• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলিতে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে গরিব অসহায় ১৬ হাজার ৯৫০ জন কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় হাকিমপুর উপজেলার বোয়াদাড় ইউনিয়ন কার্যালয়ে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম। ঈদের আগে এসব চাল পেয়ে খুশি গরিব অসহায় দুস্থ পরিবারের মানুষগুলো। এই চাল বিতরণ শনিবার পর্যন্ত চলবে। হিলির বোয়ালদাড় গ্রামের বাসিন্দা মোজাফর রহমান বলেন, আমরা গরিব মানুষ। সামনে ঈদ, এই ঈদে ১০ কেজি চাল পাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়। বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম, চাল আর কিনতে হবে না আমাদের। আমরা অনেক খুশি হয়েছি।  হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, পৌরসভায় ৩ হাজার ১৮১ জন কার্ডধারী পরিবারে মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। এই বছর প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলা এবং ৩০ শতাংশ পুরুষের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতে আরও সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন বলেন, ঈদের আগে গরিব অসহায় দুস্থ পরিবারের মানুষজন যেন একটু স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপহার হিসেবে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা নিয়মিত প্রতিটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা মনিটরিং করছি। কেউ যেন কোনো কার্ড জালিয়াতি না করতে পারে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা রমজানে মাসে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত সানীর উদ্যোগে দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শুধু জেলা ও পৌর এলাকায় নয়, তারা ইউনিয়ন পর্যায়েও নিজেদের সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজের সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের লক্ষ্যে। আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমাদের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের যে অবদান, কোনো গোষ্ঠী কিংবা গুটি কয়েকজনের অপরাধের জন্য একটি সংগঠনের ঐতিহ্য একসাথে ধুলোয় মিশে যেতে পারে না। কাজেই তাদের যেসব ভালো কাজ আছে সেটাকেও স্বীকৃতি দিতে হবে, ভুলত্রুটি থাকলে সংশোধনের সুযোগ এবং অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সস্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মাসুদা নুর, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরাফাত সানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

চাল নিয়ে চালবাজি, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ
চলছে আমনের ভরা মৌসুম। এরপরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই বেড়েছে চালের দাম। এবার গরীবের মোটাচালসহ সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বিক্রেতা ও মিল মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন। আর পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি মোকামে দাম বেড়েছে। মিলাররা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের। বর্তমানে চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলেও জানান তারা। আড়তদাররা বলছেন, মিলাররা দাম বাড়িয়ে দিলে আড়তদারদের কিছুই করার থাকে না। মূলত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে স্থিতিশীল থাকলেও নির্বাচনের পর থেকেই চালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। আর মিল মালিকদের দাবি, বাজারে ধানের যোগান কম। তাই বেড়েছে চালের দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ- বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) অব্যাহত রেখেছে খাদ্যঅধিদপ্তর। পাশাপাশি ডিলারদের মাধ্যমে নিম্ন-আয়ের মানুষের কাছে কম দামে চাল বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এরপরও চালের দাম স্থিতিশীল থাকছে না। বেশির ভাগ মিলার চাল মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  ঢাকার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মান ও ধরনভেদে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৬ টাকা। সোমবার (১৫ জানুযারি) রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁও, রামপুরা, হাতিরপুল, পলাশী বাজার, নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজার ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে যে মোটা চালের কেজি (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) ছিল ৫০-৫২ টাকা, তা এখন ৫৪-৫৫ টাকা। মাঝারি মানের চালের (পাইজাম ও বিআর ২৮) ছিল ৫৫-৫৮ টাকা, তা এখন ৬০-৬২ টাকা। আর মিনিকেট ও নাজিরশাইল ছিল ৬২-৭৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮ থেকে ৮০ টাকা। মো. আলাউদ্দিন। থকেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায়। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, নির্বাচনের আগে চালের দাম অনেকটা স্থির ছিল। নির্বাচনের পর প্রায প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম। এভাবে চলতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের মত যারা সীমিত আয়ের মানুষ তাদের যাওয়ার জায়গা নেই। সরকারের এদিকে নজর দেওয়া জরুরি। গরীব মানুষকে বাঁচাতে হবে। গরীব মেরে লাভ কি? অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের শুরুতে বাজারে চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছিল। তবে দাম বেশি বেড়েছে নির্বাচনের ঠিক পরপর। আমনের উৎপাদন ভালো হলেও রেকর্ড দামে ধান কিনতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি আগে দেখা যায়নি। বছরের শুরুতে ধানের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, মিলে ও বাজারে চালের ঘাটতি নেই। অথচ দাম বাড়ছে। উৎপাদন খরচ বাড়ছে, এটা ঠিক। তবে বর্তমান বাজারে কিছুটা অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বাড়িয়েছেন মিলমালিকেরা। বর্তমানে ধানের ভরা মৌসুম। এই সময়ে চালের দাম বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করলে যারা দাম বাড়াচ্ছে, তাদের ধরা সম্ভব হবে। ক্রেতাদের দাবি, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সরকারকে দ্রুত বাজার তদারকি করতে হবে। এই তদারকি হতে হবে সরবরাহ ব্যবস্থার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে। গুদামজাত করে চালের সংকট সৃষ্টি করা সিন্ডিকেটকে ধরতে হবে। তবেই রেহাই মিলবে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়