• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বস্তির ঈদযাত্রা, ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক
প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে নাড়ির টানে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষ। ত‌বে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে নেই সেই চিরচেনা যানজট। নেই তেমন কোনো গণপ‌রিবহন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা‌ যায়।  যদিও প্রথম ২ থেকে ৩ দিন প‌রিবহ‌নের কিছুটা চাপ দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা। ফ‌লে ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্বস্তির ঈদযাত্রা করছেন ঘরমুখো মানুষ।  সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে গিয়ে দেখা যায়, রাবনা বাইপাস থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকার কোথাও তেমন কোনো গণপ‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। কিছু কিছু গণপ‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এ ছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষ বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে গন্তব্যে যা‌ত্রা করছেন।  এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে। তারা বলেন, আগে ঈদ আসলেই চির‌চেনা যানজটের সৃষ্টি হতো এই মহাসড়‌কে। প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও মানু‌ষের স্রোত দেখতে পাওয়া যেত। ঈদের প‌রিবহ‌নের চাপ থাকা এই মহাসড়‌কে ছিল স্বাভাবিক বিষয়। আর আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যরাও মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক রাখতে হিমশিম খেত। আর সেই মহাসড়‌ক এখন ফাঁকা থাকছে যা ভাবতেই অবাক লাগছে।  এ দিকে জেলা পুলিশের দাবি, তাদের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। এ বিষয়ে মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য বলেন, আজ হয়তো যানজট নেই কিন্তু গতকাল ভালোই চাপ ছিল এ মহাসড়কে। ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা থাকা এমন ঘটনা আগে হয়েছে এমন খুব কম হয়েছে।    বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল।  তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা আগেই চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।  এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ বলেন, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোগান্তিহীন ঈদযাত্রা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র দুই-তিনদিন বাকি। বড় ছুটিকে উপলক্ষ্য করে এরই মধ্যে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদের আগেই সবার চোখে-মুখে স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আনন্দ। কিন্তু, এই আনন্দের আড়ালে মিশে থাকে ঘরে ফেরার পথে চরম ভোগান্তির এক গল্প। ঈদ ঘিনিয়ে এলেই আনন্দের উল্টো পিঠে ভোগান্তি-প্রতি বছর ঈদযাত্রার নিয়মিত চিত্র এটি। তবে, এবার পরিস্থিতি যেন পাল্টেছে; ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত সুখকর এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করছেন ঘরমুখো মানুষ।  ঈদ উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও বেশির ভাগ জায়গাতেই এ বছর স্বাভাবিক আছে যান চলাচল। আর যানজটহীন সড়কে ভোগান্তিহীন যাত্রা করতে পেরে প্রশান্তির ছাপ স্পষ্ট ঘরমুখো মানুষের চোখে-মুখে।  সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদযাত্রার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে দেখা মেলে এ চিত্রের। মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে এ সময়। তবে বিকালের পরে যানবাহনের চাপ আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এবারের ঈদযাত্রা উপলক্ষে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, সড়ক দখল করে যানবাহন পার্কিংসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। এসব কারণে এবার মহাসড়কে আগের মতো যানবাহনের চাপ নেই। মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আবদুল কাইয়ুম। কুমিল্লা যাবেন তিনি। এবার ঈদযাত্রার অভিজ্ঞতা কেমন-জানতে চাইলে বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক অনেকটাই ফাঁকা। খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। আশা করছি, বাকিটা পথও স্বস্তির হবে। কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসের জব্বর মিয়া বলেন, মহাসড়কের কোনও পয়েন্টে যানজট চোখে পড়েনি। এক টানে চিটাগাংরোড চলে এসেছি। প্রতিদিন এমন সড়ক থাকলে ভালো হতো।  এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, মহাসড়কে এবার যানজটের ভয় নেই। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি টোল কাউন্টার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে ও পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১০

ট্রেনে উৎসবমুখর ঈদযাত্রা
