• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাকার যেসব জায়গায় বসবে কোরবানির পশুর হাট
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২০টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। ইতোমধ্যে উভয় সিটি করপোরেশন এসব হাটের স্থান সুনির্দিষ্ট করেছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১টি স্থানে ও উত্তর সিটি করপোরেশনে ৯টি স্থানে পশুর হাট বসবে।  এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গাবতলী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সারুলিয়া— এই দুটি স্থায়ী হাটেও কেনা-বেচা হবে কোরবানির পশু। দক্ষিণ সিটি এলাকায় যেসব হাট বসবে : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১টি অস্থায়ী হাট বসাতে ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া সারা বছরজুড়েই সারুলিয়ায় হাট বসে দক্ষিণ সিটি এলাকায়। এটি তাদের স্থায়ী হাট। এবারের ১১টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে আছে- উত্তর শাহজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তাগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা। উত্তর সিটিতে বসবে ৯টি হাট : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও এবার আরও ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে সংস্থাটি। সে লক্ষ্যে তারা হাটগুলোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এবারের অস্থায়ী হাটগুলো মধ্যে রয়েছে ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগর ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন এবং আশপাশের জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, মোহাম্মাদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া বেপারীপাড়া রাহমান নগর আবাসিক প্রকল্পের জায়গা এবং খিলক্ষেত থানার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পাড়ার খালি জায়গা। হাট বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা এই ৯টি হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। তবে কর্তৃপক্ষ যেকোনো হাট বাতিল বা সংযোজন করতে পারে। উল্লেখ্য, সীমানাকেন্দ্রিক জটিলতায় আফতাবনগর হাট নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন পৃথকভাবে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আফতাবনগরের কয়েকটি ব্লকে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য দুটি সংস্থায়ই টেন্ডার দিয়েছে। ফলে আফতাব নগর এক হাট নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়েছে।  অন্যদিকে কোরবানির সময় পশুর হাট বসালে এলাকায় নানান নাগরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়— এমন কারণ উল্লেখ করে আফতাব নগরে হাট না বসাতে বা হাটের অনুমতি না দিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছেই চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছে জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটি (আফতাবনগর সোসাইটি)।
১৪ ঘণ্টা আগে

আজও ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে ঢাকার তাপমাত্রা
কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই বাড়ছে। তাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়। গত কয়েকদিন ধরে চলা তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ। যা অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। সেই ধারাবাহিকতায় আজও ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়তে পারে।   রোববার (২১ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সারাদেশে হিট আল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও  জানানো হয়েছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া মোংলায় ৪১ দশমিক ৭, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬, খুলনায় ৪১ দশমিক ২, আরিচা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে ৪০ দশমিক ৮, সাতক্ষীরায় ৪০ দশমিক ৩ ও টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৬

কান উৎসবে বিচারক হয়ে যাচ্ছেন ঢাকার ঋতি
একাধারে তিনি সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি। এবারও তিনি আসন্ন কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফিপ্রেসকি জুরি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। জানা যায়, এর আগে তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবার কানের জুরি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৭৭তম কান উৎসব থেকে দ্বিতীয়বার ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে ঋতি বলেন, কান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। জুরি হিসেবে দ্বিতীয়বার আমন্ত্রণ পাওয়া একটি অবিশ্বাস্য সম্মান। জুরি বোর্ডে আমাদের চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়মিত উপস্থিতি বিশ্ব চলচ্চিত্রকে ইউরোকেন্দ্রিক লেন্স থেকে সরে এসে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে। জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলেস থেকে চিত্রনাট্যে পড়াশোনা শেষ করে ঋতি বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবের জুরির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতালি, ভারত, ইংল্যান্ড, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে। তিনি দেশের ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ওয়েস্ট মিটস ইস্ট স্ক্রিনপ্লে ল্যাবের সহ-প্রধান। ঋতি ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ভোটার এবং ২০২০ সালে বার্লিনালে ট্যালেন্টসে প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র সমালোচক হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ফিল্ম ইন্ডিপেনডেন্ট এবং লোকার্নো ওপেন ডোরস এর সাথে মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে চার্লস ওয়ালেস ফেলোশিপের অংশ হিসাবে তিনি ২০২৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পরাবাস্তব চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে পড়ান।   চিত্রনাট্যকারের ভূমিকায় ঋতিকে দেখা গিয়েছে নুরুল আলম আতিকের ওয়েব সিরিজ ‘আষাঢ়ে গল্প’তে। তার দুটো শর্ট ফিল্ম অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছে। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ১৪-২৫ মে, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের কান সৈকতে। এর আগে বাংলাদেশ থেকে আহমেদ মুজতবা জামাল ২০০২, ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে কান উৎসবে ফিপ্রেসকি জুরি ছিলেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৮

ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীর মালয়েশিয়ায় মৃত্যু
ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা গেছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বজনের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে দেশটির পুলিশ। জানা গেছে, জয় তারেক রানা পরিচয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। কয়েক বছর ধরে কিডনির রোখে ভুগছিলেন তানভীর।  গত ১২ এপ্রিল সকালে তার গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলিং বেল বাজানোর পরও সাড়া না পেয়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতাল তকে মৃত ঘোষণা করে। জয়ের এক বোন মরদেহ নিতে মালয়েশিয়ায় গেছেন। তবে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর কলাবাগানের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত-হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তিনি। সে সময় জয়ের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাকাণ্ড, ২টি হত্যাচেষ্টা, মারাত্মক জখম ও চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অনেকগুলো অভিযোগ ছিল। ২০০০ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন জয়। এরপর জেল থেকে মুক্ত হয়ে ভারতে গিয়ে তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান তিনি। এরপর ফের ভারতে আসেন তিনি। ভারতে থাকাকালে তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল জয়ের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৪

ঈদের দিন আরটিভিতে যা দেখবেন
বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪, ২৮ চৈত্র ১৪৩০। একনজরে জেনে নিন আরটিভির আজকের আয়োজন- সকাল ১০টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘ঢাকার কিং’। অভিনয় করেছেন- শাকিব খান, অপু বিশ্বাস প্রমুখ।    দুপুর ২টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘যদি একদিন’। অভিনয় করেছেন- তাহসান খান, শ্রাবন্তী প্রমুখ।  বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে ‘ইয়াং স্টার সিজন ২’র শিল্পীদের নিয়ে সংগীতানুষ্ঠান ‘ক্লাব ইয়াং স্টার’। প্রযোজক- আরজু আহমেদ। বিকেল ৬টায় টক শো ‘ঈদ কার্ণিভাল’। অতিথি- সাদিয়া আয়মান ও উপস্থাপনায়: ইমতু রাতিশ। প্রযোজক দিপু হাজরা।  সন্ধ্যা ৭টায় ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘তিন অক্ষরে নাম যার’। রচনা ও পরিচালনা- হারুন রুশো। অভিনয় করেছেন- চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুকিত জাকারিয়া, তানজিম হাসান অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মনিরা আক্তার মিঠু প্রমুখ। রাত ৭টা ৩০মিনিটে একক নাটক ‘গরম একটা খবর আছে’। রচনা- জুয়েল এলিন ও পরিচালনা- সোহেল হাসান। অভিনয় করেছেন- মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ।  রাত ৮টা ৩০মিনিটে একক নাটক ‘ভালোবাসার কয়েকটা দিন’, পরিচালনায়: এস আর মজুমদার; অভিনয়ে: জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, সাফা কবির প্রমুখ। রাত ৯টা ৩০মিনিটে একক নাটক- ‘এক পায়ে জুতা।  রচনা- মুরসালিন শুভ ও পরিচালনায়- সোহেল হাসান। অভিনয় করেছেন- নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি প্রমুখ। রাত ১১টায় একক নাটক ‘খবরের ফেরিওয়ালা’।  পরিচালক- অনন্য ইমন। অভিনয় করেছেন- ইয়াশ রোহান, সাফা কবির প্রমুখ।   রাত ১১টা ৫৫মিনিটে ঈদ স্পেশাল লাইভ ‘কালার্স অফ মিউজিক’।  রাত ১২টায় ‘নিউজ টপটেন’।   
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২০

