• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উত্তপ্ত রাজশাহী, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪২ ডিগ্রি
মরুদ্যানের মতো তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে। বইছে লু-হাওয়া। বৈশাখের এই দিনগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাটছে আগুন তাপে। দুঃসহ এই গরম যেন কোনোভাবেই কাটছে না। তাপমাত্রার পারদ যেন কোনোভাবেই নিচে নামছে না। কেবলই ওপরেই উঠছে। গেল ১ এপ্রিল মৃদু তাপপ্রবাহ দিয়ে এই অঞ্চলে শুরু হয়েছিল গরমের দাপট। এরপর মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তারপর শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। আর দুই সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বছরের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর চলতি বছরে ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ২০০৫ সালের এপ্রিলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  তাই অচল হয়ে পড়েছে রাজশাহীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিরূপ প্রকৃতির কাছে যেন হার মানছে সবকিছুই। থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। এপ্রিলজুড়ে তপ্ত মৌসুম পার করছেন রাজশাহীর মানুষ। সবশেষ তিন দিনেই রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ গিয়ে ঠেকলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমের গতকাল পর্যন্ত এটিই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন রোববারও (২১ এপ্রিল) একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল রেকর্ড হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল ২৪ এপ্রিল ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে পদ্মাপাড়ের এই মরু শহর। টানা তাপপ্রবাহ যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে এখানে।  জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল এই রাজশাহীতে। ওই দিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তাপমাত্রার এই রেকর্ড আর ভাঙেনি।  তবে দেশে এবারের চলমান অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আগের সেই সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক মো. গাওসুজ্জামান বলেন, ভারী বর্ষণ ছাড়া আপাতত এই তীব্র তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর ২-১ দিনের মধ্যে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতেরও কোনো সম্ভাবনা নেই।  তাই আপাতত বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  এ দিকে টানা তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। খরতাপে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। বৃষ্টির জন্য হাহাকার থামছেই না। দুঃসহ এই গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে আজও ‘সালাতুল ইসতিসকার’ আদায় করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় থাকা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম মাঠে এই সালাতুল ইসতিসকারের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে তওবা করে সকল পাপ থেকে পানাহ চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।  অনাবৃষ্টি ও তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে টানা তৃতীয় দিনের মতো নামাজ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৫

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি 
চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জনজীবন। গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।  চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।   
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৮

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় শুক্রবারের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর থেকে যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রার বৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করা হয়।  আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বেশ কয়েকদিন দিন ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।  আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রতিদিনই তাপমাত্রা এক ডিগ্রি করে বাড়ছে। তিনদিন আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে যশোরে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গরমে গলে গেছে শহরের বেশ কয়েকটি পিচঢালা রাস্তা। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকে।  যদিও আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি আরও বাড়বে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭

মাছ ধরতে গিয়ে ৪২ জেলে আটক
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। একই সঙ্গে অবৈধ জাল, মাছ এবং বাগদা রেনু পোনা জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে নৌ-পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কাজী নুসরাত এদীব লুনা আটক ও জব্দের তালিকা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সারাদেশে নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করছে নৌ-পুলিশ। চলমান এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ এবং মাছের পোনা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ৪২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন অভিযানে এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মোট এক কোটি ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৪০ মিটার অবৈধ জাল, ২ হাজার ২০ কেজি মাছ এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০টি বিভিন্ন প্রজাতির বাগদা রেনু পোনা জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই অভিযানে মোট ১১টি নৌকা এবং বৈধ কাগজপত্রবিহীন ৫টি বাল্কহেড আটক করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, জব্দ করা অবৈধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে মাছ এবং পানিতে অবমুক্ত করা হয়েছে বাগদার রেনু পোনা।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৯

