• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আইনি নোটিশ
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার, (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো। এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।  এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৫

বেইলি রোডে নিহতদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।  রোববার (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান তুষার ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী প্রত্যেকের জীবনধারণের অধিকার রয়েছে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৬ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাফেরার অধিকার রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা না-করায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা না-নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ঘটছে এবং ৪৬ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কোনোক্রমেই তাদের দায় এড়াতে পারে না।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের  মহাপরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবরে ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী সোলায়মান তুষার বলেন, ‘যেহেতু কর্তৃপক্ষ ভবন মালিককে তিনবার সতর্কতা নোটিশ দিয়েছিল কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি, সেহেতু কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা রয়েছে। নোটিশ গ্রহীতাদের ব্যর্থতার কারণেই বেইলি রোডের ওই ভবনটিতে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৭

পুরো রমজানে স্কুল বন্ধ রাখতে আইনি নোটিশ
আসন্ন রমজানের পুরো মাসজুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ নাগরিক মুসলিম, সংবিধান ২ক অনুযায়ী ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এবং ৩১ অনুচ্ছেদে আইন ছাড়া কিছুই করা যাবে না, অনুচ্ছেদ ১৫২(১) আইন অর্থ ‘বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতা সম্পন্ন যেকোনো প্রথা ও রীতি’ বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, এটিই আইন প্রথা ও নীতি এবং ওইভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রমজান মাসে বন্ধ থাকে। তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রমজান মাসে খোলা রাখার সরকারের তর্কিত সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক। আইনজীবী ইলিয়াছ আলী মণ্ডল বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসন্ন রমজান মাসে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, কিন্তু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রমজান মাসে খোলা রাখার সাম্প্রতিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বৈষম্য মূলক ও সাংঘর্ষিক। তিনি বলেন, রমজান মাসে শিক্ষকরা রোজা রেখে ক্লাসে লেখাপড়া শেখান। তাই শিক্ষার্থীরা বিষয়টিতে মনোযোগী হয় না। এছাড়া, অভিভাবকরা রোজা রেখে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর হবে। এ অবস্থায় স্কুল খোলা না রাখার নির্দেশনার জন্য এই আর্জি করছি। স্কুল খোলা রেখে বাচ্চাদের ওপর এত শারীরিক ও মানসিক চাপ, অত্যাচার অমানবিক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রমজান মাসে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকত। সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৮, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদে সাংঘর্ষিক, তাই ওই সিদ্ধান্ত বাতিল ও পবিত্র মাহে রমজানে স্কুল বন্ধ রাখার জন্য এই আর্জি করছি। নোটিশে আরও বলা হয়, পবিত্র মাহে রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্কুল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সরকারের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা এবং পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা না হলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪

ধর্ষণের আইনি সংজ্ঞা নিয়ে একমত হতে ব্যর্থ ইইউ দেশগুলো
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নতুন নীতিমালার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও ধর্ষণের একক কোনো সংজ্ঞার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি ইইউ দেশগুলো৷ এতে নারীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স৷ ধর্ষণের একক সংজ্ঞা নির্ধারণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা কয়েক মাস ধরে আলোচনা করছিল৷ এই বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন৷ তাই সেটি ছাড়াই নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অভিন্ন গাইডলাইন বা নীতিমালা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের কাছে আলোচনার এই ফলাফল তুলে ধরেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইরিশ সদস্য ফ্রান্সেস ফিটজগেরাল্ড৷ তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে যে, নারীর প্রতি সহিংসতাকে আমরা আমাদের সমাজের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করব৷ তবে ধর্ষণের সংজ্ঞা নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্লামেন্টের রক্ষণশীল দল ইউরোপীয় পিপলস পার্টির এই ভাইস-প্রেসিডেন্ট৷ বলেন, ধর্ষণের সম্মতি ভিত্তিক সংজ্ঞার বিষয়টি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ধর্ষণ বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷ ইইউর বিভিন্ন দেশের ফৌজদারি আইনে ধর্ষণের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে৷ নতুন করে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতেও এর পরিবর্তন হচ্ছে না৷ আলোচনায় ধর্ষণের একক সংজ্ঞা নির্ধারণের ব্যাপারে অনাস্থা জানিয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা দ্য কাউন্সিল অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন৷ শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ নারী অধিকার এনজিও ইউরোপিয়ান উইমেনস লবির ২০২৩ সালের অক্টোবরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৪টি সদস্য রাষ্ট্রের আইন ধর্ষণের ক্ষেত্রে শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ এমন দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থন করে৷ অর্থাৎ, যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবশ্যই নারীর পরিষ্কার সম্মতি থাকতে হবে৷ এই দেশগুলোর মধ্যে আছে, সুইডেন, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস৷ অন্যদিকে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া না মানে না এমন নীতি অনুসরণ করে, যেখানে ধর্ষণের শিকার বা অভিযোগকারীকে প্রমাণ করতে হয় যে তিনি যৌনকর্মে মৌখিক আপত্তি জানিয়েছিলেন৷ ইউরোপিয়ান উইমেনস লবির তথ্য অনুযায়ী, বাকি ১১টি দেশে সহিংসতা প্রতিরোধ বা বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে ধর্ষণের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখা হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, ইটালিসহ পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশ৷ ২০২২ সালে ইউরোপীয় কমিশন এই বিষয়ে একটি অভিন্ন আইনেরপ্রস্তাব রাখে৷ এর মূলে ছিল নারীর প্রতি সহিংসতা ও গৃহ সহিংসতা রোধে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে ইইউর সব দেশের গ্রহণ করা ইস্তাম্বুল কনভেনশনের লক্ষ্যগুলোকে বাস্তবায়ন করা৷ সদস্য দেশগুলোর মতপার্থক্য ইস্তাম্বুল কনভেনশনে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তির সাথে তার অসম্মতিতি যৌন প্রকৃতির কোনো কর্মে লিপ্ত হওয়াকে অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে৷ এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা সংক্রান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে কোন নারীকে কারো সাথে তার অসম্মতিতে যৌন সংসর্গে বাধ্য করানো শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে৷ এই প্রস্তাবে শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ এমন নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল৷ কিন্তু ইইউ কাউন্সিল তাদের ২০২৩ সালের মে মাসের প্রতিবেদন থেকে ধারাটি বাদ দেয়৷ দুই সপ্তাহ আগে জার্মানির বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশমান ব্রাসেলসে অনানুষ্ঠানিক এক আলোচনায় বলেছেন, কাউন্সিলের আইনি পরামর্শদাতারা ও অন্য অনেক সদস্য রাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ইউরোপীয় মৌলিক আইনে এই ধারাটির জন্য আইনি ভিত্তি যথেষ্ট নয়৷ বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী ফ্রান্স ও হাঙ্গেরিও এই অবস্থান নিয়েছিল৷ অন্যদিকে ফিটজগেরাল্ড জানিয়েছেন, ইইউ সদস্যদের ২৭টির মধ্যে ১৩টি দেশ সম্মতি ভিত্তিক সংজ্ঞার পক্ষপাতি ছিল৷ এ ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে বাকি সদস্যরা নারী ও নারী অধিকার কর্মীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ জার্মানির ১০০ জন বিশিষ্ট নারী দেশটির বিচারমন্ত্রীকে অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ আর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউরোপিয়ান উইমেন্স লবি বলেছে, নীতিমালা থেকে কাউন্সিলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আটকে দেয়ার সিদ্ধান্তে তারা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছে৷ সেই সাথে ইস্তাম্বুল কনভেনশন অনুযায়ী সম্মতির ভিত্তিতে ধর্ষণের একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সংজ্ঞা নির্ধারণে পাঁচ নম্বর ধারাটি মুছে ফেলার জন্য ফ্রান্স ও জার্মানির চাপের প্রেক্ষিতে নেয়া সিদ্ধান্ত আপত্তিকর বলে উল্লেখ করেছে তারা৷ সংগঠনটির নীতি ও প্রচার কর্মকর্তা আইরিন রোসালেস এটিকে সম্পূর্ণ ভণ্ডামি বলে অভিহিত করেছেন৷ এর মাধ্যমে সবচেয়ে জঘন্যতম সহিংসতা থেকে নারী ও মেয়েদের রক্ষার সুযোগ শোচনীয়ভাবে হাতছাড়া করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ তবে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধের নতুন এই নীতিমালায় যৌনাঙ্গচ্ছেদ ও জোরপূর্বক বিয়ের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে অনাকাঙ্খিতভাবে অন্তরঙ্গ ছবি ছড়িয়ে দেয়া এবং অযাচিতভাবে আপত্তিকর ছবি পাঠানো এবং সাইবারস্টকিংকে (ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন) বেআইনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে৷ নীতিমালাটি গৃহীত হওয়ার জন্য তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিল ও পার্লামেন্টে স্বীকৃতি পেতে হবে৷ এরপর সদস্য রাষ্ট্রগুলো তিন বছরের মধ্যে সেটিকে নিজ দেশের আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারত তাদের জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্য ঘোষণা করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। দরকার হলে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডব্লিউআইপিও) সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৫ ফেব্রয়ারি) জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এসব কথা উঠে আসে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, শিল্প মন্ত্রণালয় ও পেটেন্ট, শিল্প-নকশা এবং ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া টাঙ্গাইল থেকে অনলাইনে সভায় সংযুক্ত হন জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। এ বিষয় শিল্প সচিব বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেওয়া হবে। তাই অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন ও সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদি জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন প্রক্রিয়াধীন, দ্রুতই তা শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতির পর শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্রান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জানান, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসাবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই একদিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০

‘পুনমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত’
কাজের চেয়ে নানান বিতর্কেই আলোচনায় বেশি থাকেন বলিউড অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে। ভুয়া মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে আবারও তার প্রমাণ দিলেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি পুনমের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়— মারা গেছেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরে রীতিমতো ঝড় ওঠে নেটদুনিয়ায়। কেউ মেনেই নিতে পারছিলেন না যে পুনম আর নেই। ভারতের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিতও করেন অভিনেত্রীর ম্যানেজার। তিনি বলেন, জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পুনম। মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের একদিন না যেতেই ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও বার্তায় পুনম জানান, বেঁচে আছেন তিনি। এরপর থেকেই অভিনেত্রীকে রীতিমতো তুলোধোনা করছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকা থেকে শুরু করে নেটিজেনরা। জানা গেছে, শুধু মাত্র আলোচনায় থাকার জন্য পুনম নিজ উদ্যোগেই এমন গুজব ছড়িয়েছেন। ইনস্টাগ্রামের ওই ভিডিওতে ২৪ ঘণ্টা ধরে কেন তিনি নিজের মৃত্যুর নাটক সাজিয়েছেন, সেটাও খোলাসা করেন পুনম।  ভিডিওতে পুনম জানান, জরায়ুমুখের ক্যানসার নিয়ে নারীদের সচেতন করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য। এ জন্য নিজের মৃত্যুর নাটক সাজিয়ে ভারতব্যাপী সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে এ ধরনের প্রচারণা মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না নেটিজেন থেকে শুরু করে বিনোদন দুনিয়ার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তার এমন আচরণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় সব তারকারা। সেই সঙ্গে একটি কোম্পানির হয়ে এমন প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় ওই কোম্পানি ও পুনমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলছেন অনেকে। পুনমের উদ্দেশ্য যত সৎই হোক, মানতে পারছেন না কেউ। বিশেষ করে পুনমের এমন পোস্টে সরাসরি এসে মন্তব্য করেন বলিউডের দাপুটে প্রযোজক একতা কাপুর। মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছেন, এটার নাম সচেতনতা? সরকারের উচিত তোমার এবং ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। পুনমের জীবিত হওয়ার খবরে এক ভিডিও বার্তায় রাখি সাওয়ান্ত বলেন, পুনম শুধুই ভুল নয়, অন্যায়ও করেছেন। এভাবে সাধারণের অনুভূতি নিয়ে খেলার কোনো অধিকার নেই তার। সাংবাদিকদের হেনস্তার পাশাপাশ অনুরাগীদেরও আহত করেছেন। বলিউড শোকস্তব্ধ এ রকম খারাপ খবরে। এগুলো করার কোনো অধিকার নেই। উদ্দেশ্য যতই মহৎ হোক, এ ধরনের সস্তা প্রচার পুনম না করলেও পারতেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৮

প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনি পরামর্শ দিচ্ছে বাহরাইন দূতাবাস
বাহরাইনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন, নিয়ম অনুযায়ী বেতন না পাওয়া, নিয়োগকর্তা কতৃক আইনি হয়রানিসহ এতদিন নানা ধরনের আইনি জটিলতায় ভুগতেন। বাংলাদেশি আইনজীবী না থাকা, স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে অসুবিধাসহ এ বিষয়ে প্রবাসীদের তেমন কোনো ধারণা না থাকায় অনেকেই এতদিন কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তবে প্রবাসীদের এই সমস্যা সমাধানে বিশেষ পদক্ষেপসহ দারুণ এক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহরাইনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের উদ্যোগে ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ডের সহযোগিতায় বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ প্রদান’ ও বিশেষ হটলাইন সেবা ২৪/৭ কার্যক্রম গেল বছরের ৫ সেপ্টেম্বরে থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত প্রায় ৩৯০ জন প্রবাসীকে আইনি সেবাপ্রদান করে দূতাবাস। সেবা পাওয়াদের মধ্যে একজন কুমিল্লার আজিজুল হক। দীর্ঘদিন যাবত বাহরাইনে শ্রমিক হিসাবে বসবাস করছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে তাকে বাহরাইনে গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি) আটক করে। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দিলেও তার অভিযোগ বহাল থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী আইনি সেবার জন্য আসলে দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত আইনজীবীকে দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে তার বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়। আজিজুল হক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা ও তাদের নিয়োগকৃত আইনজীবীর মাধ্যমে আমার সমস্যাটি সমাধান হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের এই সেবাকে সাধুবাদ জানাই। ধন্যবাদ বাংলাদেশ দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট সকল কমকর্তা-কর্মচারীকে। বাহরাইনে আরেক প্রবাসী রুবেল ইমান। তার বিরুদ্ধে নিয়োগকর্তা কতৃক রানওয়ে অভিযোগ ছিল। তিনি তার বিষয়টি সমাধানের জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে দূতাবাসে আসেন আইনি সেবার জন্য। পরে দূতাবাসের আইনজীবী কোর্টের মাধ্যমে তার বিষয়টি সমাধান করে। রুবেল ইমান বলেন, বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ায় আমি দূতাবাসের সকলের জন্য দোয়া করি। বর্তমানে আমি ভিসা নবায়ন করতে পেরেছি। ধন্যবাদ বাংলাদেশ দূতাবাসকে। দূতাবাস যেন এই সেবা সকল প্রবাসীর জন্য সর্বদা অব্যাহত রাখেন। কমিউনিটি নেতা ও বাহরাইন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, দীর্ঘদিন কিছু রক্তপিপাসু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অজ্ঞাতার সুযোগ নিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে তাদেরকে আইনি পরামর্শের নামে লুটে নিয়েছে। রেমিট্যান্স প্রেরণে সর্বোচ্চ ১০ এ থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত বঞ্চিত প্রবাসীরা পরিশেষে দূতাবাসের এমন পদক্ষেপে আশার আলো পেয়েছে। যার ফলে এখন বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ সেবা পাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা। সে সকল প্রবাসীদের ও কমিউনিটির পক্ষ থেকে আমি দূতাবাসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনি সেবা এবং সঠিক আইনগত পরামর্শ প্রদানের উদ্দেশে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার বেলা ১১ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দূতাবাস প্রাঙ্গনে অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন আইনগত সমস্যার পরামর্শ দেওয়া হয়। চাহিদার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে এই সেবার আওতা বাড়ানো হবে।  এ ছাড়া সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে অফিস চলাকালীন সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা দ্বারা আইনি পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া আইনি সেবার জন্য বিশেষ হটলাইন চালু রয়েছে ২৪/৭ যেকোনো পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৭

পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে আইনি নোটিশ
বিদ্যালয়ের পাঠ্যব‌ই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান আইনি নোটিশটি পাঠান।  আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ব‌ইয়ে শরীফ-শরীফার যে গল্প বলা হয়েছে, তার মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়েছে। সুকৌশলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি প্রেরণা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এক নয়, এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হিজড়ারা জন্মগতভাবেই কিছুটা বিকৃত অঙ্গ নিয়ে জন্মায়। এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের শারীরিক কোনো ত্রুটি থাকে না, তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। উদাহরণস্বরূপ একজন ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ মনে করে সে একজন নারী। অপরদিকে একজন একজন নারী ট্রান্সজেন্ডার মনে করে সে একজন পুরুষ।  