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে তৃতীয় দিনের মতো ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে যাত্রীদের ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।  গত ২৬ মার্চ যারা ৫ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারাই এদিন ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন।  সরেজমিনে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগেই যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট রয়েছে কি না এবং টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কি না, তা চেক করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই যাত্রীরা নির্ধারিত গন্তব্যের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারছেন।  এদিন সকাল থেকে বেশিরভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের। তারা বলছেন, এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। অনলাইনে সহজেই তারা টিকিট পেয়েছেন। ফলে স্টেশনে এসে দীর্ঘসময় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। এ ছাড়া ট্রেনে উঠাতেও তাদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। টাঙ্গাইলগামী যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা ঘিরে ঢাকা রেলস্টেশনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য টিকিটের যাত্রী ছাড়া অন্যলোকজন ভিড় করতে পারছে না। তাই সুন্দরভাবে ট্রেনে উঠতে পেরেছি। কোনো ধাক্কা-ধাক্কি, ঠাসাঠাসি নেই। আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা অনেক ভালো হবে। জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সামিয়া আনসারি বলেন, এখন পর্যন্ত সবঠিকঠাক আছে। কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। অনলাইনে খুব সহজে টিকিট কেটে আজ ট্রেনে চড়েছি। অন্যান্য বার ঈদের সময় ট্রেনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এবার তেমন কোনো চাপ নেই।  এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মানুষের ঢাকায় ফেরার জন্য গত বুধবার (৩ মার্চ) থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। রেলওয়ের সূচি অনুযায়ী, বুধবার (৩ মার্চ) ১৩ এপ্রিলের আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয় ৪ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিলের টিকিট ৫ এপ্রিল বিক্রি করা হচ্ছে। আর ১৬ এপ্রিলের টিকিট ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৯ এপ্রিল।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৯

ঈদযাত্রা স্বস্তি করতে ১৫ বছরে আ.লীগ সরকারের যত উদ্যোগ 
দেশে গত ১০ বছর আগেও ঈদযাত্রা যেন ছিল এক দুঃস্বপ্নের নাম। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দময় মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পোহাতে হতো নানা দুর্ভোগ। রাস্তাঘাট, মহাসড়ক এবং অবকাঠামো নির্মাণ করে সেই দুর্ভোগ কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন মানুষ অনেকটা সস্তিতেই ঈদে বাড়ি যেতে পারেন। পথে ভোগান্তি কমাতে এবং ঈদযাত্রা আরও স্বস্তির করতে এবারও নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তাই আশা করা যাচ্ছে, এবার তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না।   দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এখন আর ঈদে বাড়ি যেতে পদ্মা নদীতে ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগে না। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের ১৯টি জেলার সরাসরি সংযোগ চালু হয়। আর এতে করে কোনো প্রকার বিঘ্ন ছাড়া এসব এলাকার মানুষ ঈদে বাড়ি যাচ্ছে। পদ্মা নদীতে ফেরি পার হয়ে দক্ষিণের জেলাগুলোতে ঈদের সময় বাড়ি যেতে সময় লাগত অন্তত ১২ থকে ১৬ ঘণ্টা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই সময় ২৪ ঘণ্টাও ছাড়িয়ে যেত। ফেরি ঘাট এলাকায় পড়ে যেত দীর্ঘ অপেক্ষার লাইন। এখন সেই সময়ে কমে এসেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। দক্ষিণের অনেক জেলাতেই এখন দিনে গিয়ে দিনে ফেরত আসা যায়। পদ্মা সেতুর ফলে সারাদেশে অবাধ যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে একটি নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এটি হবে ট্রান্সন্যাশনাল এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত রেলওয়ে উদ্বোধন করার ফলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের অনেকগুলো জেলা রেল সংযোগের আওতায় এসেছে। একসময় সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা যেতে ১০টি নদীতে ফেরি পারাপার হতে হতো। নদী পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগার পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। পটুয়াখালির লেবুখালি এলাকায় পায়রা নদীর ওপর নির্মিত পায়রা সেতু এখন কুয়াকাটার সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এখন আর কুয়াকাটা যেতে কোন ফেরি পার হতে হয় না। অর্থাৎ ঢাকা থেকে কুয়াকাটা এখন নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের আওতায়।    