যশোর অঞ্চলে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪২ ডিগ্রি
কয়েক দিনের টানা তাপদাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। তার ওপর আরও খারাপ খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২০ এপ্রিলের পরে তাপদাহ আরও বাড়তে পারে। এমনকি ২৩ এপ্রিল থেকে যশোর-কুষ্টিয়া এবং পাবনা-ঈশ্বরদী এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। আপাতত আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি। একাধিক আবহাওয়াবিদ বলেন, এপ্রিল এমনিতেই উষ্ণতম মাস। এ মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তবে নদী অববাহিকা থেকে জলীয়বাষ্প এসে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টির কারণে কোথাও তাপমাত্রা কমতে পারে। আবার কোথাও বাড়তে পারে। তবে তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে মনে করছেন তারা।  এদিকে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতকিছুর পরও জীবিকার জন্য বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। তীব্র গরমে মানুষ বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। সকাল ১০টার পর থেকে রোদে তেতে উঠছে চারপাশ। তাপদাহের কারণে বিপাকে পড়েছে যশোরসহ বিভিন্ন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা বলছেন, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। কাজ করতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। আবার পেটের দায়ে কাজ না করেও উপায় নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় শিশুদের নিয়ে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। তাপপ্রবাহে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। যশোর অঞ্চলের অনেক জায়গায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। পানি নিয়ে এক প্রকার সংগ্রাম শুরু হয়েছে। যা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। তার ওপর লোডশেডিং অবস্থাকে ভয়াবহ করে তুলেছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৮

এপ্রিলজুড়েই দাবদাহ, তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বছরের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। মাসের অর্ধেক পার না-হতেই তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ পরিস্থিতিতে চলমান এই তাপপ্রবাহ নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, উষ্ণতম মাস হওয়ায় চলতি মাসের বাকি দিনগুলো জুড়েই সারাদেশে থাকবে দাবদাহ। আর এ সময় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে দাবদাহের তীব্রতা কেমন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী শুক্রবার থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আর শনিবারের পর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে তা। শুধু তাই নয়, এপ্রিল শেষেও স্বস্তিদায়ক খবর নেই দেশবাসীর জন্য। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত বিরাজমান থাকতে পারে তাপপ্রবাহ।  আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, আগে এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত তাপপ্রবাহ থাকতো। এখন তা বেড়ে জুন-জুলাই পর্যন্ত বিরাজ করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার এই বৈরী আচরণ বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশকে দেশের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে এক থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় গড়ে বেড়েছে প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। তাপপ্রবাহ থেকে শিশুদের রক্ষায় রোদে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাপদাহের প্রভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শিশু রোগী ভর্তি বাড়ছে এরই মধ্যে। এদিকে আবহাওয়া অফিসের আগামী দুদিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গল ও বুধবার রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ ঝড়ো বৃষ্টি হতে পারে। তবে এতে তাপদাহ তেমন কমবে না। এই দুদিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও এরপর থেকে আবার বাড়তে শুরু করবে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০১

