• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
নেশার টাকা না দেওয়ায় মায়ের হাতের রগ কেটে দিয়েছে ছেলে!
গাজীপুরের শ্রীপুরে নেশার টাকা দিতে না পারায় মাদকাসক্ত ছেলে তফু (৩০) তার মায়ের (৬০) হাতের রগ কেটে দিয়েছে। আহত নারী শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আজুগীচালা গ্রামের আমির আলীর স্ত্রী। তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আজুগীচালা গ্রামের আমির আলীর ছেলে তফু এ ঘটনা ঘটায়।  তেলিহাটি ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাচ্চু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমির আলীর ছেলে তফু মাদকাসক্ত। সে কখনো অটোরিকশা চালায়, আবার কখনো রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। তফুর বাবা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী এবং মা বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। কয়েকদিন আগে তফু তার মাকে নেশার টাকার জন্য চাপ দেয় এবং অবশ্যই তাকে নেশার টাকা জোগাড় করে দিতে হবে বলে জানান। টাকা জোগাড় করে দিতে না পারলে সে তার মাকে জবাই করার হুমকি দেয়। বিষয়টি তফুর মা ওই ইউপি সদস্যকে জানালে সে তফুকে এসব না করার জন্য নিষেধ করে। পরে তফুকে পুলিশে দিতে চাইলে তার মা নিষেধ করে। শুক্রবার দুপুরে আবারও তার মার কাছে তফু নেশার টাকা চাইলে না দেওয়ায় সে তার মায়ের হাতের রগ কেটে ফেলে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন নেশার জন্য তফু মিয়ার ২০০ টাকা লাগে বলে সে জানায়। টাকা না পাইলে তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। নেশার জন্য পুলিশ মাঝে মাঝে তাকে ধাওয়া দিলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য রোকেয়া বেগম বলেন, নেশাগ্রস্ত ছেলের বিচার করতে হবে। সে তার মাকে নেশার টাকার জন্য প্রায়ই হুমকি এবং মারধর করে। অভিযুক্ত তফুর মা স্থানীয়দের কাছে তার ছেলের এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছে।   শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মিয়া বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মায়ের রগ কেটে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে তফু মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

চাঁদপুরে বিউটিশিয়ান রিক্তাকে পায়ের রগ কেটে হত্যা 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তাকে (৩৫) জবাই ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর কম্বল পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর টয়লেটে রেখে দেয়া হয় তার মরদেহ। খবর পেয়ে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিক্তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকার বেপারী বাড়িতে নিজ বসতঘর থেকে রিক্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিক্তা বেপারী বাড়ির মৃত এমদাদ উল্লাহর ছোট মেয়ে। এলাকাবাসী জানায়, রিক্তা ফরিদগঞ্জ গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বধূবরণ বিউটি পার্লারের মালিক ও বিউটিশিয়ান। প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরেন তিনি। স্বামী প্রবাসে ও তার কোন সন্তান না থাকায় মৃত বোনের একমাত্র ছেলে বাপ্পিকে (১৮) নিয়ে বসবাস করতেন রিক্তা। বাপ্পি গৃদকালিন্দিয়া বাজারে একটি দোকানে মোবাইল মেরামতের কাজ শিখছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে বাপ্পি বাড়ি ফিরে তার খালা রিক্তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানায় এবং বাড়ির লোকজনসহ ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে রিক্তার চাচাতো ভাই মাহফুজুর রহমানের মেয়ে ঐশী আক্তার তার মা ও বাপ্পিসহ ঘরে প্রবেশ করে বহু খোঁজাখুঁজি করার পর টয়লেটের ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রিক্তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। এ ঘটনা ঐশী তার বাবা মাহফুজুর রহমানকে জানালে তিনি ৯৯৯- এ কল করে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রিক্তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে। রিক্তার বোনের ছেলে বাপ্পি জানায়, ‘আমার জন্মের পর মা মারা যাওয়ায় এই খালার কাছেই বড় হয়েছি। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার সময় খালামনিকে দেখেছি বাজার থেকে পুরি নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছে। আমি রাত ৮টার সময় বাজার থেকে বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। খালাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার লকে হাত দেই আর সঙ্গে সঙ্গে দরজার লক খুলে যায়। এ সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। ঘরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের মেঝেতে খালার বোরখা রক্তমাখা‌। আমি চিৎকার করে পাশের ঘরের মাহফুজ মামার স্ত্রী লাকি মামিকে ডেকে আনি। পরে মামি ও তার মেয়ে ঐশীসহ ঘরে ভেতরে খুঁজে না পেয়ে টয়লেটের দরজা খুলে দেখে খালা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।’ একই বাড়ির মাহফুজুর রহমান জুয়েল বলেন, এই ঘটনা দেখেই আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানাই। রিক্তা আমার চাচাতো বোন। গত প্রায় দশ বছর পূর্বে চট্টগ্রামে রিক্তার বিয়ে হয়েছে। রিক্তার স্বামী রাকিবুল হাসান দুবাই প্রবাসী। গত দুই মাস পূর্বেও সে ছুটি কাটিয়ে গেছে। রিক্তার কোনো সন্তান নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির জানান, রাতে ৮টা ৫৭মিনিটের সময় একই বাড়ির ইসমাইল মাস্টার ফোন করে জানিয়েছেন রিক্তাকে কারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত (ওসি) প্রদীপ মন্ডল জানান, খুনের বিষয়ে মাহফুজুর রহমান নামক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবাতে (৯৯৯) ফোন করেন। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে এসে মমতাজ বেগম রিক্তার মরদেহ উদ্ধার করেছি। এটি একটি হত্যা এবং এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৬

তিতাসে পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় এক যুবককে নির্যাতন করে পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামে।  নিহত যুবক উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া চকের বাড়ির মৃত মরম আলীর ছেলে মো. মাসুম ওরফে মাজহারুল (২৮)। নিহতের মা মাসুদা বেগম জানান, বুধবার দুপুরে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে ফোন দিয়ে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা নেয়। রাত ৮টার দিকে খবর পায় তার ছেলে গৌরীপুর হাসপাতালে। গিয়ে দেখেন ছেলের শরীরে জখম এবং পায়ের রগ কাটা। দ্রুত ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, নিহতের পরিবার সূত্র মতে দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার জনৈক এক জনের সঙ্গে টাকা পয়সার লেনদেন ছিল। এ ছাড়া ভিকটিম ভিডিওতে বলে গেছে কারা তাকে মারধর করেছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুত সময়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে। 
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়