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার সঙ্গে আনোয়ারাকে সংযুক্ত করে কমিয়ে আনা হয়েছে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের সড়ক পথের দূরত্ব। এক্ষেত্রে পথ কমেছে অন্তত ৫০ কিলোমিটার এবং সাশ্রয় হবে এক ঘণ্টা। এই টানেল তৈরি করার ফলে কক্সবাজার যেতে এখন আর চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হয় না।    ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জগতে প্রবেশ করেছে। একই বছরের ১১ নভেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। এ রেলপথ চালু হওয়ায় মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ এবং কক্সবাজার একটি স্মার্ট সিটিতে পরিণত হবে। ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই রেল সেবা। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ সরকার সড়ক মহাসড়কের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছে এই দীর্ঘ সময়ে। বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু মেগা প্রকল্প। বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট উল্লেখযোগ্য। নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিগত দেড় দশকে ৫ হাজার ৬৫৯টি সেতু ও ৬ হাজার ১২২টি কালভার্ট নির্মাণ-পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।   সড়ক মহাসড়কের পাশাপাশি বিস্তৃত হয়েছে রেল নেটওয়ার্ক। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেলওয়ের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ দ্রুত ও সহজীকরণের লক্ষ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে নির্মিত রেলসংযোগ উদ্বোধন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সঙ্গে ঢাকা থেকে সরাসরি রেলসংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নিমিত্ত রেলওয়ের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন রুটে মোট ১৪২টি নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে এবং ৪৪টি ট্রেনের রুট বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্মার্ট করা হয়েছে রেলওয়ের টিকেটিং সিস্টেম। এখন ঈদযাত্রায় শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। আর তাতে আগের দিন রাত থেকে স্টেশনে লাইন দিয়ে টিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে ছোট- বড় বহুসংখ্যক উড়ালপথ বা ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে।  এ ছাড়া ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আর তাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের যাত্রা সময় কিছুটা কমে এসেছে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে যাত্রা স্বস্তির করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।   রাজধানীর বিমানবন্দর থকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলমান বিআরটি প্রকল্পের আটটি ফ্লাইওভারের মধ্যে সাতটি ফ্লাইওভার গত ২৫ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইওভারগুলোকে দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।   ফ্লাইওভারগুলো হলো ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), ৩২৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের জসীমউদদীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ভোগড়া ফ্লাইওভার ও ৫৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে চান্দনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।  ওবায়দুল কাদের বলেন, সব ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করায়, বিশেষ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ঈদযাত্রা আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক হবে। বিগত দিনে ঈদের সময় গাজীপুরে যে ভোগান্তি হয়েছে এবার আর তা হবে না। ইতোমধ্যেই এ প্রকল্পের ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেন মহাসড়ক ‘জয়দেবপুর-এলেঙ্গা’২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের মহাসড়কটি তৈরি করা হয়েছে। মূল মহাসড়কটি চার লেনের। এর সঙ্গে দুই পাশে ধীরগতি ও স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য আরো দুটি লেন তৈরি করা হয়েছে। দ্রুতগতি আর ধীরগতির গাড়ি একসঙ্গে চললে দুর্ঘটনার একটি আশঙ্কা থাকে। চার লেনের দুই পাশে ‘গার্ডরেল’ দেওয়া হয়েছে। এত স্থানীয় মানুষ কিংবা কোনো গবাদিপশু চার লেনের সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না। মহাসড়কটিতে সাতটি ফ্লাইওভার ও ১১টি আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। মহাসড়কের পাশে যেসব বাজার রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো রয়েছে, সেগুলোতে সড়ক প্রতিবন্ধক দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। এসব অবকাঠামো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট লাঘবের পাশাপাশি মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও উন্নত করেছে।    বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে এবার। প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময় বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পাড়ি দিতে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে থাকতে হয়। তবে এ বছর মহাসড়কের নকলা ব্রিজ, ফ্লাইওভার ও চার লেনের কাজ অনেকাংশে শেষ হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি পেতে পারেন উত্তরবঙ্গের ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ, যাত্রী ও চালকেরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়ক থেকে বগুড়ার মোকামতলা হয়ে রংপুর পর্যন্ত পুরোটাই চার লেনের ফ্যাসিলিটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-৩) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।  প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, সাসেক সড়ক প্রকল্প এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চলছে। প্রতিবার যেটা হয় উত্তরবঙ্গের ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কা থাকে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। গত বছরের তুলনায় সড়ক ব্যবস্থা অনেক ভালো। গত বছরও কোনো সমস্যা হয়নি। এবছরও হবে না। বঙ্গবন্ধু সেতুপশ্চিম সংযোগ সড়ক থেকে বগুড়ার মোকামতলা হয়ে রংপুর পর্যন্ত পুরোটাই চার লেনের ফ্যাসিলিটি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কের কিছু কিছু জায়গায় ছয় লেনও নির্মাণ করা হয়েছে। পাঁচলিয়া, সয়দাবাদ, কড্ডার মোড় ওভারব্রিজ চালু করে দেওয়া হয়েছে। আর হাটিকুমরুল থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সড়কে যেখানে যেখানে খানাখন্দ ছিল তাও সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়তে হয়, এজন্য খুলে দেওয়া হবে পাঁচলিয়া ওভারব্রিজ। কাজ ও প্রায় শেষের দিকে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে পুরো সড়ক চার লেনে উন্নীত হবে।  সরকারের নানা উদ্যোগে ঈদ যাত্রা ভোগান্তিবিহীন হয়েছে গেল বছর। সেই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এর চেয়ে ভোগান্তিহীন যাত্রা অনেক বছর ধরে হয়নি। ঘরমুখী যাত্রা যেমন স্বস্তিদায়ক ছিল, তেমনি ফিরে আসাটাও স্বস্তিদায়ক হয়েছে।   সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে জেলা আঞ্চলিক ও জাতীয় পাকা মহাসড়ক প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩১

ঈদযাত্রা : ৪ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইনে 
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রোববার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে। অনলাইনেই মিলবে সব টিকিট। বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে রোববার যারা টিকিট কেটেছেন তারা আগামী ৩ এপ্রিল ভ্রমণ করতে পারবেন। সোমবার (২৫ মার্চ) দেওয়া হবে ৪ এপ্রিলের টিকিট। এদিন যারা টিকিট কিনবেন তারা ৪ এপ্রিল ভ্রমণ করতে পারবেন।  যাত্রীদের জন্য টিকিট ক্রয় সহজলভ্য করতে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা হতে এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা হতে ইস্যু করা হবে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করা হচ্ছে। যাত্রীরা ঈদের অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।  এ টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। এ ছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের সব আসন বিক্রয় শেষে বরাদ্দ করা সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট কাউন্টার হতে বিক্রয় করা হবে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৪

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে পুলিশ : আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ।   মঙ্গলাবর (১৯ মার্চ) পুলিশ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে ঈদের সময় তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়ে এমনভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি যাতে করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ও সেবা সুনিশ্চিত করতে সারাদেশে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাজি এবং মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত আছে এবং আগামীতেও থাকবে। মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, এসব ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো সদস্য যদি জড়িত থাকেন সেক্ষেত্রে শূন্য সহিষ্ণুতার (জিরো টলারেন্স) নীতিতে দেখা হচ্ছে। যানজট প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, রোজায় ইফতারের আগে যানজট নিরসনে স্বয়ং ডিএমপি কমিশনার নিজে রাস্তায় ইফতার করেছেন। যানজট নিরসনে ট্রাফিকের সব সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। এ সময় ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়