• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নীল রঙের লবণ খেলে কী হয় জানেন
লবণ রান্নার জন্য খুবই দরকারি। লবণ ছাড়া খাবার স্বাদহীন। সাধারণভাবে আমরা সাদা রঙের লবণ দেখে এবং খেয়ে অভ্যস্ত। সাদা লবণই বাড়িতে আনা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আয়োডাইজড এই লবণই রান্নায় পড়ে। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে লবণ।  যেমন অনেক বাড়িতে সৈন্ধব লবণ এবং বিটনুন খাওয়া হয়। এগুলো গোলাপি লবণ হিসাবেও পরিচিত। কিন্তু যেটা খুব কম মানুষই জানেন, সেটা হলো নীল লবণ। অনেকেতো অবাকও হতে পারেন এটা শুনে যে লবণ নীল রঙেরও হয়।  নীল রঙের লবণ খেলে শরীরে কেমন প্রভাব পড়বে জেনে নিন- নীল রঙের লবণ আসলে রয়েছে। আর তার কদরও সীমাহীন। নামকরা রাঁধুনিদের কাছে নীল লবণ মানে শুধুই লবণ নয়, একটা আভিজাত্য। এবং সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের কাছেও তাই। কিন্তু জানেন কি এই লবণ কোথায় পাওয়া যায় এবং এই লবণের বিশেষত্ব? নীল লবণ ভারতে পাওয়া যায় না। তবে এশিয়ারই একটি দেশে পাওয়া যায়। এটি হলো ইরান। এই দেশে এই বিশেষ লবণ পাওয়া যায়। নীল লবণের পোশাকি নাম পারসিয়ান সল্ট। প্রায় ২ হাজার বছর আগে ইরানে এই লবণ আবিষ্কার হয়। তার ব্যবহারও শুরু হয়। তারপর থেকে এই লবণ খনি থেকে তোলা চলছে। খনিতে জমাট বাঁধা এই লবণ তুলে এনে রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পরে এই নীল লবণ তৈরি হয়। এই লবণ নীল রঙের দেখতে হয়, তার কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। এই লবণে ভরা থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এ লবণ দেখতেও খুব সুন্দর বলে মনে করেন অনেকে। ফলে তা খাবার টেবিলে অন্য একটা মাত্রা যোগ করতে পারে। সেই সঙ্গে এর খাদ্যগুণও অনেক। খেতে অবশ্য সাধারণ লবণের মত নয়, একটু অন্যরকম। খেলে খনিজের স্বাদ স্পষ্ট। তবে খেতে ভালো বলেই মত সকলের। জিভে গেলে একটা তাজা অনুভূতি দেয় এই লবণ। 
০৫ মে ২০২৪, ১৫:৫০

বজ্রপাতে ২ লবণ শ্রমিকের মৃত্যু
কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে কিশোরসহ দুই লবণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোরে উপজেলার মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়ন এলাকার লবণের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দিদারুল ইসলাম (৩০) মগনামা ইউনিয়নের কোলাইল্লাদিয়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে। অপর নিহত আরাফাত হোসাইন (১৪) উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ছরিপাড়া এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে। নিহত দিদারের চাচা জাকের হোসাইন বলেন, ভোর চারটার দিকে আকাশে মেঘ জমলে ভাতিজা দিদারকে নিয়ে আমিও লবণ তুলতে মাঠে যাই। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দিদারুল ইসলাম। মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, দিদার আমার পার্শ্ববর্তী আবুল কালামের লবণ মাঠে কাজ করতো। ভোরে আকাশে মেঘ দেখা গেলে অন্য শ্রমিকের মতো লবণ তুলতে গিয়ে বজ্রাঘাতের কবলে পড়ে সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে একই সময়ে লবণ তুলতে বাবার সঙ্গে মাঠে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছে কিশোর ফরহাদ হোসাইন। তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বদু। পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, এখনো থানায় এ সংক্রান্ত তথ্য আসেনি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে মাঠে লবণ তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজন মারা গেছেন। তাদের পরিবারকে প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
০২ মে ২০২৪, ১৬:৪৪

দেশে ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন
চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৮

