• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‌‘আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সবসময় সারপ্রাইজ ভিজিট দিই এবং সারাদেশেই দিচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজও হচ্ছে। শুক্রবার পঞ্চগড়ে যে হাসপাতালটি ৫ বছর বন্ধ ছিল সেটি খোলা হয়েছে এবং অপারেশনও হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে কোথায় ডাক্তার থাকে না। ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতিমধ্যে ২১ জন ডাক্তার পদায়ন করা হয়েছে। আমি খেয়াল রাখব তারা আসেন কি না? না আসলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। স্ট্যান্ডার্ড সেটআপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড খালি রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এন্টিবায়োটিক এ যতগুলো সরকারি সাপ্লাই আছে, যেগুলো প্রয়োজনীয় সেগুলো সরবরাহ আছে। ভবিষ্যতে যাতে এগুলো সাধারণ মানুষ পায় সে বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে এর ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকারভিত্তিক একটি প্রকল্প। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত এ প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হবে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব, তত তাড়াতাড়ি দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। এটি বাংলাদেশের একটি যুগান্তকারী প্ল্যান্ট হবে।’
৫১ মিনিট আগে

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ। আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, শহরের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমাতে প্রান্তিক পর্যায়ের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আরও জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। আমরা চাই সেসব এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র আরও উন্নত হোক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সন্ধ্যায় কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ডে কুমিল্লা অঞ্চলের ছয়টি জেলার সকল সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান ও চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। আগামীকাল সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন তিনি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৫

ডেঙ্গু নিয়ে প্রস্তুতির কথা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে এখন আর কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। সে বিষয়ে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব। ডেঙ্গু সম্পর্কে ডাক্তাররা এখন অভিজ্ঞ। আমরা আগে প্রতিরোধ করি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রস্তুতির কথা জানাতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে আমরা এরইমধ্যে মিটিং করেছি। সচিবরাও মিটিং করছেন। স্যালাইনের ঘাটতি যাতে না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, ভবিষ্যতে আরও নেব। তবে ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভালো ট্রিটমেন্ট হচ্ছে প্রিভেনশন। প্রিভেনশন না করতে পারলে আমি যতই হাসপাতালে নিয়ে আসি লাভ হবে না। সঠিক সময়ে সঠিক রোগীরা যদি হাসপাতালে আসেন, তাহলে সমস্যা হবে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের বাড়ির জায়গাটা পরিষ্কার করি। তাহলে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে সবাই রক্ষা পাবে। মন্ত্রী বলেন, আমি সচিব ও ডিজিকে বলছি, আমরা যদি জনবল দিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালকে আরও সচল করি, তাহলে ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা মেডিকেলে রোগীর চাপ কমবে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৫

ঈদের ছুটিতেও স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাঘাত ঘটেনি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঈদের লম্বা ছুটিতেও দেশের কোনো হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার ব্যাঘাত ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদে লম্বা ছুটিতে দেশ। এর মধ্যেও দেশের কোনো হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার ব্যাঘাত ঘটেনি। মন্ত্রী হিসেবে এটা আমার প্রথম ঈদ। আমি আশা করছি দেশের মানুষ খুব সুন্দরভাবে ঈদ পালন করছেন। তিনি বলেন, আমি বুধবারও কয়েকটা হাসপাতালে গিয়েছি। আজকে আরও কয়েকটি হাসপাতালে যাব। বুধবার দুটি হাসপাতালে গিয়েছি, দুই জায়গায়ই আমি পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট। রোগীদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তিনি আরও বলেন, আজ সকালেও দেশের সব হাসপাতালের পরিচালকদের ম্যাসেজ পাঠিয়েছি। আমি এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, সব জায়গায়ই চিকিৎসা চলছে। কোথাও ব্যাঘাত ঘটেনি। হাসপাতাল পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং পয়লা বৈশাখের ছুটি চলাকালে দেশের হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিজে মনিটরিং করার ঘোষণা দেন। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা সেবা যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য ছুটির সময় নিজে মনিটরিং করব। না জানিয়ে হাসপাতালে যাব। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরের হাসপাতালেও মনিটরিং করা হবে বলেও জানান তিনি।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৮

