• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
সরকারি কেন্দ্রে কৃষকেরা ধান বেচতে পারে না, লাভ খাচ্ছে দালালরা
এবার সরকারিভাবে প্রতি মণ বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২৮০ টাকা (প্রতি কেজি ৩২ টাকা)। কিন্তু প্রকৃত কৃষকেরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। দালাল প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট করে কৃষকের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। আর এতে সহায়তা করছে এক শ্রেণির খাদ্য কর্মকর্তা। তবে খাদ্য কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কৃষকেরা সঠিক মানের ধান নিয়ে আসলে তাদের ধান কেনা হয়। কৃষক বাদে অন্য কারও কাছ থেকে ধান কেনার কোনো আইন বা সুযোগ নেই। গত ৮ মে খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার সরকারিভাবে ধান-চাল কেনার কর্মসূচি উদ্বোধন করে। এবার সরকার ১৭ লাখ টন ধান-চাল কিনবে। এর মধ্যে ধান কেনা হবে পাঁচ লাখ টন। সেদ্ধ চাল ১১ লাখ টন এবং আতপ চাল এক লাখ টন। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কেনা হবে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। একই সঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষদের জন্য বোরো ধানই মুখ্য। কারণ, চাল বিক্রি করেন মালিকেরা। এবার গত বছরের চেয়ে ধানের দাম প্রতি কেজিতে দুই টাকা বেশি ধরা হয়েছে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কৃষক রিপন মিয়া বলেন, আমাদের প্রতি মন ধান উৎপাদনে এবার খরচ হয়েছে ৭০০-৮০০ টাকা। কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেশি, সারের দাম বেশি, পানি সেচের খরচ বেড়ে গেছে বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে। আবার বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো সেচ দিতে না পারায় ধান চিট হয়ে যায়। তার কথায়, সরকারি কেন্দ্রে বিক্রি করতে পারলে লাভ থাকত। কিন্তু আমরা তো সেখানে যেতেই পারি না। দালালরা ওই কেন্দ্র পর্যন্ত আমাদের যেতেই দেয় না। তাই বাধ্য হয়ে ৮৫০-৯০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। কিন্তু এই দামে ধান কিনে তারা সরকারের কাছে বেচে এক হাজার ২৮০ টাকায়। তিনি অভিযোগ করেন, নানা অজুহাতে আমাদের আটকে দেয়া হয়। এরমধ্যে আছে কৃষক কার্ড, ময়েশ্চার (আর্দ্রতা), ধানে চিটা। কেউ কেউ কেন্দ্রে নিতে পারলেও এইসব অজুহাতে ধান ফেরত দেওয়া হয়। আমাদের পরিবহন খরচ গচ্চা যায়। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার কৃষক মো. নাসির উদ্দিন এবার দুই একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো পেয়েছেন। তিনি বলেন, প্রথমে কৃষককে কৃষি কার্ড পেতে হয়, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হয়। এরপর ধান নিয়ে গেলে লটারি করা হয়। লটারিতে যাদের নাম আসে তাদের ধানের আর্দ্রতা পরীক্ষা করা হয়। যদি আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি হয় তাহলে ধান নেয় না। তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, গত বছর আমার যে ধান সঠিক আর্দ্রতা নাই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই ধান দালালের কাছে বিক্রি করার পর তাদের কাছ থেকে একই ধান কিন্তু ক্রয় কেন্দ্র নিয়েছে। দালাল ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের একটা অবৈধ যোগাযোগ আছে। তারা মিলে একটা সিন্ডিকেট। এর সঙ্গে গুদামের শ্রমিকেরাও জড়িত। তাদের আবার কৃষি কার্ড আছে। প্রতি মণে দালালরা হাতিয়ে নিচ্ছে ৩৫০ টাকা। সরকারি পর্যায়ে ধান কেনার যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়েই সিন্ডিকেট সদস্যরা কৃষকদের বঞ্চিত করেন। তারা কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে বেশি দামে বিক্রি করে। এবার প্রতি মনে এ তারা কমপক্ষে ৩০০-৩৫০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। এই লাভের ভাগ প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরাও পান বলে অভিযোগ আছে। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে হলে কৃষকের কৃষি কার্ড থাকতে হবে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, ধানের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। কিন্তু কৃষকের কাছে তো আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র নাই, ফলে সে ধান কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে বিপাকে পড়ে। কারণ তাকে বাড়ি গিয়ে ধান আরো শুকিয়ে আনতে হলে পরিবহন খরচ লাগে। আর কৃষি কার্ড পেতেও আছে জটিলতা। কারণ জমির মালিকানা না থাকলে পাওয়া যায় না। বর্গা চাষিরা তাই কৃষি কার্ড পান না। আর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই কারো কারো। যদিও ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আছে। এবার হাওড় এলাকায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কৃষক আরমান হোসেন এবার পাঁচ একর জমিতে বোরো চাষ করেছেন। তার ভাই করেছেন ৩৫ একর জমিতে। তিনি বলেন, ভালো ফলন হলেও আমরা সরকারি কেন্দ্রে বিক্রি করতে পারছি না। বাইরে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানেও দালাল আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দাপট। তাদের কাছেই আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা ৯০০-৯৫০ টাকা মন তাদের কাছে বিক্রি করছি। তার কথা, এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান কেনার কথা থাকলেও কারুর দেখা নাই। