• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গ্রামীণ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার কারাদণ্ড
বরিশালে গ্রাহকের সঞ্চয়ের টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাতের দায়ে গ্রামীণ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ রায় দেন। জানা গেছে, গ্রাহকের সঞ্চয়ের টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাত করায় দেলোয়ার হোসেন ও মো. শাহআলমকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে দুইজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গ্রামীণ ব্যাংকের বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন ও কর্মকর্তা মো. শাহআলম। দণ্ডিত দেলোয়ার যশোরের ছাতিয়ানতলা গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন দফাদারের ছেলে ও শাহআলম বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলী পাহলানের ছেলে। মামলার পর থেকে তারা পলাতক। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার মামলার বরাত দিয়ে জানান, তারা দুজন গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য নারী গ্রাহকের সঞ্চয়ের ১৩ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়ার জমা স্লিপ দেন। কিন্তু ওই টাকা ব্যাংকের জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।২০১৮ সালের ৩১ মে একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম কাজী দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। বিচারক ১৫ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১৩

শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাত মামলা  / ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট জমা
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান  ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর আগে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে চার্জশিটটি অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদক সূত্রে জানা যায়, চার্জশিটে একজন আসামি বেড়েছে। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।   এ ছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।   মামলার এজাহারে বলা হয়, রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে অ্যাডভোকেট ফি হিসাবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্টরা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়