ঢাকার ১৮৪ ঈদগাহ ও ১৪৮৮ মসজিদে নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেল, রাজধানীতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও এক হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহে ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদেশের সার্বিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঈদে ডিএমপি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। বান্দরবানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) যে অপতৎপরতা চলছে, এসব ঘিরে রাজধানীতে কোনো শঙ্কা নেই। যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কেএনএফর সংশ্লিষ্টতা ছিল তাদেরও তৎপরতা নেই। এখন পর্যন্ত ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার আগাম খবর নেই। তারপরেও সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহের জামাতসহ সারা ঢাকার সব ঈদ জামাতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান জামাতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। জাতীয় ঈদগাহ ও আশেপাশের এলাকায় এসবি সদস্যরা ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। পোষাকধারী পুলিশ সদস্যরা প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করবেন। ডিবি-এসবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোষাকে অবস্থান করবেন। হাবিবুর রহমান বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে ১০টি জায়গায় পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে ৮টি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনো রকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহে ঢাকার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক ব্যক্তি ও গণ্যমান্যরা ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পুলিশের তল্লাশি কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেউ কোনো দাহ্য পদার্থ, ধারালো বস্তু বা বিস্ফোরকজাতীয় বস্তু নিয়ে জামাতে আসবেন না। কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুলিশকে ৯৯৯ নম্বরে কল করুক। স্থানীয় থানাকে অবহিত করুন। তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতেও অনুরোধ জানান তিনি। বাসের বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা বাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছি। সবাই বলেছেন, তারা কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নিবেন না।  বাসের ভাড়া বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ডিএমপি এলাকার কাউন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশি প্রহরা রয়েছে। যেন অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিতে পারি। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সোর্স ছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, যেন বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৯

ঢাকার ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন সিলগালার নির্দেশ
ঢাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন খালি করে সিলগালার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।  এতে বলা হয়, রাজউকের তালিকায় থাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো মজবুত করতে হবে। আর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪২টি ভবন সাত দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করে দিতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে। মাউশি সূত্র জানায়, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্প- ডিএমডিপি এলাকার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে। এ তালিকার মধ্যে মাউশির আওতাধীন ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।  এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলো হলো দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, তেজগাঁও মডেল উচ্চবিদ্যালয়, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৬

‘ঈদের পরই পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদামে চিরুনি অভিযান’
পুরান ঢাকায় অবৈধ রাসায়নিক গুদামগুলোতে ঈদুল ফিতরের পরে চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। মেয়র তাপস বলেন, আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে সেখানে স্থানান্তরিত হতে হবে ব্যবসায়ীদের। না হলে ঈদের পরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি বলেন, পুরান ঢাকা আমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে পারি না। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ইতোমধ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি স্থানান্তরের জন্য যে গুদামঘর, কারখানা প্রয়োজন তা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শ্যামপুরে শিল্পাঞ্চলে করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সেখানে মাত্র একজন গিয়েছেন। আমরা তাকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিয়েছি। আরেকজন আবেদন করেছেন। সেটাও আমরা করে দিচ্ছি।   তিনি আরও বলেন, আমাদের তালিকাভুক্ত এক হাজার ৯২৪টি রাসায়নিক দ্রবাদির গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে রয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের পর থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বন্ধ রেখেছি। তারপরও আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন।   মেয়র তাপস বলেন, পুরান ঢাকায় ভবনের ওপরে অনেকেই আবাসন হিসেবে ব্যবহার করেন, আবার নিচে গুদামঘর। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই প্রয়োজনে সেসব ভবন সিলগালা করে বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে পুরো ভবন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন যে ভোগান্তি হবে সেজন্য সিটি করপোরেশনকে দোষারোপ করা যাবে না।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫২

