• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ৬ দিনের (২৪ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল) সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি একটি লিখিত ভাষণ পড়ে শোনান। নিম্নে তার ভাষণের পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরা হলো— বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, ও সহকর্মীবৃন্দ। আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন এর আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরে এবং ইউএন-এসক্যাপ এর ৮০তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য আমি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল ২০২৪ থাইল্যান্ড সফর করি। কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ আমার সফরসঙ্গী ছিলেন। ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ব্যাংককে পৌঁছালে বিমানবন্দরে আমাকে লালগালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়। গত ২২ হতে ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ব্যাংককে ইউএন-এসক্যাপ এর ৮০তম বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের জন্য সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দেশে ব্যস্ত থাকায় আমি তাতে অংশ নিতে পারিনি। তবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এশীয়-প্রশান্ত মহাসারীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল উদ্ভাবনা জোরদার’ বিষয়ে আমার পূর্বধারণকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। ২৫ এপ্রিল সকালে ইউএন-এসক্যাপের এর একটি অধিবেশনে আমি এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করি। আমি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি ইউএন-এসক্যাপ এর মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন মডেল এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করার বিষয়ে আমাদের আগ্রহ ব্যক্ত করি। আমি সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই। আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা; মিয়ানমারে চলমান সংঘাত, ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই। একইদিন, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএন-এসক্যাপ এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মিজ্ আরমিদা সালসিয়ান আলিসজাহবানা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলাপকালে, আমি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করি। ইউএন-এসক্যাপ এর ৮০তম বার্ষিক অধিবেশনের বিভিন্ন সেশনে মাননীয় অর্থমন্ত্রী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য প্রদান করেন। সম্মেলনস্থলে আইসিটি বিভাগের আয়োজনে একটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় এবং ‘ডিজিটাল টু স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’ শীর্ষক প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়। আমি প্যাভিলিয়নটি ঘুরে দেখি। একইদিন বিকেলে আমি থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে মহামহিম রাজা মহা ভাজিরালংর্কন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উহুয়া এবং মহামহিমা রাণী সুধিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষণ-এর সঙ্গে দেখা করি। এ সময় আমি থাইল্যান্ডের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের জন্য রাজা ও রাণীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে একসাথে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। সফরের তৃতীয় দিন ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছিলে আমাকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারের মাধ্যমে থাই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় থাইল্যান্ডে স্বাগত জানান। পরে গভর্নমেন্ট হাউসে আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ¯্রথো থাভিসিন এর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। বৈঠকে অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি আমি জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর) দ্রুত তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহায়তা কামনা করি।   একান্ত বৈঠকে শেষে আমার এবং থাইল্যান্ডের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দু’দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নকল্পে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করি। এ সময় আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞান-ভিত্তিক, ডিজিটালাইজড এবং জলবায়ু সহনশীল দেশে রূপান্তর এবং বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করি। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’-এর পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন সহযোগিতা, জালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এ সময় আমি দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে বিশেষ করে, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য থাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি। থাই প্রধানমন্ত্রীকে তৈরি পোষাকসহ কিছু বাংলাদেশী পণ্যের একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছি। কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগতিা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগতিা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করি। থাইল্যা-কে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই। নিরবচ্ছিন্ন আঞ্চলিক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের রানং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি কোস্টাল শিপিং দ্রুত চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আমরা একমত পোষণ করি। এ ছাড়াও, আঞ্চলিক সহযোগিতা সুদৃঢ়করণে ‘ভারত-মিয়ারমার-থাইল্যান্ড’ তে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করি। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ই বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমি ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী একমত পোষণ করি যে, বিমসটেক এ অঞ্চলের প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হতে পারে। আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বিমসটেকের বর্তমান সভাপতি হিসেবে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর নেতৃত্বে থাইল্যান্ড শীঘ্রই বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে সফলভাবে আয়োজন করবে মর্মে শুভকামনা জানাই। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ আসিয়ানের প্রতিবেশী। দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ মর্যাদা চলতি বছরের মধ্যে প্রাপ্তির জন্য আবেদনের বিষয়ে থ্যাইল্যান্ড সরকারের নিকট আবারও অনুরোধ জানিয়েছি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে, দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি ‘আগ্রহ পত্র’ লেটার অব ইনটেনশন) সই হয়েছে। সেগুলো হলো: (ক) অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি; (খ) জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; (গ) পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক; (ঘ) শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; এবং (ঙ) মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য একটি আগ্রহ পত্র চুক্তি ও সমঝোতাসমূহ স্বাক্ষর শেষে আমি ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনেরন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখি। সংবাদ সম্মেলন শেষে আমার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগদান করি। আমার ছোট বোন শেখ রেহানাও এতে অংশ নেয়। থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসু অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সরকারি সফর অত্যন্ত তাৎর্পযর্পূণ। সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’-এর প্রার্থীতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা থাইল্যান্ডকে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে আমি আশাবাদী। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে এ সফরটি সফল ও  ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি। সবাইকে ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
০২ মে ২০২৪, ১৩:১২

অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ হাইটেক পার্কে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডে সরকারি সফর দুই দেশে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগ সূচনা করেছে। এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে মাইলফলক হয়ে থাকবে। থাইল্যান্ডকে অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে এই খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এ জন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নকল্পে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করি। এ সময় আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, ডিজিটালাইজড এবং জলবায়ু সহনশীল দেশে রূপান্তর এবং বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করি। তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি। শেখ হাসিনা বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’- এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
০২ মে ২০২৪, ১৬:১৫

যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ড সফরে যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড সফরে সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরে এবং ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য আমি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফর করি। কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ আমার সফরসঙ্গী ছিলেন। ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে পৌঁছালে বিমানবন্দরে আমাকে লালগালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও গানস্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, গত ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল ব্যাংককে ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের জন্য সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দেশে ব্যস্ত থাকায় আমি তাতে অংশ নিতে পারিনি। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমার পূর্বধারণকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ এপ্রিল সকালে ইউএন-এসক্যাপের একটি অধিবেশনে আমি এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করি। আমি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন মডেল এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করার বিষয়ে আমাদের আগ্রহ ব্যক্ত করি। একইদিনে, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএন-এসক্যাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়ান আলিসজাহবানা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলাপকালে আমি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করি। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, এ সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’- এর প্রার্থিতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।   শেখ হাসিনা বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে সফরটি সফল ও  ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
০২ মে ২০২৪, ১৩:১৩

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ছয়দিনের থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।   থাইল্যান্ডে ছয়দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্ণমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।  পাশাপাশি দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি।    
০২ মে ২০২৪, ১১:৩৮

গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রীর সফরে চোখ সবার
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনা প্রথম বিদেশ সফর করেন জার্মানিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি দেশটিতে অনুষ্ঠিত মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেন। তবে সেটি দ্বিপাক্ষিক সফর ছিল না, বহুপাক্ষিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের বিষয় ছিল।  থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে বুধবার ব্যাংকক গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনেও যোগ দিয়েছেন তিনি।  থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের সম্মেলনে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ইরান ও ফিলিস্তিনির মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ব্যাংককে এটাই হবে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। এ উপলক্ষে গত সপ্তাহে যৌথ বিবৃতি প্রচার করে ঢাকা ও ব্যাংকক। তাতে বলা হয়, আসন্ন সফরের মধ্যদিয়ে দুই বন্ধু দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হবে। এটি হবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর আগে এই দফা ক্ষমতা গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান সফর করেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আলথানি ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সভেনজা শুলজেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নির্বাচনের আগে বহুবিধ চাপের মুখে ফেলার চেষ্টা পরিলক্ষিত হলেও এখন নানা কারণেই আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেইজিং নেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চীন। ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, রমজানে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর করেন না। বেইজিংয়ের চাওয়া, চলতি বছরের মধ্যে অবশ্যই যেন চীন সফরে যান শেখ হাসিনা। ঢাকার কূটনৈতিক অঙ্গন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর কোথায় যাবেন সেটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকা পালন করতে হয় ঢাকাকে। প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর দুই শীর্ষ নেতা ওই বৈঠকে বসেন। এখন প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে গেলে আবার তাদের মধ্যে বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের পাশাপাশি তালিকায় আছে ভারত সফরও। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দিল্লি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লোকসভা নির্বাচন শেষ হবে পহেলা জুন। তবে দিন-তারিখ এখনো নির্ধারিত নয়।   সম্প্রতি সফর শেষ করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফায় ৭০ মিনিটের বেশি সময় আলোচনায় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলেছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বাংলাদেশ ও কাতারের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সংযুক্তি, পর্যটনসহ নানা খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজতে কাতারের আমির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে তিনি দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর
আগামী ৩ ও ৪ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার সিডনিতে দুই দিনব্যাপী অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো‘র প্রস্তুতি হিসেবে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের একটি শক্তিশালী প্রতিনিধি দল আগামী ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করবে। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম সিডনির মিন্টুস্থ তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে এক বৈঠকের আয়োজন করে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি আব্দুল খান রতনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় বৈঠকে আগামী অক্টোবরে সিডনিতে দুই দিনব্যাপী ট্রেড ফেয়ার এর প্রস্তুতি হিসেবে ২১ তারিখ প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে জানানো হয়, ফোরামের প্রতিনিধি দল আগামী ২৬ ও ২৭ তারিখে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিতব্য ট্রেড ফেয়ারে অংশ নিবে। এছাড়াও এই ট্রেড ফেয়ার সফলভাবে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো (ইপিবি), ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এর প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে মিলিত হবে।  এছাড়াও ৩ ও ৪ অক্টোবর সিডনিতে দুই দিনব্যাপী ট্রেড ফেয়ারকে সফল করতে আগামী ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় ঢাকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এই সাংবাদিক সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো (ইপিবি), ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরার হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবেন।  অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সফরকারী প্রতিনিধি দলে থাকবেন আব্দুল খান রতন, মোজ্জামেল হক বাবু, শফিক শেখ, নাজমুল হাসান ও নাইম আবদুল্লাহ। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রার ঢাকায় আসার কথা ছিল শনিবার (২০ এপ্রিল)। তার সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।  বিনয় মোহন কাত্রার সফরের সময় নৈশভোজেও বেশ কয়েকজনকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। তবে আমন্ত্রিতরা বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সফর স্থগিত হওয়ার বিষয়ে বার্তা পেয়েছেন। আগামীতে এ সফরের তারিখ নির্ধারণ হবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিনয় কাত্রা একদিনের জন্য ঢাকা সফরে আসতে পারেন।  সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সূত্র জানায়, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। এ নিয়ে ঢাকা-দিল্লি উভয় পক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১ মে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন বিনয় মোহন কোয়াত্রা। তিনি গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন। এবার দ্বিতীয় দফায় ঢাকায় আসার কথা ছিল তার।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৬