এই ট্রান্সজেন্ডাররা বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়। তারা সম-মৈথুনে এ লিপ্ত হয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এই ট্রান্সজেন্ডারদের বিকৃত যৌনাচার সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী পুরুষ-পুরুষ, নারী-নারী তথা প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাসের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের সম্মতি থাকলেও এই ধারায় শাস্তিযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে বিএলসি ১৯(এইচ ডি)১৭১-এর প্যারাগ্রাফ ৮ এ মহামান্য হাইকোর্ট বলেছেন দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় অপরাধের ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতি থাকলেও ছাড় পাবে না । আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে এই বিকৃত যৌন রুচির ও মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যেমন আকৃষ্ট করা হচ্ছে, তেমনি পাশাপাশি এই মানসিক বিকারগ্রস্ত ট্রান্সজেন্ডারদের কার্যকলাপ সুকৌশলে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করে দেশে প্রচার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে করে দেশের আপামর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে। মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসে আঘাতের মাধ্যমে এখানে একইসঙ্গে দণ্ডবিধির ২৯৫ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে যা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ আইনি নোটিশের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান ব‌ই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প বাদ দেওয়াসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব‌ইয়ের দোকান থেকে এই ব‌ই প্রত্যাহার করা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সংশোধিত ব‌ই সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৮

অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবৈধ মজুত-বিরোধী কার্যক্রম গতিশীল করতে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান ও চালের ব্যবসা করতে পারবে না। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অবৈধ মজুত ধরা পড়েছে। জরিমানাসহ সেই চাল দ্রুত বিক্রি করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অভিযান চলমান রাখতে এবং সফল করতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে ক্যাপাসিটির বেশি কেউ মজুত করছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। পাক্ষিক রিপোর্ট দিচ্ছেন কি না সেটাও দেখতে হবে। তবে এতে সাধারণ কৃষক বা গৃহস্থ যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখায় এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য। আমরা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৪

বিসিএসের নন ক্যাডারের তালিকা বাতিলে আইনি নোটিশ
বিসিএসের নন ক্যাডারের ফলাফল বাতিল চেয়েছে ৫০০ শিক্ষার্থী। এরা সবাই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী। বাংলাদেশ কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ তিন জনকে রেজিস্টার্ড ডাকে এ নিয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এই নোটিশ পাঠায়। তিনি ৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মো. মারুফ হোসেন, মো. হাসান সরদার, মো. ফারুকুল ইসলামসহ ৫০০ জনের পক্ষে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন।  নোটিশে ফলাফল বাতিলের পাশাপাশি ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ এবং ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত শূন্য হওয়া নন ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডারদের সুপারিশ অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন। নোটিশে আরও বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরে ওই বিসিএসে সর্বমোট ৯৮৪১ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পিএসসি ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নন-ক্যাডার পদে চাকরি করতে ইচ্ছুক এমন প্রার্থীদের অনলাইনে পছন্দক্রম আহ্বান করে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস পদে ২১৬৩ জনকে এবং একইসঙ্গে ৬৪২ জনকে বিভিন্ন ননক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। অথচ নন ক্যাডার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যেটি নন ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০১০ এর সংশোধিত ‘বিধিমালা ২০১৪’ এর পরিপন্থী। আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহম্মদ হুমায়ন কবির পল্লবের আশা আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যেই ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করবেন। পাশাপাশি ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত শূন্য হওয়া নন ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডারদের সুপারিশ অব্যাহত রাখবেন। তা না হলে ন্যায়বিচার চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়