স্বস্তির বৃষ্টিতে ঢাকার বায়ুমানের উন্নতি
বৃষ্টির কারণে ঢাকার বায়ুমানের কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। রাজধানী ঢাকার স্কোর ৮৬ অর্থাৎ এখানকার বায়ু ‘ভালো’ বা মাঝারি মানের। অন্যদিকে, বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ ভারতের দিল্লি।   রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টা ৭ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা দিল্লির স্কোর হচ্ছে ২০১ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই এবং শহরটির স্কোর ১৭৯। এর অর্থ সেখানকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। এই শহরটির দূষণ স্কোর ১৬৬ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর। স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। দিনদিন দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের জীবন। গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক বায়ুদূষণের হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়া। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৯

‘লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে ঢাকার চারপাশের জমি’
বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয়ের চরম ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। যার প্রভাব দেশের সব অংশেই লক্ষ্যনীয়। চলমান পরিস্থিতিতে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে সমুদ্রের অংশ হয়ে যেতে পারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা। এমনকি লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে ঢাকার চারপাশের জমিও।   শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক সংলাপে এসব আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত। এ সময় জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।  ১৯৫টি দেশ একমত হওয়ার পর আইপিসিসি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জানিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত সতর্ক করেন, ১০০ বছর নয়; আগামী ৫০ বছরের মধ্যেও সৃষ্টি হতে পারে এমন পরিস্থিতি।  ‘উপকূলের জীবন ও জীবিকা: সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক এই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) নামক একটি সংগঠন। সংলাপে রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব-এই সারির মধ্যাঞ্চল লবণাক্ত হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত। তিনি বলেন, ঢাকা শহর খুব উঁচু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই শহরের উচ্চতা ২৫ ফুট। তাই পানিতে তলিয়ে না গেলেও লবণাক্ত হয়ে যাবে ঢাকা শহরের চারপাশ। আর কামরাঙ্গীরচর বা জিঞ্জিরার উচ্চতা পাঁচ থেকে ছয় ফুট। তাই পানিতে তলিয়ে চলে যেতে পারে এসব এলাকা। লবণাক্ততা একটি গুরুতর সমস্যা উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সম্মতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে লবণাক্ততা সমস্যার শুরু। উজান থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে লবণাক্ততা বাড়তে শুরু করেছে। অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, নদী পানির সঙ্গে পলিমাটিও নিয়ে আসে। সরকার নদী খননের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। এসব টাকা কোনো কাজে আসবে না। কারণ, খনন করার পর আবার পলি এসে দু-এক বছরের মধ্যে তা ভরাট হয়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, প্রকৃতি বদলাচ্ছে। আমাদের এই প্রকৃতিকে বুঝতে হবে। ষড়ঋতুর বাংলাদেশ আজ চার ঋতুতে পরিণত হয়েছে। আষাঢ়েও এখন বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় না। ফলে জীবন-জীবিকায় সংকট বাড়ছে। তাই উপকূলের মানুষ ভালো নেই। আগামীতে উপকূলে জলোচ্ছ্বাস ও দুর্যোগ বাড়বে। যার প্রভাবে ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে যশোর থেকে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর ও চাঁদপুর থেকে ফেনী- এসব অঞ্চলের দক্ষিণাংশ সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাড়াতে হবে।  আসন্ন এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নদী ও পরিবেশ বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদীর পার দখল করে প্রস্তুত করা স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। নদী দখল করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না। নদী বাঁচাতে হবে। পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ধরা’র সহ-আহ্বায়ক শরমীন মুরশিদ বলেন, নদী হলো পাবলিক প্রোপার্টি। এই নদীতে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে কার সিদ্ধান্ত? নদীতে বর্জ্য ফেলা আইন করে বন্ধ করতে হবে। উপকূল রক্ষায় গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উপকূলের কম্যুউনিটির মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা এমএস সিদ্দিকী বলেন, মানুষই যদি না থাকে তাহলে উন্নয়ন দিয়ে কী করবো। মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাঁচাতে হবে নদী ও পরিবেশকে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। রোমান ক্যাথলিক চার্চ ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজের সভাপতিত্বে ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় জাতীয় সংলাপে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী এবং ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ফারুক।
৩১ মার্চ ২০২৪, ০২:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়