• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হলো দেশ
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশেও গোলাপি চাঁদের দেখা মিলেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখো গেছে বিশেষ রঙ্গের এ চাঁদ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশের আকাশে দেখা যাওয়া গোলাপি রঙের চাঁদের ছবি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। জানা গেছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে কয়েক দিন ধরে দেখা গেলেও দেশের আকাশে আজই তা উজ্জ্বলভাবে দেখা যাচ্ছে। গোলাপি এপ্রিলের পূর্ণিমার এ চাঁদের আরও নাম রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ, ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)। গত বৃহস্পতিবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, শুক্রবার ভোর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আকাশ ‘গোলাপি চাঁদে’ উজ্জ্বল থাকবে। তবে শনিবার চাঁদের ঔজ্জ্বল্য সবচেয়ে বেশি থাকবে। এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়। এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামী, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়। এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৪

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা / ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান রিয়াজ 
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা।  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে।  এদিকে খবরটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিষয়টি চরম ন্যক্কারজনক বলে মনে করছেন শোবিজের তারকারাও। সাংবাদিকদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই। ন্যক্কারজনক এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।    সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, এফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও এই ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম সূত্রে এ ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের  কাজের সঙ্গে দর্শকদের সেতুবন্ধন বা মেলবন্ধন তৈরি করে দেন। সেই সাংবাদিক ভাইদের এমন নির্মমভাবে এফডিসির অভ্যন্তরে পেটানো হয়েছে, এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা।  রিয়াজ আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার যেসব ছবি ও ভিডিও দেখেছি তাতে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। এমনটা আসলে হতে পারে না। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না।  অপ্রীতিকর এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিনেতা বলেন, আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বেনাদের প্রতি ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। সবার সঙ্গে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। এর আগে মঙ্গলবার রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে রিয়াজ লিখেছেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে।  ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্ত দাবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি  আদিবাসী শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১১৭ জন নাগরিক। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। সেইসাথে সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন  করার দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো ১১৭ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়- বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পারি, গত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখ ঢাকার মোহম্মদপুরে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি স্টার’-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ১৩ বছর বয়সী শিশু (সাত বছরে স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়) প্রীতি উরাং কর্মরত ছিল। অভিযোগ রয়েছে আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া হক প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। সর্বশেষ প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। শিশুটি পড়ে যাবার আগে প্রাায় ১৩ মিনিট ঝুলে ছিল এবং বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। আশ-পাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পরে ওই বাড়ির কেয়ারকেটার তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে আসে। পরে সে মারা যায়। লক্ষ্যণীয় হলো, প্রীতির প্রাক-স্কুলের নথি এবং ওই ফ্ল্যাটের ওই সময়ের সিসি টিভি ফুটেজ দুটোই গায়েব হয়ে গেছে। এটাও লক্ষ্যণীয়, এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে একে অবহেলাজনিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সৈয়দ আশফাকুল হকের ওই ফ্ল্যাট থেকে ২০২৩ তারিখের ৬ আগস্ট ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। তার মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ আছে, তার জননাঙ্গের গভীর থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত ৩-৩-৩ সেন্টিমিটার দীর্ঘ-চওড়া-গভীর ক্ষত রয়েছে। তার জননাঙ্গে অপারেশন করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পড়ে যাবার আগেই সে দু’পায়ের মাঝে আঘাত পেয়েছিল। সেকারণে সে মরে যেতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে ওই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় বিষয়টির আপসরফা হয়েছে। যদিও টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে চলে গেছে।  প্রীতির মৃত্যুর ১০ দিন পর ডেইলি স্টারের সম্পাদক এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘প্রীতির ঘটনায় তারা দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ডেইলি স্টার সবসময় শিশু অধিকার সমুন্নত রাখার নীতিতে অটল আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।’ তার এ বক্তব্য বিস্ময়কর ও দুর্ভাগ্যজনক। ডেইলি ষ্টারের উচিত ছিল ঘটনার পর পরই তাকে সুরক্ষা দেয়ার স্থলে অব্যাহতি দেয়া, তাহলে সম্পাদকের বক্তব্য কিছুটা হলেও অর্থবহ হতো।  এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের উদাসীনতা এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অবহেলায় আমরা তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জানাচ্ছি। প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ডের নামান্তর বলে আমরা মনে করি।  কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না। দেশের সকল সংবাদমাধ্যমের সম্মানিত সম্পাদকদের কাছে, এই মহান পেশার নিরপেক্ষতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবার ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখার আহবান জানাচ্ছি। আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে এ ঘটনার নিরপেক্ষ স্বাধীন ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। সেই সঙ্গে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরছি- ক) প্রীতি উরাংসহ পূর্বের সকল ঘটনার পুনঃতদন্ত করে দ্রুত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খ) প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা না করে এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।  গ) প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ঘ) মৃতবৎ অবস্থায় যে শিশুটি বেঁচে আছে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।  ঙ) শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে। চ) সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য শিশু যৌন নিপীড়ক কিনা সে বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। ছ) যে দারোয়ানরা প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জ) ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধ বিশেষত কন্যা শিশুকে কাজে নিয়োগ করা এবং নির্যাতন করার অভিযোগে তাকে অবিলম্বে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।  বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন- ১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা  ২. খুশী কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি ৩. ড. হামিদা হোসাইন, মানবাধিকার কর্মী ৪. ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রিব ও প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫. আনু মুহাম্মদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬. ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি ৭. রাণী য়েন্ য়েন, চাকমা রানী, রাঙামাটি ৮. অ্যাড. জেড আই খান পান্না, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৯. অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ  ১০. ফারহা তানজীম তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১১. প্রিসিলা রাজ, লেখক-গবেষক ১২. সামিনা লুৎফা নিত্রা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩. বীনা ডি’ কস্টা, অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৪. অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস,  গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫. সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৬. কাজল দেবনাথ, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ  ১৭. শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) ১৮. পল্লব চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, কাপেং ফাউন্ডেশন ১৯. পারভেজ হাসেম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০. গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২১. অ্যাড. তবারক হোসেইন, সহ-সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২২. অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৩. রেহনুমা আহমেদ, লেখক। ২৪. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী। ২৫. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২৬. ফিরোজ আহমেদ, রাজনীতিবিদ  ২৭. অমল আকাশ, শিল্পী ও সংগঠক ২৮. মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ২৯. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩১. সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৩২. সাঈদিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ৩৩.  ড. সীমা জামান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৪. জাকির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, নাগরিক উদ্যোগ ৩৫. জোবাইদা নাসরীন কণা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  ৩৬. নুর খান, মানবাধিকারকর্মী ৩৭. অ্যাড. সাইদুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন ৩৮. ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৩৯. ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৪০. ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  ৪১.  স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৪২.  নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী এবং পোস্টডক্টরাল গবেষক, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, আয়ারল্যন্ড ৪৩.  ড. সাদাফ নূর, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড ৪৪.  ড. রোহিনী কামাল, শিক্ষক ও গবেষক ৪৫. দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ৪৬. হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকার কর্মী ও ডেইলি স্টারের প্রাক্তন সাংবাদিক ৪৭.   রোজীনা বেগম, এম এ শিক্ষার্থী, মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়,ব্যাংকক, থাইল্যান্ড  ৪৮.  মাইদুল ইসলাম, ডক্টরাল গবেষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৯.   দিপ্তী দত্ত, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০.  জান্নাতুল মাওয়া, আলোকচিত্রী।  ৫১.  সায়েমা খাতুন, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী, উইসকনসিন, যুক্তরাষ্ট্র।  ৫২.  আতিকা রোমা, সমাজকর্মী।  ৫৩.  রুহী নাজ, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী ৫৪.  বর্ণালী সাহা, কথাসাহিত্যিক ৫৫.  মঞ্জিলা ঝুমা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ৫৬.  সাধনা মহল, গবেষক ও অধিকার কর্মী  ৫৭.   সোহেল রহমান, বাংলাদেশি-পর্তুগীজ চলচ্চিত্রকার ৫৮.  বীথি সপ্তর্ষি, সাংবাদিক ও লেখক ৫৯.  তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক ৬০.  মীর মুশফিক মাহমুদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী। ৬১.  মোহাম্মদ রোমেল, ফিল্মমেকার এবং সংগঠক ৬২. মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩.  মোস্তফা হোসেন, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৪.  সাদিয়া রহমান সাথী, শিশুদের জননী  ৬৫. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬৬. জায়েদ সিদ্দিকী, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উন্নয়নকর্মী। ৬৭.  শরৎ চৌধুরী, লেখক, শিক্ষক নৃবিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়  ৬৮. রুশাদ ফরিদী, অর্থনৈতিক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অর্থনৈতিক বিভাগ বলে কিছু আছে কি?) ৬৯. শর্মি হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৭০. সানজিদা ইসলাম, সমন্বয়ক, মায়ের ডাক ৭১. আফরিন লায়লা শাপলা, সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ৭২. মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক ৭৩. রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী ৭৪.  লায়লা পারভীন, সভাপতি, নারী অধিকার জোট, নোয়াখালী।  ৭৫. নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী, ফিল্ম নির্মাতা।  ৭৬. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।  ৭৭.  মাহফুজা হক নীলা,  সংস্কৃতি ও মানবাধিকার কর্মী ৭৮.  ৠতু সাত্তার, শিল্পী ৭৯.  সালমা আবেদীন পৃথি, আলোকচিত্রী ৮০.  মুনেম ওয়াসিফ, শিল্পী ৮১.  খন্দকার তানভীর মুরাদ, আলোকচিত্রী ৮২.  তানজিম ওযাহাব, কিউরেটার, শিক্ষক, পাঠশালা ৮৩. মাসউদ ইমরান মান্নু, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ৮৪.  ওমর তারেক চৌধুরী, লেখক, অনুবাদক ৮৫.  তন্বী নওশীন, পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট, বার্লিন ৮৬.  সতেজ চাকমা উপ-সম্পাদক, আইপি নিউজ ৮৭.   অলিক মৃ, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ৮৮.  ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, সংগীত শিল্পী ৮৯.  সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক ৯০.  ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯১.  অ্যান্টনি রেমা, সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরাম ৯২.  কৃষ্ণপদ মুন্ডা, নির্বাহী পরিচালক, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস্), শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ৯৩. ফাল্গুনী ত্রিপুরা, সমন্বয়ক, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ৯৪. জন জেত্রা, সভাপতি, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ৯৫. শ্যাম সাগর মানকিন, গানের দল মাদলের গায়ক ৯৬. চ্যংয়ুং ম্রো, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ৯৭.  অনন্যা দ্রং, খু.সাল প্রান্তিক নারী সংগঠন ৯৮. ফ্লোরা বাবলী তালাং, সাধারণ সম্পাদক, কুবরাজ ৯৯. বিচিত্রা তির্কী, সভাপতি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ১০০. বাসন্তী মুরমু, সভাপতি, আদিবাসী নারী পরিষদ ১০১. হরেন্দ্রনাথ সিং, সভাপতি, আদিবাসী যুব পরিষদ ১০২. অনিল গজাড়, সভাপতি, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ১০৩. ধনঞ্জয় চাকমা, দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি ১০৪. রেং ইয়ং ম্রো, সহ সভাপতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৫. নিপণ ত্রিপুরা, সভাপতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ১০৬. ডা. মুশতাক হোসেন, আহ্বায়ক, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৭. তারিক হোসেন, সদস্য সচিব, জনউদ্যোগ, জাতীয় কমিটি ১০৮. বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমগীত ১০৯. শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ১১০. জনি মানখিন, শিক্ষক ১১১. মিলন চিসিম, নারী উদ্যোক্তা ১১২. মিঠুন রাকসাম, কবি ১১৩. পরাগ রিছিল, গবেষক ১১৪. মোশরেফা মিশু, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৫. শহীদুল ইসলাম সবুজ, রাজনৈতিক সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম ১১৬. ড. বুলবুল আশরাফ, সহযোগী অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১৭. এহসান মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

বেইলি রোডের ঘটনার পর গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যুর পর রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মোট কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আইজিপির কাছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জারিকৃত রুলের জবাব দিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম ও কর্ম সংস্থান সচিব , আইন সচিব, আইজিপিকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) হোটেল ও রেস্তোরাঁয় হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা। রিটের পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হোটেল ও রেস্তোরাঁয় হয়রানিমূলক এলোমেলো অভিযান না করে আইন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আইন অনুযায়ী যারা রেস্তোরাঁ পরিচালনা করছেন তাদের হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা-ও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সব কটি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। 
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:২২