ক্ষতিকর উপাদানের বাহক বিট লবণ
কমবেশি সবারই প্রিয় খাবারের তালিকায় দেখা যায় চাটনি, সালাদ, বোরহানি, ফুচকার নাম। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, এ খাবারগুলোর সঙ্গে আপনার দেহে যাচ্ছে ভয়াবহ টক্সিক উপাদান। হ্যাঁ, এসব খাবারে দেওয়া বিট লবণই এই ক্ষতিকর উপাদানটি বহন করছে। বিট লবণ-  বিট লবণ এক ধরনের খনিজ লবণ, যা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের হিমালয়ের আশপাশের লবণসমৃদ্ধ মাটির নিচ থেকে পাথর আকারে উত্তোলন করা হয়। এই লবণ মূলত সোডিয়াম ক্লোরাইড ও অল্প সোডিয়াম সালফেট, সোডিয়াম বাইসালফেট, সোডিয়াম সালফাইড, আয়রন সালফাইড এবং হাইড্রোজেন সালফাইডের অপদ্রব্য দিয়ে তৈরি। বিট লবণের নোনতা স্বাদটি সোডিয়াম ক্লোরাইড থেকে আসে। আয়রন সালফাইডের উপস্থিতির কারণে লবণটি গাঢ় বেগুনি রঙের হয়। সালফারের মিশ্রণগুলো বিট লবণের সুস্বাদের পাশাপাশি একটি অতি বৈশিষ্ট্যসূচক গন্ধ দেয়। পচা ডিম ও নষ্ট দুধের গন্ধের জন্য হাইড্রোজেন সালফাইড মূলত দায়ী। আম্লিক বাইসালফেট বা বাইসালফাইটগুলো একটি হালকা টক স্বাদ দেয়। বিট লবণ আমাদের দেশে মসলা হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার রন্ধনপ্রণালিতে বিট লবণ খুব পরিচিত নাম। এটি কালো লবণ বা সুলেমানি লবণ নামেও পরিচিত। চাটনি, সালাদ, ফল, জুস, বোরহানি, ফুচকাসহ প্রায় সব ধরনের ভারতীয় ও চাইনিজ খাবারে বিট লবণ যোগ করা হয়। খাবারকে চটজলদি সুস্বাদু করলেও বিট লবণের রয়েছে নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব, যা অনেকেরই অজানা। বিট লবণের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ফেরিক অক্সাইড, ফেরাস সালফেট ও ফ্লুরাইড ইত্যাদি। অনেকের ধারণা, সাধারণ লবণের চেয়ে বিট লবণে সোডিয়াম কম থাকে বলে তা হয়তো উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও শরীরের পক্ষে ততটা ক্ষতিকর নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, যে সব লবণে সোডিয়াম কম থাকে, সেগুলোতে আবার পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। পাটাশিয়াম (Potassium) শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। তবে যে কোনও খনিজই শরীরে বেশি মাত্রায় জমতে থাকলে সমস্যা বাড়ে। শরীরে পটাশিয়াম বেশি গেলে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে। তাই কিডনির সমস্যা (Kidney problem) থাকলে কম সোডিয়াম দেওয়া লবণ না খাওয়াই ভালো। ফ্লুরাইড ও বিট লবণ-  বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বিট লবণে প্রায়  প্রতি মিলিয়নে রয়েছে আড়াইশ শতাংশ পরিমাণ ফ্লুরাইড। এটি পটাশিয়াম বা সোডিয়াম যেকোনো ফ্লুরাইড হতে পারে। যা প্রচুর টক্সিন সমৃদ্ধ। ৪.৯ গ্রাম অর্থাৎ, প্রতি চা চামচ বিট লবণে রয়েছে ০.৫৬ গ্রাম ফ্ল‍ুরাইড। ফ্লুরাইড থাইরয়েড গ্রন্থি, হাড়, জয়েন্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এটি এমন একটি উপাদান যা সীসা, পারদ ও রেডন গ্যাসের (radon gas) মতোই বিষাক্ত। ফ্লুরাইড কি- দাঁত ও হাড়ের গঠনে ফ্লুরাইড প্রয়োজনীয় উপাদান। মানবদেহে ফ্লুরাইডের সহনীয় মাত্রা ২ থেকে ৩ মিলিগ্রাম। কিন্তু তা যদি ৪ মিলিগ্রামের ওপরে চলে যায় তাহলে তা বিষে পরিণত হয়। খাবার পানিতেও ফ্লুরাইড রয়েছে। এক লিটার পানিতে ০.৫ থেকে ১.০ মিলিগ্রাম ফ্লুরাইড থাকে। এর বেশি মাত্রায় থাকলে তা দূষণ পর্যায়ে চলে যায়। শরীরে ফ্লুরাইডের অতিরিক্ত মাত্রা ফ্লুরোসিস নামের রোগ তৈরি করে। ফলে ওজন হ্রাস পায়, ত্বকে প্রদাহ দেখা দেয়, দাঁতের ক্ষতি হয় ও চুল পড়া থেকে শুরু করে নানা সমস্যা দেখা দেয়।  ভারতের দিল্লির ফ্লুরোসিস গবেষণা ও পল্লী উন্নয়ন ফাইন্ডেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে বিট লবণ খাওয়ায় ভারতে ফ্লুরাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ৬৬ মিলিয়নেরও বেশি। এই গবেষণার পর প্রতিষ্ঠানটি বিট লবণ ও বিট লবণ দিয়ে তৈরি স্ন্যাকস বা আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক ২.৩ গ্রামের কম ও পঞ্চাশোর্ধ্বদের ১.৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে লবণে যদি ফ্লুরাইড থাকে তাহলে তা হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা সৃষ্টি করে, রক্তস্বল্পতা, রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি ও পাকস্থলির ঝিল্লির ক্ষতি করতে পারে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়