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে দালাল আর ফড়িয়ারা। আমরা তাদের ধান দিয়ে দিচ্ছি। কথা বলে জানা গেছে, যাদের সামর্থ্য আছে তারা সরকারি কেন্দ্রে বিক্রি করতে না পেরে ধান ধরে রাখছেন। বাজার বেশি হলে তখন বিক্রি করবেন। মিঠামইন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহা. এনামুল হক অবশ্য দালাল ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দৌরাত্ম্য অস্বীকার করে বলেন, কৃষক ছাড়া অন্য কারো এখানে ধান বিক্রির সুযোগ নেই। আমরা কৃষক কার্ড দিয়েছি। সেই কার্ড দেখে ধান কিনি। আর ধানের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ একজনের কাছ থেকে তিন টন ধান কিনি। আমরা গত বছর সাত হাজার কৃষক কার্ড দিয়েছি। এবার আবার আপডেট করছি। তার কথায়, আমরা ধানের দাম কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিই। ফলে কোনো দালাল বা ফড়িয়ার এখানে কিছু করার সুযোগ নেই। কৃষকেরা জিম্মি: কৃষকদের নিয়ে কাজ করা বিশ্লেষকেরা বলছেন, যারা দালাল বা প্রভাবশালী তাদের সবার কৃষক কার্ড আছে। কারণ, তারাও কৃষি জমির মালিক। শুধু তাই নয় তারা কৃষকদের কাছ থেকেও কৃষক কার্ড নিয়ে নেয়। তারা আসলে অর্থের বিনিময়ে সব পক্ষকে ম্যানেজ করে। আবার সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে কৃষক কার্ড দখলে রাখে। এশিয়ান ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের অপারেশনাল ম্যানেজার আমীরুল ইসলাম বলেন, আসলে সবখানেই রাজনৈতিক প্রভাব। স্থানীয় যারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আছেন তাদের সঙ্গে দালালরা মিলে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। তারা কৃষকদের কেন্দ্রে যেতে দেয় না। আগেই তাদের ধান নিয়ে নেয় কম দামে। আর কেউ যদি যেতেও পারে আদ্রতাসহ নানা অজুহাতে তার ধান কেনা হয় না। সরকারি খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালালদের অসাধু সম্পর্ক আছে। তার কথায়, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ধান কেনা বা আর্দ্রতা পরীক্ষা করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয় না। দেশে মোট কৃষকের ছয় শতাংশ বড় কৃষক। তারা হয়তোবা কেন্দ্রে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারে। কিন্তু ছোট, ক্ষুদ্র বা বর্গা চাষির পক্ষে সম্ভব হয় না। সরকার ধানের যে বাড়তি দাম দিচ্ছে তা তারা পায় না। পায় দালাল ও প্রভাবশালীরা। আর ছোট কৃষকরা ধান ধরেও রাখতে পারে না। কারণ, তাদের অর্থ প্রয়োজন। কৃষকেরা যদি সংগঠিত হতে পারত তাহলে এই অবস্থার অবসান ঘটত। খাদ্য অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, আসলে দালাল এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা সিন্ডিকেট করে। ফলে অনেক প্রকৃত কৃষক কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারেন না। কিন্তু এটা তো আমরা দেখতে পারি না। এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ। যারা দালাল তাদেরও কৃষি কার্ড আছে। আর দাললরা তো সংঘবদ্ধ। খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, এবার আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র নিয়ে কৃষকের বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে। যদি দেখা যায় তা ১৪ ভাগের বেশি হয় তাহলে তাদের ধান শুকিয়ে সঠিক পর্যায়ে এনে তারপর কেনা হবে। যাতে তারা আর্দ্রতার ফাঁদে না পড়েন। এর জবাবে খাদ্য অধিদপ্তরের ধান-চাল সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এটা আমাদের কাজ নয়। আমাদের অত জনবল নাই। এটা কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজারদের করার কথা। তারা করছে কিনা আমার জানা নাই। কৃষকেরা দালাল ও ফড়েদের দাপটে সরকারি কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারছে না এই অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলো কৃষকদের ধান কেনার জন্যই। তাদের কাছ থেকেই আমরা ধান কিনছি। তাদের কাছ থেকে ধান কেনায় কোনো বাধা নাই। তারা কোথাও বাধা পেয়ে বা চাপের কারণে কেন্দ্রে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারেননি এরকম কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে নাই। তিনি জানান, উপজেলা পর্যায়েই ধান কেনা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে অল্প কিছু ক্রয় কেন্দ্র আছে।
