• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধর্ষণ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন সেই মুশতাক
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।  খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। সোমবার (২৯ এপ্রিল) নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মুশতাক ও রাশেদীর স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। পাশাপাশি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত। মামলার অভিযোগে বাদী মো. সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং তার মেয়েকে  ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে খন্দকার মুশতাক মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কিছুদিন পর আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন মুশতাক।  এরকম আচরণের বিষয়ে পরে মেয়েটি কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী, মুশতাককে তার কক্ষে ডেকে আনেন। পরে মেয়েটিকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এবং মুশতাক আহমেদকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।  মামলার বিররণ অনুযায়ী, এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মো. সাইফুল ইসলাম অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি ফাওজিয়া রাশেদী, বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে সাইফুল ইসলাম উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে গত ১২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু মুশতাক আহমেদ তার লোকজন দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এরপর সাইফুল ইসলাম জানতে পারেন যে তার মেয়েকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে খন্দকার মুশতাক আহমেদ অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন।
৪৯ মিনিট আগে

বিয়ের আগেই সন্তান জন্ম, স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেত্রী
বলিউডের এ প্রজন্মের অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ। ‘বরফি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে দর্শকদের নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। গেল বছর পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন তিনি। তার সন্তান জন্মের খবরে নড়েচড়ে বসেছিলেন নেটিজেনরা। বিয়ের আগে সন্তানের আগমনের বিষয়টি অনেকেই সেসময় ভালো চোখে দেখেননি। কটাক্ষে মেতেছিলেন কেউ কেউ। অভিনেত্রীর সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। তারপর জানা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মাইকেল ডোলানকে বিয়ে করেছেন ইলিয়ানা। এবার অভিনেত্রী মুখ খুললেন তার স্বামী মাইকেলকে নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলিয়ানা বলেন, বিবাহিত জীবন সুন্দরভাবে চলছে। আমি তার কোনো জিনিসটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা বলা সত্যিই কঠিন। আমাকে সত্যিই ভাবতে হবে কারণ আমার মনে হয় যখনই আমি এরকম কোনো উত্তর দেই, সেখানে কিছু না কিছু বাকি থেকে যাবে। পরেরদিন হঠাৎ করে তোমার মাথায় আসবে। আরও বলেন, তিনি আমাকে আমার সবচেয়ে খারাপ সময় পার করতে দেখেছেন। তিনি আমাকে আমার সেরা কিছু সময়ের মধ্য দিয়েও দেখেছেন। তিনি প্রথম দিন থেকেই আমার পাশে ছিলেন। তার ভালোবাসার অবিচ্ছিন্ন সমর্থন আমার প্রতি ছিল সবসময়তেই। অনেকটা আমার সিনেমা দো অর দো প্যায়ারের মতো। অস্ট্রেলিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যান্ড্রিউ নিবোনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ইলিয়ানা। একাধিকবার তার সঙ্গে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন। ২০১৯ সালে দুজনের বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসে। অ্যান্ড্রিউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করতে চাইলেও ইলিয়ানা বিচ্ছেদের খবর স্বীকার করে নেন।  তারপর খবরে এসেছিল ক্যাটরিনা কাইফের ভাই সেবাস্টিয়ান লরেন্ট মিশেলের সঙ্গে প্রেম করছিলেন ইলিয়ানা। সেই প্রেম নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাকে। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দিয়ে হইচই ফেলে দেন তিনি। পরে প্রকাশ করেন সন্তানের বাবার পরিচয়।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৭

টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি, সেই হলে যাচ্ছেন আদর-পূজা
গত এক দশক ধরে বন্ধ ছিল বগুড়ার ধুনট উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হল। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চালু করেই দর্শক টানতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে হল কর্তৃপক্ষ। দেয় বিশেষ অফার। ১০০ টাকার টিকিট কাটলেই এক প্যাকেট বিরিয়ানি একদম ফ্রি। মুহূর্তেই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। যা চোখ এড়ায়নি ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘লিপস্টিক’-এর অভিনয়শিল্পী আদর-পূজারও। তার সূত্র ধরেই শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) হলটিতে যাচ্ছেন তারা। জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ঝংকার সিনেমা হলটি নির্মাণ করা হয়। ঈসা খানের মালিকানাধীন এ হলটি শুরুতে ভালো চললেও এক পর্যায়ে তা দর্শকশূন্যতার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। যা পুনরায় গত ২০ এপ্রিল চালু করা হয় বিশেষ অফারের মাধ্যমে। বর্তমানে হলটিতে চলছে আদর আজাদ ও পূজা চেরি অভিনীত এবং কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত ঈদের সিনেমা ‘লিপস্টিক’। নিজেদের সিনেমায় টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি দেওয়ার খবরটি ‘ভাইরাল’ হলে দৃষ্টিগোচর হয় আদর-পূজার। এতে উচ্ছ্বসিত হন তারা। তারই প্রেক্ষিতে নেন এই ভালোলাগার বিষয়টি দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করার পরিকল্পনা। সব ঠিক থাকলে আদর, পূজা, নির্মাতা রোমানসহ সংশ্লিষ্টরা শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) হাজির হচ্ছেন ঝংকার সিনেমা হলে। বিষয়টি নিয়ে আদর আজাদ বলেন, আজ আমরা বগুড়ার ধুনটের ঝংকার সিনেমা হলে যাচ্ছি। সেখানে তিনটার শো’তে উপস্থিত থাকবো। দর্শকদের সঙ্গে আড্ডা দেবো। তারপর আজ রাতেই আবার ঢাকায় ফিরবো। তিনি আরও বলেন, টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি দেওয়ার ব্যাপারটা ব্যতিক্রম। সে কারণে আসলে আলাদা করে সাড়া পড়েছে। মূলত এজন্যই আমরা হল মালিক ও দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানাতেই সেখানে যাচ্ছি। ঈদের মুক্তির পর শুরুতে কম পেলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে ‘লিপস্টিক’ সিনেমার হল সংখ্যা। বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, প্রথমে যখন আমরা হল কম পেয়েছিলাম, তখনই বলেছিলাম এই সিনেমার দম আছে। আস্তে ধীরে হল বাড়বে। এখন সেটাই হচ্ছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫০

সেই গোল্ডেন মনিরের খালাস নিয়ে যা বললেন আদালত
মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে অস্ত্র মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) করা একটি অস্ত্র মামলায় সম্প্রতি এ রায় দিয়েছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। মনিরের আইনজীবী দবির উদ্দিন বলেন, রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, মনিরকে হয়রানির উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, অস্ত্র মামলায় মনির হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা সাপেক্ষে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আদালতের রায়ের তথ্য অনুযায়ী, র‍্যাব মামলায় বলেছিল, ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর মনির হোসেনের বাড্ডার বাসায় র‍্যাব অভিযান চালিয়েছিল সকাল ৬টায়। এ সময় বাসার তৃতীয় তলায় শয়নকক্ষের তোশকের নিচ থেকে ম্যাগাজিনভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল না। অস্ত্র আইনে মামলার পর মনিরকে আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৬ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। আদালত বলেছেন, পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মনির ও তার স্ত্রীর নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল। তাই নিজের ও স্ত্রীর নামে দুটি বৈধ অস্ত্র থাকা অবস্থায় আরেকটি অবৈধ অস্ত্র ঘরে রাখার ঘটনা স্বাভাবিক ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় মনির হোসেনের রাজধানীর বাড্ডার বাসার শয়নকক্ষে খাটের তোশকের নিচ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আদালত আরও বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল মালেক আদালতকে বলেছেন, তদন্তের সময় তিনি জানতে পারেন, মনির ও তার স্ত্রীর নামে দুটি লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল। অর্থাৎ আবদুল মালেকের সাক্ষ্য থেকে স্পষ্ট যে মনির ও তার স্ত্রীর নামে দুটি বৈধ অস্ত্র ছিল। বৈধ অস্ত্র থাকা অবস্থায় আরেকটি অবৈধ অস্ত্র ঘরে রাখার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য নয়। রায়ে বলা হয়েছে, পাবলিক সাক্ষী এমাদ ও মোবারকদের উপস্থিতিতে মনিরের বাসার শয়নকক্ষ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের অভিযোগ সমর্থন করে না। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের তথ্য বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়, মনিরের বাসায় সকাল সাড়ে ৬টায় নয়; অভিযান চালানো হয় রাত সাড়ে ১০টায়। বিশেষ উদ্দেশ্যে মনিরের বাসায় অভিযান চালানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের মামলাটি সাজানো। অন্য সাক্ষীরা মনিরের শয়নকক্ষ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। মনিরের বাসা থেকে উদ্ধার অস্ত্রের ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে কোনো তথ্য নথিতে উল্লেখ নেই। আবার মামলা করতে দেরি হয় ১৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এত বিলম্বের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, চার লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা, ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনসহ বাড্ডা থানায় পৃথক তিনটি মামলাও করা হয়। পরে মনিরের অবৈধ সম্পদ ও অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্য-প্রমাণ পেয়ে ২০২২ সালের ১১ মে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করে পুলিশ। এ মামলার তদন্ত এখন শেষ হয়নি। এ ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে

তীব্র গরমে ফেসবুকে ভাইরাল আবুল খায়েরের সেই বিজ্ঞাপন!
তীব্র গরমে নাজেহাল দেশবাসী। আর এই গরমের অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে বৃক্ষনিধন। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে গাছ কাটার সমালোচনা যেমন হচ্ছে নতুন করে গাছ লাগানোর কথাও বলছেন অনেকে। ইট-পাথরে গড়া বড় শহরগুলোই শুধু না, অজপাড়াগাঁয়ের বাতাসেও এখন শীতলতা নাই। হাওয়ার পরশে যেন দাবানলের অনুভূতি! গুগল ওয়েদারে তাপমাত্রা যদি দেখায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, উপলব্ধি দেখায় ৪২ বা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন এই অবস্থা? সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রতিক পোস্টগুলো থেকে মনে হয়, তারা গাছ কমে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে দেখছেন। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রতিবছরই পৃথিবীর বায়ুতে যে তাপমাত্রা বাড়ছে এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বৃক্ষনিধন। এবারও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ ফেসবুকে বৃক্ষ রোপণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করছেন। অনেকে এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে বহুল প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপনের কথা স্মরণ করে আবেগতাড়িত হচ্ছেন। বিজ্ঞাপনটিতে কিংবদন্তী অভিনেতা আবুল খায়ের ছিলেন একজন কবিরাজ। একদিন হাঁটতে হাঁটতে আকাশমুখী গাছের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছিলেন তিনি। এরমধ্যেই সেখানে আসেন গাছের মালিক। তাদের দুজনের কথোপকথন ছিল এমন- গাছের মালিক: কি গো কবিরাজ, কী খোঁজতাসেন? কবিরাজ: আইচ্ছা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিল না? গাছের মালিক: আছিল, কাইট্টা ফালাইছি। কবিরাজ: এইখানে একটা শিশু গাছ আর ওই মাথায় একটা হরতকী গাছ। গাছের মালিক: আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি। কবিরাজ: আপনের গাছ? গাছের মালিক: হ। টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি। কবিরাজ: গাছ লাগাইছিলো কে? গাছের মালিক: আমার বাবায়। কবিরাজ: আপনি কী লাগাইছেন? গাছের মালিক: আমি কী লাগাইছি? কবিরাজ- হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে।   এরপর কবিরাজ একদল গ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি আর আপনাগোর কবিরাজ নাই। আপনারা চাইলেও আমি আর ওষুধ দিতে পারুম না। প্রশ্ন করতে পারেন কেন? উত্তর একটাই। সাপ্লাই শেষ। গাছ নাই তো আমার ওষুধও নাই। লাকড়ি বানায়া চুলায় দিছি, খাট-পালঙ্ক বানায়া শুইয়া রইছি, টেকার দরকার পড়ছে গাছ কাটছি। যা কাইটা ফালাইসি তা কি পূরণ করছি? বাপ-দাদার লাগানো গাছ কাটছি। নিজেগো সন্তানের জন্য কী রাখছি? অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে শেষ হইতাসে। চোখ ভইরা সবুজ দেখি না। ভবিষ্যতে কেমনে দম লইবেন?   মানুষের মাঝে বৃক্ষ নিধন বিরোধী সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছিল। নব্বই দশকে বিটিভি যখন দেশের একমাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিল তখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপনটি বেশি প্রচার করা হতো। পরবর্তী সময়িও বিজ্ঞাপনটি দেখা গেছে বিটিভিতে। এই বিজ্ঞাপনে মরহুম আবুল খায়েরের অসাধারণ আর হৃদয়গ্রাহী সংলাপ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফিরতো। বিজ্ঞাপনটির সংলাপ ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকেই এটি আবারও টেলিভিশনে ব্যাপকভাবে প্রচারের দাবি জানাচ্ছেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

মৃত্যুর কারণ জানা গেল মহাসড়কে পড়ে থাকা সেই হাতির
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকা মৃত হাতিটি লিভার ডিসফাংশনে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন ভেটিরিনারি সার্জন। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটির মরদেহ গজারি বনে পুতে রাখা হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার পর হাতিটিকে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ২ নম্বর গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনবিভাগের কর্মকর্তারা। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মৃত হাতিটির বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর হবে। এটি ছিল পুরুষ হাতি। দুপুরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশে ঘটনাস্থলেই হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় মৃত হাতিটির মাথায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে, দাঁতগুলো কে বা কারা উঠিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হওয়ার পর এখানে এনে ফেলে রেখেছে। হাতির দাঁতের মূল্য রয়েছে। হাতির দাঁতের জিনিস কেনাকে ‘গুড ইনভেস্টমেন্ট’ বলে ধরেন অনেকে। কারণ, এটি বিরল ও টেকসই। তাই মারা যাওয়ার পর হাতিটির দাঁত খুলে নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিভার ডিসফাংশনের কারণে হাতিটি মারা গেছে। পোস্টমর্টেমের সময় লিভার, ফুসফুস ও পেরিটোনিয়াম নষ্ট পাওয়া গেছে। উদ্যানের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুরে এলাকায় মৃত হাতিটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হায়দার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান যৌথভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভাওয়াল গজারি বনের ভেতর হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৬

