কিংবা আমার যে চাহিদার তালিকা রয়েছে সেগুলো মিলে গেলেই বিয়ে করবে নেব। তার আগে এই বেশ ভালো আছি।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৩

পুষ্পা ২ : যত টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন আল্লু অর্জুন
২০২১ সালে মুক্তি পায় দক্ষিণী চিত্রনায়ক আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা’ সিনেমাটি। মুক্তির পরেই সিনেমাটি রচনা করে নতুন এক ইতিহাস। টিজার থেকে লুক, সবটা এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্বই ভোগে পুষ্পাজ্বরে। ওই সিনেমায় তিনি পারিশ্রমিক নেন ৪৫ কোটি টাকা।  ‘পুষ্পা’ সিনেমার আকাশচুম্বী সাফল্যের পর এবার ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’-এ তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছেন প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ ৮৫ কোটি টাকা। অবশ্য তার কারণও আছে। পুষ্পার পর ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এও তিনি চরিত্রের খাতিরে নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন। দর্শক দেখবেন আরও এক কদম এগিয়ে থাকা আল্লু অর্জুনকে। ইউটেউবে প্রকাশিত ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার টিজারে দেখা গেছে, সবার প্রিয় পুষ্পার খোঁজ চলছে। সর্বত্রই তোলপাড়, তার গায়ে গুলিও লেগেছে। অনেকে মনে করে সে মৃত। এভাবেই এগোতে থাকে গল্প। পরে জানা যায়, সে জীবিত। তখনই সবাই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে।  সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের ১৫ আগস্ট ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিমেনাটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে সিনেমাটির নির্মাতা সংস্থা ‘মিথরি মুভি মেকার্স’।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫০

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বারের দায়িত্ব নিচ্ছেন ব্যারিস্টার খোকন
পুনর্নিবাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নেওয়া দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই সুপ্রিম কোর্ট বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের দক্ষিণ (১ নম্বর হল রুমে) হলে নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তার সমর্থকরা এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান। পরে ব্যারিস্টার খোকন নিজে সংবাদ সম্মেলন করে বারের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন বলে জানান। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়ালি উর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মেহেদী, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা। এর আগে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নতুন বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে গত ২৭ মার্চ চিঠি দিয়েছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ফোরামের সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত ওই চিঠির অনুলিপিটি দলের মহাসচিব ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের (দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত) কাছে পাঠানো হয়। গত ৬ ও ৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এবারের বার নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে সভাপতিসহ চারটি পদে বিজয়ী হয় বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য নীল প্যানেল। অন্যদিকে সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় আওয়ামী লীগপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাদা প্যানেল। নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত) সভাপতি পদে বিজয়ী হন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হন সৈয়দ ফজলে এলাহী, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ এই চারজনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাঠানো ২৭ মার্চের চিঠিতে বলা হয়, বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করেছে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দুজন প্রার্থী প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মঞ্জুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দুজন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরামের নেতাকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলায় ওসমান চৌধুরী, সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা দুই সপ্তাহের মতো কারাভোগ করেছেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাদের নামকাওয়াস্তে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। চিঠিতে এরপর বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে ২৪ মার্চ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ৯ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের (খোকনসহ চারজন) এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

ফেব্রুয়ারিতে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব নিচ্ছেন সায়মা ওয়াজেদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পেয়েছেন অটিজম এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বঙ্গবন্ধুর নাতনি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ২৩ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় এই নিয়োগ অনুমোদিত হয়। পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি। বর্তমান পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর ভারতের নয়া দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কমিটির ৭৬তম অধিবেশনে সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন ড. সায়মা ওয়াজেদ। তখন ওই পদের জন্য সায়মা ওয়াজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নেপালের ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য। সদস্য দেশগুলোর অংশগ্রহণে সরাসরি ৮-২ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা এবং একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ-বিশেষ করে অটিজমের ভূমিকার জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ডাব্লিউএইচও -এর মহাপরিচালকের উপদেষ্টা। তার নাম এখন ডাব্লিউএইচও নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪ তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য জমা দেওয়া হবে। আগামী ২২-২৭ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ওই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এর সাথে, সায়মা ওয়াজেদ প্রথম বাংলাদেশি হবেন যিনি ডাব্লিউএইচও -এর আঞ্চলিক বিভাগের অংশ হিসাবে 1948 সালে তৈরি করা পদে অধিষ্ঠিত হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করেছিল। ডব্লিউএইচও দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলবিষয়ক অফিস ওই সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি। এটি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত। সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৯

কলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা
এক বছর মেয়াদি ফসল কলা। বারো মাস লাভের অঙ্ক কষে কৃষকের ফল দাঁড়াচ্ছে লোকসানের ঘরে। বাগানেই পেঁকে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কলা। স্তূপ করে রাখা হচ্ছে বাগানের পাশে। মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য কলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গবাদি পশুও। কলার দাম কমে যাওয়ায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ভাবাচ্ছে চাষিদের। চাষে ভাটা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। নীরবে কাঁদছেন কৃষক। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়।  ঘাটাইল উপজেলার আয়তনের এক তৃতীয়াংশই হচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চল। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বারোমাসি এ ফসলের ফলন হয়েছে বাম্পার। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর কলার চাষ হয়েছে এক হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এখানকার কৃষকের ফলানো কলা পুষ্টির চাহিদা মেটায় রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের। এদিকে কলার বাজার পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষক। চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। আরও পড়ুন : বিরোধী দলে ছিলাম, থাকতে চাই : জি এম কাদের   উপজেলার পাহাড়ী সাত ইউনিয়ন সাগরদিঘি, দেওপাড়া, ধলাপাড়া, লক্ষিন্দর রসুলপুর, সন্ধানপুর ও সংগ্রামপুর এসব এলাকার কৃষকদের প্রধান অর্থকরি ফসল হচ্ছে কলা। সাগরদীঘি এলাকায় কলার ২০ জন বড় চাষি রয়েছেন। অধিকাংশ চাষিই চাষ করেন সাগরকলা। তাদের একজন নাসির সিকদার।  তিনি জানান, এ বছর ৮৫ বিঘা জমিতে কলার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। গত বছর কলার যে ছড়া বিক্রি হয়েছে ৫২০ টাকায়, এ বছর একই ধরনের ছড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫০ টাকায়। তিনি বলেন, লাভ নয়, আসলের ঘর থেকে লোকসান হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। ২৯ বছর ধরে কলা চাষের সঙ্গে জড়িত তিনি। তার ভাষ্য, কলার বাজারে এমন ধস এর আগে দেখেননি।  কৃষক আব্দুল কাদের জানান, এ বছর তিনি ১০১ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। কলা ব্যবসায়ীরা তাদের জানিয়েছেন গার্মেন্টসে এখন আর নাকি নাস্তার সঙ্গে কলা দেওয়া হয়না। আর কিছুদিন আগে হরতাল এবং অবরোধের কারণে সঠিক সময়ে তারা কলা বিক্রি করতে পারেননি। তাই কলা বাগানে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।  আরও পড়ুন : বিরোধী দল গঠন নিয়ে যা বললেন নিক্সন চৌধুরী   তার ভাষ্য, গরু-ছাগলেও কলা খাচ্ছে না। সব মিলিয়ে প্রায় তার ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।  কথা হয় কলা ব্যবসায়ী হারুন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় সব গার্মেন্টসে টিফিন বন্ধ রয়েছে। কলার বড় একটা চালান আমরা গার্মেন্টসে দিতাম, এখন আর তা হচ্ছে না। ঢাকার পাইকারি বাজারেও খুব একটা টান নেই কলার। কলার দাম গত বছর যা ছিল, এ বছর তার অর্ধেকে নেমে এসছে।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলা হচ্ছে কলা চাষের জন্য বিখ্যাত। কলা এমন একটা ফল যা সারা বছরই লাগে। প্রকৃতপক্ষে আমরা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। বাজারটা নির্ভর করে সাধারণত মার্কেটিং পলিসির ওপর। কৃষকদের বাঁচানোর জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। 
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩

আপাতত শপথ নিচ্ছেন না জাপার সংসদ সদস্যরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিতরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) শপথ নিলেও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা আপাতত শপথ নিচ্ছেন না। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কাল (বুধবার) আমরা শপথ নিচ্ছি না। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জি এম কাদেরের অফিসে আমরা বৈঠকে বসব। বৈঠকে আলাপ-আলোচনার করে শপথের বিষয়টি ঠিক করা হবে। এদিকে,  বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বর্তমান সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, শপথগ্রহণের আগে আজ (মঙ্গলবার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করতে হবে। শপথগ্রহণের পরই তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলেও গণ্য হবেন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৫টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬১টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়