স্বাস্থ্যখাতে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চাই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চান বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম বলে কাজ বেশি করতে চাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও তাই করতেন। আমরা সেটি করতে পারলেই জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তার ইচ্ছাগুলোও পূরণ করতে পারব। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, এই মার্চ মাসে আমরা থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লুঙ্গি পরে নিচে আসতেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল। তিনি সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতেন সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া নিয়ে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সেই সময়ে কয়েকবারই গিয়েছিলেন তিনি। তখন ডাক্তার-নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, ‘তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবাদান করো তাহলে আমি সন্তুষ্ট। আমি বুঝবো, আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক’। তিনি বলেন, আমি চাই, এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় জড়িত আছেন তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে যোগ দেবেন। তাই সময়ের মাঝেই অনুষ্ঠান শেষ করব। আগত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, আসুন, আজকে আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করি। স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই, যাতে সারাবিশ্বের মানুষ তালি মারে। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৫

সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৫ জন রোগী মারা গেছেন। অন্যদের মধ্যে যাদের ৮০ শতাংশের বেশি দগ্ধ তারাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ভর্তিকৃতদের যা যা সেবা লাগে তা আমরা সবাইকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দিচ্ছি। এখানে একজন রোগীরও চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনোরকম ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। আমরা শেষ সময় পর্যন্ত আমাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে দগ্ধ রোগীদের সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকব। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত কাউকেই আশঙ্কার বাইরে রাখছি না আমরা। এদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৫ জন রোগী মারা গেছেন। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানুসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

গরমিল পাওয়া গেলেই হাসপাতাল বন্ধ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সারা বছর সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শন অব্যাহত রাখা হবে। কোন রকম গরমিল পাওয়া গেলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।  রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও কৃষিজীবীদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। ডা. সামন্ত লাল বলেন, সরকারী হাসপাতালে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলো সমাধান করতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়াও সারা দেশে এমন পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে। সবগুলো চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধের পক্ষেও নয় সরকার। এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৫

আগামী সংসদেই সুরক্ষা আইন পাস করতে চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী 
আগামী সংসদেই (স্বাস্থ্য) সুরক্ষা আইন পাসের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন্স (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। আইনটি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি ঢাকার বাইরে দৌড়াদৌড়ি করছি এটা নিয়ে। রমজান মাসজুড়ে আমি মিটিং করবো। এ সময় অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি সেগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে অবশ্যই সেগুলো যেন মনিটরিং করে তারপর বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশ বিশাল জায়গা, শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করলে হবে না। সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা ইউনিয়নের নেতারাও হাসপাতালগুলো দেখবেন। যদি কোনো অসঙ্গতি পান তবে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেবো। পরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আসন বাড়ানো নিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মানসম্মত শিক্ষক বা ট্রেনিং দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে সে আসন বাড়ানোর পক্ষে আমি না। যখন দেখবো মানসম্মত চিকিৎসক আছেন, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ আছে, ভালো মানের ডাক্তার আছে, তখনই আমি আসন বাড়াবো।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৬

অবৈধ চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভুয়া চিকিৎসক ও অবৈধ চিকিৎসা বাণিজ্য বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা এ বিষয়গুলো নিজেরা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। আমাদের পক্ষে সারাদেশের গ্রামে-গঞ্জে অভিযান চালানো সম্ভব না। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওসমানী মেডিকেলে আমি আগেও এসেছি। তবে আজকে এসেছি অন্য একটি দায়িত্ব নিয়ে। যা দেখলাম তাতে খানেও মাটিতে রোগী। সব হাসপাতালগুলোয় যে অবস্থা, ওসমানী হাসপাতালেও একই অবস্থা।  তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) সিলেট বিভাগের সব টিএইচএফপিও (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা) ও সুপারিনটেনডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছি, সেটি হচ্ছে জনবলের খুব অভাব। বিভিন্ন উপজেলায় আমরা যদি ঠিকমতো কনসালট্যান্ট দিতে পারি, তাহলে উপজেলা পর্যায়ে ভালো কাজ হবে। মাটিতে রোগী শুয়ে থাকবে না—এ লক্ষ্যেই কাজ শুরু করব। এক দিনে পারব না; পর্যায়ক্রমে এগুলোর সমস্ত সমাধান করার চেষ্টা করব। হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমানী মেডিকেল কলেজের সম্মেলনকক্ষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিলেটের সব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়