১৯ মে ২০২৪, ১৫:৫৭

ভারত বিরোধিতার নাটকবাজি করে লাভ হবে না : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, কোনো কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছে না, তখন বিএনপি আবারও তাদের পুরনো অস্ত্র ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সেটা হলো ভারত বিরোধিতা। সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা ভিন্নখাতে নিতে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, ভারত বিরোধিতার নাটকবাজি করে কোন লাভ হবে না। অন্য কোনো দেশের নয়, এই দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেই বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।  রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া দিশা অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের স্বরণ সভায় যোগ দিয়ে হানিফ এসব কথা বলেন। কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব-কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া এই স্বরণ সভার আয়োজন করেন। প্রেস ক্লাব ও ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের সভাপতিত্বে স্বরণ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, প্রয়াত ইহসানুল করিমের সহধর্মীনি মমতাজ শিরিন করিম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সহসভাপতি শেখ হাসান বেলাল, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।   উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম (হেলাল) গত ১০ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫২

সন্দ্বীপ থানার ওসির পিপিএম পদক লাভ
চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন পুলিশ পদক (পিপিএম) পদক পেয়েছেন। মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সন্দ্বীপ থানার ওসিকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পিপিএম পদক প্রদান করা হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রাপ্ত হওয়ায় সন্দ্বীপবাসী সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে শুভেচ্ছা জানান।  ওসি কবির হোসেন আরটিভিকে বলেন, পিপিএম পদক সবার স্বপ্ন থাকে। এ অর্জনে আমি খুবই আনন্দিত। আমি সবসবয় সেবার মানসিকতায় কাজ করে যাচ্ছি। পুরস্কার প্রাপ্তি কাজের গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার এবং মানুষের সেবা করা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি আরও বলেন, যতদিন পুলিশ বিভাগে থাকবেন এভাবেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩২

৭ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়- ঘটনাবলি: ১৩৫৭ -  ইরানের জনগণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংহতি সৃষ্টি হয়। ১৭৯২ -  অস্ট্রিয়া ও প্রুশিয়া ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আঁতাত করে। ১৮৫৬ -  অযোধ্যার নবাব ওয়াজিদ আলী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ১৮৬৫ -  ইংরেজি ‘পলমল গ্যাজেট’ প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৭৪ -  মধ্য আমেরিকায় অবস্থিত ছোট্ট দেশ গ্রানাডা স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯১ -  পরিত্যক্ত সোভিয়েত মহাকাশকেন্দ্র স্যালিউট-৭ ভূবায়ুম-লে প্রবেশ করার পর আগুন বৃষ্টির মতো আর্জেন্টিনার আন্দিজ পর্বত এলাকায় ভেঙে পড়ে। ১৯৯২ -  অভিন্ন ইউরোপ গঠনের জন্য চুক্তি সাক্ষরিত হয়। জন্ম: ১৭০০ -  ফরাসি ভৌগোলিক ও মানচিত্রকার ফিলিপ বুয়েশ জন্মগ্রহণ করেন। ১৮১২ -  ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৩৭ -  অক্সফোর্ড নিউ ইংলিশ ডিকশনারি’র সম্পাদক জেমস হেনরি মারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭০ -  অস্ট্রীয় মনস্তত্তবিদ আলফ্রেড এ্যাডলার জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭১ -  আমাশা রোগের জীবাণু আবিস্কারক জাপানি জীবণুবিদ শিগা কিয়োশি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৫ -   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক ও নাট্যকার সিনক্লেয়ার লুইস এর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৪ -  চিত্রশিল্পী বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ -  ইংরেজ বিজ্ঞান লেখক ম্যাট রিডলি জন্মগ্রহণ করেন। ২০০১  -  মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী ও দার্শনিক জেরল্ড ক্যাট্‌জ জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু: ১৮৯৪ -  বিখ্যাত সুর স্রষ্টা এবং সেক্সাফোনের আবিষ্কারক এডলফ সক্স ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭৯ -  সাহিত্যিক কমলকুমার মজুমদার মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮২ -  বিপ্লবী কমিউনিস্ট নেতা ও মার্কসবাদী লেখক অনিল মুখার্জি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৯ -  জর্দানের সাবেক বাদশাহ হোসেন বিন তালাল পরলোকগমন করেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪২

