• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তুষারের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ১০ উইকেটের জয় রূপগঞ্জের 
ঈদের ছুটি শেষে মাঠে গড়িয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। মাঠে ফিরেই গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ম্যাচে জয়ের নায়ক রূপগঞ্জের ওপেনার তাওফিক খান তুষার।   সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে গাজী টায়ার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রূপগঞ্জ। ইফতিখার হোসাইন ইফতি এবং মোহাব্বত হোসেন রোমানের উদ্বোধনী জুটি থেকে রান আসে ৪১। ১৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রোমান। ওপেনিং জুটি ভাঙার উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে গাজী টায়ার্সের ব্যাটিং লাইন-আপকে ধসিয়ে দিতে থাকেন রূপগঞ্জের বোলাররা।  শেষ পর্যন্ত ৪৪.২ ওভারের মাথায় ১৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী টায়ার্স। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন ইফতেখার। দুই ওপেনার বাদে আর মাত্র একজনই ছুঁতে পেরেছেন ২০ রানের কোটা, ৫৩ বলে ২০ রান করেন ইফতেখার সাজ্জাদ। ১০৯ রানের মধ্যে শেষ ৯ উইকেট হারায় গাজী টায়ার্স। রূপগঞ্জের হয়ে ৪ উইকেট নেন শুভাগত হোম চৌধুরী। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এবং আবদুল হালিম নেন দুটি করে উইকেট। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেধড়ক পিটুনি শুরু করেন রূপগঞ্জের ওপেনার তাওফিক খান তুষার। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও তুষার ছিলেন আগুনে রূপে। মারমুখি ব্যাটিংয়ে দ্রুতই ফিফটি তুলে নেন তিনি। ফিফটির পরেও চলেছে তাণ্ডব। বিস্ফোরক এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তুষার। ৬৬ বলে ১১৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে ৫১ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাদমান। ১০ উইকেট এবং ১৮৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৩

লিটনের ঝড়ো ইনিংসেও রক্ষা পেল না কুমিল্লা, সিলেটের চতুর্থ জয়
চলমান বিপিএলে মাঝে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান নিয়ে রংপুরের সঙ্গে লড়াই করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে নিজেদের দশম ম্যাচে সিলেটের কাছে ১২ রানে হেরে সেই লড়াই থেকে পিছিয়ে গেছে সালাউদ্দিনের শিষ্যরা। এতে আসরের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লাকে ১৭৮ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট। নির্ধারিত ওভারে ১৬৫ রান তুলতে পারে কুমিল্লা। এতে ১২ রানের জয় পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। শুরুতে ৫ বলে ৩ রান করে এই ম্যাচে ওপেন করতে নামা ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন লিটন দাস। তৃতীয় উইকেটে ১৫ বলে ১৭ রান করেন তাওহীদ হৃদয়। আরিফুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি ক্যারিবিয়ান তারকা ব্যাটার জনসন চালর্স। ২১ বলে ১২ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। কিন্তু ব্যাট চালিয়ে ব্যাট চালিয়ে ৩২ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন লিটন। ৫ বলে শূন্য রান করে আউট হন মঈন আলী। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকে লিটন। শেষ ১২ বলে কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৭ রান। এ সময় ব্যাটিংয়ে ছিলেন লিটন দাস ও আন্দ্রে রাসেল। ১৯তম ওভারে এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ১২ রান তুলতে পারে রাসেল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫ রান। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন লিটন। ৫৮ বলে ৮৫ রান করে প্লে-ডাউনে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। পরের বলে পিচে এসে ছক্কা মারেন জাকের আলী। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে যান রাসেল। লক্ষ্য তিন বলে তিন ছয়। কিন্তু কোনো রান পাননি তিনি। পঞ্চম বলে চার মারলেও ম্যাচ থেকে যায় কুমিল্লা। শেষ বলে সাকিবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৪ বলে ২৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন রাসেল। এতে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলতে পারে কুমিল্লা। ফলে ১২ রানের জয় পায় সিলেট। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। এ ছাড়াও আরিফুল ইসলাম, শাফিকুল ইসলাম ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট নেন।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়