টাইগারদের আফগানিস্তান সফর স্থগিত
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আফগানিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে দুই বোর্ডের সম্মতিতে সিরিজটি স্থগিত করা হয়েছে। সিরিজটি পরে কোনো এক সময় আয়োজন করবে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, দুই বোর্ডই পরে কোন এক সময় এই সিরিজটি খেলার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তাই নতুন করে এই সিরিজের সময় নির্ধারণ করা হবে।  সাদা বলের ক্রিকেটের পাশাপাশি চলতি বছরে ১২টি টেস্ট খেলার কথা ছিল টাইগারদের। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটি স্থগিত হওয়ায় এখন চলতি বছরে কেবল ৮টি টেস্ট খেলা হবে টাইগারদের।  কারণ, এর আগে আগামী মে তে হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজটিও স্থগিত হয়েছে, এর বদলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।  এদিকে টেস্ট সংখ্যা কমলেও চলতি বছরে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপের পরই পাকিস্তান সফরে যাবে টাইগাররা, এরপর ভারতের মাটিতে দুই টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে শান্ত-লিটনরা।  এরপর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। আর বছরের শেষদিকে নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুই টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল আগামী জুলাইয়ে। এই সফরে দুই টেস্ট সহ তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল দুই দলের।   
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪১

কাতার সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
কাতারে সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (৬ মার্চ) তিনি দেশে ফিরেছেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, সফরকালে তিনি কাতারের রাজধানী দোহাতে ৪ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিএক্স-২০২৪)’-এ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে স্ব-স্ব স্থল বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদারি সম্পর্ক উন্নয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, সংঘাতপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীগুলোর আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সেনাবাহিনী প্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সরকারি সফরে কাতার যান।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫২

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিন দিনের সফর শেষে জার্মানির মিউনিখ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দর থেকে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া তাকে বিদায় জানান। টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকার গঠনের পর গত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সফরে প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এসময় তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া উইমেন পলিটিক্যাল লিডারের (ডব্লিউপিএল) প্রেসিডেন্ট সিলভানা কোচ-মেহরিন, সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যান্ড পার্টনারশিপ অ্যাক্সেল ভ্যান টর্টসেনবার্গ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক পেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস, মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ড. স্যার নিক ক্লেগও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখের বার্গারহাউস গার্চিং হোটেলে জার্মানি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়