‘নির্বাচন নিয়ে কথা বলে আর কোনো লাভ নেই’
জনবিচ্ছিন্ন ও রাজনীতি বিচ্ছিন্ন বিএনপির প্রলাপ নিয়ে কথা না বলার জন্য গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশে অংশ নিয়ে জনগণই নির্ধারণ করে দিয়েছে, এটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশে, বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাই এই নির্বাচন নিয়ে আর কোনো কথা না বলে কেউ হয়তো মানসিক শান্তি পেতে পারে, এ ছাড়া আর কোন লাভ নেই।  রোববার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া মোহিনী মিল মাঠে রহিমা-আফছার স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বিরোধী দল প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে ছিল, এখনও তারাই বিরোধী দল। আশা করছি, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ সময় নির্বাচন পরবর্তী দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে হানিফ বলেন, নির্বাচনে বাধা না থাকায় দলের অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলো। যে কারণে দলের মধ্যে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নিরসনে ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দলের মধ্যে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা নির্বাচনের আগেই তা আর থাকবে না।  পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এবং ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে বল মোকাবেলার মধ্য দিয়ে মাহবুবউল আলম হানিফ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। এ সময় আলোচনা সভাতেও বক্তব্য রাখেন তিনি। উদ্বোধনী ম্যাচে কুমারখালী ক্রিকেট একাডেমি ও রোজা রাইডার্স মুখোমুখি হয়। মোট ২৪ দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৫

বিয়ে ও বাচ্চা নিয়ে মুখ খুললেন কৌশানী (ভিডিও)
পশ্চিমবঙ্গের লাভ বার্ডস বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানী মুখার্জি। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে যেন তাদের কোনো রাখঢাক নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায় সময়ই ছবি আর ভিডিও শেয়ার করেন এই প্রেমিকযুগল।    কয়েকদিন আগেই বনি জানিয়েছিলেন ২০২৫ সালে বিয়ে করবেন তারা। শুধু তাই নয়, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানিং রয়েছে কৌশানী-বনির। এবার বিয়ে ও বাচ্চা নিয়ে মুখ খুললেন কৌশানী।   সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি রিয়েলিটি শোয়ের ভিডিও শেয়ার করেছেন কৌশানী। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, প্রত্যেকের বিয়ে হয়ে বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে আর আমার তো ছেলেবেলাটাই যেন কাটতে চাইছে না। মন থেকে ছোট থাকলেই ভালো থাকা যায়। বন্ধুদের সঙ্গে ছোটবেলায় খেলার সেই মুহূর্তগুলো খুব মনে পড়ছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট বেলার মতো খেলায় ব্যস্ত কৌশানী। কাজের সব ব্যস্ততাকে দূরে রেখে একটু ছোটবেলায় ফিরে গেছেন এই অভিনেত্রী।   প্রসঙ্গত, সর্বশেষ রাজ চক্রবর্তী নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘প্রলয়’-এ দেখা গেছে কৌশানীকে। সিরিজটিতে অভিনয় করে রীতিমতো দর্শকদের নজর কেড়েছেন এই অভিনেত্রী।  সূত্র : আনন্দবাজার  ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন 
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

জয় লাভ করেই ফেরদৌসের নতুন কর্মসূচি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা বেসরকারিভাবে প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন তিনি। আর জয় লাভ করেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ফেরদৌস।  সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ফেরদৌস।   আরও পড়ুন : চাঁদপুরের ৫টি আসনেই নৌকার জয়   শুধু তাই নয়, সেখানে কার্যক্রম শেষে নিজ হাতে নির্বাচনী এলাকার পোস্টার অপসারণ করবেন ফেরদৌস। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতার পর গণমাধ্যমে ফেরদৌস বলেন, আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য সব ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই আমি। আশা করছি, পাশে থাকবেন আপনারা। আরও পড়ুন : কুড়িগ্রামে দুটিতে নৌকা, লাঙ্গল-স্বতন্ত্র একটিতে জয়ী   রাজধানীর ধানমন্ডি, হাজারীবাগসহ আশপাশের এলাকা নিয়ে ঢাকা-১০ আসন। এই আসনে ফেরদৌসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কে. এম শামসুল আলম (আম), জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) শাহরিয়ার ইফতেখার (ছড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. বাহারানে সুলতান বাহার (টেলিভিশন)।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়