প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে বিবৃতি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি বহুতল ভবনের নয় তলা থেকে প্রীতি উরাং নামের ১৫ বছরের এক শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। নিহত শিশু ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২৫ বিশিষ্ট নাগরিক।  বুধবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান। এতে বলা হয়, প্রীতি উরাং নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা প্রীতিকে হত্যা করা হয় অভিযোগ করে এলাকায় বিক্ষোভ করে। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রীতি উরাং এর বাবা লোকেশ উরাং মোহাম্মদপুর থানায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী বর্তমানে কারাগারে আছেন। ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার ৭ বছর বয়সী অপর এক শিশু গৃহশ্রমিক ফেরদৌসী একইভাবে একই ভবনের ৯ তলা থেকে পড়ে প্রাণে বাঁচলেও তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হলেও আসামি সৈয়দ আশফাকুল হক এবং তার স্ত্রী মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, একই বাসায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর দু’শিশুশ্রমিকের হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনক। হত দরিদ্র প্রান্তিক চা শ্রমিকের পরিবারের পক্ষে সমাজের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা অতি দূরূহ ব্যাপার। এই ঘটনায় সঠিক ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজের দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। আমরা প্রীতি উরাংয়ের মত্যুর ঘটনায় সুষ্টু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত। এছাড়াও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এস.এম.এ সবুর, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হাসেম, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ, সংস্কৃতি কর্মী এ কে আজাদ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অ্যাডভোকেট জীবনানন্দ জয়ন্ত, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কোষাধ্যক্ষ মেইনথিন প্রমীলা, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের (ইনসাব) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবির, লেখক ও গবেষক প্রিসিলা রাজ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) সভাপতি গৌতম শীল।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৯

‘পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে’
পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ফারুক খান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা সশস্ত্র বাহিনীসহ পুরো দেশবাসীর জন্য একটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনা বিচারের আওতাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বিচারকার্যের যে নিয়ম সেটা অনুসরণ করতে হবে। যতদূর জেনেছি, এই বিচারকার্য এগিয়ে চলেছে, অনেকটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিহতের পরিবার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই বিচার কার্যক্রম শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, যারা এই নির্মম ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যারা দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আর এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর কখনো ঘটতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। এ বিদ্রোহের অবসান হয় ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর। রক্ত বয়ে যায় পিলখানায়। পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

সোহান ও ম্যাথিউ ফোর্ডের হাতাহাতি ঘটনার ব্যাখ্যা দিল রংপুর
চট্টগ্রাম পর্বে টানা দুই দিন খেলার পর এক দিনের বিশ্রামে রয়েছে দলগুলো। তবে এর মধ্যে ক্রিকেট পাড়ার বড় খবর টিম হোটেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ম্যাথিউ ফোর্ডের সঙ্গে হাতাহাতি করেছেন সোহান। এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন রংপুর রাইডার্স ম্যানেজমেন্টের সদস্য সাহনিয়ান তানিম। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্ট্রগ্রামে অনুশীলন করতে আছে রংপুর। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রংপুরের ম্যানেজার শাহনিয়ান তানিন। সেখানে সোহানের হাতাহাতির ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, সত্যি বলতে হোটেলে এমন কিছু ঘটেনি, যা নিয়ে নিউজ করার দরকার ছিল। আমাদের সব দলের ক্রিকেটারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একটা হোটেলে পাঁচ দল থাকছি। সব সময় তাদের সঙ্গে ফ্লোরে দেখা হয়, কথা হয়। তাদের সঙ্গে অনেক আড্ডা হয়। সোহানের সাথে তেমনটাই হয়েছে। ‘কিন্তু মিডিয়াতে যেমনটা বলা হচ্ছে সোহানের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে মারামারি হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এসব পুরোটাই ভুল। কারণ, আমি সেখানেই ছিল।, এমন উত্তরের পর তার সামনে আসলে কি ঘটে ছিল জানাতে চেয়ে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় তানিনকে। তিনি বলেন, দেখেন আমাদের ঐতিহ্য এবং বিদেশি বা ইউরোপের ঐতিহ্য এক না। সোহান আমার রুমে আসতে চাচ্ছিল। সে আমার রুম খুঁজ ছিল। সে সময় ওই খেলোয়াড়ের সঙ্গে তার দেখা হয়। ‘এ সময় সোহানকে সে কিছুটা বলে। এটা নিয়ে দুজনের মধ্যে একটু কথা হচ্ছিল। আমরা চার পাঁচ জন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি এবং কুমিল্লার মিডিয়া ম্যানেজার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে মজা করেছি। এরপর সোহান লিফট দিয়ে তার রুমে চলে গেছে।, দুজনের মধ্যে হাতাহাতি বা ধাক্কাধাক্কি হয়ে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এমন কিছু হয়নি। যদি হতো, ওদের দুজনের যে শক্তি আছে, হয়তো কেউ হাসপাতালে থাকতো। সেখান থেকেই আপনারা জানাতে পারতেন। তিনি আরও বলেন, এটা নিউজ করা মোটেও ঠিক হয়নি। যে যারা করেছে তারা আমার সঙ্গে বা রংপুরের বড় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগে জেনে নিতে পারতো।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়