৪২ বছরেও অবিবাহিত থাকার কারণ জানালেন নায়িকা পায়েল
ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন পায়েল সরকার। দেব থেকে শুরু করে সোহম-আবির একাধিক তারকার সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।  সদ্য মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রীর ‘আবার অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবিটি। সিনেমা মুক্তির আগেই দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হলেন এই তারকা। যেখানে নিজের ‘সিঙ্গেল’ জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।  পায়েলের বর্তমান বয়স ৪২ বছর। তার সমসাময়িক অধিকাংশ অভিনেত্রী বিয়ে করে সংসার করছেন। তবে পায়েল এখনও অবিবাহিত থেকে গেছেন।  ব্যক্তিজীবনে এই নায়িকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে। কিন্তু সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। এ বিষয়ে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে পায়েল জানান, অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমি এখনও কেন সিঙ্গল। আসলে বাঙালি পরিবারে মেয়ের বাবারা এত পজেসিভ।  পায়েলকে মাঝখানে থামিয়ে সৌরভ জানতে চান, তাহলে বলছো তুমি সিঙ্গল বাবা-মায়ের জন্য। সম্মতি জানিয়ে অভিনেত্রী যোগ করেন, যেমন মনের মতো ছেলে খুঁজে পাওয়া কঠিন, তার চেয়েও বেশি কঠিন বাবা-মায়ের মনের মতো ছেলে খুঁজে পাওয়া। আমার কথা তো ছেড়ে দাও, বাবা-মায়ের মনের মতো ছেলেও খুঁজে পাচ্ছি না। রাজের সঙ্গে প্রেমের কথা খোলাখুলি পায়েল স্বীকার করেননি কোনোদিন। তবে এই সম্পর্ক ছিল ইন্ডাস্ট্রির ওপেন সিক্রেট। সম্পর্ক ভাঙার পর পায়েল বলেছেন, জীবন নিয়ে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা, এই প্রেম নাকি পূর্ণতা পাওয়ার ছিল না। এরপরই সানার প্রসঙ্গ টানেন পায়েল। সৌরভের কোর্টে বল ঠেলে বলেন, ধরো, সানা বড় হচ্ছে। ও যদি তোমার সামনে এসে বলে ও কাউকে ভালোবাসে, এটা ওর বয়ফ্রেন্ড। দেখবে তোমার পৃথিবীটা কেমন উল্টোপাল্টা হয়ে যাবে। জবাবে সৌরভ বলেন, সানা তাকে পাত্তা দেয় না। এরপরই জানিয়ে দেন, সানার বয়ফ্রেন্ডকে ১০টা প্রশ্ন করবেন তিনি, তবে তাকে নিয়ে কোনও আপত্তি থাকবে না। কারণ সানার প্রেমিক কোনোভাবেই দাদার জগতটা বদলাতে পারবে না।  নিজের প্রেম নিয়ে তেমন লুকোচুরি করেন না পায়েল। কিন্তু তিনি সবসময়েই বলেন, প্রেমিক বলে কাউকেই নাকি মনে ধরে না তার!  পায়েলকে আগামীতে দেখা যাবে শাকিব খানের ‘দরদ’ সিনেমায়। যেখানে তার সঙ্গে স্ক্রিনশেয়ার করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৪

ঢাকার ৪২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন সিলগালার নির্দেশ
ঢাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন খালি করে সিলগালার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।  এতে বলা হয়, রাজউকের তালিকায় থাকা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো মজবুত করতে হবে। আর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪২টি ভবন সাত দিনের মধ্যে খালি করে সিলগালা করে দিতে হবে অথবা ভেঙে ফেলতে হবে। মাউশি সূত্র জানায়, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর উন্নয়ন প্রকল্প- ডিএমডিপি এলাকার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সুপারিশ করে। এ তালিকার মধ্যে মাউশির আওতাধীন ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।  এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলো হলো দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, তেজগাঁও মডেল উচ্চবিদ্যালয়, আজিমপুরের অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাড্ডার আলাতুন্নেছা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৬

তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪২ ডিগ্রিতে, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়
চলতি মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (১ এপ্রিল) দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ছাদেকুল আলম এতে সভাপতিত্বে ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বিক্ষিপ্তভাবে শিলাসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের এবং এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এতে আরও বলা হয়, এপ্রিল দেশে দুই থেকে চারটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং এক থেকে দুটি তীব্র (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে অতিতীব্র (৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি সময়বিশেষ দ্রুত বাড়তে পারে। এতে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে অন্যত্র, দেশের সব প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৬

বিজ্ঞাপন দেখে মেডিকেলে ভর্তি, ৪২ শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণ অনিশ্চিত
রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীরা।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীরা ২০২০-২১ সেশন এবং ২০২১-২২ সেশনে এই মেডিকেল কলেজের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে কলেজে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে কলেজটি বিএমডিসির অনুমোদন নেই এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হতে পারেনি এখনও প্রতিষ্ঠানটি।  শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ বিষয়ে সুরাহার জন্য শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান মো. জিল্লার রহমান সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (সাবেক সচিব) এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে জানালে তারা বলে কলেজের অধিভুক্তি ও অনুমোদন রয়েছে। এরপর তারা একের পর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কয়েক ধাপে উন্নয়ন ফি নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনে জনে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেই। এতে ৪২ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা করেছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত মাইগ্রেশনের দাবি জানান সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়