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সেই দেলোয়ার
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ফলে সিংড়ার রাজনীতিতে একেবারে অপরিচিত মুখ দেলোয়ার হোসেন পাশা হঠাৎ করে ঢাকা থেকে এলাকায় এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই নির্বাচিত হয়ে গেলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

ডিপজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিলেন সেই সাদিয়া মির্জা
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে সমিতির একজন সদস্য টাকা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার বরাবর। গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডিপজল সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হোন। এই অভিনেতা বিজয়ী হওয়ার পরপরই তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগটি রোববার (২১ এপ্রিল) প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অভিযোগকারী অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা। রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে বিজয়ী সভাপতি মিশা সওদাগর গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি দুই ও তিন ভঙ্গের যে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাদিয়া মির্জা, তা তিনি প্রত্যাহার করেছেন। নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে সহসভাপতি পদে মাসুম পারভেজ রুবেল এবং ডি এ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কমল নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, রিয়ানা পারভিন পলি ও সনি রহমান সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে ছিলেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

‘আমাকে একটা ভোট কে দিলো সেই মানুষটাকেই খুঁজছি’
সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অভিনেতা শ্রাবণ শাহ। তবে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ১টি। এরপর থেকেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনা। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নির্বাচনের নানান বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন শ্রাবণ। এ সময় অভিনেতা জানান, নির্বাচনে তাকে একটা ভোট যে দিয়েছে সেই ব্যক্তিকেই খুঁজছেন তিনি। শ্রাবণ বলেন, আমার নিজের ভোটটাও নিজেকে দিইনি। কারণ, ভোট দিয়ে তো নষ্ট করা যাবে না। তাই আমার ভোটটা ডিপজল ভাইকে দিয়েছি। এমনকি পরিচিতদেরও বলে দিয়েছিলাম আমাকে যেন ভোট না দেয়। এরপরও কে যেন আমাকে একটা ভোট দিয়েছে, আমি সেই মানুষটাকেই খুঁজছি।     এর আগে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার হারাতে হয়েছিল শ্রাবণকে। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে পুনরায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফেরত পান তিনি। শুধু তাই নয়, ভোটাধিকার ফিরে পেয়েই ঘোষণা দেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন শ্রাবণ। নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নিপুণ আক্তারের সঙ্গে সেক্রেটারি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন এই অভিনেতা। শ্রাবণ বলেন, ডিপজল ভাইকে আরও আগেই আমাদের আনা উচিত ছিল। কারণ, তিনি নিজেই একটা ইন্ডাস্ট্রি। এরপরও নির্বাচনে নিপুণ আপু তাকে যেভাবে গ্রহণ করে নিলেন তাতে করে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে যে মেরুকরণ ছিল সেটা আর থাকছে না বলে আমি মনে করছি। কয়েক দিন আগেই নিপুণ তার সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শ্রাবণ। আর এ কারণেই নাকি ভোটার তালিকায় নাম রাখেননি। তবে সদস্যপদ ফিরে পেয়ে অনেকটা জেদ করেই নির্বাচনে সেক্রেটারি পদে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনেতার এই সিদ্ধান্ত যে শিল্পীরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেননি সেটারই প্রমাণ মিলল ভোটের বাক্সে।      প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তবে ১৬ ভোট কম পেয়ে মিশা-ডিপজলের কাছে হেরে যান তিনি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৪

বিমানবন্দরে প্রকৌশলী নিহত : সেই বাসচালক গ্রেপ্তার
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের সীমানা প্রাচীর ভেঙে বাস ঢুকে প্রকৌশলী নিহতের ঘটনায় রাইদা পরিবহনের চালক মাহমুদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজ শনিবার বিকেলে র‌্যাব-১ এর উত্তরা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের প্রাচীর ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ঢুকে যায়। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম নামে এক সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র  প্রকৌশলী নিহত হন। তিনি সিভিল অ্যাভিয়েশনের সিনিয়র সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়